অনলাইন ডেস্ক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্টাইলক্রাফট লিমিটেড টানা তিন বছর লোকসানে। যার ফলে লভ্যাংশও নেমেছে তলানিতে। এরই মধ্যে আর্থিক হিসাবে অসংগতি ধরা পড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে কোম্পানির ৪৮ কোটি টাকার রপ্তানি বিলের কোনো পর্যাপ্ত নথি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কোম্পানিটির চলমান লোকসানের কারণে ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।
রপ্তানি বিলের গরমিল
স্টাইলক্রাফটের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানি ৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা রপ্তানি বিল পাওনার হিসাব দেখিয়েছে। তবে এই পাওনার সপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে থাকা নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোম্পানির সচিব এডমন্ড গুদা সাড়া দেননি।
উৎপাদন ও ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা
নিরীক্ষকেরা তাঁদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, স্টাইলক্রাফটের নিয়মিত লোকসান এবং আর্থিক অনিয়মের কারণে কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনা বা টিকিয়ে রাখা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তবে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এর বাইরে আর কোনো অসংগতি বা কোয়ালিফায়েড অপিনিয়ন দেওয়া হয়নি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্টাইলক্রাফটের বর্তমান অবস্থা বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদে কোম্পানিটি টিকে থাকতে চাইলে আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে।
লোকসানে নিমজ্জিত
স্টাইলক্রাফটের আর্থিক হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছরেই কোম্পানি লোকসানে ছিল। ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি ৯৩ পয়সা লোকসান গুনলেও ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ টাকা ১১ পয়সায়। ২০২৩ সালেও কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ৮৭ পয়সা।
লোকসানের এই ধারাবাহিকতা কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। ধারাবাহিকভাবে লভ্যাংশ দেওয়ার ইতিহাস থাকলেও ২০২১ সালে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশই দেয়নি স্টাইলক্রাফট। অথচ এর আগে কখনো ১০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। পরের দুই বছরে লোকসানের মধ্যে নামমাত্র লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানি। এর মধ্যে ২০২২ সালে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানি, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা পান বিনিয়োগকারীরা। আর ২০২৩ সালে ১ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ১০ পয়সা দেওয়ার ঘোষণা করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
শেয়ারদরের পতন
লোকসানের প্রভাব কোম্পানির শেয়ারদরেও পড়েছে। ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর স্টাইলক্রাফটের শেয়ারদর ছিল ১১২ টাকা। অথচ গত বৃহস্পতিবার (২০২৪ সালের) তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ২০ পয়সায়। দুই বছরে শেয়ারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৫৭ টাকা ৮০ পয়সা বা ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্টাইলক্রাফটের পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, আর বাকি ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্টাইলক্রাফট লিমিটেড টানা তিন বছর লোকসানে। যার ফলে লভ্যাংশও নেমেছে তলানিতে। এরই মধ্যে আর্থিক হিসাবে অসংগতি ধরা পড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে কোম্পানির ৪৮ কোটি টাকার রপ্তানি বিলের কোনো পর্যাপ্ত নথি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কোম্পানিটির চলমান লোকসানের কারণে ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।
রপ্তানি বিলের গরমিল
স্টাইলক্রাফটের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানি ৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা রপ্তানি বিল পাওনার হিসাব দেখিয়েছে। তবে এই পাওনার সপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে থাকা নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোম্পানির সচিব এডমন্ড গুদা সাড়া দেননি।
উৎপাদন ও ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা
নিরীক্ষকেরা তাঁদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, স্টাইলক্রাফটের নিয়মিত লোকসান এবং আর্থিক অনিয়মের কারণে কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনা বা টিকিয়ে রাখা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তবে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এর বাইরে আর কোনো অসংগতি বা কোয়ালিফায়েড অপিনিয়ন দেওয়া হয়নি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্টাইলক্রাফটের বর্তমান অবস্থা বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদে কোম্পানিটি টিকে থাকতে চাইলে আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে।
লোকসানে নিমজ্জিত
স্টাইলক্রাফটের আর্থিক হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছরেই কোম্পানি লোকসানে ছিল। ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি ৯৩ পয়সা লোকসান গুনলেও ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ টাকা ১১ পয়সায়। ২০২৩ সালেও কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ৮৭ পয়সা।
লোকসানের এই ধারাবাহিকতা কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। ধারাবাহিকভাবে লভ্যাংশ দেওয়ার ইতিহাস থাকলেও ২০২১ সালে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশই দেয়নি স্টাইলক্রাফট। অথচ এর আগে কখনো ১০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। পরের দুই বছরে লোকসানের মধ্যে নামমাত্র লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানি। এর মধ্যে ২০২২ সালে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানি, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা পান বিনিয়োগকারীরা। আর ২০২৩ সালে ১ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ১০ পয়সা দেওয়ার ঘোষণা করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
শেয়ারদরের পতন
লোকসানের প্রভাব কোম্পানির শেয়ারদরেও পড়েছে। ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর স্টাইলক্রাফটের শেয়ারদর ছিল ১১২ টাকা। অথচ গত বৃহস্পতিবার (২০২৪ সালের) তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ২০ পয়সায়। দুই বছরে শেয়ারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৫৭ টাকা ৮০ পয়সা বা ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্টাইলক্রাফটের পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, আর বাকি ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীন অর্থনৈতিক অঞ্চলে গত বছরও ভারতীয় মালিকানাধীন পাঁচটি কোম্পানি ছিল। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর পারফেক্ট লেভেল প্রাইভেট লিমিটেড নামের ভারতীয় কোম্পানি বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয়। শুধু এই কোম্পানি নয়, অন্যান্য ভারতীয় কোম্পানির বিনিয়োগও স্থবির হয়ে পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটে অভিজাত শপিং মল ফিনলে সাউথ সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো গ্র্যান্ড ওপেনিং এবং ঈদ বিক্রয় উৎসব ২০২৫-এর মেগা র্যাফল ড্র। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টায় ড্রর মাধ্যমে গাড়ি, আইফোন, ল্যাপটপসহ আকর্ষণীয় পুরস্কারজয়ী নম্বরগুলো ঘোষণা করা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেবিগত সরকারের আমলে বঞ্চিত ৭ হাজার ২১৫ কর্মকর্তাকে সুপার নিউমারারি পদোন্নতি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক। একসঙ্গে এত কর্মকর্তার পদোন্নতির বিষয় নিয়ে এবার তদন্ত শুরু করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি)। এতে পদবিসহ সুযোগ-সুবিধা হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন পদোন্নতি পাওয়া...
১ দিন আগেবিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সম্মেলন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অথচ এ দেশে আসা এক জাপানি বিনিয়োগকারী চরম প্রতারণা ও বিচারিক দীর্ঘসূত্রতার শিকার হয়ে বিনিয়োগ গুটিয়ে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন...
১ দিন আগে