Ajker Patrika

ঠিকাদার উধাও

বেহাল সড়ক, দাওয়াতে আসেন না লোকজন

গনেশ দাস, বগুড়া 
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, ০৭: ২২
ঠিকাদার কাজ বন্ধ রাখায় কাদাপানিতে সড়কের বেহাল দশা। গত শনিবার বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বারাহিপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠিকাদার কাজ বন্ধ রাখায় কাদাপানিতে সড়কের বেহাল দশা। গত শনিবার বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বারাহিপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা

আড়াই শ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়েছেন আট মাস আগে। যাতায়াতের কষ্টে গ্রামের চার হাজার মানুষকে পড়তে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। রাস্তায় বৃষ্টির পানি আর কাদায় একাকার হয়ে পড়ায় গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। দুর্ভোগ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ওই গ্রামে কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেতে যান না লোকজন। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বারাহিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আমান উল্লাহ সড়কটির এই অবস্থা।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই সড়কের আড়াই শ মিটার সংস্কারের জন্য ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত হন। ২৮ লাখ ৭২ হাজার ৫৮৬ টাকায় রাস্তাটি সংস্কারের দায়িত্ব দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায় গত বছরের ৩ নভেম্বর। কার্যাদেশ অনুযায়ী চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রাস্তাটির সংস্কারকাজ শেষ করার কথা।

বগুড়ার ধুনট উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ কাজটি নুরুজ্জামান নামের একজন উপঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে উধাও হয়ে যান। এরপর উপঠিকাদার কাজ পেয়ে চলতি বছরের মে মাসে রাস্তায় বিছানো ইট তুলে তিনিও উধাও হয়ে যান।

জানতে চাইলে উপঠিকাদার শাহ আলম বলেন, ‘বালু না পাওয়া এবং লাগাতার বৃষ্টির কারণে এত দিন কাজটি ফেলে রাখা হয়েছিল। শনিবার থেকে বালু বিছানোর কাজ শুরু হয়েছে।’ তিনি কাজটি শতকরা ৬ টাকা লাভে কিনে নিয়েছেন দাবি করে বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। গ্রামবাসী ঠিকাদারের ওপর ক্ষুব্ধ, সেটাও জানি।’

ফাতেমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শামিম আহম্মেদ বলেন, উপঠিকাদার হিসেবে কাজটি শেষ করার জন্য শাহ আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি গত শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রুবেল হোসেন বলেন, ‘মূল ঠিকাদার কাজটি বিক্রি করে দেওয়ার পর আমরা এ পর্যন্ত দুজনকে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছি। আট মাস পার হয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি। গত মার্চে মূল ঠিকাদার ফাতেমা এন্টারপ্রাইজকে তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছে। এরপর একাধিকবার মৌখিকভাবে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে কাজ শেষ করার জন্য। কিন্তু তারা কাজ শেষ করতে পারছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত