নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম না থাকায় কৃষকেরা জমির ইজারার খরচও ওঠাতে পারছেন না। এমনকি অনেক কৃষক আলু সংরক্ষণ করতে চাইলেও হিমাগারে জায়গার সংকট রয়েছে। অনেক কৃষক বুকিং দেওয়ার পরও হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না। অভিযোগ উঠেছে, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একটি সিন্ডিকেট জোরপূর্বক আলু সংরক্ষণের সুযোগ নিচ্ছে, ফলে সাধারণ কৃষকেরা হিমাগারে জায়গা পাচ্ছেন না।
তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আলুচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, ফেব্রুয়ারির শেষদিক থেকে আলু তোলা শুরু হলেও দাম কমে গেছে। প্রথম দিকে কেজি ১২-১৩ টাকা ছিল, এখন তা ৯ টাকায় নেমে এসেছে। তাঁর বিঘাপ্রতি জমিতে গড় ফলন হয়েছে ৫৫ বস্তা, যা প্রায় ৬৯ মণ। বর্তমানে ৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে এক বিঘার আলু বিক্রির মূল্য দাঁড়াবে ২৪ হাজার ৮৪০ টাকা। অথচ তাঁর প্রতি বিঘা জমি ইজারার খরচই ২৭ হাজার টাকা।
তানোরে আলু চাষের জমি ইজারা নিতে হয় ২০-৩০ হাজার টাকা বিঘায়। এ ছাড়া প্রতি বিঘায় চাষে খরচ হয় আরও ৩০-৩৫ হাজার টাকা। ফলে বর্তমান দামে আলু বিক্রি করলে কৃষকেরা ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। এ কারণে তাঁরা হিমাগারে সংরক্ষণের চেষ্টা করছেন; কিন্তু সেখানেও সংকট। অনেক কৃষক বুকিং দিয়েও হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টরে আলুর আবাদ করা হয়েছে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৯৮ লাখ ৬৫ হাজার টন। তবে সংরক্ষণের জন্য ২২১টি হিমাগারের ধারণক্ষমতা মাত্র ২৩ লাখ ৭৫ হাজার টন, যা মোট উৎপাদনের মাত্র ২৩ শতাংশ। ফলে বাকি ৭৫ লাখ ২৩ হাজার টন আলু কৃষকেরা বাড়িতে সংরক্ষণ বা বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিপুল পরিমাণ আলু বিক্রি করার কারণে দাম কমে গেছে। অনেক জায়গায় ক্রেতাও মিলছে না।
তানোরের চিমনা গ্রামের এক আলুচাষি জানান, তাঁর ৪০ একর জমিতে ৭ হাজার বস্তা আলু উৎপাদন হয়েছে। তানোরের আড়াদীঘি এলাকায় অবস্থিত রহমান কোল্ডস্টোরেজের ইউনিট-২-এ আলু রাখার জন্য আগাম বুকিং দেওয়া ছিল। এখন অর্ধেক আলু নেওয়ার পর হিমাগারটি আর নিচ্ছে না। পাঁচ দিন আগে আলু তোলার পর এখন জমিতেই বস্তা করে ফেলে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একটি সিন্ডিকেট বুকিং ছাড়াই জোরপূর্বক আলু সংরক্ষণ করছে এবং এর বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছে।
রহমান কোল্ডস্টোরেজের ব্যবস্থাপক সৈয়দ আবদুল মুনিম কাজল বলেন, ‘সিন্ডিকেট বলে আসলে কিছু নেই। তবে দলীয় প্রভাবে কেউ এলে আগাম বুকিং ছাড়া হয়তো ২০-৫০ বস্তা রাখা হয়। এর বাইরে তো বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। আগাম বুকিং নিয়েও অনেক কৃষকের আলু রাখা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ ধারণক্ষমতা কম।’ তিনি জানান, তাঁদের স্টোরেজের ধারণক্ষমতা ৩.৫ লাখ বস্তা; কিন্তু ইতিমধ্যেই ৩.১ লাখ বস্তা সংরক্ষিত হয়েছে।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আলুচাষি জাহিদুল করিম বলেন, ‘আমরা কৃষক সবদিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। হিমাগারে জায়গা পাচ্ছি না, আবার কোল্ডস্টোরেজের ভাড়াও বেড়েছে। গত বছর ভাড়া ছিল ৪ টাকা, এবার ৮ টাকা চাওয়া হলেও সরকার ৫.৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। তারপরও দাম না পেলে আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কঠিন হবে।’
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোতালেব হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আলুর উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেছে, ফলে দাম কমেছে।
রাজশাহীতে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম না থাকায় কৃষকেরা জমির ইজারার খরচও ওঠাতে পারছেন না। এমনকি অনেক কৃষক আলু সংরক্ষণ করতে চাইলেও হিমাগারে জায়গার সংকট রয়েছে। অনেক কৃষক বুকিং দেওয়ার পরও হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না। অভিযোগ উঠেছে, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একটি সিন্ডিকেট জোরপূর্বক আলু সংরক্ষণের সুযোগ নিচ্ছে, ফলে সাধারণ কৃষকেরা হিমাগারে জায়গা পাচ্ছেন না।
তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আলুচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, ফেব্রুয়ারির শেষদিক থেকে আলু তোলা শুরু হলেও দাম কমে গেছে। প্রথম দিকে কেজি ১২-১৩ টাকা ছিল, এখন তা ৯ টাকায় নেমে এসেছে। তাঁর বিঘাপ্রতি জমিতে গড় ফলন হয়েছে ৫৫ বস্তা, যা প্রায় ৬৯ মণ। বর্তমানে ৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে এক বিঘার আলু বিক্রির মূল্য দাঁড়াবে ২৪ হাজার ৮৪০ টাকা। অথচ তাঁর প্রতি বিঘা জমি ইজারার খরচই ২৭ হাজার টাকা।
তানোরে আলু চাষের জমি ইজারা নিতে হয় ২০-৩০ হাজার টাকা বিঘায়। এ ছাড়া প্রতি বিঘায় চাষে খরচ হয় আরও ৩০-৩৫ হাজার টাকা। ফলে বর্তমান দামে আলু বিক্রি করলে কৃষকেরা ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। এ কারণে তাঁরা হিমাগারে সংরক্ষণের চেষ্টা করছেন; কিন্তু সেখানেও সংকট। অনেক কৃষক বুকিং দিয়েও হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টরে আলুর আবাদ করা হয়েছে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৯৮ লাখ ৬৫ হাজার টন। তবে সংরক্ষণের জন্য ২২১টি হিমাগারের ধারণক্ষমতা মাত্র ২৩ লাখ ৭৫ হাজার টন, যা মোট উৎপাদনের মাত্র ২৩ শতাংশ। ফলে বাকি ৭৫ লাখ ২৩ হাজার টন আলু কৃষকেরা বাড়িতে সংরক্ষণ বা বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিপুল পরিমাণ আলু বিক্রি করার কারণে দাম কমে গেছে। অনেক জায়গায় ক্রেতাও মিলছে না।
তানোরের চিমনা গ্রামের এক আলুচাষি জানান, তাঁর ৪০ একর জমিতে ৭ হাজার বস্তা আলু উৎপাদন হয়েছে। তানোরের আড়াদীঘি এলাকায় অবস্থিত রহমান কোল্ডস্টোরেজের ইউনিট-২-এ আলু রাখার জন্য আগাম বুকিং দেওয়া ছিল। এখন অর্ধেক আলু নেওয়ার পর হিমাগারটি আর নিচ্ছে না। পাঁচ দিন আগে আলু তোলার পর এখন জমিতেই বস্তা করে ফেলে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একটি সিন্ডিকেট বুকিং ছাড়াই জোরপূর্বক আলু সংরক্ষণ করছে এবং এর বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছে।
রহমান কোল্ডস্টোরেজের ব্যবস্থাপক সৈয়দ আবদুল মুনিম কাজল বলেন, ‘সিন্ডিকেট বলে আসলে কিছু নেই। তবে দলীয় প্রভাবে কেউ এলে আগাম বুকিং ছাড়া হয়তো ২০-৫০ বস্তা রাখা হয়। এর বাইরে তো বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। আগাম বুকিং নিয়েও অনেক কৃষকের আলু রাখা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ ধারণক্ষমতা কম।’ তিনি জানান, তাঁদের স্টোরেজের ধারণক্ষমতা ৩.৫ লাখ বস্তা; কিন্তু ইতিমধ্যেই ৩.১ লাখ বস্তা সংরক্ষিত হয়েছে।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আলুচাষি জাহিদুল করিম বলেন, ‘আমরা কৃষক সবদিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। হিমাগারে জায়গা পাচ্ছি না, আবার কোল্ডস্টোরেজের ভাড়াও বেড়েছে। গত বছর ভাড়া ছিল ৪ টাকা, এবার ৮ টাকা চাওয়া হলেও সরকার ৫.৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। তারপরও দাম না পেলে আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কঠিন হবে।’
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোতালেব হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আলুর উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেছে, ফলে দাম কমেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দেশ। এ অবস্থায় পূর্ববর্তী সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও এখন বিদেশি ঋণের প্রতি বেশি মনোযোগী। তবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এখনো আশানুরূপ প্রতিশ্রুত সাহায্য মেলেনি। ফলে বৈদেশিক ঋণপ্রবাহের পতন ও ডলারের অভাবে দেশের অর্থনৈত
৭ ঘণ্টা আগেদেশে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এ বিষয়ে ভিন্ন বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেবিগত দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমলেও অসমতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন কার্যালয় ও দারিদ্র্য বিমোচন বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. সেলিম জাহান। তিনি বলেন, সুযোগের বৈষম্য থেকেই সমতার বৈষম্য তৈরি হয়।
৯ ঘণ্টা আগেঈদ সামনে রেখে রাজধানীতে নতুন টাকার অবৈধ বাজার জমজমাট। ব্যাংক থেকে নতুন টাকা পাওয়া না গেলেও রাস্তার ধারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে নোটের বান্ডিল। ১০ টাকার ১০০টি নোটের জন্য গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১,৫০০ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দালালদের আঁতাতেই এই ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে।
৯ ঘণ্টা আগে