ইশতিয়াক হাসান
জেলেদের ছোট্ট এক গ্রাম হেনেগসা। সেখানে দেখা মিলবে এক স্টেডিয়ামের। আদপে একে স্টেডিয়াম বলা যায় কি না, এটা নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। দর্শকদের বসার জন্য সেই অর্থে কোনো স্ট্যান্ড বা গ্যালারিও নেই। আন্তর্জাতিক ম্যাচ দূরে থাক, বড় কোনো খেলাও হয় না। শৌখিন একটি ক্লাবের খেলোয়াড় এবং জেলেপাড়ার শিশু-কিশোরেরাই এখানে খেলে কেবল। তার পরও এটা এমন এক স্টেডিয়াম, যেখানে খেলারও দরকার পড়ে না, কেবল একবার একে দেখলেই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবেন।
নরওয়ের দ্য হেনেগসা ইদরেতস্লগ স্টেডিয়ন নামের ফুটবল স্টেডিয়ামটি সবার নজর কেড়েছে এর অবস্থানের কারণে। পাথুরে এক দ্বীপে স্টেডিয়ামটি। চারপাশের নজরকাড়া দৃশ্যের মধ্যে আছে খাঁজকাটা সব চূড়ার একের পর এক পর্বত, খোলা সাগর। আশপাশের নানা আকারের পাথরও খেলার মাঠটিকে অন্যরকম এক চেহারা দিয়েছে। সব মিলিয়ে আপনার মনে সন্দেহ হতেই পারে যে এমন সুন্দর কোনো স্টেডিয়াম থাকতে পারে! কল্পলোকের কোনো রাজ্যে চলে এলাম না তো? কিংবা দিবা স্বপ্ন দেখছেন?
কিন্তু শরীরে চিমটি কাটলেই নিশ্চিত হবেন, যা দেখছেন তা সত্যি। অনেকেই একে বিবেচনা করেন পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর স্টেডিয়াম হিসেবে।
হেগেনসা লফোতুন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বিখ্যাত জেলে গ্রামগুলোর একটি। কয়েকটি ছোট দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা গ্রামটি থেকে যেদিকেই তাকান, আশপাশের দৃশ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। তবে এটা কোনোভাবেই কেবল ঘুমন্ত কোনো জেলে গ্রাম নয়। এখানে চমৎকার কিছু আর্ট গ্যালারিও আছে।
গ্রামের কেন্দ্র থেকে মাছ শুকানোর বা শুঁটকি তৈরির র্যাকগুলো পাশ কাটিয়ে সহজেই আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন মাঠটির ধারে। মাঠটিতে কৃত্রিম টার্ফ বা ঘাসের চাপড়া বসানো আছে। অবশ্য নরওয়ের অনেক স্টেডিয়ামেই এ ধরনের কৃত্রিম টার্ফের ব্যবহার চোখে পড়বে আপনার। এই স্টেডিয়াম বা মাঠটি মূলত ব্যবহার করেন শৌখিন ক্লাব হেনেগসা আই এলের খেলোয়াড়েরা। তারাই মাঠটির দেখভাল করেন।
গ্রামটির জনসংখ্যা কম হওয়ায় ক্লাবটি বড়দের দল সেভাবে তৈরি করতে পারে না। তবে শিশু-কিশোরদের দলগুলো এটি ব্যবহার করে। স্থানীয় স্কুলের শিশুদের খেলার মাঠ হিসেবেও এটি কাজে লাগে। বিখ্যাত লফোটেন ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফেস্টিভালের প্রদর্শনীর জায়গা হিসেবেও ব্যবহার করা হয় একে।
স্টেডিয়ামের চারপাশে অ্যাসফল্টের ঢালাই একই সঙ্গে দর্শকদের বসার ও পার্কিংয়ের জায়গার কাজ করছে। তবে স্টেডিয়ামটিতে খুব বেশি মানুষ খেলা দেখার সুযোগ না থাকাটা বড় কোনো সমস্যা নয়, কারণ হেনেগসা গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৫০০।
নরওয়ের এই দ্বীপটি এমনিতেই দেখতে বড় সুন্দর। আর্ট ফেস্টিভালের কারণেও অনেকের নজর কেড়েছে। তারপর আবার এর দক্ষিণ অংশে পাথর সমান করে কেটে এমন এক স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে, যেটি অনেকের বিবেচনায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়াম। এটির কথা আবার ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে মানুষের ভালোই নজরে পড়েছে। বিশেষ করে ওপর থেকে তোলা স্টেডিয়ামটির ছবি অনেকেরই চোখ কপালে তুলে দিয়েছে। তাই ছোট্ট জেলে গ্রাম আর স্টেডিয়াম দেখতে অনেক পর্যটকই হাজির হচ্ছেন দ্বীপটিতে।
নরওয়ের শীতল, অন্ধকার মাসগুলোতেও ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে খেলা চলে স্টেডিয়ামটিতে। তবে বেশি মজা হয় গ্রীষ্মেই, কারণ এখানকার গ্রীষ্মে রাতেও আলো থাকে।
‘দেখতে ভারি ভালো লাগে, কারণ বড় হতে থাকা ছেলে-মেয়েরা এখানে জমা হয়, কফি খেতে ও খেলা দেখতে।’ বলেন স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী রেগনার পেলসন, ‘ফুটবল পিচটি প্রচুর ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে গ্রীষ্মে আলো থাকায় দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই এখানে খেলা চলে।’ কখনো কখনো রাত ২টার দিকে মাঠে খেলতে চলে আসি আমরা।’ বলেন স্থানীয় খেলোয়াড় সারা ক্যাসপারসেন।
কাজেই পাঠক নরওয়ের ঠান্ডাটা যদি সামলাতে পারেন, সেখানকার অসাধারণ দৃশ্য আর চমৎকার এই স্টেডিয়ামটি একনজর দেখার জন্য দেশটিতে একটি বার ঘুরে আসতেই পারেন। আর গ্রীষ্মে ২৪ ঘণ্টা আলোর দেখা পাওয়ার মজাটাও কম নয়। রাতের বেলা সূর্যের আলোয় স্টেডিয়ামটিতে খেলার একটা সুযোগ যদি পান, তবে তো কথাই নেই! সারা জীবন বন্ধুমহলে বলার মতো একটি গল্প জমা হয়ে গেল আপনার ভান্ডারে!
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, ফিফা ডট কম, লাইফ নরওয়ে ডট নেট
জেলেদের ছোট্ট এক গ্রাম হেনেগসা। সেখানে দেখা মিলবে এক স্টেডিয়ামের। আদপে একে স্টেডিয়াম বলা যায় কি না, এটা নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। দর্শকদের বসার জন্য সেই অর্থে কোনো স্ট্যান্ড বা গ্যালারিও নেই। আন্তর্জাতিক ম্যাচ দূরে থাক, বড় কোনো খেলাও হয় না। শৌখিন একটি ক্লাবের খেলোয়াড় এবং জেলেপাড়ার শিশু-কিশোরেরাই এখানে খেলে কেবল। তার পরও এটা এমন এক স্টেডিয়াম, যেখানে খেলারও দরকার পড়ে না, কেবল একবার একে দেখলেই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবেন।
নরওয়ের দ্য হেনেগসা ইদরেতস্লগ স্টেডিয়ন নামের ফুটবল স্টেডিয়ামটি সবার নজর কেড়েছে এর অবস্থানের কারণে। পাথুরে এক দ্বীপে স্টেডিয়ামটি। চারপাশের নজরকাড়া দৃশ্যের মধ্যে আছে খাঁজকাটা সব চূড়ার একের পর এক পর্বত, খোলা সাগর। আশপাশের নানা আকারের পাথরও খেলার মাঠটিকে অন্যরকম এক চেহারা দিয়েছে। সব মিলিয়ে আপনার মনে সন্দেহ হতেই পারে যে এমন সুন্দর কোনো স্টেডিয়াম থাকতে পারে! কল্পলোকের কোনো রাজ্যে চলে এলাম না তো? কিংবা দিবা স্বপ্ন দেখছেন?
কিন্তু শরীরে চিমটি কাটলেই নিশ্চিত হবেন, যা দেখছেন তা সত্যি। অনেকেই একে বিবেচনা করেন পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর স্টেডিয়াম হিসেবে।
হেগেনসা লফোতুন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বিখ্যাত জেলে গ্রামগুলোর একটি। কয়েকটি ছোট দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা গ্রামটি থেকে যেদিকেই তাকান, আশপাশের দৃশ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। তবে এটা কোনোভাবেই কেবল ঘুমন্ত কোনো জেলে গ্রাম নয়। এখানে চমৎকার কিছু আর্ট গ্যালারিও আছে।
গ্রামের কেন্দ্র থেকে মাছ শুকানোর বা শুঁটকি তৈরির র্যাকগুলো পাশ কাটিয়ে সহজেই আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন মাঠটির ধারে। মাঠটিতে কৃত্রিম টার্ফ বা ঘাসের চাপড়া বসানো আছে। অবশ্য নরওয়ের অনেক স্টেডিয়ামেই এ ধরনের কৃত্রিম টার্ফের ব্যবহার চোখে পড়বে আপনার। এই স্টেডিয়াম বা মাঠটি মূলত ব্যবহার করেন শৌখিন ক্লাব হেনেগসা আই এলের খেলোয়াড়েরা। তারাই মাঠটির দেখভাল করেন।
গ্রামটির জনসংখ্যা কম হওয়ায় ক্লাবটি বড়দের দল সেভাবে তৈরি করতে পারে না। তবে শিশু-কিশোরদের দলগুলো এটি ব্যবহার করে। স্থানীয় স্কুলের শিশুদের খেলার মাঠ হিসেবেও এটি কাজে লাগে। বিখ্যাত লফোটেন ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফেস্টিভালের প্রদর্শনীর জায়গা হিসেবেও ব্যবহার করা হয় একে।
স্টেডিয়ামের চারপাশে অ্যাসফল্টের ঢালাই একই সঙ্গে দর্শকদের বসার ও পার্কিংয়ের জায়গার কাজ করছে। তবে স্টেডিয়ামটিতে খুব বেশি মানুষ খেলা দেখার সুযোগ না থাকাটা বড় কোনো সমস্যা নয়, কারণ হেনেগসা গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৫০০।
নরওয়ের এই দ্বীপটি এমনিতেই দেখতে বড় সুন্দর। আর্ট ফেস্টিভালের কারণেও অনেকের নজর কেড়েছে। তারপর আবার এর দক্ষিণ অংশে পাথর সমান করে কেটে এমন এক স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে, যেটি অনেকের বিবেচনায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়াম। এটির কথা আবার ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে মানুষের ভালোই নজরে পড়েছে। বিশেষ করে ওপর থেকে তোলা স্টেডিয়ামটির ছবি অনেকেরই চোখ কপালে তুলে দিয়েছে। তাই ছোট্ট জেলে গ্রাম আর স্টেডিয়াম দেখতে অনেক পর্যটকই হাজির হচ্ছেন দ্বীপটিতে।
নরওয়ের শীতল, অন্ধকার মাসগুলোতেও ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে খেলা চলে স্টেডিয়ামটিতে। তবে বেশি মজা হয় গ্রীষ্মেই, কারণ এখানকার গ্রীষ্মে রাতেও আলো থাকে।
‘দেখতে ভারি ভালো লাগে, কারণ বড় হতে থাকা ছেলে-মেয়েরা এখানে জমা হয়, কফি খেতে ও খেলা দেখতে।’ বলেন স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী রেগনার পেলসন, ‘ফুটবল পিচটি প্রচুর ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে গ্রীষ্মে আলো থাকায় দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই এখানে খেলা চলে।’ কখনো কখনো রাত ২টার দিকে মাঠে খেলতে চলে আসি আমরা।’ বলেন স্থানীয় খেলোয়াড় সারা ক্যাসপারসেন।
কাজেই পাঠক নরওয়ের ঠান্ডাটা যদি সামলাতে পারেন, সেখানকার অসাধারণ দৃশ্য আর চমৎকার এই স্টেডিয়ামটি একনজর দেখার জন্য দেশটিতে একটি বার ঘুরে আসতেই পারেন। আর গ্রীষ্মে ২৪ ঘণ্টা আলোর দেখা পাওয়ার মজাটাও কম নয়। রাতের বেলা সূর্যের আলোয় স্টেডিয়ামটিতে খেলার একটা সুযোগ যদি পান, তবে তো কথাই নেই! সারা জীবন বন্ধুমহলে বলার মতো একটি গল্প জমা হয়ে গেল আপনার ভান্ডারে!
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, ফিফা ডট কম, লাইফ নরওয়ে ডট নেট
হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে প্রাচীন রীতিনীতির অনুসরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী বিবাহ অনুষ্ঠান—এক নারী বিয়ে করেছেন দুই ভাইকে। হাট্টি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পলিয়ান্ড্রি বিয়েতে শত শত অতিথি অংশ নেন।
২ দিন আগেশিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্রেডিট তথা পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দেওয়ার বিনিময়ে রক্ত দান করতে বাধ্য করেছেন এক ফুটবল কোচ। তাইওয়ানের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফুটবল কোচ এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে...
২ দিন আগেআজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ইমোজি। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমরা মনের ভাব প্রকাশে ইমোজি ব্যবহার করি। ভাষার সীমা পেরিয়ে এই ছোট ছোট ডিজিটাল চিহ্নগুলো আবেগ প্রকাশের কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আনন্দ থেকে শুরু করে দুঃখ—সব অনুভূতিই এখন বোঝ
৫ দিন আগেপরিত্যক্ত একটি নকিয়া ফোনের সূত্র ধরে পরিচয় পাওয়া গেছে ১০ বছর আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আমির খান নামের ওই ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়। মরদেহের পাশে থাকা ফোনটির সূত্র ধরেই তাঁর পরিচয় উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।
৬ দিন আগে