মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
কাজের মেয়াদ শেষ হলেও দেখা মেলেনি ব্রিজের। বিকল্প সড়কটিও জরাজীর্ণ। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাস্তায় জমেছে পানি। সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দ ও কর্দমা। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন।
চলতি বর্ষায় জরাজীর্ণ বিকল্প সড়কটিও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে তিন উপজেলার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কায় আছেন স্থানীয়রা। তখন জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে।
সব মিলিয়ে জনস্বার্থে নির্মাণাধীন ব্রিজটিই এখন জনগণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিজটির নাম গড়েরমাঠ ব্রিজ। এটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী-কালীতলা ভায়া-খোকসা-পাংশা সড়কে অবস্থিত শহরতলির মহেন্দ্রপুর অভিমুখী প্রধান সড়কের গড়ের মাঠ বিলের ওপর অবস্থিত।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই ব্রিজটি দিয়ে কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর, শিলাইদহ, সদকী, পার্শ্ববর্তী উপজেলা খোকসা, রাজবাড়ীর জেলার পাংশা, মাছপাড়া এবং উত্তর এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। মেয়াদ শেষেও ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় এবং জরাজীর্ণ বিকল্প রাস্তাটি জনদুর্ভোগ বাড়িয়েই চলছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহন উল্টে যায়। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ এলাকার বাসিন্দাদের।
অটো ভ্যান চালক জামিরুল বলেন, এক বছর ধরে শুনেছি ব্রিজ হবে। এখনো হলো না। চলাচলে খুব অসুবিধে হচ্ছে। মহেন্দ্রপুর গ্রামের সিএনজি চালক মকসেদ বলেন, ব্রিজের জন্য খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রায়ই গাড়ি উল্টে যায়। দুধ বোঝায় ট্রাক চালক আব্দুল কাদের বলেন, রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজের জন্য চলাফেরা করতে খুবই অসুবিধে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, গড়ের মাঠ বিলের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ১৯৯ টাকা। গেল বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি চুক্তি সম্পন্ন করে নড়াইল জেলার লোহাগাড়া থানার লক্ষ্মীপাশা মেসার্স নূর কনস্ট্রাকশন। ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করার চুক্তি ছিল। কিন্তু কাজের নমুনা মেলেনি চুক্তির কয়েক মাস পরেও।
এরপর নির্ধারিত তারিখের পাঁচ মাস পরে অর্থাৎ গত বছরের ১৭ জুলাই ব্রিজের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। উদ্বোধনের পরে কচ্ছপ গতিতে নির্মাণ সামগ্রী আনতে শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নূর কনস্ট্রাকশন। শেষ পর্যন্ত উদ্বোধনের মাসখানেক পরে একই গতিতে ব্রিজের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। মাটির নিচে কয়েকটি পিলারের কাজ শুরু করতেই শেষ হয়ে যায় প্রকল্পটির মেয়াদ। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি কাজের মেয়াদ শেষ হলেও ব্রিজের নির্মাণকাজ এ বছরও শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না স্থানীয়রা।
জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের আবু মুন্সী (৪৮)। তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক। তিনি বলেন, ৪০ বছর ধরে এই রাস্তায় ভ্যান চালাই। গড়েরমাঠ ব্রিজটি বছর খানিক আগে ভাঙা হয়েছে। এখানে চলাচলের জন্য একটি নষ্ট রাস্তা বানিয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। গাড়ি উল্টে যায়। ১০ মণ বোঝায় নিয়ে গাড়ি ওঠে না।
নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশেই পলাশ হোসেনের হাঁসের খামার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই ব্রিজটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ঠিকাদার পাথরের সঙ্গে বালু ও মোটা বালুর সঙ্গে ধুলাবালি মিশিয়ে কাজ করছেন। যা সম্পূর্ণ অনিয়ম ও ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে ঠিকাদার টিপু সুলতান বলেন, করোনা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাজ শেষ হয়নি। মেয়াদ শেষ হয়েছে, সময় বাড়ানোর আবেদন করেছি। এরই মধ্যে ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি আগামী ছয় মাসে ব্রিজের কাজ শেষ হবে।
জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ছয় মাস হলো যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকেই ঠিকাদারকে কাজের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে রডের কাজ চলছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও এলজিইডি অফিসের তদারকি কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান লালু বলেন, ব্রিজটি এখন জনগণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলোচনা, সমালোচনা হচ্ছে, কিন্তু সমাধান হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
কাজের মেয়াদ শেষ হলেও দেখা মেলেনি ব্রিজের। বিকল্প সড়কটিও জরাজীর্ণ। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাস্তায় জমেছে পানি। সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দ ও কর্দমা। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন।
চলতি বর্ষায় জরাজীর্ণ বিকল্প সড়কটিও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে তিন উপজেলার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কায় আছেন স্থানীয়রা। তখন জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে।
সব মিলিয়ে জনস্বার্থে নির্মাণাধীন ব্রিজটিই এখন জনগণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিজটির নাম গড়েরমাঠ ব্রিজ। এটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী-কালীতলা ভায়া-খোকসা-পাংশা সড়কে অবস্থিত শহরতলির মহেন্দ্রপুর অভিমুখী প্রধান সড়কের গড়ের মাঠ বিলের ওপর অবস্থিত।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই ব্রিজটি দিয়ে কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর, শিলাইদহ, সদকী, পার্শ্ববর্তী উপজেলা খোকসা, রাজবাড়ীর জেলার পাংশা, মাছপাড়া এবং উত্তর এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। মেয়াদ শেষেও ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় এবং জরাজীর্ণ বিকল্প রাস্তাটি জনদুর্ভোগ বাড়িয়েই চলছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহন উল্টে যায়। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ এলাকার বাসিন্দাদের।
অটো ভ্যান চালক জামিরুল বলেন, এক বছর ধরে শুনেছি ব্রিজ হবে। এখনো হলো না। চলাচলে খুব অসুবিধে হচ্ছে। মহেন্দ্রপুর গ্রামের সিএনজি চালক মকসেদ বলেন, ব্রিজের জন্য খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রায়ই গাড়ি উল্টে যায়। দুধ বোঝায় ট্রাক চালক আব্দুল কাদের বলেন, রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজের জন্য চলাফেরা করতে খুবই অসুবিধে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, গড়ের মাঠ বিলের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ১৯৯ টাকা। গেল বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি চুক্তি সম্পন্ন করে নড়াইল জেলার লোহাগাড়া থানার লক্ষ্মীপাশা মেসার্স নূর কনস্ট্রাকশন। ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করার চুক্তি ছিল। কিন্তু কাজের নমুনা মেলেনি চুক্তির কয়েক মাস পরেও।
এরপর নির্ধারিত তারিখের পাঁচ মাস পরে অর্থাৎ গত বছরের ১৭ জুলাই ব্রিজের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। উদ্বোধনের পরে কচ্ছপ গতিতে নির্মাণ সামগ্রী আনতে শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নূর কনস্ট্রাকশন। শেষ পর্যন্ত উদ্বোধনের মাসখানেক পরে একই গতিতে ব্রিজের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। মাটির নিচে কয়েকটি পিলারের কাজ শুরু করতেই শেষ হয়ে যায় প্রকল্পটির মেয়াদ। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি কাজের মেয়াদ শেষ হলেও ব্রিজের নির্মাণকাজ এ বছরও শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না স্থানীয়রা।
জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের আবু মুন্সী (৪৮)। তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক। তিনি বলেন, ৪০ বছর ধরে এই রাস্তায় ভ্যান চালাই। গড়েরমাঠ ব্রিজটি বছর খানিক আগে ভাঙা হয়েছে। এখানে চলাচলের জন্য একটি নষ্ট রাস্তা বানিয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। গাড়ি উল্টে যায়। ১০ মণ বোঝায় নিয়ে গাড়ি ওঠে না।
নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশেই পলাশ হোসেনের হাঁসের খামার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই ব্রিজটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ঠিকাদার পাথরের সঙ্গে বালু ও মোটা বালুর সঙ্গে ধুলাবালি মিশিয়ে কাজ করছেন। যা সম্পূর্ণ অনিয়ম ও ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে ঠিকাদার টিপু সুলতান বলেন, করোনা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাজ শেষ হয়নি। মেয়াদ শেষ হয়েছে, সময় বাড়ানোর আবেদন করেছি। এরই মধ্যে ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি আগামী ছয় মাসে ব্রিজের কাজ শেষ হবে।
জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ছয় মাস হলো যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকেই ঠিকাদারকে কাজের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে রডের কাজ চলছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও এলজিইডি অফিসের তদারকি কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান লালু বলেন, ব্রিজটি এখন জনগণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলোচনা, সমালোচনা হচ্ছে, কিন্তু সমাধান হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত ৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত আরও দেড় শতাধিক চিকিৎসাধীন আছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ কেটে গেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও থেমেছে ভারী বর্ষণ। তবে উজানে ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বাড়ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। উজানের সেই ঢলে আবার ডুবছে ফেনী। একাধিক ভাঙা বাঁধ দিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
৫ ঘণ্টা আগেভাগাড় উঁচু হয়ে গেছে পাহাড়ের সমান। সেখানে আর বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। ফলে রাজশাহী শহরের শত শত টন বর্জ্য প্রতিদিনই এলোমেলোভাবে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে, কৃষিজমিতে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও। এসব বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে