বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের নীতিভিত্তিক ঋণ (পিবিএল) অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ ঋণের অর্থ দিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সরকারি বিনিয়োগের দক্ষতা এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নে কাঠামোগত সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করা হবে। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
এই ঋণ বাংলাদেশকে সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং স্বচ্ছতা ও সুশাসনকে প্রভাবিত করতে সহায়তা করবে।
এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরবর্তী উন্নয়ন তহবিলের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এডিবির এই ঋণের আবেদন দ্রুত সাড়া দিয়েছে। এই সংস্কারগুলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়। এডিবির এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে।’
এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ঋণ বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়াতে এবং একই সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা কার্যকর করতে সাহায্য করবে। এই কর্মসূচিতে ডিজিটালাইজেশন ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, কর প্রণোদনা ও অব্যাহতির যুক্তিসংগতকরণ এবং করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই ঋণ বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক পরিবেশ সহজ করা এবং সমতাভিত্তিক প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করছে।
এদিকে, বাংলাদেশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা সহজতর করতে একটি অনলাইন একীভূত প্ল্যাটফর্মে ১৩০টিরও বেশি সেবা চালু করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সুশাসন ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণের উন্নয়ন এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূলে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং এই বিষয়ে বলেন, ‘এই প্রকল্প বাংলাদেশকে বেসরকারি খাতে অর্থায়ন ত্বরান্বিত, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘাটতি মেটাতে সরকারি অর্থায়নের ওপর চাপ হ্রাস এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে। এই ঋণ বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, যাতে পিপিপি বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই বেসরকারি বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা যায়।’
এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলের পর বাংলাদেশ একটি রূপান্তরমূলক পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং প্রাথমিকভাবে সরকারিভাবে পরিচালিত দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সীমিত সম্পদ এবং বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। অবকাঠামো বিনিয়োগের একটি প্রধান বাধা হলো—স্থানীয় বাজারে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ তহবিলের ঘাটতি। এই ঘাটতি মেটাতে বিআইএফএফএলকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার পথ সুগম করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করাই এডিবির ঋণের লক্ষ্য।’
বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের নীতিভিত্তিক ঋণ (পিবিএল) অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ ঋণের অর্থ দিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সরকারি বিনিয়োগের দক্ষতা এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নে কাঠামোগত সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করা হবে। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
এই ঋণ বাংলাদেশকে সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং স্বচ্ছতা ও সুশাসনকে প্রভাবিত করতে সহায়তা করবে।
এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরবর্তী উন্নয়ন তহবিলের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এডিবির এই ঋণের আবেদন দ্রুত সাড়া দিয়েছে। এই সংস্কারগুলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়। এডিবির এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে।’
এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ঋণ বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়াতে এবং একই সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা কার্যকর করতে সাহায্য করবে। এই কর্মসূচিতে ডিজিটালাইজেশন ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, কর প্রণোদনা ও অব্যাহতির যুক্তিসংগতকরণ এবং করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই ঋণ বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক পরিবেশ সহজ করা এবং সমতাভিত্তিক প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করছে।
এদিকে, বাংলাদেশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা সহজতর করতে একটি অনলাইন একীভূত প্ল্যাটফর্মে ১৩০টিরও বেশি সেবা চালু করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সুশাসন ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণের উন্নয়ন এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূলে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং এই বিষয়ে বলেন, ‘এই প্রকল্প বাংলাদেশকে বেসরকারি খাতে অর্থায়ন ত্বরান্বিত, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘাটতি মেটাতে সরকারি অর্থায়নের ওপর চাপ হ্রাস এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে। এই ঋণ বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, যাতে পিপিপি বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই বেসরকারি বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা যায়।’
এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলের পর বাংলাদেশ একটি রূপান্তরমূলক পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং প্রাথমিকভাবে সরকারিভাবে পরিচালিত দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সীমিত সম্পদ এবং বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। অবকাঠামো বিনিয়োগের একটি প্রধান বাধা হলো—স্থানীয় বাজারে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ তহবিলের ঘাটতি। এই ঘাটতি মেটাতে বিআইএফএফএলকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার পথ সুগম করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করাই এডিবির ঋণের লক্ষ্য।’
জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
৩ ঘণ্টা আগেকৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ওএমএসের মাধ্যমে আলু বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
১৬ ঘণ্টা আগেসরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৯ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের এই পরিকল্পনায় আশায় বুক বাঁধছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভারতীয় রপ্তানি...
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থেকে এখনো বঞ্চিত কোটি কোটি মানুষ। আধুনিক ব্যাংকিং ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সুবিধা নিতে না পারার কারণে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী রয়েছে অর্থনৈতিক লেনদেনের আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার বাইরে।
১ দিন আগে