ইশতিয়াক হাসান

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
খনিটির অবস্থান আরকানসাস রাজ্যের মারফ্রিজবোরো এলাকায়। এর বর্তমান নাম অবশ্য ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক।
জন ওয়েসলি হাডলস্টন নামের এক ব্যক্তি কীভাবে আগ্নেয়গিরির রত্ন-সমৃদ্ধ মৃত জ্বালামুখে প্রথম হীরা খুঁজে পান এবং ‘ডায়মন্ড কিং’ বা ‘হীরক রাজা’ নামে পরিচিতি পেয়ে যান তা নিয়ে নানা ধরনের গল্প প্রচলিত আছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণটি বলছে, ঘটনার সূচনা ১৯০৬ সালে। মধ্যবয়সী, অশিক্ষিত কৃষক হাডলস্টন তাঁর ২৪৩ একরের খামারের শালগমখেতে কাজ করছিলেন। এ সময়ই দুটি অদ্ভুত ধরনের চকচকে হলুদ কিন্তু স্বচ্ছ পাথর খুঁজে পেলেন।
জিনিসগুলো আসলে কী সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় গ্রাইন্ডিং হুইল দিয়ে পরীক্ষা করেন। তাঁকে বলা হয়েছিল এটি হীরা ছাড়া যেকোনো কিছুকে নির্দিষ্ট আকার দিতে পারে। তখনই খেয়াল করলেন পাথর দুটোর কিছু হয়নি, উল্টো এই চূর্ণ করার চাকার মধ্যে ক্ষত তৈরি করেছে। আর এ থেকে অনুমান করলেন হীরা পেয়ে গেছেন তিনি। এর দাম কেমন হতে পারে জানার জন্য কাছের শহর লিটল রকের এক স্বর্ণকারের কাছ পাঠালেন।
এখন তাঁর আবিষ্কারের জায়গাটি পৃথিবীর একমাত্র হীরার খনি, যেটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আর এখানে যে রত্নই খুঁজে পান না কেন সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
আনুমানিক ৩০০ কোটি বছর আগে শুরু হওয়া ধারাবাহিক ও নাটকীয় ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং ভয়ংকর আগ্নেয় কার্যকলাপের ফলাফল হিসেবে হীরার খনিটির জন্ম। পৃথিবীর ভূত্বকের নিচে ৬০ থেকে ১০০ মাইলের মধ্যে উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ কার্বনকে হীরাতে রূপ দেয়। তারপরে প্রেইরি ক্রিক নামে পরিচিত আগ্নেয়গিরির ছিদ্র গঠনের সময় গ্যাস এবং টুকরোসহ একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ এই পাথর এবং খনিজগুলোকে পৃথিবীর গভীর থেকে ওপরে নিয়ে আসে।
আর এই হীরার খনি আবিষ্কারে বলা চলে গোটা দেশেই হাডলস্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এদিকে শহরের স্বর্ণকার তাঁকে জানান একটি হীরার ওজন ২ দশমিক ৬৩ ক্যারেট এবং অন্যটির ১ দশমিক ৩৮ ক্যারেট। যে জমিটি ১ হাজার ডলার ও একটি খচ্চরের বিনিময়ে কিনেছিলেন, লিটল রকের বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ হাজার ডলারে সেটা বেঁচে দিয়ে বেশ ভালো পরিমাণ লাভ হলো হাডলস্টনের। বিনিয়োগকারীরা একে একটি বাণিজ্যিক খনিতে পরিণত করলেন।
হীরার খনির খবর অনেক রত্নসন্ধানীকে মারফ্রিজবোরোতে নিয়ে আসে। সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এলাকার হোটেলগুলোর কোনো কামরা খালি না থাকায় অনেককে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক অনেক হীরারই সন্ধান মেলে খনিটিতে। যেমন স্ট্রোন ওয়াগনার ডায়মন্ডটির ওজন মাত্র ১ দশমিক ০৯ ক্যারেট হলেও এটি ছিল সব দিক থেকেই নিখুঁত বা ট্রিপল জিরো গ্রেডের। ৪.২৫ ক্যারেটের বিখ্যাত কান কেনারি হীরাটিরও সন্ধান মেলে এই খনিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরা আংকেল স্যাম ডায়মন্ডটিও উত্তোলন করা হয় এই খনি থেকে। এটার ওজন ৪০.২৩ ক্যারেট। ২০১৫ সালে পার্কে খুঁজে পাওয়া যায় ৮.৫৩ ক্যারেটের এসপেরানজা নামের হীরাটি। এটাকে কেটে সুন্দর আকৃতি দেওয়ার পর ওজনে দাঁড়ায় ৪.৬ ক্যারেট। ধারণা করা হয় এর দাম আনুমানিক ৫ লাখ ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। এ ছাড়া এখানে মেলে ১৬.৩৭ ক্যারেট ওজনের অ্যামারিল্লো স্টারলাইট এবং ১৫.৩৩ ক্যারেটের স্টার অব আরকানসাস।
কয়েকবার মালিকানা বদলের পর ১৯৭২ সালে আরকানসাস রাজ্যের পক্ষ থেকে হীরার খনিটি কিনে নেওয়া হয়। ৯১১ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক। এর মধ্যে দর্শনার্থীদের রত্ন অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত আছে ৩৭ একর এলাকা। আর ১৯৭২ সালের পর থেকে এই পার্কে মিলেছে ৩৫ হাজারের বেশি হীরা।
গড়ে প্রতিদিন পার্কটিতে খুঁজে পাওয়া যায় দুটি করে হীরা। বাচ্চাদের হীরার জন্য মাটি খোঁড়া এবং দর্শনার্থীদের মাটির মধ্যে ছাঁকনি দিয়ে কাজ করতে দেখা যাওয়া এখানে অতি সাধারণ ঘটনা। তবে পার্কে এমন কিছু হীরাও মেলে যেগুলোর হিসাব থাকে না। বাচ্চাদের এবং পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় রত্ন শিকারিরাও কখনো কখনো হীরা অনুসন্ধানে নামেন। তবে তাঁরা হীরা খুঁজে পেলেও পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নথিবদ্ধ করেন না।
আবার হাডলস্টনের গল্পে ফিরে যাই। দ্রুতই সৌভাগ্য বিদায় নেয় তাঁর জীবন থেকে। অল্প সময়ের মধ্যে খনি বিক্রি করে পাওয়া টাকা উড়িয়ে দেন তিনি। ১৯৩৬ সালে মারা যান মোটামুটি কপর্দকহীন অবস্থায়। তবে তাঁকে স্মরণ করে যেখানে প্রথম হীরা খুঁজে পেয়েছিলেন হাডলস্টন, সে জায়গাটি চিহ্নিত করে রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্কের দর্শনার্থী কেন্দ্র বা ভিজিটর সেন্টারে নানা ধরনের অকাটা হীরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। পাশাপাশি এখনকার অনন্য ইতিহাস ও ভূতত্ত্বের গঠন তুলে ধরা ছবি দেখতে পাবেন। ডায়মন্ড ডিসকভারি সেন্টারে আপনি পার্কে পাওয়া পাথর এবং খনিজ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি হীরা অনুসন্ধানের বিভিন্ন কলাকৌশলও শিখতে পারবেন। এমনিতে রংধনুর সাত রঙের হীরাই পাওয়া গেলে এই পার্ক বা খনি এলাকায় মেলে সাদা, বাদামি ও হলুদ রঙা হীরা। এ ছাড়া নীলকান্তমণি, পান্না, কোয়ার্টজ, আকিকসহ আরও নানা মূল্যবান রত্নপাথর পাওয়া যায় এই খনিতে।
পার্ক এলাকায় দর্শনার্থীদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা আছে। যেমন হাঁটার জন্য পথ, বনভোজন ও ক্যাম্পিং করার জায়গা, উপহারের দোকান, রেস্তোরাঁ। আবার এখানে ডায়মন্ড স্প্রিং ওয়াটার পার্ক নামের যে জায়গাটি আছে, সেখানে গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দিনে হীরা খুঁজে ক্লান্ত শরীরটাকে একটু শীতল করে নেওয়া যায়।
চারদিকে কড়া নজর রেখে খনি এলাকাটিতে হাঁটা-চলা করলেও মাটির ওপরের দিকে থাকা হীরার খোঁজ পেয়ে যেতে পারেন। খোঁড়াখুঁড়ির জন্য বাড়ি থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে আসতে পারেন। তবে না আনলেও দোষ নেই, পার্ক থেকে বালতি, বেলচা, কোদালসহ রত্ন অনুসন্ধানের অন্যান্য যন্ত্রপাতি কিনতে বা ভাড়া নিতে পারবেন।
কোনো হীরা যদি খুঁজে পেয়েই যান, তবে এটি নথিবদ্ধ করে নিতে হবে। ও আরেকটা কথা, এখানে হীরা খুঁজতে কিন্তু টিকিট কাটতে হবে। টিকিটের দামটা খুব বেশি নয়। বড়দের জন্য ১০ ডলার, ছয় থেকে ১২ বছর যাদের বয়স তাদের জন্য ৬ ডলার আর বয়স ছয়ের নিচে হলে টিকিটই কাটতে হবে না। কাজেই ওয়েস্টার্ন বই পড়ে কিংবা সিনেমা দেখে যদি খোঁড়াখুঁড়ির একটা ভূত মাথায় চেপেই বসে, চলে যেতে পারেন আরকানসাসের এই হীরার খনিতে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, আরকানসাস স্টেট পার্কস

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
খনিটির অবস্থান আরকানসাস রাজ্যের মারফ্রিজবোরো এলাকায়। এর বর্তমান নাম অবশ্য ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক।
জন ওয়েসলি হাডলস্টন নামের এক ব্যক্তি কীভাবে আগ্নেয়গিরির রত্ন-সমৃদ্ধ মৃত জ্বালামুখে প্রথম হীরা খুঁজে পান এবং ‘ডায়মন্ড কিং’ বা ‘হীরক রাজা’ নামে পরিচিতি পেয়ে যান তা নিয়ে নানা ধরনের গল্প প্রচলিত আছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণটি বলছে, ঘটনার সূচনা ১৯০৬ সালে। মধ্যবয়সী, অশিক্ষিত কৃষক হাডলস্টন তাঁর ২৪৩ একরের খামারের শালগমখেতে কাজ করছিলেন। এ সময়ই দুটি অদ্ভুত ধরনের চকচকে হলুদ কিন্তু স্বচ্ছ পাথর খুঁজে পেলেন।
জিনিসগুলো আসলে কী সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় গ্রাইন্ডিং হুইল দিয়ে পরীক্ষা করেন। তাঁকে বলা হয়েছিল এটি হীরা ছাড়া যেকোনো কিছুকে নির্দিষ্ট আকার দিতে পারে। তখনই খেয়াল করলেন পাথর দুটোর কিছু হয়নি, উল্টো এই চূর্ণ করার চাকার মধ্যে ক্ষত তৈরি করেছে। আর এ থেকে অনুমান করলেন হীরা পেয়ে গেছেন তিনি। এর দাম কেমন হতে পারে জানার জন্য কাছের শহর লিটল রকের এক স্বর্ণকারের কাছ পাঠালেন।
এখন তাঁর আবিষ্কারের জায়গাটি পৃথিবীর একমাত্র হীরার খনি, যেটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আর এখানে যে রত্নই খুঁজে পান না কেন সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
আনুমানিক ৩০০ কোটি বছর আগে শুরু হওয়া ধারাবাহিক ও নাটকীয় ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং ভয়ংকর আগ্নেয় কার্যকলাপের ফলাফল হিসেবে হীরার খনিটির জন্ম। পৃথিবীর ভূত্বকের নিচে ৬০ থেকে ১০০ মাইলের মধ্যে উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ কার্বনকে হীরাতে রূপ দেয়। তারপরে প্রেইরি ক্রিক নামে পরিচিত আগ্নেয়গিরির ছিদ্র গঠনের সময় গ্যাস এবং টুকরোসহ একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ এই পাথর এবং খনিজগুলোকে পৃথিবীর গভীর থেকে ওপরে নিয়ে আসে।
আর এই হীরার খনি আবিষ্কারে বলা চলে গোটা দেশেই হাডলস্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এদিকে শহরের স্বর্ণকার তাঁকে জানান একটি হীরার ওজন ২ দশমিক ৬৩ ক্যারেট এবং অন্যটির ১ দশমিক ৩৮ ক্যারেট। যে জমিটি ১ হাজার ডলার ও একটি খচ্চরের বিনিময়ে কিনেছিলেন, লিটল রকের বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ হাজার ডলারে সেটা বেঁচে দিয়ে বেশ ভালো পরিমাণ লাভ হলো হাডলস্টনের। বিনিয়োগকারীরা একে একটি বাণিজ্যিক খনিতে পরিণত করলেন।
হীরার খনির খবর অনেক রত্নসন্ধানীকে মারফ্রিজবোরোতে নিয়ে আসে। সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এলাকার হোটেলগুলোর কোনো কামরা খালি না থাকায় অনেককে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক অনেক হীরারই সন্ধান মেলে খনিটিতে। যেমন স্ট্রোন ওয়াগনার ডায়মন্ডটির ওজন মাত্র ১ দশমিক ০৯ ক্যারেট হলেও এটি ছিল সব দিক থেকেই নিখুঁত বা ট্রিপল জিরো গ্রেডের। ৪.২৫ ক্যারেটের বিখ্যাত কান কেনারি হীরাটিরও সন্ধান মেলে এই খনিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরা আংকেল স্যাম ডায়মন্ডটিও উত্তোলন করা হয় এই খনি থেকে। এটার ওজন ৪০.২৩ ক্যারেট। ২০১৫ সালে পার্কে খুঁজে পাওয়া যায় ৮.৫৩ ক্যারেটের এসপেরানজা নামের হীরাটি। এটাকে কেটে সুন্দর আকৃতি দেওয়ার পর ওজনে দাঁড়ায় ৪.৬ ক্যারেট। ধারণা করা হয় এর দাম আনুমানিক ৫ লাখ ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। এ ছাড়া এখানে মেলে ১৬.৩৭ ক্যারেট ওজনের অ্যামারিল্লো স্টারলাইট এবং ১৫.৩৩ ক্যারেটের স্টার অব আরকানসাস।
কয়েকবার মালিকানা বদলের পর ১৯৭২ সালে আরকানসাস রাজ্যের পক্ষ থেকে হীরার খনিটি কিনে নেওয়া হয়। ৯১১ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক। এর মধ্যে দর্শনার্থীদের রত্ন অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত আছে ৩৭ একর এলাকা। আর ১৯৭২ সালের পর থেকে এই পার্কে মিলেছে ৩৫ হাজারের বেশি হীরা।
গড়ে প্রতিদিন পার্কটিতে খুঁজে পাওয়া যায় দুটি করে হীরা। বাচ্চাদের হীরার জন্য মাটি খোঁড়া এবং দর্শনার্থীদের মাটির মধ্যে ছাঁকনি দিয়ে কাজ করতে দেখা যাওয়া এখানে অতি সাধারণ ঘটনা। তবে পার্কে এমন কিছু হীরাও মেলে যেগুলোর হিসাব থাকে না। বাচ্চাদের এবং পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় রত্ন শিকারিরাও কখনো কখনো হীরা অনুসন্ধানে নামেন। তবে তাঁরা হীরা খুঁজে পেলেও পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নথিবদ্ধ করেন না।
আবার হাডলস্টনের গল্পে ফিরে যাই। দ্রুতই সৌভাগ্য বিদায় নেয় তাঁর জীবন থেকে। অল্প সময়ের মধ্যে খনি বিক্রি করে পাওয়া টাকা উড়িয়ে দেন তিনি। ১৯৩৬ সালে মারা যান মোটামুটি কপর্দকহীন অবস্থায়। তবে তাঁকে স্মরণ করে যেখানে প্রথম হীরা খুঁজে পেয়েছিলেন হাডলস্টন, সে জায়গাটি চিহ্নিত করে রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্কের দর্শনার্থী কেন্দ্র বা ভিজিটর সেন্টারে নানা ধরনের অকাটা হীরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। পাশাপাশি এখনকার অনন্য ইতিহাস ও ভূতত্ত্বের গঠন তুলে ধরা ছবি দেখতে পাবেন। ডায়মন্ড ডিসকভারি সেন্টারে আপনি পার্কে পাওয়া পাথর এবং খনিজ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি হীরা অনুসন্ধানের বিভিন্ন কলাকৌশলও শিখতে পারবেন। এমনিতে রংধনুর সাত রঙের হীরাই পাওয়া গেলে এই পার্ক বা খনি এলাকায় মেলে সাদা, বাদামি ও হলুদ রঙা হীরা। এ ছাড়া নীলকান্তমণি, পান্না, কোয়ার্টজ, আকিকসহ আরও নানা মূল্যবান রত্নপাথর পাওয়া যায় এই খনিতে।
পার্ক এলাকায় দর্শনার্থীদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা আছে। যেমন হাঁটার জন্য পথ, বনভোজন ও ক্যাম্পিং করার জায়গা, উপহারের দোকান, রেস্তোরাঁ। আবার এখানে ডায়মন্ড স্প্রিং ওয়াটার পার্ক নামের যে জায়গাটি আছে, সেখানে গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দিনে হীরা খুঁজে ক্লান্ত শরীরটাকে একটু শীতল করে নেওয়া যায়।
চারদিকে কড়া নজর রেখে খনি এলাকাটিতে হাঁটা-চলা করলেও মাটির ওপরের দিকে থাকা হীরার খোঁজ পেয়ে যেতে পারেন। খোঁড়াখুঁড়ির জন্য বাড়ি থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে আসতে পারেন। তবে না আনলেও দোষ নেই, পার্ক থেকে বালতি, বেলচা, কোদালসহ রত্ন অনুসন্ধানের অন্যান্য যন্ত্রপাতি কিনতে বা ভাড়া নিতে পারবেন।
কোনো হীরা যদি খুঁজে পেয়েই যান, তবে এটি নথিবদ্ধ করে নিতে হবে। ও আরেকটা কথা, এখানে হীরা খুঁজতে কিন্তু টিকিট কাটতে হবে। টিকিটের দামটা খুব বেশি নয়। বড়দের জন্য ১০ ডলার, ছয় থেকে ১২ বছর যাদের বয়স তাদের জন্য ৬ ডলার আর বয়স ছয়ের নিচে হলে টিকিটই কাটতে হবে না। কাজেই ওয়েস্টার্ন বই পড়ে কিংবা সিনেমা দেখে যদি খোঁড়াখুঁড়ির একটা ভূত মাথায় চেপেই বসে, চলে যেতে পারেন আরকানসাসের এই হীরার খনিতে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, আরকানসাস স্টেট পার্কস
ইশতিয়াক হাসান

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
খনিটির অবস্থান আরকানসাস রাজ্যের মারফ্রিজবোরো এলাকায়। এর বর্তমান নাম অবশ্য ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক।
জন ওয়েসলি হাডলস্টন নামের এক ব্যক্তি কীভাবে আগ্নেয়গিরির রত্ন-সমৃদ্ধ মৃত জ্বালামুখে প্রথম হীরা খুঁজে পান এবং ‘ডায়মন্ড কিং’ বা ‘হীরক রাজা’ নামে পরিচিতি পেয়ে যান তা নিয়ে নানা ধরনের গল্প প্রচলিত আছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণটি বলছে, ঘটনার সূচনা ১৯০৬ সালে। মধ্যবয়সী, অশিক্ষিত কৃষক হাডলস্টন তাঁর ২৪৩ একরের খামারের শালগমখেতে কাজ করছিলেন। এ সময়ই দুটি অদ্ভুত ধরনের চকচকে হলুদ কিন্তু স্বচ্ছ পাথর খুঁজে পেলেন।
জিনিসগুলো আসলে কী সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় গ্রাইন্ডিং হুইল দিয়ে পরীক্ষা করেন। তাঁকে বলা হয়েছিল এটি হীরা ছাড়া যেকোনো কিছুকে নির্দিষ্ট আকার দিতে পারে। তখনই খেয়াল করলেন পাথর দুটোর কিছু হয়নি, উল্টো এই চূর্ণ করার চাকার মধ্যে ক্ষত তৈরি করেছে। আর এ থেকে অনুমান করলেন হীরা পেয়ে গেছেন তিনি। এর দাম কেমন হতে পারে জানার জন্য কাছের শহর লিটল রকের এক স্বর্ণকারের কাছ পাঠালেন।
এখন তাঁর আবিষ্কারের জায়গাটি পৃথিবীর একমাত্র হীরার খনি, যেটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আর এখানে যে রত্নই খুঁজে পান না কেন সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
আনুমানিক ৩০০ কোটি বছর আগে শুরু হওয়া ধারাবাহিক ও নাটকীয় ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং ভয়ংকর আগ্নেয় কার্যকলাপের ফলাফল হিসেবে হীরার খনিটির জন্ম। পৃথিবীর ভূত্বকের নিচে ৬০ থেকে ১০০ মাইলের মধ্যে উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ কার্বনকে হীরাতে রূপ দেয়। তারপরে প্রেইরি ক্রিক নামে পরিচিত আগ্নেয়গিরির ছিদ্র গঠনের সময় গ্যাস এবং টুকরোসহ একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ এই পাথর এবং খনিজগুলোকে পৃথিবীর গভীর থেকে ওপরে নিয়ে আসে।
আর এই হীরার খনি আবিষ্কারে বলা চলে গোটা দেশেই হাডলস্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এদিকে শহরের স্বর্ণকার তাঁকে জানান একটি হীরার ওজন ২ দশমিক ৬৩ ক্যারেট এবং অন্যটির ১ দশমিক ৩৮ ক্যারেট। যে জমিটি ১ হাজার ডলার ও একটি খচ্চরের বিনিময়ে কিনেছিলেন, লিটল রকের বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ হাজার ডলারে সেটা বেঁচে দিয়ে বেশ ভালো পরিমাণ লাভ হলো হাডলস্টনের। বিনিয়োগকারীরা একে একটি বাণিজ্যিক খনিতে পরিণত করলেন।
হীরার খনির খবর অনেক রত্নসন্ধানীকে মারফ্রিজবোরোতে নিয়ে আসে। সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এলাকার হোটেলগুলোর কোনো কামরা খালি না থাকায় অনেককে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক অনেক হীরারই সন্ধান মেলে খনিটিতে। যেমন স্ট্রোন ওয়াগনার ডায়মন্ডটির ওজন মাত্র ১ দশমিক ০৯ ক্যারেট হলেও এটি ছিল সব দিক থেকেই নিখুঁত বা ট্রিপল জিরো গ্রেডের। ৪.২৫ ক্যারেটের বিখ্যাত কান কেনারি হীরাটিরও সন্ধান মেলে এই খনিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরা আংকেল স্যাম ডায়মন্ডটিও উত্তোলন করা হয় এই খনি থেকে। এটার ওজন ৪০.২৩ ক্যারেট। ২০১৫ সালে পার্কে খুঁজে পাওয়া যায় ৮.৫৩ ক্যারেটের এসপেরানজা নামের হীরাটি। এটাকে কেটে সুন্দর আকৃতি দেওয়ার পর ওজনে দাঁড়ায় ৪.৬ ক্যারেট। ধারণা করা হয় এর দাম আনুমানিক ৫ লাখ ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। এ ছাড়া এখানে মেলে ১৬.৩৭ ক্যারেট ওজনের অ্যামারিল্লো স্টারলাইট এবং ১৫.৩৩ ক্যারেটের স্টার অব আরকানসাস।
কয়েকবার মালিকানা বদলের পর ১৯৭২ সালে আরকানসাস রাজ্যের পক্ষ থেকে হীরার খনিটি কিনে নেওয়া হয়। ৯১১ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক। এর মধ্যে দর্শনার্থীদের রত্ন অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত আছে ৩৭ একর এলাকা। আর ১৯৭২ সালের পর থেকে এই পার্কে মিলেছে ৩৫ হাজারের বেশি হীরা।
গড়ে প্রতিদিন পার্কটিতে খুঁজে পাওয়া যায় দুটি করে হীরা। বাচ্চাদের হীরার জন্য মাটি খোঁড়া এবং দর্শনার্থীদের মাটির মধ্যে ছাঁকনি দিয়ে কাজ করতে দেখা যাওয়া এখানে অতি সাধারণ ঘটনা। তবে পার্কে এমন কিছু হীরাও মেলে যেগুলোর হিসাব থাকে না। বাচ্চাদের এবং পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় রত্ন শিকারিরাও কখনো কখনো হীরা অনুসন্ধানে নামেন। তবে তাঁরা হীরা খুঁজে পেলেও পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নথিবদ্ধ করেন না।
আবার হাডলস্টনের গল্পে ফিরে যাই। দ্রুতই সৌভাগ্য বিদায় নেয় তাঁর জীবন থেকে। অল্প সময়ের মধ্যে খনি বিক্রি করে পাওয়া টাকা উড়িয়ে দেন তিনি। ১৯৩৬ সালে মারা যান মোটামুটি কপর্দকহীন অবস্থায়। তবে তাঁকে স্মরণ করে যেখানে প্রথম হীরা খুঁজে পেয়েছিলেন হাডলস্টন, সে জায়গাটি চিহ্নিত করে রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্কের দর্শনার্থী কেন্দ্র বা ভিজিটর সেন্টারে নানা ধরনের অকাটা হীরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। পাশাপাশি এখনকার অনন্য ইতিহাস ও ভূতত্ত্বের গঠন তুলে ধরা ছবি দেখতে পাবেন। ডায়মন্ড ডিসকভারি সেন্টারে আপনি পার্কে পাওয়া পাথর এবং খনিজ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি হীরা অনুসন্ধানের বিভিন্ন কলাকৌশলও শিখতে পারবেন। এমনিতে রংধনুর সাত রঙের হীরাই পাওয়া গেলে এই পার্ক বা খনি এলাকায় মেলে সাদা, বাদামি ও হলুদ রঙা হীরা। এ ছাড়া নীলকান্তমণি, পান্না, কোয়ার্টজ, আকিকসহ আরও নানা মূল্যবান রত্নপাথর পাওয়া যায় এই খনিতে।
পার্ক এলাকায় দর্শনার্থীদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা আছে। যেমন হাঁটার জন্য পথ, বনভোজন ও ক্যাম্পিং করার জায়গা, উপহারের দোকান, রেস্তোরাঁ। আবার এখানে ডায়মন্ড স্প্রিং ওয়াটার পার্ক নামের যে জায়গাটি আছে, সেখানে গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দিনে হীরা খুঁজে ক্লান্ত শরীরটাকে একটু শীতল করে নেওয়া যায়।
চারদিকে কড়া নজর রেখে খনি এলাকাটিতে হাঁটা-চলা করলেও মাটির ওপরের দিকে থাকা হীরার খোঁজ পেয়ে যেতে পারেন। খোঁড়াখুঁড়ির জন্য বাড়ি থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে আসতে পারেন। তবে না আনলেও দোষ নেই, পার্ক থেকে বালতি, বেলচা, কোদালসহ রত্ন অনুসন্ধানের অন্যান্য যন্ত্রপাতি কিনতে বা ভাড়া নিতে পারবেন।
কোনো হীরা যদি খুঁজে পেয়েই যান, তবে এটি নথিবদ্ধ করে নিতে হবে। ও আরেকটা কথা, এখানে হীরা খুঁজতে কিন্তু টিকিট কাটতে হবে। টিকিটের দামটা খুব বেশি নয়। বড়দের জন্য ১০ ডলার, ছয় থেকে ১২ বছর যাদের বয়স তাদের জন্য ৬ ডলার আর বয়স ছয়ের নিচে হলে টিকিটই কাটতে হবে না। কাজেই ওয়েস্টার্ন বই পড়ে কিংবা সিনেমা দেখে যদি খোঁড়াখুঁড়ির একটা ভূত মাথায় চেপেই বসে, চলে যেতে পারেন আরকানসাসের এই হীরার খনিতে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, আরকানসাস স্টেট পার্কস

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
খনিটির অবস্থান আরকানসাস রাজ্যের মারফ্রিজবোরো এলাকায়। এর বর্তমান নাম অবশ্য ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক।
জন ওয়েসলি হাডলস্টন নামের এক ব্যক্তি কীভাবে আগ্নেয়গিরির রত্ন-সমৃদ্ধ মৃত জ্বালামুখে প্রথম হীরা খুঁজে পান এবং ‘ডায়মন্ড কিং’ বা ‘হীরক রাজা’ নামে পরিচিতি পেয়ে যান তা নিয়ে নানা ধরনের গল্প প্রচলিত আছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণটি বলছে, ঘটনার সূচনা ১৯০৬ সালে। মধ্যবয়সী, অশিক্ষিত কৃষক হাডলস্টন তাঁর ২৪৩ একরের খামারের শালগমখেতে কাজ করছিলেন। এ সময়ই দুটি অদ্ভুত ধরনের চকচকে হলুদ কিন্তু স্বচ্ছ পাথর খুঁজে পেলেন।
জিনিসগুলো আসলে কী সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় গ্রাইন্ডিং হুইল দিয়ে পরীক্ষা করেন। তাঁকে বলা হয়েছিল এটি হীরা ছাড়া যেকোনো কিছুকে নির্দিষ্ট আকার দিতে পারে। তখনই খেয়াল করলেন পাথর দুটোর কিছু হয়নি, উল্টো এই চূর্ণ করার চাকার মধ্যে ক্ষত তৈরি করেছে। আর এ থেকে অনুমান করলেন হীরা পেয়ে গেছেন তিনি। এর দাম কেমন হতে পারে জানার জন্য কাছের শহর লিটল রকের এক স্বর্ণকারের কাছ পাঠালেন।
এখন তাঁর আবিষ্কারের জায়গাটি পৃথিবীর একমাত্র হীরার খনি, যেটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আর এখানে যে রত্নই খুঁজে পান না কেন সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
আনুমানিক ৩০০ কোটি বছর আগে শুরু হওয়া ধারাবাহিক ও নাটকীয় ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং ভয়ংকর আগ্নেয় কার্যকলাপের ফলাফল হিসেবে হীরার খনিটির জন্ম। পৃথিবীর ভূত্বকের নিচে ৬০ থেকে ১০০ মাইলের মধ্যে উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ কার্বনকে হীরাতে রূপ দেয়। তারপরে প্রেইরি ক্রিক নামে পরিচিত আগ্নেয়গিরির ছিদ্র গঠনের সময় গ্যাস এবং টুকরোসহ একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ এই পাথর এবং খনিজগুলোকে পৃথিবীর গভীর থেকে ওপরে নিয়ে আসে।
আর এই হীরার খনি আবিষ্কারে বলা চলে গোটা দেশেই হাডলস্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এদিকে শহরের স্বর্ণকার তাঁকে জানান একটি হীরার ওজন ২ দশমিক ৬৩ ক্যারেট এবং অন্যটির ১ দশমিক ৩৮ ক্যারেট। যে জমিটি ১ হাজার ডলার ও একটি খচ্চরের বিনিময়ে কিনেছিলেন, লিটল রকের বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ হাজার ডলারে সেটা বেঁচে দিয়ে বেশ ভালো পরিমাণ লাভ হলো হাডলস্টনের। বিনিয়োগকারীরা একে একটি বাণিজ্যিক খনিতে পরিণত করলেন।
হীরার খনির খবর অনেক রত্নসন্ধানীকে মারফ্রিজবোরোতে নিয়ে আসে। সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এলাকার হোটেলগুলোর কোনো কামরা খালি না থাকায় অনেককে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক অনেক হীরারই সন্ধান মেলে খনিটিতে। যেমন স্ট্রোন ওয়াগনার ডায়মন্ডটির ওজন মাত্র ১ দশমিক ০৯ ক্যারেট হলেও এটি ছিল সব দিক থেকেই নিখুঁত বা ট্রিপল জিরো গ্রেডের। ৪.২৫ ক্যারেটের বিখ্যাত কান কেনারি হীরাটিরও সন্ধান মেলে এই খনিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরা আংকেল স্যাম ডায়মন্ডটিও উত্তোলন করা হয় এই খনি থেকে। এটার ওজন ৪০.২৩ ক্যারেট। ২০১৫ সালে পার্কে খুঁজে পাওয়া যায় ৮.৫৩ ক্যারেটের এসপেরানজা নামের হীরাটি। এটাকে কেটে সুন্দর আকৃতি দেওয়ার পর ওজনে দাঁড়ায় ৪.৬ ক্যারেট। ধারণা করা হয় এর দাম আনুমানিক ৫ লাখ ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। এ ছাড়া এখানে মেলে ১৬.৩৭ ক্যারেট ওজনের অ্যামারিল্লো স্টারলাইট এবং ১৫.৩৩ ক্যারেটের স্টার অব আরকানসাস।
কয়েকবার মালিকানা বদলের পর ১৯৭২ সালে আরকানসাস রাজ্যের পক্ষ থেকে হীরার খনিটি কিনে নেওয়া হয়। ৯১১ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক। এর মধ্যে দর্শনার্থীদের রত্ন অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত আছে ৩৭ একর এলাকা। আর ১৯৭২ সালের পর থেকে এই পার্কে মিলেছে ৩৫ হাজারের বেশি হীরা।
গড়ে প্রতিদিন পার্কটিতে খুঁজে পাওয়া যায় দুটি করে হীরা। বাচ্চাদের হীরার জন্য মাটি খোঁড়া এবং দর্শনার্থীদের মাটির মধ্যে ছাঁকনি দিয়ে কাজ করতে দেখা যাওয়া এখানে অতি সাধারণ ঘটনা। তবে পার্কে এমন কিছু হীরাও মেলে যেগুলোর হিসাব থাকে না। বাচ্চাদের এবং পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় রত্ন শিকারিরাও কখনো কখনো হীরা অনুসন্ধানে নামেন। তবে তাঁরা হীরা খুঁজে পেলেও পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নথিবদ্ধ করেন না।
আবার হাডলস্টনের গল্পে ফিরে যাই। দ্রুতই সৌভাগ্য বিদায় নেয় তাঁর জীবন থেকে। অল্প সময়ের মধ্যে খনি বিক্রি করে পাওয়া টাকা উড়িয়ে দেন তিনি। ১৯৩৬ সালে মারা যান মোটামুটি কপর্দকহীন অবস্থায়। তবে তাঁকে স্মরণ করে যেখানে প্রথম হীরা খুঁজে পেয়েছিলেন হাডলস্টন, সে জায়গাটি চিহ্নিত করে রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্কের দর্শনার্থী কেন্দ্র বা ভিজিটর সেন্টারে নানা ধরনের অকাটা হীরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। পাশাপাশি এখনকার অনন্য ইতিহাস ও ভূতত্ত্বের গঠন তুলে ধরা ছবি দেখতে পাবেন। ডায়মন্ড ডিসকভারি সেন্টারে আপনি পার্কে পাওয়া পাথর এবং খনিজ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি হীরা অনুসন্ধানের বিভিন্ন কলাকৌশলও শিখতে পারবেন। এমনিতে রংধনুর সাত রঙের হীরাই পাওয়া গেলে এই পার্ক বা খনি এলাকায় মেলে সাদা, বাদামি ও হলুদ রঙা হীরা। এ ছাড়া নীলকান্তমণি, পান্না, কোয়ার্টজ, আকিকসহ আরও নানা মূল্যবান রত্নপাথর পাওয়া যায় এই খনিতে।
পার্ক এলাকায় দর্শনার্থীদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা আছে। যেমন হাঁটার জন্য পথ, বনভোজন ও ক্যাম্পিং করার জায়গা, উপহারের দোকান, রেস্তোরাঁ। আবার এখানে ডায়মন্ড স্প্রিং ওয়াটার পার্ক নামের যে জায়গাটি আছে, সেখানে গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দিনে হীরা খুঁজে ক্লান্ত শরীরটাকে একটু শীতল করে নেওয়া যায়।
চারদিকে কড়া নজর রেখে খনি এলাকাটিতে হাঁটা-চলা করলেও মাটির ওপরের দিকে থাকা হীরার খোঁজ পেয়ে যেতে পারেন। খোঁড়াখুঁড়ির জন্য বাড়ি থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে আসতে পারেন। তবে না আনলেও দোষ নেই, পার্ক থেকে বালতি, বেলচা, কোদালসহ রত্ন অনুসন্ধানের অন্যান্য যন্ত্রপাতি কিনতে বা ভাড়া নিতে পারবেন।
কোনো হীরা যদি খুঁজে পেয়েই যান, তবে এটি নথিবদ্ধ করে নিতে হবে। ও আরেকটা কথা, এখানে হীরা খুঁজতে কিন্তু টিকিট কাটতে হবে। টিকিটের দামটা খুব বেশি নয়। বড়দের জন্য ১০ ডলার, ছয় থেকে ১২ বছর যাদের বয়স তাদের জন্য ৬ ডলার আর বয়স ছয়ের নিচে হলে টিকিটই কাটতে হবে না। কাজেই ওয়েস্টার্ন বই পড়ে কিংবা সিনেমা দেখে যদি খোঁড়াখুঁড়ির একটা ভূত মাথায় চেপেই বসে, চলে যেতে পারেন আরকানসাসের এই হীরার খনিতে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, আরকানসাস স্টেট পার্কস

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

এমন একটি হীরার খনির কথা চিন্তা করুন তো, যেখানে চাইলেই বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে হীরার সন্ধানে নেমে পড়তে পারবেন। এমনকি এখানে কোনো হীরা পেলে সেটা সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারবেন। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও মার্কিন মুল্লুকে এমন একটি খনি সত্যি আছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে