আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পৃথিবীর অভ্যন্তরে লুকিয়ে আছে বিপুল মূল্যবান ধাতু, যার মধ্যে সোনাও অন্যতম। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমন প্রমাণ পেয়েছেন, যা ইঙ্গিত দেয়—পৃথিবীর কেন্দ্র ধীরে ধীরে সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ‘লিক’ করছে বা বের করে দিচ্ছে।
এই গবেষণা সম্প্রতি ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। জার্মানির গটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-রসায়ন বিভাগের গবেষক নিলস মেসলিংয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় হাওয়াইয়ের আগ্নেয়গিরির শিলা পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে ‘রুথেনিয়াম’ নামে এক ধাতুর উপস্থিতি। এই ধাতু সাধারণত পৃথিবীর গভীরতম স্তর (কোর-ম্যান্টল) সীমান্ত থেকেই আসতে পারে। রুথেনিয়াম একটি ‘প্ল্যাটিনাম গ্রুপ মেটাল’। অর্থাৎ এটি দুষ্প্রাপ্য এবং অত্যন্ত মূল্যবান।
মেসলিং বলেন, ‘প্রথম ফলাফল পাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারলাম, আমরা সত্যিই সোনা খুঁজে পেয়েছি!’
পৃথিবীর গঠন মূলত তিনটি স্তরে বিভক্ত। এর মধ্যে বাইরের পাতলা আবরণ হলো—ক্রাস্ট, মাঝের স্তরটি ‘ম্যান্টল’ এবং সবচেয়ে গভীরে থাকা স্তরটিকে বলে ‘কোর’। কোর আবার দুই ভাগে বিভক্ত—বাইরের তরল ধাতব কোর এবং ভেতরের কঠিন কোর। কোরে রয়েছে বিপুল পরিমাণ লৌহ, নিকেল, সোনা ও অন্যান্য ধাতু। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর মোট সোনার প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ কোরে অবস্থান করছে।
এর আগে গবেষণায় দেখা গেছে, রুথেনিয়ামের রাসায়নিক গঠন পৃথিবীর গঠনের প্রাথমিক এবং পরবর্তী পর্যায়ে কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছিল। ফলে কোরে থাকা রুথেনিয়াম ম্যান্টলে থাকা রুথেনিয়ামের চেয়ে একটু ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, হাওয়াইয়ের আগ্নেয় শিলায় পাওয়া রুথেনিয়াম সাধারণ ম্যান্টলের চেয়ে অনেক বেশি ঘন। এর মানে, এই ধাতু পৃথিবীর কোর থেকে উঠে এসেছে এবং সম্ভবত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমেই এটি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছেছে।
এই আবিষ্কার শুধু কোরের সোনা বা রুথেনিয়ামের অস্তিত্বই নয়, বরং পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন এবং দ্বীপের উৎপত্তি সম্পর্কেও নতুন ধারণা দিচ্ছে বিজ্ঞানীদের। হাওয়াই যেমন একটি গভীর ম্যান্টল প্লুমের ওপরে অবস্থিত, যেখান থেকে গরম পাথরের ধারা উঠে এসে আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করছে। নতুন গবেষণা সেই ধারণার পক্ষে আরও এক দারুণ যুক্তি যোগ করল।
এ ছাড়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, আফ্রিকাতেও এমন একটি গভীর প্লুম পাওয়া গেছে, যা একসময় মহাদেশটিকে ভেঙে দেবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সেই প্লুমের উৎসও কোর-ম্যান্টল সীমান্তেই বলে মনে করা হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে, এই গবেষণা পৃথিবীর গভীরে থাকা রহস্যের দরজায় আরও একটি জানালা খুলে দিল।
পৃথিবীর অভ্যন্তরে লুকিয়ে আছে বিপুল মূল্যবান ধাতু, যার মধ্যে সোনাও অন্যতম। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমন প্রমাণ পেয়েছেন, যা ইঙ্গিত দেয়—পৃথিবীর কেন্দ্র ধীরে ধীরে সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ‘লিক’ করছে বা বের করে দিচ্ছে।
এই গবেষণা সম্প্রতি ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। জার্মানির গটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-রসায়ন বিভাগের গবেষক নিলস মেসলিংয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় হাওয়াইয়ের আগ্নেয়গিরির শিলা পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে ‘রুথেনিয়াম’ নামে এক ধাতুর উপস্থিতি। এই ধাতু সাধারণত পৃথিবীর গভীরতম স্তর (কোর-ম্যান্টল) সীমান্ত থেকেই আসতে পারে। রুথেনিয়াম একটি ‘প্ল্যাটিনাম গ্রুপ মেটাল’। অর্থাৎ এটি দুষ্প্রাপ্য এবং অত্যন্ত মূল্যবান।
মেসলিং বলেন, ‘প্রথম ফলাফল পাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারলাম, আমরা সত্যিই সোনা খুঁজে পেয়েছি!’
পৃথিবীর গঠন মূলত তিনটি স্তরে বিভক্ত। এর মধ্যে বাইরের পাতলা আবরণ হলো—ক্রাস্ট, মাঝের স্তরটি ‘ম্যান্টল’ এবং সবচেয়ে গভীরে থাকা স্তরটিকে বলে ‘কোর’। কোর আবার দুই ভাগে বিভক্ত—বাইরের তরল ধাতব কোর এবং ভেতরের কঠিন কোর। কোরে রয়েছে বিপুল পরিমাণ লৌহ, নিকেল, সোনা ও অন্যান্য ধাতু। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর মোট সোনার প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ কোরে অবস্থান করছে।
এর আগে গবেষণায় দেখা গেছে, রুথেনিয়ামের রাসায়নিক গঠন পৃথিবীর গঠনের প্রাথমিক এবং পরবর্তী পর্যায়ে কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছিল। ফলে কোরে থাকা রুথেনিয়াম ম্যান্টলে থাকা রুথেনিয়ামের চেয়ে একটু ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, হাওয়াইয়ের আগ্নেয় শিলায় পাওয়া রুথেনিয়াম সাধারণ ম্যান্টলের চেয়ে অনেক বেশি ঘন। এর মানে, এই ধাতু পৃথিবীর কোর থেকে উঠে এসেছে এবং সম্ভবত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমেই এটি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছেছে।
এই আবিষ্কার শুধু কোরের সোনা বা রুথেনিয়ামের অস্তিত্বই নয়, বরং পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন এবং দ্বীপের উৎপত্তি সম্পর্কেও নতুন ধারণা দিচ্ছে বিজ্ঞানীদের। হাওয়াই যেমন একটি গভীর ম্যান্টল প্লুমের ওপরে অবস্থিত, যেখান থেকে গরম পাথরের ধারা উঠে এসে আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করছে। নতুন গবেষণা সেই ধারণার পক্ষে আরও এক দারুণ যুক্তি যোগ করল।
এ ছাড়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, আফ্রিকাতেও এমন একটি গভীর প্লুম পাওয়া গেছে, যা একসময় মহাদেশটিকে ভেঙে দেবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সেই প্লুমের উৎসও কোর-ম্যান্টল সীমান্তেই বলে মনে করা হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে, এই গবেষণা পৃথিবীর গভীরে থাকা রহস্যের দরজায় আরও একটি জানালা খুলে দিল।
মহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ‘ব্ল্যাক হোল’ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে তারা জানান, এমন একটি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যার জন্ম হতে পারে বিগ ব্যাংয়ের মাত্র এক সেকেন্ডেরও কম সময় পরে
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকার সময় অনুযায়ী, আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে অত্যন্ত বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ‘পেনুম্ব্রাল’ বা সূক্ষ্ম ছায়া পর্ব। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আংশিকভাবে গ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে।
২ দিন আগেপ্রায় দুই শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে শেখানো হয়ে আসছে যে, বরফের ওপর চাপ বা ঘর্ষণের ফলে তার পৃষ্ঠে একটি পাতলা তরল স্তর তৈরি হয়, আর এই তরল স্তরই বরফকে পিচ্ছিল করে তোলে। শীতপ্রধান দেশে বরফে ঢাকা ফুটপাতে হাঁটার সময় হঠাৎ পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা তাই অনেকেই এভাবে ব্যাখ্যা করতেন।
৩ দিন আগেপ্রকৃতি আবার সাজিয়েছে এক মায়াবী আয়োজন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও ফিরে আসছে ‘ব্লাড মুন’। অর্থাৎ চাঁদ রূপ বদলে হয়ে উঠবে লাল। এই রক্তিম আভা রাতের আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। আর বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দেখতে পাবে এই দুর্লভ চন্দ্রগ্রহণ।
৪ দিন আগে