মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারে কৃষিজমি ভরাট করে গড়ে উঠছে বিভিন্ন স্থাপনা। সময় যত যাচ্ছে ততই পাকা ভবন দৃশ্যমান হচ্ছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামীণ সড়কের পাশে জমি ভরাট করে গড়ে তোলা হচ্ছে বসতঘর, দোকানপাট। এমনকি হাওরের জমিও ভরাট করা হচ্ছে। এতে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম বা ভূমি সুরক্ষা আইন। ফলে দিন দিন কমছে ফসল উৎপাদনের খেত।
ভূমি ব্যবহার ও সেচ পরিসংখ্যান জরিপ সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারে ২০১৯ সালে কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ২২ হাজার ৬৩১ একর। ২০২৪ সালে তা কমে হয় ৪ লাখ ২২ হাজার ৮ একর। পাঁচ বছরে জেলায় প্রায় ৬২২ একর কৃষিজমির পরিমাণ কমেছে। এই জমির অধিকাংশ ভরাট করে ভিটাবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া জমির ওপরের স্তরের মাটি কেটে বিক্রি করছেন খেতের মালিকেরা। এতে করে জমির উর্বরতা শক্তি যেমন কমছে, অন্যদিকে এই মাটি দিয়ে কৃষিজমিতে ভিটা ভরাট করা হচ্ছে। ফলে দুদিক থেকেই ফসল উৎপাদনে ক্ষতি হচ্ছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল ও সদর উপজেলাসহ হাকালুকি, হাইল, কেওলার হাওরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জমি ভরাটের মহোৎসব দেখা গেছে। কয়েক বছর আগেও যেসব জমিতে ফসল হতো, সেসব এখন ভরাট হয়ে গেছে।
এসব জমিতে নানা স্থাপনা গড়ে তোলা ব্যক্তিরা জানান, আগে পরিবারের সদস্যসংখ্যা কম ছিল, যা এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য পৈতৃক ভিটা বা আগের বাড়িতে বসবাস করা যাচ্ছে না। তাই একটু বেশিই নতুন বাড়িঘর নির্মাণ হচ্ছে। আর এই অঞ্চলে প্রবাসী বেশি থাকায় রাস্তার পাশে বসতবাড়ি প্রচুর পরিমাণে নির্মাণ হচ্ছে। সবাই রাস্তার পাশে বাড়ি বানাতে চান।
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মৌলভীবাজার জেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নূরুল মুহাইমিন মিল্টন বলেন, ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন থাকলেও এর কোনো কার্যকর প্রয়োগ নেই আমাদের দেশে। এই আইন অল্প পরিসরে বাস্তবায়ন হলেও কিছুটা কৃষিজমি রক্ষা করা যেত। যেভাবে জমি ভরাট করা হচ্ছে, তাতে করে একসময় খাদ্যের অভাব দেখা দিতে পারে।’
একই আশঙ্কা প্রকাশ করে মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘দিন যত যাচ্ছে ততই কৃষিজমি ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠছে। আমাদের সবাইকে মিলে কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন বা যেকোনো জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন বা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি নিতে হবে। সড়কের পাশে বাড়িঘর নির্মাণ করা হলে অবশ্যই জায়গা রেখে স্থাপনা তৈরি করতে হবে।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষিজমি ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠছে। আইন হলো স্থাপনা নির্মাণের আগে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। তবে আমাদের দেশে এই আইন কেউ মানতে চান না।’
মৌলভীবাজারে কৃষিজমি ভরাট করে গড়ে উঠছে বিভিন্ন স্থাপনা। সময় যত যাচ্ছে ততই পাকা ভবন দৃশ্যমান হচ্ছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামীণ সড়কের পাশে জমি ভরাট করে গড়ে তোলা হচ্ছে বসতঘর, দোকানপাট। এমনকি হাওরের জমিও ভরাট করা হচ্ছে। এতে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম বা ভূমি সুরক্ষা আইন। ফলে দিন দিন কমছে ফসল উৎপাদনের খেত।
ভূমি ব্যবহার ও সেচ পরিসংখ্যান জরিপ সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারে ২০১৯ সালে কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ২২ হাজার ৬৩১ একর। ২০২৪ সালে তা কমে হয় ৪ লাখ ২২ হাজার ৮ একর। পাঁচ বছরে জেলায় প্রায় ৬২২ একর কৃষিজমির পরিমাণ কমেছে। এই জমির অধিকাংশ ভরাট করে ভিটাবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া জমির ওপরের স্তরের মাটি কেটে বিক্রি করছেন খেতের মালিকেরা। এতে করে জমির উর্বরতা শক্তি যেমন কমছে, অন্যদিকে এই মাটি দিয়ে কৃষিজমিতে ভিটা ভরাট করা হচ্ছে। ফলে দুদিক থেকেই ফসল উৎপাদনে ক্ষতি হচ্ছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল ও সদর উপজেলাসহ হাকালুকি, হাইল, কেওলার হাওরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জমি ভরাটের মহোৎসব দেখা গেছে। কয়েক বছর আগেও যেসব জমিতে ফসল হতো, সেসব এখন ভরাট হয়ে গেছে।
এসব জমিতে নানা স্থাপনা গড়ে তোলা ব্যক্তিরা জানান, আগে পরিবারের সদস্যসংখ্যা কম ছিল, যা এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য পৈতৃক ভিটা বা আগের বাড়িতে বসবাস করা যাচ্ছে না। তাই একটু বেশিই নতুন বাড়িঘর নির্মাণ হচ্ছে। আর এই অঞ্চলে প্রবাসী বেশি থাকায় রাস্তার পাশে বসতবাড়ি প্রচুর পরিমাণে নির্মাণ হচ্ছে। সবাই রাস্তার পাশে বাড়ি বানাতে চান।
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মৌলভীবাজার জেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নূরুল মুহাইমিন মিল্টন বলেন, ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন থাকলেও এর কোনো কার্যকর প্রয়োগ নেই আমাদের দেশে। এই আইন অল্প পরিসরে বাস্তবায়ন হলেও কিছুটা কৃষিজমি রক্ষা করা যেত। যেভাবে জমি ভরাট করা হচ্ছে, তাতে করে একসময় খাদ্যের অভাব দেখা দিতে পারে।’
একই আশঙ্কা প্রকাশ করে মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘দিন যত যাচ্ছে ততই কৃষিজমি ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠছে। আমাদের সবাইকে মিলে কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন বা যেকোনো জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন বা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি নিতে হবে। সড়কের পাশে বাড়িঘর নির্মাণ করা হলে অবশ্যই জায়গা রেখে স্থাপনা তৈরি করতে হবে।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষিজমি ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠছে। আইন হলো স্থাপনা নির্মাণের আগে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। তবে আমাদের দেশে এই আইন কেউ মানতে চান না।’
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল শুক্রবার দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হবে। জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে হজের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
৪ ঘণ্টা আগেসভায় যোগ দিতে সরকারি গাড়িতেই রাজশাহী এসেছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। সভা শেষ করে সোজা হাটে গিয়ে তিনি কোরবানির গরু কিনেছেন। তারপর সেই সরকারি গাড়িতেই তুলে নিয়ে গেছেন গরু। আজ বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসেছে। রাজধানীর ২১টি স্থানে ছড়িয়ে থাকা এসব পশুর হাটে আজ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে জমে উঠেছে বেচাকেনা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে হাটগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। অফিস-আদালতের ছুটি শুরু হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের পশুর
৪ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহা সামনে রেখে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্তে পুশ ইন, গরু চোরাচালান ও কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)।
৪ ঘণ্টা আগে