Ajker Patrika

বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার জহুরপুর সীমান্তে নিখোঁজ বাংলাদেশির লাশ দাফন সম্পন্ন করেছে তাঁর পরিবার। রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলার নাচোল উপজেলার নেজামপুর গ্রামে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাম মাহমুদ রিংকু ও নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।

বিজিবি, পুলিশ ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২০ জুলাই) ভোরে জহুরপুর বিওপির সীমান্ত পিলার ১৬/৫-এর কাছে ৫ জন চোরাকারবারি ভারতের অভ্যন্তরে যায়। সে সময় বিএসএফ চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করলে ৪ জন পালিয়ে আসে। মোহম্মদ লালচান (২৫) বিএসএফের হাতে আটক হন। পরে চোরকারবারিরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশ ফেরত এনে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মা নদী পার হয়ে নাচোল উপজেলার নেজামপুরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে সন্ধ্যায় লাশ দাফন করে।

এ সময় পুলিশ তাদের আইনি সহযোগিতার জন্য ময়নাতদন্তের কথা বললে তারা তা না করার কথা জানায়। পরে তাঁর লাশ দাফন হয়। তবে সোর্স মারফত পাওয়া ভিডিওতে তাঁর পায়ে বৈদ্যুতিক শকে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিএসএফ গুলি করে হত্যা না করে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহদুম রিংকু হোয়াটসঅ্যাপে আজ রোববার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চোরাকারবারি লালচান নিখোঁজ হয়েছে। সেটা বিভিন্ন মারফতে শুনে ৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন নূরপুর ক্যাস্পের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। তারা কোনো সাড়া দেয়নি। বরং তারা বলছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা নেই। আর শুনেছি লালচানের লাশ কে বা কারা এনে দাফন করেছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের কথা বললে তারা সেটা না করার কথা জানায়। তার পরিবার যদি আমাদের অভিযোগ করে সহযোগিতা চাইত, তাহলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতাম। তবে তাকে হত্যা করেছে কি না, সেটা নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গুলিবিদ্ধের খবর পেয়ে আমি দুজন ফোর্স নিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি লাশ দাফনের জন্য খাটলিতে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর লাশের কাফনের কাপড় খুলে গুলির কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। তারা বলেছে, জহুরপুর এলাকায় তার দাদার বাড়িতে নাকি বৈদ্যুতিক শক খেয়ে মারা গেছে। আমরা তার পায়ে বৈদ্যুতিক শক লেগে পোড়ার চিহ্ন পেয়েছি। নিহতের পরিবার আমাদের কাছে কোনো আইনি সহযোগিতা চায়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত