ইশতিয়াক হাসান
আইসল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত দুর্গম, ছোট্ট এক দ্বীপ এলেরাই। সেখানে একাকী দাঁড়িয়ে আছে একটি বাড়ি। অনেকেই একে পরিচয় করিয়ে দেন পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ বাড়ি হিসেবে।
তবে একাকী দাঁড়িয়ে থাকা সাদা রঙের বাড়িটিতে স্থায়ী বসতি নেই বহু বছর ধরে। এর মালিক কে তা নিয়েও আছে রহস্য।
এলেরাই বেশি বিখ্যাত এখানে বসতি গাড়া বিপুলসংখ্যক পাফিনের জন্য। একধরনের সামুদ্রিক পাখি এরা। এবড়োখেবড়ো, দুরারোহ সব পাহাড়ি ঢালের কারণে জায়গাটিকে মোটেই মানব সম্প্রদায়ের বসবাসের উপযোগী মনে হবে না আপনার। তবে খাঁড়া একটা ঢালের ঠিক গোড়ায় আছে ছোট্ট এক সাদা কেবিন।
একাকী দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট বাড়িটার ত্রিসীমানায় কোনো দোকান নেই, নেই কোনো প্রতিবেশী, এখানে পাবেন না কোনো পার্ক। আছে কেবল ঘাস, আর পাহাড়ের খাড়া ঢাল। অবশ্য ভেসমানেইজা দ্বীপপুঞ্জের অংশ এই দ্বীপে পুরোনো, ছোট্ট আরেকটি দালান আছে। এটি ব্যবহৃত হয় গুদাম হিসেবে।
ছোট্ট বাড়িটি কীভাবে এলো, লোকালয় নেই এমন এক জায়গায় কেন তৈরি হলো, তা নিয়ে আছে রহস্য। গুজব আছে, এক ধনকুবের এটি তৈরি করিয়েছিলেন। তাঁর শঙ্কা ছিল, পৃথিবীতে হঠাৎ বড় কোনো বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তখন তিনি সেখানে আশ্রয় নেবেন। আবার কোনো কোনো সূত্রের দাবি, খুব ধার্মিক এক ব্যক্তি এখানে নির্জনে তপস্যা করতেন। আরও একটি তত্ত্ব আছে, তবে এটা সত্যি হওয়ার সে অর্থে সম্ভাবনা নেই। তত্ত্ব অনুসারে আইসল্যান্ডের এক বিখ্যাত গায়িকাকে দ্বীপটি দিয়ে দিয়েছিল সে দেশের সরকার। তিনিই বাড়িটি তৈরি করান।
এখন বাড়িটি খালি থাকলেও একসময় পাঁচটি পরিবার এটি বানিয়েছিল বলে দাবি কারও কারও। মাছ ধরা ও দ্বীপের ঘেসো জমিতে পশু চরিয়ে জীবন ধারণ করত তারা। তবে ১৯৩০-এর দশকে শেষ যিনি বাস করতেন বাড়িটিতে, তিনিও চলে যান দ্বীপ ছেড়ে। অবশ্য অন্য সূত্রে দাবি এটি সঠিক নয়, কারণ বাড়িটি তৈরি হয় ১৯৫০ সালের আশপাশে।
তবে বাড়িটি তৈরির শেষ পর্যন্ত মোটামুটি যুক্তিসংগত যে কারণটি পাওয়া যায়, সেটি গুজব কিংবা গল্পগাথাগুলোর তুলনায় কম আকর্ষণীয়। ধারণা করা হয়, এলেরাই হান্টিং অ্যাসোসিয়েশন পাফিন শিকারের বেসক্যাম্প হিসেবে এটি তৈরি করে। বছরে কয়েক বার শিকারের উদ্দেশ্যে দ্বীপটিতে আসতেন এর সদস্যরা। এখানকার সাগরে পাফিনদের জন্য প্রচুর মাছের জোগান থাকায় এই পাখিদেরও অভাব নেই দ্বীপে।
১১০ একরের দুর্গম দ্বীপে নেই কোনো বিদ্যুৎ, প্রবাহিত পানির ব্যবস্থা। তবে এখানে বৃষ্টির পানি টেনে এনে বাষ্পস্নানের ব্যবস্থা আছে।
দ্বীপটি অবশ্য একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকা। এখানকার প্রকৃতি যারা দেখতে চান, তারা পর্যটকদের দ্বীপ ঘুরিয়ে দেখান।
মজার ঘটনা, সবুজের মাঝখানে সাদা বিন্দুর মতো বাড়িটির ছবি দেখে কেউ কেউ একে ফটোশপের কারসাজি বলে ধরে নেন। তবে এটি সত্যি আছে। সেখানে পৌঁছার জন্য প্রথমে আপনাকে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সাগর পাড়ি দিতে হবে। নৌকা বা জাহাজ থেকে লাফিয়ে কিংবা দড়ি দিয়ে খাঁড়া পাড়ে নামতে হবে। একটু এদিক-সেদি হলে ধপাস করে পড়তে হবে আইসল্যান্ডের সাগরের শীতল জলে।
তবে দ্বীপে নামার পর ঘাসে ঢাকা পথ পেরিয়ে সহজেই বাড়িটির কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন। দূর থেকে দেখে শীতল, অস্বস্তিকর একটি জায়গা মনে হলেও ভেতরের পরিবেশ আরামদায়ক। চমৎকার সোফা, সুন্দর বাথরুম, রান্নাঘর এমনকি ভাগাড়ে কিছু খাবারের মজুত দেখে মনটা আনন্দে নেচে উঠব আপনার।
সম্প্রতি ধারণ করা ইউটিউবের এক ভিডিওতে দেখা যায় নৌকায় চেপে দুঃসাহসী পর্যটকদের একটি দল দ্বীপটি ভ্রমণে গিয়েছে। বিখ্যাত সেই বাড়িও ঘুরে দেখেছেন তাঁরা।
ছোট্ট এই গুদাম ঘুরে বাড়িটিতে যেতে দেখা যায় তাঁদের। সেখানে কাঠের বার্নার, গ্যাসের চুলা এবং আধুনিক আসবাবে সজ্জিত অবস্থায় দেখা যায় বাড়িটিতে। এটা দেখে আবার মনে হয় ইদানীং কেউ এতে ছিলেন। এখানে বারবিকিউ করার জায়গাও আছে। আর জানালা খুললেই দেখতে পাবেন আইসল্যান্ডের সাগরের অসাধারণ দৃশ্য।
এখানে এমনকি একটি ভিজিটর বুকও আছে, যেখানে অতিথিরা নিজেদের নাম ও ভ্রমণের তারিখ লিখে রাখেন। তারপর রাতটা যদি এখানে কাটানই, নিস্তব্ধতার মধ্যে সাগরের ঢেউয়ের যে শব্দ শুনবেন তার তুলনা নেই। তারপর দ্বীপের চারপাশ ঘিরে থাকা কুয়াশা অদ্ভুত রহস্যময় এক পরিবেশ তৈরি করবে।
সূত্র: মিরর, দ্য ট্রাভেল ডট কম
আইসল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত দুর্গম, ছোট্ট এক দ্বীপ এলেরাই। সেখানে একাকী দাঁড়িয়ে আছে একটি বাড়ি। অনেকেই একে পরিচয় করিয়ে দেন পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ বাড়ি হিসেবে।
তবে একাকী দাঁড়িয়ে থাকা সাদা রঙের বাড়িটিতে স্থায়ী বসতি নেই বহু বছর ধরে। এর মালিক কে তা নিয়েও আছে রহস্য।
এলেরাই বেশি বিখ্যাত এখানে বসতি গাড়া বিপুলসংখ্যক পাফিনের জন্য। একধরনের সামুদ্রিক পাখি এরা। এবড়োখেবড়ো, দুরারোহ সব পাহাড়ি ঢালের কারণে জায়গাটিকে মোটেই মানব সম্প্রদায়ের বসবাসের উপযোগী মনে হবে না আপনার। তবে খাঁড়া একটা ঢালের ঠিক গোড়ায় আছে ছোট্ট এক সাদা কেবিন।
একাকী দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট বাড়িটার ত্রিসীমানায় কোনো দোকান নেই, নেই কোনো প্রতিবেশী, এখানে পাবেন না কোনো পার্ক। আছে কেবল ঘাস, আর পাহাড়ের খাড়া ঢাল। অবশ্য ভেসমানেইজা দ্বীপপুঞ্জের অংশ এই দ্বীপে পুরোনো, ছোট্ট আরেকটি দালান আছে। এটি ব্যবহৃত হয় গুদাম হিসেবে।
ছোট্ট বাড়িটি কীভাবে এলো, লোকালয় নেই এমন এক জায়গায় কেন তৈরি হলো, তা নিয়ে আছে রহস্য। গুজব আছে, এক ধনকুবের এটি তৈরি করিয়েছিলেন। তাঁর শঙ্কা ছিল, পৃথিবীতে হঠাৎ বড় কোনো বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তখন তিনি সেখানে আশ্রয় নেবেন। আবার কোনো কোনো সূত্রের দাবি, খুব ধার্মিক এক ব্যক্তি এখানে নির্জনে তপস্যা করতেন। আরও একটি তত্ত্ব আছে, তবে এটা সত্যি হওয়ার সে অর্থে সম্ভাবনা নেই। তত্ত্ব অনুসারে আইসল্যান্ডের এক বিখ্যাত গায়িকাকে দ্বীপটি দিয়ে দিয়েছিল সে দেশের সরকার। তিনিই বাড়িটি তৈরি করান।
এখন বাড়িটি খালি থাকলেও একসময় পাঁচটি পরিবার এটি বানিয়েছিল বলে দাবি কারও কারও। মাছ ধরা ও দ্বীপের ঘেসো জমিতে পশু চরিয়ে জীবন ধারণ করত তারা। তবে ১৯৩০-এর দশকে শেষ যিনি বাস করতেন বাড়িটিতে, তিনিও চলে যান দ্বীপ ছেড়ে। অবশ্য অন্য সূত্রে দাবি এটি সঠিক নয়, কারণ বাড়িটি তৈরি হয় ১৯৫০ সালের আশপাশে।
তবে বাড়িটি তৈরির শেষ পর্যন্ত মোটামুটি যুক্তিসংগত যে কারণটি পাওয়া যায়, সেটি গুজব কিংবা গল্পগাথাগুলোর তুলনায় কম আকর্ষণীয়। ধারণা করা হয়, এলেরাই হান্টিং অ্যাসোসিয়েশন পাফিন শিকারের বেসক্যাম্প হিসেবে এটি তৈরি করে। বছরে কয়েক বার শিকারের উদ্দেশ্যে দ্বীপটিতে আসতেন এর সদস্যরা। এখানকার সাগরে পাফিনদের জন্য প্রচুর মাছের জোগান থাকায় এই পাখিদেরও অভাব নেই দ্বীপে।
১১০ একরের দুর্গম দ্বীপে নেই কোনো বিদ্যুৎ, প্রবাহিত পানির ব্যবস্থা। তবে এখানে বৃষ্টির পানি টেনে এনে বাষ্পস্নানের ব্যবস্থা আছে।
দ্বীপটি অবশ্য একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকা। এখানকার প্রকৃতি যারা দেখতে চান, তারা পর্যটকদের দ্বীপ ঘুরিয়ে দেখান।
মজার ঘটনা, সবুজের মাঝখানে সাদা বিন্দুর মতো বাড়িটির ছবি দেখে কেউ কেউ একে ফটোশপের কারসাজি বলে ধরে নেন। তবে এটি সত্যি আছে। সেখানে পৌঁছার জন্য প্রথমে আপনাকে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সাগর পাড়ি দিতে হবে। নৌকা বা জাহাজ থেকে লাফিয়ে কিংবা দড়ি দিয়ে খাঁড়া পাড়ে নামতে হবে। একটু এদিক-সেদি হলে ধপাস করে পড়তে হবে আইসল্যান্ডের সাগরের শীতল জলে।
তবে দ্বীপে নামার পর ঘাসে ঢাকা পথ পেরিয়ে সহজেই বাড়িটির কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন। দূর থেকে দেখে শীতল, অস্বস্তিকর একটি জায়গা মনে হলেও ভেতরের পরিবেশ আরামদায়ক। চমৎকার সোফা, সুন্দর বাথরুম, রান্নাঘর এমনকি ভাগাড়ে কিছু খাবারের মজুত দেখে মনটা আনন্দে নেচে উঠব আপনার।
সম্প্রতি ধারণ করা ইউটিউবের এক ভিডিওতে দেখা যায় নৌকায় চেপে দুঃসাহসী পর্যটকদের একটি দল দ্বীপটি ভ্রমণে গিয়েছে। বিখ্যাত সেই বাড়িও ঘুরে দেখেছেন তাঁরা।
ছোট্ট এই গুদাম ঘুরে বাড়িটিতে যেতে দেখা যায় তাঁদের। সেখানে কাঠের বার্নার, গ্যাসের চুলা এবং আধুনিক আসবাবে সজ্জিত অবস্থায় দেখা যায় বাড়িটিতে। এটা দেখে আবার মনে হয় ইদানীং কেউ এতে ছিলেন। এখানে বারবিকিউ করার জায়গাও আছে। আর জানালা খুললেই দেখতে পাবেন আইসল্যান্ডের সাগরের অসাধারণ দৃশ্য।
এখানে এমনকি একটি ভিজিটর বুকও আছে, যেখানে অতিথিরা নিজেদের নাম ও ভ্রমণের তারিখ লিখে রাখেন। তারপর রাতটা যদি এখানে কাটানই, নিস্তব্ধতার মধ্যে সাগরের ঢেউয়ের যে শব্দ শুনবেন তার তুলনা নেই। তারপর দ্বীপের চারপাশ ঘিরে থাকা কুয়াশা অদ্ভুত রহস্যময় এক পরিবেশ তৈরি করবে।
সূত্র: মিরর, দ্য ট্রাভেল ডট কম
বিমা জালিয়াতি এবং পর্নোগ্রাফি রাখার দায়ে এক ব্রিটিশ ভাসকুলার সার্জনকে দুই বছর আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৪৯ বছর বয়সী নীল হপার, ২০১৯ সালে নিজের পা কেটে মিথ্যা বিমা দাবি করেছিলেন। এই কাণ্ড ঘটানোর আগে তিনি শত শত অঙ্গচ্ছেদের অস্ত্রোপচার করেছিলেন। সেই সব অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ আদালতের নথিতে প্রকাশ..
৪ দিন আগেভারতের রাজস্থানের পাহাড়ি গ্রাম পিপলোডির এক কৃষক মোর সিং। ৬০ বছর বয়সী মোর সিং নিজে কখনো স্কুলে যাননি। কিন্তু তিলে তিলে গড়া নিজের একমাত্র বাড়িটি দান করে দিয়েছেন গ্রামের শিশুদের জন্য। এই অনন্য অবদানের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে রীতিমতো হিরো বনে গেছেন মোর সিং।
৪ দিন আগেদক্ষিণ চীনের এক ব্যক্তি তাঁর ১০ বছরের মেয়ে ও ৮ বছরের ছেলেকে ৮০০ কিলোমিটার হাঁটিয়েছেন। দীর্ঘ এই হণ্ঠন যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল সন্তানদের মানসিকভাবে শক্ত করা। তাঁদের এই অভিযানের প্রশংসা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
৮ দিন আগেচীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশার এক আবাসিক এলাকা লাল ব্যানার টাঙিয়ে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। ব্যানারে ওই নারী ব্যঙ্গ করে তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি করায় ‘কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেছেন।
৯ দিন আগে