রক্তাক্ত জুলাই
আব্দুল্লাহ আল মারুফ, কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ)
‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
৪ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ইয়াহিয়া আলী প্রতিবেশীদের বলেছিলেন, ‘ভালো করে দেখে নিন, দেশ স্বাধীন করতে যাচ্ছি। এটাই হয়তো শেষ দেখা।’ এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এনায়েতপুরে পুলিশের হাতে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর আসে। কিছুক্ষণ পর জানা যায়, তিনি আর বেঁচে নেই।
পেশায় তাঁতশ্রমিক ইয়াহিয়া আলীর গ্রামের বাড়ি শাহজাদপুরের খুকনীর ঝাউপাড়ায়। দুই সন্তানের বাবা ইয়াহিয়া ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ১৩ বছরের ছেলে সালমান ফারসী ঢাকার উত্তরার খাদেমুল কোরআন ওয়া সুন্নাহ মাদ্রাসার ছাত্র। আর মেয়ে তাইবা খাতুন স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
ইয়াহিয়ার ছেলে সালমান বলে, ‘তাইবা শুধু বাবার কাছে যেতে চায়। মা তখন বাবার ছবি হাতে দেয়। ছবি দেখলেই ও জড়িয়ে ধরে কাঁদে।’ কথা বলতে বলতে কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে সালমানের। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলতে থাকে, ‘বাবা ছিলেন আমাদের আশ্রয়। এখন শুধু স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছি।’
ইয়াহিয়ার স্ত্রী শাহানা খাতুন বলেন, ‘স্বামীর আয়ে সংসার চলত। তিনি মেয়েকে ডাক্তার আর ছেলেকে আলেম বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।’
ইয়াহিয়া আলী শহীদ হওয়ার পরদিনই ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। সারা দেশের রাজপথে তখন লাখ লাখ মানুষের উচ্ছ্বাস। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তাঁদের চোখ-মুখে। তবে সেই কাঙ্ক্ষিত বিজয় দেখে যেতে পারেননি ইয়াহিয়া। এখন সন্তানেরা যেন তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, এটিই চাওয়া স্ত্রী শাহানা খাতুনের। তাঁর ভাষায়, ‘নতুন সরকার বা আগামী যে-ই ক্ষমতায় আসুক, তারা যেন আমার পরিবারটাকে দেখে। আমি চাই, আমার সন্তানেরা যেন মানুষ হয়। মেয়েটা যেন একদিন ডাক্তার হয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’
এনায়েতপুর থানা যুবদলের সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম রাজ বলেন, ‘সেদিন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। থানা এলাকায় অবস্থানকালে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দুই হাজারের বেশি আন্দোলনকারী আহত হন। কারও হাতে, কারও পায়ে, আবার কারও বুকে গুলি করে পুলিশ। ইয়াহিয়াকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় আন্দোলন আরও তীব্র হয়। মানুষ হাতে লাঠিসোঁটা ও মাথায় পতাকা নিয়ে থানার দিকে এগিয়ে যায়। পরে থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।’
‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
৪ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ইয়াহিয়া আলী প্রতিবেশীদের বলেছিলেন, ‘ভালো করে দেখে নিন, দেশ স্বাধীন করতে যাচ্ছি। এটাই হয়তো শেষ দেখা।’ এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এনায়েতপুরে পুলিশের হাতে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর আসে। কিছুক্ষণ পর জানা যায়, তিনি আর বেঁচে নেই।
পেশায় তাঁতশ্রমিক ইয়াহিয়া আলীর গ্রামের বাড়ি শাহজাদপুরের খুকনীর ঝাউপাড়ায়। দুই সন্তানের বাবা ইয়াহিয়া ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ১৩ বছরের ছেলে সালমান ফারসী ঢাকার উত্তরার খাদেমুল কোরআন ওয়া সুন্নাহ মাদ্রাসার ছাত্র। আর মেয়ে তাইবা খাতুন স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
ইয়াহিয়ার ছেলে সালমান বলে, ‘তাইবা শুধু বাবার কাছে যেতে চায়। মা তখন বাবার ছবি হাতে দেয়। ছবি দেখলেই ও জড়িয়ে ধরে কাঁদে।’ কথা বলতে বলতে কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে সালমানের। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলতে থাকে, ‘বাবা ছিলেন আমাদের আশ্রয়। এখন শুধু স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছি।’
ইয়াহিয়ার স্ত্রী শাহানা খাতুন বলেন, ‘স্বামীর আয়ে সংসার চলত। তিনি মেয়েকে ডাক্তার আর ছেলেকে আলেম বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।’
ইয়াহিয়া আলী শহীদ হওয়ার পরদিনই ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। সারা দেশের রাজপথে তখন লাখ লাখ মানুষের উচ্ছ্বাস। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তাঁদের চোখ-মুখে। তবে সেই কাঙ্ক্ষিত বিজয় দেখে যেতে পারেননি ইয়াহিয়া। এখন সন্তানেরা যেন তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, এটিই চাওয়া স্ত্রী শাহানা খাতুনের। তাঁর ভাষায়, ‘নতুন সরকার বা আগামী যে-ই ক্ষমতায় আসুক, তারা যেন আমার পরিবারটাকে দেখে। আমি চাই, আমার সন্তানেরা যেন মানুষ হয়। মেয়েটা যেন একদিন ডাক্তার হয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’
এনায়েতপুর থানা যুবদলের সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম রাজ বলেন, ‘সেদিন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। থানা এলাকায় অবস্থানকালে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দুই হাজারের বেশি আন্দোলনকারী আহত হন। কারও হাতে, কারও পায়ে, আবার কারও বুকে গুলি করে পুলিশ। ইয়াহিয়াকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় আন্দোলন আরও তীব্র হয়। মানুষ হাতে লাঠিসোঁটা ও মাথায় পতাকা নিয়ে থানার দিকে এগিয়ে যায়। পরে থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।’
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত ৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত আরও দেড় শতাধিক চিকিৎসাধীন আছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ কেটে গেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও থেমেছে ভারী বর্ষণ। তবে উজানে ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বাড়ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। উজানের সেই ঢলে আবার ডুবছে ফেনী। একাধিক ভাঙা বাঁধ দিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেভাগাড় উঁচু হয়ে গেছে পাহাড়ের সমান। সেখানে আর বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। ফলে রাজশাহী শহরের শত শত টন বর্জ্য প্রতিদিনই এলোমেলোভাবে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে, কৃষিজমিতে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও। এসব বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেঘাটে নেই চিরচেনা হাঁকডাক। চায়ের দোকানে উচ্চ স্বরে বাজছে না গান। পাওয়া যাচ্ছে না বরফ ভাঙার আওয়াজ। জেলে, শ্রমিক, ব্যাপারী, আড়তদার—সবাই ঝিমিয়ে আছেন। চোখেমুখে হতাশার চাপ। কারণ, শিকারের মৌসুমে ইলিশের আকাল চলছে। নদীতে যাওয়া জেলে নৌকাগুলো শূন্য হাতে ফিরে আসছে।
৪ ঘণ্টা আগে