সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের...
নরওয়ের মূল ভূখণ্ডের ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আর্কটিক সার্কেলের ওপরে এবং উত্তর মেরুর কাছাকাছি মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে। এটি কয়লা, তেল বা মূল্যবান খনিজ নয়, বরং বীজ।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিণা খালের বাঁধ ভেঙে হাজার বিঘা বোরো ধানখেত প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে ঘেরে পানি ঢুকে অন্তত ১ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল শনিবার ভোর ৪টার দিকে হঠাৎ হরিণা খালের ২০-২৫ হাত পাড় ভেঙে খেতে পানি ঢুকতে শুরু করে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের সংস্কারকাজ। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ নিয়ে শঙ্কায় স্থানীয় কৃষকেরা।
লালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তাঁর সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম ৫ থেকে ৬
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গে সংযুক্ত একটি খাল মিঠানিয়া। এই খাল থেকে ১১টি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হতো। কিন্তু দখল, দূষণ ও পৌরসভার আবর্জনা ফেলার কারণে খালের উৎসমুখ অনেকটাই ভরাট হয়ে গেছে। এতে কৃষকের ফসলি জমিতে সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না সেচ প্রকল্প...
ফসল আবাদসহ সবকিছুতে ভূগর্ভস্থ পানিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে এখন বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমে গেছে। অন্যদিকে কৃষিজমিতে বেড়েছে প্রাণঘাতী কীটনাশকের ব্যবহার। গত ২০ বছরে এর মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই দুই কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে।
হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের জন্য নীতিমালা অনুযায়ী জরিপ, গণশুনানি, প্রকল্প স্থান নির্ধারণ, প্রাক্কলন তৈরি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
দেশের মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বাড়ছে। ফসল উৎপাদনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। একদিকে কৃষক কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছে না, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাটির অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে সংকট আরও বেড়ে হুমকিতে পড়বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা। আজ ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার করার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাঁধ কেটে দেওয়ায় হাওরের হাজারো হেক্টর জমির বোরো ফসল উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।
ঘেরের পর এবার আবাসন ব্যবসায়ের আগ্রাসনে উজাড় হচ্ছে যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের হরিণার বিলের তিন ফসলি জমি। প্রাকৃতিক এই জলাধার ভরাট করে প্লট আকারে জমি বিক্রি করছে আবাসন ব্যবসায়ীরা। আইন ভেঙে অবাধে চলছে জমির শ্রেণি পরিবর্তন। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন। বছরজুড়ে জলাবদ্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ফসল
ঐতিহাসিকভাবে পেঁয়াজকে দূষণ প্রতিরোধী হিসেবে দেখা হতো। কারণ এর মধ্যে প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্য বেশির ভাগ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম। ফলে অসুস্থতার নিরাময় প্রক্রিয়ায়ও পেঁয়াজের ভূমিকাকে স্বীকার করা হয়।
ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের হোসুর এলাকায় থেনপেন্নাই নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে কেলাভারপল্লী বাঁধ। এই বাঁধ থেকেই নির্গত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে এক ধরনের বিষাক্ত ফেনা। এই ফেনা থেনপেন্নাই নদী তীরবর্তী কৃষি জমিগুলোকে ঢেকে দিচ্ছে।
সদরের চুড়ামণকাঠি ইউনিয়নের আব্দুলপুরের কৃষক শফিকুল বলেন, ‘এবার সবজি চাষিদের দুর্ভোগের শেষ নেই। তিন মাস ধরে চাষিরা সবজি চাষ নিয়ে বিপাকে রয়েছে। শীতকালীন সবজির চারা রোপণ করলেই কিছুদিন পর পর বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাতে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।’
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতী নদীর ভাঙনে মাত্র ২০ মিনিটে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তিন একর ফসলি জমি। সেই সঙ্গে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ২৮০টি ঘর। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বন্যায় মৎস্য ও কৃষি খাতে ১৪ কোটি ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মাছের খামার ও ফসলি জমির এসব ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় টানা চার দিনের প্রবল বর্ষণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় তলিয়ে গেছে। শত শত মাছের ঘের ফসলী জমি ও বসতবাড়িতে পানি থই থই করছে। এসব এলাকার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে গবাদিপশু নিয়ে রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। অনেকে গবাদিপশু নিয়ে নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।