শেরপুরে পাহাড়ি সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এর মধ্যে নালিতাবাড়ীতে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সোমবার বিকেলে এই তথ্য জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
মৌলভীবাজারে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে মনু নদের পানি উপচে বাঁধের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে প্রায় ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া জেলার বাকি সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে মনু নদের পান
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি রাজ্যে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ তিন দিনে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উপকূলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। সিলেট বিভাগের চার জেলা, তিন পার্বত্য জেলা, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লালমনিরহাটে পানি বাড়ছে।
আবারও ভয়াবহ বন্যার কবলে নাইজেরিয়ার নাইজার প্রদেশ। সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত প্রদেশটির মোকওয়া শহরে বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে ১৫১ জন, নিখোঁজ কয়েক হাজার। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩ হাজারের বেশি মানুষ।
অব্যাহত বৃষ্টি এবং উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এতে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ওই চার জেলার বিভিন্ন অঞ্চল এরই মধ্যে ডুবে গেছে।
টানা দুই দিন বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ ও পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কারণেই বর্ষা মৌসুমের আগে এমন বৃষ্টি ঝরছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
প্রবল বর্ষণের কারণে পানির স্রোতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস ভেসে যাচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি প্লাবিত এলাকায় তীব্র স্রোত নিচু এলাকায় প্রবাহিত হচ্ছে। নিচু অংশে একটি...
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সেখান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল শেরপুরের নদীগুলোর পানির স্তর বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ নতুন করে বন্যার আশঙ্কায় রয়েছে।
রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলায় তিস্তা-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বুধবার বেলা ৩টা পর্যন্ত তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে কমতির দিকে ছিল এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগামী তিন দিন বৃষ্টির কারণে পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি...
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন। একই সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে সতর্ক করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জে ও উজানে কয়েক দিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাতে নদ–নদীর পানি বাড়লেও এখনো তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। এদিকে নদীর পানি বাড়ায় হাওরের স্লুইসগেট খুলে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এখন মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে, এতে বন্যার কোনো শঙ্কা নেই।
দুই দিনের অব্যাহত বৃষ্টি এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মৌলভীবাজার জেলার চারটি নদ-নদীতে বেড়েছে পানি। জেলার জুড়ী নদীতে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা, মনু ও ধলাই নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। অব্যাহত বৃষ্টি থাকলে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণ এবং গতকাল সোমবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে পিয়াইন নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টিপাত হলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুদিনের বৃষ্টি ও উজানে ভারতের মেঘালয়ে টানা বৃষ্টির কারণে শেরপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এতে জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সব কটি নদ-নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুনের শুরুতে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে। এ সময় ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।