নরওয়ের মূল ভূখণ্ডের ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আর্কটিক সার্কেলের ওপরে এবং উত্তর মেরুর কাছাকাছি মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে। এটি কয়লা, তেল বা মূল্যবান খনিজ নয়, বরং বীজ। পৃথিবীজুড়ে থাকা শস্য প্রজাতির জিন কোড সংরক্ষণ করছে নরওয়ের আর্কটিক অঞ্চলে থাকা ‘সালভারা গ্লোবাল সিড ভল্ট’। চলতি কথায় এটি ‘ডুমস ডে ভল্ট’ নামেও পরিচিত। সম্প্রতি গতকাল ১৪ হাজারের বেশি নতুন বীজ জমা পড়েছে এই ভল্টে। এটি বিশ্বব্যাপী বীজ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সিড ভল্টটি পৃথিবীর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা পারমাণবিক যুদ্ধ থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন পর্যন্ত সমস্ত প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে কাজ করছে। খাদ্যশস্যের বীজ সংরক্ষণের জন্য এটি ২০০৮ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ভোল্ট তৈরি উদ্দেশ্য হলো—যদি কখনো প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ বা যুদ্ধের ফলে গাছগাছালি, ফসল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়, তবে এই ভোল্টের মাধ্যমে উদ্ভিদগুলো পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ।
পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন দেশের অমূল্য শস্য সংরক্ষণে সহযোগিতা করেছে ভল্টটি। বিশেষ করে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সংগ্রহ পুনর্নির্মাণে একটি নেতৃত্বমূলক ভূমিকা পালন করেছে।
নতুন বীজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুদানের ১৫ প্রজাতির শস্য, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জোয়ার বা ভুট্টাজাতীয় খাদ্যশস্য। ২০২৩ সালে এপ্রিলে শুরু হওয়া দ্রুত প্রতিরক্ষা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের কারণে সুদানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ ছাড়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং বহু মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন।
ক্রপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক স্টেফান স্মিটজ বলেন, ‘বীজগুলো শুধু বায়োডাইভার্সিটি বা জৈববৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করে না, বরং সেই সব সম্প্রদায়ের জ্ঞান, সংস্কৃতি এবং সহনশীলতার প্রতীক।
ডুমস ডে ভোল্টে সংরক্ষিত বীজগুলোর মধ্যে সুইডেন থেকে নর্ডিয় বৃক্ষ প্রজাতির বীজ ও থাইল্যান্ডের ধানের বীজও রয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
নরওয়ের মূল ভূখণ্ডের ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আর্কটিক সার্কেলের ওপরে এবং উত্তর মেরুর কাছাকাছি মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে। এটি কয়লা, তেল বা মূল্যবান খনিজ নয়, বরং বীজ। পৃথিবীজুড়ে থাকা শস্য প্রজাতির জিন কোড সংরক্ষণ করছে নরওয়ের আর্কটিক অঞ্চলে থাকা ‘সালভারা গ্লোবাল সিড ভল্ট’। চলতি কথায় এটি ‘ডুমস ডে ভল্ট’ নামেও পরিচিত। সম্প্রতি গতকাল ১৪ হাজারের বেশি নতুন বীজ জমা পড়েছে এই ভল্টে। এটি বিশ্বব্যাপী বীজ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সিড ভল্টটি পৃথিবীর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা পারমাণবিক যুদ্ধ থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন পর্যন্ত সমস্ত প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে কাজ করছে। খাদ্যশস্যের বীজ সংরক্ষণের জন্য এটি ২০০৮ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ভোল্ট তৈরি উদ্দেশ্য হলো—যদি কখনো প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ বা যুদ্ধের ফলে গাছগাছালি, ফসল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়, তবে এই ভোল্টের মাধ্যমে উদ্ভিদগুলো পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ।
পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন দেশের অমূল্য শস্য সংরক্ষণে সহযোগিতা করেছে ভল্টটি। বিশেষ করে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সংগ্রহ পুনর্নির্মাণে একটি নেতৃত্বমূলক ভূমিকা পালন করেছে।
নতুন বীজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুদানের ১৫ প্রজাতির শস্য, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জোয়ার বা ভুট্টাজাতীয় খাদ্যশস্য। ২০২৩ সালে এপ্রিলে শুরু হওয়া দ্রুত প্রতিরক্ষা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের কারণে সুদানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ ছাড়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং বহু মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন।
ক্রপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক স্টেফান স্মিটজ বলেন, ‘বীজগুলো শুধু বায়োডাইভার্সিটি বা জৈববৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করে না, বরং সেই সব সম্প্রদায়ের জ্ঞান, সংস্কৃতি এবং সহনশীলতার প্রতীক।
ডুমস ডে ভোল্টে সংরক্ষিত বীজগুলোর মধ্যে সুইডেন থেকে নর্ডিয় বৃক্ষ প্রজাতির বীজ ও থাইল্যান্ডের ধানের বীজও রয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
চিংড়ি চাষের জন্য এক অমানবিক পদ্ধতি বেছে নেন খামারিরা। এটি এমন পদ্ধতি, যেখানে স্ত্রী চিংড়ির একটি বা উভয় চোখই কেটে বা উপড়ে ফেলা হয়। শুনতে এটি জলজ প্রাণী চাষে ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত ও কার্যকর পদ্ধতি। ক্রাস্টেসিয়ান (খোলসযুক্ত জলজ প্রাণী) প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই পদ্ধতি। মূলত বাণিজ্যিক
১৬ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরি আরও পাঁচ নারীকে গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের একটি রকেট। বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক...
১ দিন আগেবিশ্ববিখ্যাত পপ তারকা কেটি পেরি সহ আরও পাঁচজন নারী সফলভাবে মহাকাশ ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরে এসেছেন। জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ড রকেটের মাধ্যমে এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।
২ দিন আগেপয়লা বৈশাখ আজ। গ্রীষ্মের শুরু হলো। গরমের এই মৌসুমে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠবে অনেকের। গরমে বেহাল অবস্থা হয় সবারই। তবে গবেষণা বলছে, গরমের সময় পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাপ সহ্য করার ক্ষমতা, জৈবিক, শারীরিক, সামাজিক ও হরমোনজনিত নানা কারণে এ পার্থক্য হয়ে থাকে।
২ দিন আগে