আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল তাদের ঋণের শর্ত হিসেবে ঢাকায় সরকারি অর্থের হিসাব খতিয়ে দেখছে। একই সময়ে, বাংলাদেশ আগামী জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের জন্য প্রথমবারের মতো ছোট আকারের বাজেট তৈরি করছে। ছোট বাজেট তৈরি কারণ, দেশ নিয়মিতই বাজেট ব্যবহার ও বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকছে। বিশ্লেষকেরা
দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু জিডিপিতে ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব শীর্ষ ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা
দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও দীর্ঘ মেয়াদে সক্ষম করে তুলতে ব্যাংক খাতে সুশাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কারের ওপর জোর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির প্রতিনিধিদল দুটি আলাদা বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে এই দুই খাতের দুর্বলতা ও করণীয় নিয়ে...
চলমান ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে আগামী বছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ দেখতে চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৫৭ হাজারের বিপরীতে কেবল ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করতে পারবে বলে জানিয়েছে
আইএমএফ থেকে চতুর্থ কিস্তির ঋণ পেতে হলে বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের কঠিন লক্ষ্য পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওপর চাপানো হয়েছে তিন মাসে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা এবং আগামী অর্থবছর থেকে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের শর্ত।
চলতি বছরের মার্চে দেশে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাসেও ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে টানা তিন মাস কমার পর সার্বিক মূল্যস্ফীতির কিছুটা বেড়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত
তারল্য সংকটে ধুঁকতে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কথা ছিল ধারের টাকা ৯০ দিনের মধ্যে শোধ করবে ব্যাংকগুলো। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এক টাকাও ফেরত দেয়নি তারা। এমন পরিস্থিতিতে কিছু দুর্বল ব্যাংককে দেওয়া তারল্য সহায়তা নিয়ে গুরুতর আপত্তি...
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘রাজস্ব সংগ্রহ, খেলাপি ঋণ কমানো এবং মুদ্রা বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এবং করছি। এখন আইএমএফের দায়
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আইএমএফ প্রতিনিধি দল মনে করছে যে, দেশের অর্থনীতি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে ও সঠিক পথেই এগোচ্ছে।
দেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে নেওয়া ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের পরবর্তী কিস্তি নিয়ে আলোচনা আবারও গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ঋণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত তিনটি কিস্তির অর্থ পাওয়া গেছে।
আকুর দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে ১৯.৬৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে (বিপিএম-৬ হিসাবে)। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল ও সন্তোষজনক বললেও রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য আমদানি খরচ ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ভারসাম্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তার শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো ও সুশাসন নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তবে ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। তিন বছর আগে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় অনিশ্চয়তার কারণে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর চীনের প্রভাব বাড়তে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মার্কিন সমর্থন কমে গেলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কার্যকারিতা দুর্বল হতে পারে এবং চীনসহ অন্যান্য দেশ এ সুযোগ নেবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বাজেট পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। ২০২৫ সালের এই বাজেটে দিসানায়েকের সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে চলা এবং দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছে।
আইএমএফের শর্ত পূরণ না করায় মার্চে চতুর্থ কিস্তির ৬৪.৫০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে উপস্থাপন করা হবে। কর আদায় বাড়াতে জেলা প্রশাসকদের...
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কয়েক মাস ধরে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে। জানুয়ারির শুরুতে এটি ২১ বিলিয়ন ডলার ছুঁলেও আকু বিল পরিশোধের পর তা ১৯ বিলিয়নে নেমে আসে। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে ভারত ১২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যা কিনা ওই বছরের দেশটিতে যে পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে তার চেয়ে ২২০ শতাংশ বেশি। আর ২০২৪ সালে ভারতের রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল (আনুমানিক) ১২৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, প্রতিবছরই ভারতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।