Ajker Patrika

সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, তবু শঙ্কা কাটেনি 

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ১৬
Thumbnail image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। এক দিনের ব্যবধানে ৩০ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে এখন ১৭ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। বৃষ্টির বেগ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের গতি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি এখন অনেকটা উন্নতির দিকে। তবে এখনো দুর্ভোগ কাটেনি তিস্তাপারের মানুষদের। দিন পার করছেন আতঙ্কে আর উৎকণ্ঠায়। 

আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে সরেজমিনে হরিপুর ইউনিয়নের নকিয়ার পাড়া গ্রামে কথা হয় মোছা. নাজমা বেগমের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। হাঁটুপানি ছিল ঘরের ভেতরে। এখন ঘরে আর পানি নাই। এভাবে নামতে থাকলে রাতারাতি আঙিনা থেকেও পানি সরে যাবে।’ 

তিনি আরও বলেন, যদি আবারও বন্যা চাপ দেয়, সে কারণে ঘরের ভেতরে তৈরি করা মাচা এখনো খোলা হয় নাই।’ 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল ইসলাম বিকেল ৪টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেলা ৩টার পরীক্ষায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল ছিল ৪৭ সেন্টিমিটার। ৩০ সেন্টিমিটার কমেছে।’ 

এক দিনের ব্যবধানে ৩০ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে এখন ১৭ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। ছবি: আজকের পত্রিকাবেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ পানি কমার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘পানি কমতে শুরু করলেও এখনো অনেক বাড়িতে আছে। সে কারণে রান্নাঘর ব্যবহার করতে পারছেন না তাঁরা। গবাদিপশু ও পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন ভুক্তভোগীরা।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘এ পানি কমতে শুরু হলে বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমে থাকা পানিতে লতাপাতা ও পোকামাকড় পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। পরে বাতাসের মাধ্যমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ ছড়ায়। সে কারণে আরও সতর্ক থাকার জন্য এলাকাবাসীকে সচেতন করছি।’ 

এক দিনের ব্যবধানে ৩০ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে এখন ১৭ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। ছবি: আজকের পত্রিকাউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করছি বিপদ কেটে যাবে। তবে বন্যাপরবর্তী কাজগুলো সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত