হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের নেতারা বলছেন, হাওরে বাঁধের কাজ এখনো ৪৫ শতাংশ বাকি। অনেক বাঁধে মাটির কাজই শেষ হয়নি। সঠিক সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঢলে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। এ কারণে প্রবল বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে দেখা দেয় অকালবন্যা। মার্চের দিকে শুরু হওয়া এই বন্যা হাওরের বোরো ধান ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ধান রক্ষায় প্রতিবছর সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরে নির্মাণ করা হয় ফসল রক্ষা বাঁধ।
সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ৫৮৮ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হয় গত ১৫ ডিসেম্বর। বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করতে ৬৮৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়। এ জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। চার কিস্তিতে এই টাকা পরিশোধ হওয়ার কথা। এরই মধ্যে দুই কিস্তির অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিন নম্বর কিস্তি ছাড় দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কিন্তু এ বছর বাঁধ নির্মাণ সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা গতকাল শেষ হলেও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বেশির ভাগ বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ও কৃষকদের দাবি, এখন পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। একই সঙ্গে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বাঁধের কাজ ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জে বাঁধের কাজে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে গত বুধবার শহরের আলফাত স্কয়ারে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, ১১ ডিসেম্বর বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এই সময়ে পিআইসি গঠন করা হয়নি। অনেক হাওরে পিআইসি গঠনে অনিয়ম হয়েছে। দেরিতে বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। কাজে রয়েছে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম। রাজনৈতিক নেতারা পিআইসি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
গণশুনানি না হওয়ায় কাজে ব্যাপক গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। বাঁধে দুরমুজ দেওয়া হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইচ্ছেমতো কাজ করেন আর পাউবো সুনামগঞ্জে বসে কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন তৈরি করে। আমরা এই অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করি। এ বছর বাঁধের অনিয়ম, দুর্নীতিতে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁদের অবহেলায় হাওরের ফসল নষ্ট হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও পাউবোর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা সাধারণ কৃষক। টাকাপয়সা ঋণ করে হাওরে ধান চাষ করছি। এখন যদি সঠিক কাজের অভাবে হাওর ডোবে, তাহলে ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে? পরিবার নিয়ে খাব কী, আর চলব কীভাবে? খুব চিন্তায় আছি। সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই, যাতে পানি আসার আগেই বাঁধের কাজ সঠিকভাবে শেষ হয়।’
আরেক কৃষক মাজিদ মিয়া বলেন, ‘হাওরের ধান নিয়ে সব সময় আমাদের চিন্তা করতে হয়। হাওরে এখনো মাটির কাজ চলছে। কবে শেষ হবে, তা-ও জানি না। ২০২২ সালে পানির চাপে হাওরের বাঁধ ভেঙে সব ধান নষ্ট হয়েছিল। জানি না এবার কী আছে কপালে।’
‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। বিভিন্ন উপজেলায় সরেজমিনে দেখেছি, বালু মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। এখানে কৃষকদের নিয়ে একটা তামাশা শুরু করছে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। অক্ষত বাঁধের ঘাস কেটে, মাটি খুঁড়ে আবার বাঁধের ওপর দিচ্ছে। মূলত এটা একটি শুভংকরের ফাঁকি, মানে জায়গার মাল জায়গায়।’
ওবায়দুল হক আরও বলেন, ‘যেখানে এখন পর্যন্ত সব কটি উপজেলায় মাটির কাজ চলমান, সেখানে ৮৮ বা ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয় কীভাবে? কয়েকটি বাঁধকে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যে বাঁধগুলোর মাটির কাজ শেষ। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের অবস্থা খুবই নাজুক। এখন পর্যন্ত কাজের কোনো দিক-বেদিক নেই, এখনো মাটি ফেলছে। বারবার তাগিদ দিলেও এখনো বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। এবার যদি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়, তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব, প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছু কিছু জায়গায় মাটির কাজ চলছে। তবে জেলার হাওরগুলোর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা এখনো বিভিন্ন উপজেলায় তথ্য নিচ্ছি। আমরা কাজের সময় আরও সাত দিন বাড়াব।’
সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের নেতারা বলছেন, হাওরে বাঁধের কাজ এখনো ৪৫ শতাংশ বাকি। অনেক বাঁধে মাটির কাজই শেষ হয়নি। সঠিক সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঢলে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। এ কারণে প্রবল বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে দেখা দেয় অকালবন্যা। মার্চের দিকে শুরু হওয়া এই বন্যা হাওরের বোরো ধান ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ধান রক্ষায় প্রতিবছর সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরে নির্মাণ করা হয় ফসল রক্ষা বাঁধ।
সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ৫৮৮ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হয় গত ১৫ ডিসেম্বর। বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করতে ৬৮৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়। এ জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। চার কিস্তিতে এই টাকা পরিশোধ হওয়ার কথা। এরই মধ্যে দুই কিস্তির অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিন নম্বর কিস্তি ছাড় দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কিন্তু এ বছর বাঁধ নির্মাণ সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা গতকাল শেষ হলেও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বেশির ভাগ বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ও কৃষকদের দাবি, এখন পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। একই সঙ্গে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বাঁধের কাজ ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জে বাঁধের কাজে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে গত বুধবার শহরের আলফাত স্কয়ারে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, ১১ ডিসেম্বর বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এই সময়ে পিআইসি গঠন করা হয়নি। অনেক হাওরে পিআইসি গঠনে অনিয়ম হয়েছে। দেরিতে বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। কাজে রয়েছে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম। রাজনৈতিক নেতারা পিআইসি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
গণশুনানি না হওয়ায় কাজে ব্যাপক গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। বাঁধে দুরমুজ দেওয়া হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইচ্ছেমতো কাজ করেন আর পাউবো সুনামগঞ্জে বসে কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন তৈরি করে। আমরা এই অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করি। এ বছর বাঁধের অনিয়ম, দুর্নীতিতে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁদের অবহেলায় হাওরের ফসল নষ্ট হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও পাউবোর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা সাধারণ কৃষক। টাকাপয়সা ঋণ করে হাওরে ধান চাষ করছি। এখন যদি সঠিক কাজের অভাবে হাওর ডোবে, তাহলে ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে? পরিবার নিয়ে খাব কী, আর চলব কীভাবে? খুব চিন্তায় আছি। সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই, যাতে পানি আসার আগেই বাঁধের কাজ সঠিকভাবে শেষ হয়।’
আরেক কৃষক মাজিদ মিয়া বলেন, ‘হাওরের ধান নিয়ে সব সময় আমাদের চিন্তা করতে হয়। হাওরে এখনো মাটির কাজ চলছে। কবে শেষ হবে, তা-ও জানি না। ২০২২ সালে পানির চাপে হাওরের বাঁধ ভেঙে সব ধান নষ্ট হয়েছিল। জানি না এবার কী আছে কপালে।’
‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। বিভিন্ন উপজেলায় সরেজমিনে দেখেছি, বালু মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। এখানে কৃষকদের নিয়ে একটা তামাশা শুরু করছে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। অক্ষত বাঁধের ঘাস কেটে, মাটি খুঁড়ে আবার বাঁধের ওপর দিচ্ছে। মূলত এটা একটি শুভংকরের ফাঁকি, মানে জায়গার মাল জায়গায়।’
ওবায়দুল হক আরও বলেন, ‘যেখানে এখন পর্যন্ত সব কটি উপজেলায় মাটির কাজ চলমান, সেখানে ৮৮ বা ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয় কীভাবে? কয়েকটি বাঁধকে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যে বাঁধগুলোর মাটির কাজ শেষ। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের অবস্থা খুবই নাজুক। এখন পর্যন্ত কাজের কোনো দিক-বেদিক নেই, এখনো মাটি ফেলছে। বারবার তাগিদ দিলেও এখনো বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। এবার যদি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়, তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব, প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছু কিছু জায়গায় মাটির কাজ চলছে। তবে জেলার হাওরগুলোর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা এখনো বিভিন্ন উপজেলায় তথ্য নিচ্ছি। আমরা কাজের সময় আরও সাত দিন বাড়াব।’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নানা উন্নয়নকাজ একটি সংঘবদ্ধ চক্র (সিন্ডিকেট) দখল করে নিচ্ছে। পদ না থাকলেও বিএনপি নামধারী কয়েক নেতা করপোরেশনের লাখ লাখ টাকার কাজগুলো করেছে বলে অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবারও দুই পক্ষে হাতাহাতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেইজমা শোভা জর্দা কোম্পানি। দেশি এই জর্দা কোম্পানির মালিক মঞ্জু মিয়া। তিনি জেলার কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠজন। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মঞ্জু মিয়া করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ও কাদির জঙ্গল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেতুর পশ্চিমে নরসুন্দা নদীর মূল গতিপথের
৪ ঘণ্টা আগেশুরুর মতো এবারের বইমেলার শেষ দিনটিও ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। গতকাল শুক্রবার তাই সকাল থেকে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। শিশুপ্রহরে বাচ্চাদের দল এসেছিল পরিবারের সঙ্গে। ক্রমে বেলা বাড়তেই বড়দের ভিড় লেগে যায়। এক বছরের জন্য বিদায় নিচ্ছে বইমেলা, তাই ভিড় ছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহবুব হোসেন ও ঠিকাদার মো. সাহাদত হোসেন খন্দকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার সাহাদত হোসেন গত ১৫ বছরে হাসপাতালের বিভিন্ন দরপত্রে অনিয়ম করে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের যোগসাজশে এসব
৪ ঘণ্টা আগে