মুফতি আইয়ুব নাদীম
স্থানকাল পাত্র বেঁধে ক্ষেত্র বিশেষ রাগের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও, সার্বিক বিবেচনায় কোনো মুমিন-মুত্তাকির জন্য রাগ কাম্য নয়। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণকে আল্লাহ কোরআনে মুত্তাকিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করা, মানুষকে ক্ষমা করা মুমিনের অন্যতম গুণ।
রাগ নিয়ন্ত্রণের ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে অনেক আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় (আল্লাহর জন্য অর্থ) ব্যয় করে এবং যারা নিজেদের ক্রোধ হজম করে ও মানুষকে ক্ষমা করতে অভ্যস্ত; আল্লাহ এরূপ পুণ্যবানদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৪)
কোরআনের আরেকটি আয়াতে মুমিনদের গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা বড় বড় গুনাহ ও অশ্লীল কর্ম পরিহার করে এবং যখন তাদের ক্রোধ দেখা দেয়, তখন ক্ষমা প্রদর্শন করে।’ (সুরা শুরা: ৩৭)
হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রাগের সময় ক্ষমতা থাকার পরও নিজেকে সংযত করে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাকে সবার সামনে ডেকে বিশেষভাবে সম্মানিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজা: ৪১৮৬)
হজরত আবু দারদা (রা.) একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি রাগ করবে না। তাহলে তোমার জন্য জান্নাত। (তবারানি: ২৩৫৩)
আরেকটি হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ (প্রকৃত) বীর সে নয়, যে কুস্তিতে (অপরকে পরাজিত করে)। প্রকৃত বীর (কুস্তিগির) তো সেই ব্যক্তি, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। (সহিহ্ বুখারি: ৬১১৪)
ওপর একটি হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বান্দার ক্রোধ সংবরণে যে মহান প্রতিদান রয়েছে, তা অন্য কিছু সংবরণে নেই।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ৪১৮৯)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
স্থানকাল পাত্র বেঁধে ক্ষেত্র বিশেষ রাগের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও, সার্বিক বিবেচনায় কোনো মুমিন-মুত্তাকির জন্য রাগ কাম্য নয়। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণকে আল্লাহ কোরআনে মুত্তাকিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করা, মানুষকে ক্ষমা করা মুমিনের অন্যতম গুণ।
রাগ নিয়ন্ত্রণের ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে অনেক আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় (আল্লাহর জন্য অর্থ) ব্যয় করে এবং যারা নিজেদের ক্রোধ হজম করে ও মানুষকে ক্ষমা করতে অভ্যস্ত; আল্লাহ এরূপ পুণ্যবানদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৪)
কোরআনের আরেকটি আয়াতে মুমিনদের গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা বড় বড় গুনাহ ও অশ্লীল কর্ম পরিহার করে এবং যখন তাদের ক্রোধ দেখা দেয়, তখন ক্ষমা প্রদর্শন করে।’ (সুরা শুরা: ৩৭)
হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রাগের সময় ক্ষমতা থাকার পরও নিজেকে সংযত করে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাকে সবার সামনে ডেকে বিশেষভাবে সম্মানিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজা: ৪১৮৬)
হজরত আবু দারদা (রা.) একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি রাগ করবে না। তাহলে তোমার জন্য জান্নাত। (তবারানি: ২৩৫৩)
আরেকটি হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ (প্রকৃত) বীর সে নয়, যে কুস্তিতে (অপরকে পরাজিত করে)। প্রকৃত বীর (কুস্তিগির) তো সেই ব্যক্তি, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। (সহিহ্ বুখারি: ৬১১৪)
ওপর একটি হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বান্দার ক্রোধ সংবরণে যে মহান প্রতিদান রয়েছে, তা অন্য কিছু সংবরণে নেই।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ৪১৮৯)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
সপ্তাহের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ দিন জুমাবার। মুমিনের জীবনে দিনটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এ দিনের নামে স্বতন্ত্র সুরা অবতীর্ণ করেছেন। জুমার দিনের গুরুত্ব, তাৎপর্য নিয়ে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেসুসান্নিধ্য এবং সৎ সাহচর্যের প্রভাব অনেক। এর মাধ্যমে সহজেই মানুষের ভেতর পরিবর্তন আসে। সুসান্নিধ্য গ্রহণ তাই অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো’ (সুরা তাওবা: ১১৯)
১৩ ঘণ্টা আগেএই প্রশ্ন যেন আমাদের অস্তিত্বের অন্তস্তলে খোঁচা দিতে থাকে। হিমালয়ের তুষারাবৃত শৃঙ্গ থেকে শুরু করে মরুর বালুকণা, প্রতিটি প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই বিশাল সৃষ্টি হঠাৎ করে হয়নি, এবং আমরাও কোনো হঠাৎ এসে যাওয়া এক টুকরো ধুলো নই। আমাদের সৃষ্টির পেছনে রয়েছে গভীর উদ্দেশ্য।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক, সফর, নেতৃত্ব ও সাহচর্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ ও সুন্নাহ। মহানবী (সা.)-এর পারিবারিক জীবনে দেখা যায়, তিনি স্ত্রীদের মর্যাদা দিতেন, তাদের মতামত গ্রহণ করতেন এবং প্রয়োজনীয় সফরে তাঁদের কাউকে সঙ্গী করতেন। শুধু দাম্পত্
১ দিন আগে