ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
‘পৃথিবী হোক পথশিশুমুক্ত’—এই শিরোনামে একটি লেখা ছেপেছে ময়মনসিংহের স্থানীয় একাধিক পত্রিকা। সেই সঙ্গে সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় পাতার এই লেখাটিসহ পুরো দুই পৃষ্ঠার ছাপা হুবহু।
এ ঘটনায় ১৩টি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এ নিয়ে সম্পাদক ও প্রকাশকদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। বিষয়টিকে সুন্দর সমাধানের লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করছেন তাঁরা। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি হলে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত নিতেও দেখা যায় নেটিজেনদের।
ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত চার পৃষ্ঠার দৈনিক ‘দেশের খবর’-এর ১১ এপ্রিলের পত্রিকাটি ঘেঁটে দেখা যায়, পৃষ্ঠা দুইয়ের সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় কলামে প্রিয়াংকা হালদারের ‘পৃথিবী হোক পথশিশুমুক্ত’ লেখাটি ছাপানো হয়। একই পাতায় ছাপানো হয় সিসার ভয়াবহতাসহ সাতটি সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয়। পত্রিকাটির ৩ নম্বর পাতার স্বাস্থ্য সংবাদে ছাপানো হয় ‘গরমেও আরামে রান্না করার উপায় জেনে নিন’, একই পৃষ্ঠায় ছাপানো হয় তৃষ্ণা মেটাতে মৌসুমি ফলের শরবতসহ ৯টি স্বাস্থ্য সংবাদ। একই সংবাদ ছাপানো হয় ১১ এপ্রিলের দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ পত্রিকায়, দৈনিক ঈষিকা পত্রিকায় এবং ১৩ এপ্রিলের দৈনিক দিগন্ত বাংলা পত্রিকায়।
১৩ এপ্রিলের দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ পত্রিকার সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় কলামে ছাপানো হয় দেশের বিদ্যমান নদ-নদী পলি জমে অস্তিত্ব সংকটে। একই পত্রিকার ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় খেলাধুলা এবং আন্তর্জাতিক সংবাদে ছাপানো হয় ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হলো রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক শিরোনামে একটি সংবাদ।
একই শিরোনামে ১৩ এপ্রিলের দৈনিক বিশ্বের মুখপত্র পত্রিকায় সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় এবং ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় খেলাধুলা এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ হুবহু ছাপানো হয়।
গত ৩০ মার্চ থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে ৭ দিন ভিন্ন ভিন্ন পত্রিকায় একই সংবাদ একই শিরোনামে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হওয়ায় ১৬ এপ্রিল কারণ নোটিশ জারির কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা। ভিন্ন ভিন্ন সম্পাদক ও প্রকাশকের পত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশ করা কেন অবৈধ হবে না, এটিও জানতে চাওয়া হয়েছে নোটিশে।
নোটিশে পত্রপ্রাপ্তির পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সশীরে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ব্যাখ্যাসহ জবাব দাখিল করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
সূত্র জানায়, এই ১৩টি পত্রিকা ভিন্ন ভিন্ন প্রেসের নামে ডিক্লারেশন নিলেও স্থানীয়ভাবে একই প্রেসে মুদ্রিত হয়। যে কারণে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পৃষ্ঠার ছাপা হুবহু মিল রয়েছে।
দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলার সম্পাদক আ ন ম ফারুক বলেন, ‘একই সংবাদ, একই শিরোনাম হওয়ার কথা নয়। তবে যারা কম্পিউটারে কাজ করে, তাদের ভুলে এমনটি হলে হতেও পারে। আমি এখনো নোটিশ পাইনি, তবে বিষয়টি নিয়ে সম্পাদকদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এক সাথে গিয়ে আমরা জবাব দিব। এমন ঘটনা বিগত সময়ে হয়নি, এর পেছনে কেউ রয়েছে। এখন থেকে আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক থাকব।’
দৈনিক সবুজের নির্বাহী সম্পাদক মঈন উদ্দিন রায়হান বলেন, ‘আজকে আমরা নোটিশ পেয়েছি। আগামীকাল গিয়ে জবাব দিব। বিনোদন, স্বাস্থ্য এবং খেলাধুলার পাতা এক হতেই পারে। এতে দোষের কিছু দেখছি না।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, ময়মনসিংহের স্থানীয় এ পত্রিকাগুলোর ভেতরের পাতা হুবহু কপি করা। অনেক পত্রিকা আছে, যারা কোনো একটি নিউজ কিছুটা পরিবর্তন করে তাদের পত্রিকায় দিয়ে থাকে। কিন্তু এখানে বিষয়টা ভিন্ন। তাদের পত্রিকাগুলোতে ফটোকপির মতো পুরো পৃষ্ঠাই কপি করে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রকাশকদের আমরা নোটিশ করেছি। তাদের কাছে আমরা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করছি।’
‘পৃথিবী হোক পথশিশুমুক্ত’—এই শিরোনামে একটি লেখা ছেপেছে ময়মনসিংহের স্থানীয় একাধিক পত্রিকা। সেই সঙ্গে সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় পাতার এই লেখাটিসহ পুরো দুই পৃষ্ঠার ছাপা হুবহু।
এ ঘটনায় ১৩টি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এ নিয়ে সম্পাদক ও প্রকাশকদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। বিষয়টিকে সুন্দর সমাধানের লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করছেন তাঁরা। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি হলে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত নিতেও দেখা যায় নেটিজেনদের।
ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত চার পৃষ্ঠার দৈনিক ‘দেশের খবর’-এর ১১ এপ্রিলের পত্রিকাটি ঘেঁটে দেখা যায়, পৃষ্ঠা দুইয়ের সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় কলামে প্রিয়াংকা হালদারের ‘পৃথিবী হোক পথশিশুমুক্ত’ লেখাটি ছাপানো হয়। একই পাতায় ছাপানো হয় সিসার ভয়াবহতাসহ সাতটি সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয়। পত্রিকাটির ৩ নম্বর পাতার স্বাস্থ্য সংবাদে ছাপানো হয় ‘গরমেও আরামে রান্না করার উপায় জেনে নিন’, একই পৃষ্ঠায় ছাপানো হয় তৃষ্ণা মেটাতে মৌসুমি ফলের শরবতসহ ৯টি স্বাস্থ্য সংবাদ। একই সংবাদ ছাপানো হয় ১১ এপ্রিলের দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ পত্রিকায়, দৈনিক ঈষিকা পত্রিকায় এবং ১৩ এপ্রিলের দৈনিক দিগন্ত বাংলা পত্রিকায়।
১৩ এপ্রিলের দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ পত্রিকার সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় কলামে ছাপানো হয় দেশের বিদ্যমান নদ-নদী পলি জমে অস্তিত্ব সংকটে। একই পত্রিকার ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় খেলাধুলা এবং আন্তর্জাতিক সংবাদে ছাপানো হয় ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হলো রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক শিরোনামে একটি সংবাদ।
একই শিরোনামে ১৩ এপ্রিলের দৈনিক বিশ্বের মুখপত্র পত্রিকায় সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় এবং ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় খেলাধুলা এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ হুবহু ছাপানো হয়।
গত ৩০ মার্চ থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে ৭ দিন ভিন্ন ভিন্ন পত্রিকায় একই সংবাদ একই শিরোনামে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হওয়ায় ১৬ এপ্রিল কারণ নোটিশ জারির কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা। ভিন্ন ভিন্ন সম্পাদক ও প্রকাশকের পত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশ করা কেন অবৈধ হবে না, এটিও জানতে চাওয়া হয়েছে নোটিশে।
নোটিশে পত্রপ্রাপ্তির পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সশীরে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ব্যাখ্যাসহ জবাব দাখিল করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
সূত্র জানায়, এই ১৩টি পত্রিকা ভিন্ন ভিন্ন প্রেসের নামে ডিক্লারেশন নিলেও স্থানীয়ভাবে একই প্রেসে মুদ্রিত হয়। যে কারণে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পৃষ্ঠার ছাপা হুবহু মিল রয়েছে।
দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলার সম্পাদক আ ন ম ফারুক বলেন, ‘একই সংবাদ, একই শিরোনাম হওয়ার কথা নয়। তবে যারা কম্পিউটারে কাজ করে, তাদের ভুলে এমনটি হলে হতেও পারে। আমি এখনো নোটিশ পাইনি, তবে বিষয়টি নিয়ে সম্পাদকদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এক সাথে গিয়ে আমরা জবাব দিব। এমন ঘটনা বিগত সময়ে হয়নি, এর পেছনে কেউ রয়েছে। এখন থেকে আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক থাকব।’
দৈনিক সবুজের নির্বাহী সম্পাদক মঈন উদ্দিন রায়হান বলেন, ‘আজকে আমরা নোটিশ পেয়েছি। আগামীকাল গিয়ে জবাব দিব। বিনোদন, স্বাস্থ্য এবং খেলাধুলার পাতা এক হতেই পারে। এতে দোষের কিছু দেখছি না।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, ময়মনসিংহের স্থানীয় এ পত্রিকাগুলোর ভেতরের পাতা হুবহু কপি করা। অনেক পত্রিকা আছে, যারা কোনো একটি নিউজ কিছুটা পরিবর্তন করে তাদের পত্রিকায় দিয়ে থাকে। কিন্তু এখানে বিষয়টা ভিন্ন। তাদের পত্রিকাগুলোতে ফটোকপির মতো পুরো পৃষ্ঠাই কপি করে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রকাশকদের আমরা নোটিশ করেছি। তাদের কাছে আমরা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করছি।’
নিম্নচাপ কেটে গেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও থেমেছে ভারী বর্ষণ। তবে উজানে ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বাড়ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। উজানের সেই ঢলে আবার ডুবছে ফেনী। একাধিক ভাঙা বাঁধ দিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
৩৮ মিনিট আগে‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
৪৪ মিনিট আগেভাগাড় উঁচু হয়ে গেছে পাহাড়ের সমান। সেখানে আর বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। ফলে রাজশাহী শহরের শত শত টন বর্জ্য প্রতিদিনই এলোমেলোভাবে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে, কৃষিজমিতে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও। এসব বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেঘাটে নেই চিরচেনা হাঁকডাক। চায়ের দোকানে উচ্চ স্বরে বাজছে না গান। পাওয়া যাচ্ছে না বরফ ভাঙার আওয়াজ। জেলে, শ্রমিক, ব্যাপারী, আড়তদার—সবাই ঝিমিয়ে আছেন। চোখেমুখে হতাশার চাপ। কারণ, শিকারের মৌসুমে ইলিশের আকাল চলছে। নদীতে যাওয়া জেলে নৌকাগুলো শূন্য হাতে ফিরে আসছে।
১ ঘণ্টা আগে