নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যয়যোগ্য রিজার্ভে ঘাটতির কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিশ্রুত ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেল বাংলাদেশ। আজ সোমবার রাতে ওয়াশিংটনে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে প্রায় ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন বা ১১২ কোটি ডলারের কিস্তি অনুমোদন দেওয়া হয়। বংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পক্ষ থেকে দাপ্তরিকভাবে আমাদের ঋণের তৃতীয় কিস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তৃতীয় কিস্তি হিসাবে ১ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ। এই অর্থ দুই কর্মদিবসের মধ্যে আমাদের হিসাবে জমা হবে, যা রিজার্ভে যোগ হলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেড়ে যাবে। গতকাল সোমবার মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। আর মোট রিজার্ভ থেকে প্রায় ৫ দশমিক ২৫ বিলিযন ডলার বাদ দিলে বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বিভিন্ন চলতি দায় বাদ দিলে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ হিসাবে আইএমএফের বেঁধে দেওয়া ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যপূরণে সহায়ক হবে।’
ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্ত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি যাচাই করতে গত ২৪ এপ্রিল ঢাকায় আসে সংস্থাটির একটি বিশেষ মিশন। মিশনের সদস্যরা ৮ মে পর্যন্ত অবস্থান করে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে। এতে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে। শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে তারা খুশি মনোভাব দেখিয়েছিলেন। ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে প্রতিবেদনে সুপারিশের প্রতিশ্রুতিও তাঁরা দেন। সেই কথা রেখেছে আইএমএফের নির্বাহী পরিষদও।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইএমএফ ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত হিসাবে চলতি জুনে রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার, যা পুরণে ঘাটতি দেড় বিলিয়নের বেশি। তবু সংস্থাটির শর্তের অন্যান্য শর্তের অগ্রগতি ভালো হওয়ায় রিজার্ভকে খুব একটা আমলে না নিয়ে ঋণ অনুমোদন দিয়েছে।
অপর এক সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বর শেষে ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ শেষে ১৬ দশিক ৬১ বিলিয়ন ডলার এবং একই বছর জুনে তা ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। অথচ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য ছিল ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলারের আসে গত বছরের ডিসেম্বরে। আর আজ (২৪ জুন) তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড় অনুমোদন হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের বাধার পরেও রিজার্ভ থেকে চলতি অর্থবছরের ৯ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে মোট রিজার্ভের রেকর্ড ছিল ৪৮ দশমিক শূণ্য ৬ বিলয়ন ডলার, যা কমতে মাত্র ৩৪ মাসে এসে নেমেছে ২৪ বিলিয়নের ঘরে। আর ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারে, যা আইএমএফের ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।
ব্যয়যোগ্য রিজার্ভে ঘাটতির কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিশ্রুত ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেল বাংলাদেশ। আজ সোমবার রাতে ওয়াশিংটনে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে প্রায় ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন বা ১১২ কোটি ডলারের কিস্তি অনুমোদন দেওয়া হয়। বংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পক্ষ থেকে দাপ্তরিকভাবে আমাদের ঋণের তৃতীয় কিস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তৃতীয় কিস্তি হিসাবে ১ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ। এই অর্থ দুই কর্মদিবসের মধ্যে আমাদের হিসাবে জমা হবে, যা রিজার্ভে যোগ হলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেড়ে যাবে। গতকাল সোমবার মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। আর মোট রিজার্ভ থেকে প্রায় ৫ দশমিক ২৫ বিলিযন ডলার বাদ দিলে বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বিভিন্ন চলতি দায় বাদ দিলে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ হিসাবে আইএমএফের বেঁধে দেওয়া ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যপূরণে সহায়ক হবে।’
ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্ত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি যাচাই করতে গত ২৪ এপ্রিল ঢাকায় আসে সংস্থাটির একটি বিশেষ মিশন। মিশনের সদস্যরা ৮ মে পর্যন্ত অবস্থান করে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে। এতে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে। শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে তারা খুশি মনোভাব দেখিয়েছিলেন। ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে প্রতিবেদনে সুপারিশের প্রতিশ্রুতিও তাঁরা দেন। সেই কথা রেখেছে আইএমএফের নির্বাহী পরিষদও।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইএমএফ ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত হিসাবে চলতি জুনে রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার, যা পুরণে ঘাটতি দেড় বিলিয়নের বেশি। তবু সংস্থাটির শর্তের অন্যান্য শর্তের অগ্রগতি ভালো হওয়ায় রিজার্ভকে খুব একটা আমলে না নিয়ে ঋণ অনুমোদন দিয়েছে।
অপর এক সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বর শেষে ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ শেষে ১৬ দশিক ৬১ বিলিয়ন ডলার এবং একই বছর জুনে তা ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। অথচ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য ছিল ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলারের আসে গত বছরের ডিসেম্বরে। আর আজ (২৪ জুন) তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড় অনুমোদন হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের বাধার পরেও রিজার্ভ থেকে চলতি অর্থবছরের ৯ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে মোট রিজার্ভের রেকর্ড ছিল ৪৮ দশমিক শূণ্য ৬ বিলয়ন ডলার, যা কমতে মাত্র ৩৪ মাসে এসে নেমেছে ২৪ বিলিয়নের ঘরে। আর ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারে, যা আইএমএফের ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।
দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে
৭ ঘণ্টা আগেহংকংয়ের একটি বিউটি সেলুনের মালিক ক্রিস্টাল এনজি এইচএসবিসি ও ডাহ সিং ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। তিনি জানান, ২০২৩ সালের শেষদিকে যখন তিনি নতুন অফিসে স্থানান্তর করেন, তখন ব্যাংকগুলোর একটির মাধ্যমে জানতে পারেন, তার নতুন ঠিকানাটি যুক্তরাষ্ট্রের এনটিটি তালিকাভুক্ত। ওই ঠিকানার..
১৬ ঘণ্টা আগেআদানি গ্রুপ আগে বলেছিল, প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু এখন ভারতীয় এই সংস্থার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে দেখা গেছে, এই ব্যবসা থেকে কতটা চাহিদা তৈরি হবে, বিশেষ করে ভারতের বাজারে, সে সম্পর্কে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরপরই টাওয়ারের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেতিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
২ দিন আগে