মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম কোরবানি। কোরবানির গোশত নিজে এবং ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে খাওয়ানো যায়। আল্লাহ তাআলার জন্য পশু জবাই করা হলেও তার মাংস আমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ মনে করেন, কোরবানির মাংস তিন ভাগে...
দ্বিতীয় হিজরিতে কোরবানির বিধান আসার পর থেকে যত বছর আল্লাহর নবী (সা.) জীবিত ছিলেন, প্রতিবছর কোরবানি দিয়েছেন। নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিরাও এই ইবাদতে খুব যত্নশীল ছিলেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) দুটি ভেড়া কোরবানি দিতেন।
তাহাজ্জুদ মুমিনের মর্যাদার সোপান। রবের প্রিয় হওয়ার অন্যতম মাধ্যম। ফরজ নামাজের পরই তাহাজ্জুদের স্থান। তাহাজ্জুদের মাধ্যমে পাপ মুছে যায়। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তাহাজ্জুদ প্রাণহীন হৃদয় সজীব করার শ্রেষ্ঠ উপায়। তাহাজ্জুদের বিশেষ পাঁচ পুরস্কার রয়েছে—
এখন বৃষ্টির মৌসুম। যখন-তখন বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে কখনো ঘর থেকে বের হওয়ায় কঠিন হয়ে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টি, কাদা-ময়লার কারণে কোনো কোনো এলাকায় চলাচলও কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিকূল এই পরিস্থিতির কারণে সব ধরনের চেষ্টার পরও কেউ যদি অপ্রত্যাশিতভাবে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যেতে না পারে তাহলে করণীয় কী?
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী যে চারটি মাস সম্মানিত, তার একটি জিলহজ। হজ ও কোরবানির কারণে এই মাসের ফজিলত আরো বেড়ে গিয়েছে। হাদিসে জিলহজ মাসের বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো—নয় দিন নফল রোজা রাখা: জিলহজ মাসের প্রথম নয় দিন নফল রোজা রাখা মুস্তাহাব।
কাবা হলো পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর। হজরত আদম (আ.)-এর সৃষ্টির দুই হাজার বছর আগে ফেরেশতারা প্রথম কাবাঘর নির্মাণ করেন। এরপর হজরত আদম (আ.) পুনর্নির্মাণ করেন। তারপর হজরত নুহ (আ.) এবং পরে হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) মিলে কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেন।
সন্তান জন্মের পর মা-বাবার গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্তব্য হলো—তার নামে আকিকা করা। নবী করিম (সা.) বলেন, প্রত্যেক শিশু তার আকিকার সঙ্গে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু জবাই করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১৬৫)
আল্লাহ তাআলা এতই দয়ালু যে, তিনি চান না তাঁর একটা বান্দাও জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক। বরং তিনি চান, তাঁর বান্দারা পরকালীন অনন্ত জীবনে পরম শান্তিতে বসবাস করুক। সে জন্যই তো সৃষ্টি করেছেন চিরস্থায়ী সুখ নিবাস জান্নাত।
জিলহজ। আরবি বছরের শেষ মাস। হজ, কোরবানি, ও ঈদুল আজহার মাস। সম্মানের বিচারে জিলহজের রয়েছে অনন্য উচ্চতা।
মুসলমানদের প্রতিটি বৈধ কাজই নিয়ত শুদ্ধ থাকলে ইবাদতে পরিণত হয়। নতুন চাঁদ দেখাও এর ব্যতিক্রম নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) আকাশে নতুন চাঁদ দেখলে চমৎকার একটি দোয়া পড়তেন—যে দোয়া আমাদের জীবনে শান্তি, নিরাপত্তা এবং আল্লাহর বিশেষ বরকত আহ্বান করে।
গোটা পৃথিবী ছিল ঘন অমানিশায় আচ্ছন্ন। মজলুমের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছিল আকাশ-বাতাস। অসহায়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বঞ্চনার হিমালয়। গলাকাটা প্রাণীর মতো কাতরাচ্ছিলো মায়ের জাতি। বাতাসে ভেসে আসত নিপীড়িত মানুষের করুন আর্তনাদ।
জীবিত সন্তানের জন্য আকিকা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবাই করা। আলেমদের অনেকেই আকিকা করাকে সুন্নতে মুআক্কাদাহ বলেছেন।
মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
সুরা ওয়াকিয়া পবিত্র কোরআনের ৫৬ তম সুরা—যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৯৬। এই সুরায় কিয়ামত, আখিরাত, মানুষের ভাগ্য, জান্নাত-জাহান্নাম এবং আল্লাহর বিচার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মানুষ মরণশীল। সবার দুয়ারেই একদিন মৃত্যু হাজির হবে। ছাড়তে হবে মায়ার পৃথিবী। রওয়ানা করতে হবে অনন্ত পথের যাত্রায়—যে যাত্রা থেকে কেউ কোনোদিন ফিরে আসে না। যেখান থেকে শুরু হয় পরকালীন জীবন।
পবিত্র এই দিনে মানুষ দলে দলে জুমার নামাজে আসে। খুতবা শোনে। নামাজ আদায় করে। জুমার নামাজে আসার সময় হেঁটে মসজিদে এলে রয়েছে বিশেষ সওয়াব।
কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবানদের ওপর তা আদায় করা আবশ্যক। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদিসে কঠোর বার্তা এসেছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য আছে, কিন্তু কোরবানি করে না—সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’