নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট প্রতিবেদনে বাস্তবতার প্রতিফলন নেই। এসব প্রতিবেদনের অনেকটা কাল্পনিক বা বানোয়াট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফের চাপে নয়, বরং নিজেদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও বিনিয়োগ আস্থার জন্যই আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও সংস্কার জরুরি।
আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সামিটে এসব মন্তব্য উঠে আসে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সৌলেমানে কুলিবালি এবং দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। সভাপতিত্ব করেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফআরসির চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আর্থিক খাতের সংস্কারে অনেক বাধা ও জটিলতা থাকলেও সরকার নিজ উদ্যোগে তা বাস্তবায়নে কাজ করছে। অনেকে মনে করছেন, শুধু বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের চাপেই আর্থিক খাত সংস্কার হচ্ছে; বাস্তবে এমনটি নয়। সরকারের নিজস্ব উদ্যোগেও সংস্কার হচ্ছে।
একটি ব্যাংকের রিপোর্টে দেখা যায়, তাদের খেলাপি ঋণ ৪ শতাংশ। কিন্তু আমরা অডিট করে দেখেছি ৯৬ শতাংশ। আহসান এইচ মনসুর গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট প্রতিবেদনে কাল্পনিক বা বানোয়াট (ফিকশন) তথ্য পাওয়া গেছে। একটি ব্যাংকের রিপোর্টে দেখা যায়, তাদের খেলাপি ঋণ ৪ শতাংশ। কিন্তু আমরা অডিট করে দেখেছি ৯৬ শতাংশ।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে গরমিল পাওয়া যায়। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি (রিস্ক-বেসড সুপারভিশন) পুরোপুরি কার্যকর হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে বিশ্বাস অর্জন করতে গেলে অডিট রিপোর্টে স্বচ্ছতা ও সঠিক তথ্য দিয়ে রিপোর্ট সাবমিট করতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে কাজ করবে। পাওনা নিয়ে চার সরকারি প্রতিষ্ঠানে অডিট করতে গেলে তারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেনি। যদি অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড কোনো প্রতিষ্ঠান অনুসরণ না করে, তাদের ওপর শাস্তি আরোপ করা উচিত।
অনুষ্ঠানে দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমানে আমি যদি অডিট রিপোর্ট দিয়ে বিচার করি, তাহলে স্বচ্ছ অডিটর পাওয়া যাবে না। আইএফআইসি ব্যাংকে প্রচুর কেলেঙ্কারি হয়েছে। সালমান এফ রহমান অডিটরের সহায়তায় একটা পেপার কোম্পানির তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়ে অর্থ নিয়েছেন। গত শাসনামলে ব্যাংক খাতে একের পর এক আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য লুকানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি শীর্ষ অডিট ফার্মকে চিহ্নিত করেছে, এটা প্রশংসার দাবিদার। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
এফআরসির চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ যখন একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান ও সুশাসনের প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট প্রতিবেদনে বাস্তবতার প্রতিফলন নেই। এসব প্রতিবেদনের অনেকটা কাল্পনিক বা বানোয়াট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফের চাপে নয়, বরং নিজেদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও বিনিয়োগ আস্থার জন্যই আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও সংস্কার জরুরি।
আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সামিটে এসব মন্তব্য উঠে আসে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সৌলেমানে কুলিবালি এবং দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। সভাপতিত্ব করেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফআরসির চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আর্থিক খাতের সংস্কারে অনেক বাধা ও জটিলতা থাকলেও সরকার নিজ উদ্যোগে তা বাস্তবায়নে কাজ করছে। অনেকে মনে করছেন, শুধু বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের চাপেই আর্থিক খাত সংস্কার হচ্ছে; বাস্তবে এমনটি নয়। সরকারের নিজস্ব উদ্যোগেও সংস্কার হচ্ছে।
একটি ব্যাংকের রিপোর্টে দেখা যায়, তাদের খেলাপি ঋণ ৪ শতাংশ। কিন্তু আমরা অডিট করে দেখেছি ৯৬ শতাংশ। আহসান এইচ মনসুর গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট প্রতিবেদনে কাল্পনিক বা বানোয়াট (ফিকশন) তথ্য পাওয়া গেছে। একটি ব্যাংকের রিপোর্টে দেখা যায়, তাদের খেলাপি ঋণ ৪ শতাংশ। কিন্তু আমরা অডিট করে দেখেছি ৯৬ শতাংশ।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে গরমিল পাওয়া যায়। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি (রিস্ক-বেসড সুপারভিশন) পুরোপুরি কার্যকর হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে বিশ্বাস অর্জন করতে গেলে অডিট রিপোর্টে স্বচ্ছতা ও সঠিক তথ্য দিয়ে রিপোর্ট সাবমিট করতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে কাজ করবে। পাওনা নিয়ে চার সরকারি প্রতিষ্ঠানে অডিট করতে গেলে তারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেনি। যদি অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড কোনো প্রতিষ্ঠান অনুসরণ না করে, তাদের ওপর শাস্তি আরোপ করা উচিত।
অনুষ্ঠানে দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমানে আমি যদি অডিট রিপোর্ট দিয়ে বিচার করি, তাহলে স্বচ্ছ অডিটর পাওয়া যাবে না। আইএফআইসি ব্যাংকে প্রচুর কেলেঙ্কারি হয়েছে। সালমান এফ রহমান অডিটরের সহায়তায় একটা পেপার কোম্পানির তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়ে অর্থ নিয়েছেন। গত শাসনামলে ব্যাংক খাতে একের পর এক আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য লুকানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি শীর্ষ অডিট ফার্মকে চিহ্নিত করেছে, এটা প্রশংসার দাবিদার। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
এফআরসির চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ যখন একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান ও সুশাসনের প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
ওভাল অফিসে বসে গতকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে ইউরোপীয় সরকারগুলোর অর্থায়নে নতুন মার্কিন অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন। এই শুল্ক কার্যকর হলে রাশিয়ার যুদ্ধ তহবিলে বড় ধরনের আঘাত আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাংকের নবনিযুক্ত দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক খাতের সংস্কার এজেন্ডার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেসর্বজনীন পেনশন স্কিমকে আরও সহজ ও কার্যকর করতে দেশের ১৭টি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ (এনপিএ)। গতকাল সোমবার অর্থ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান...
১২ ঘণ্টা আগেপ্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে পুনরায় বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের কাছাকাছি পৌঁছেছে দেশের কৃষি খাত। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলারে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে