শাব্বির আহমদ
প্রতিদিন সূর্য যেমন পূর্ব দিগন্তে উদিত হয়, ঠিক তেমনি প্রতিদিন আমরা নতুন করে প্রশ্ন করি—‘আল্লাহ কেন মানুষ সৃষ্টি করলেন?’
এই প্রশ্ন যেন আমাদের অস্তিত্বের অন্তস্তলে খোঁচা দিতে থাকে। হিমালয়ের তুষারাবৃত শৃঙ্গ থেকে শুরু করে মরুর বালুকণা, প্রতিটি প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই বিশাল সৃষ্টি হঠাৎ করে হয়নি, এবং আমরাও কোনো হঠাৎ এসে যাওয়া এক টুকরো ধুলো নই। আমাদের সৃষ্টির পেছনে রয়েছে গভীর উদ্দেশ্য।
কোরআন আমাদের বলে, ‘আমি জিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্য।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৬)
এই আয়াত আমাদের খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়—মানুষের মূল দায়িত্ব আল্লাহর ইবাদত, তাঁকে চেনা, তাঁকে ভালোবাসা। মানুষ কেবল খাওয়া-পরা আর বংশবৃদ্ধির জন্য সৃষ্টি হয়নি। মানুষের আছে আত্মা, আছে চিন্তা, আছে বিবেক। এই সবকিছু মিলে তাকে তৈরি করা হয়েছে এক মহান উদ্দেশ্যের জন্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের আত্মাকে চিনল, সে তার প্রভুকেও চিনল।’ (ইবনু আবি দুনিয়া)
এই হাদিস আমাদের বলে, আত্ম-অনুসন্ধানই আল্লাহকে জানার পথ। মানুষ নিজের মধ্যে ডুব দিলে, তার প্রশ্নগুলো গভীর থেকে গভীরে নিয়ে যায়—কে আমি? কোথা থেকে এলাম? কোথায় যাচ্ছি?
কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য; তোমাদের মধ্যে কে কর্মে উত্তম।’ (সুরা মুলক: ২)
এই আয়াতে জানা গেল—জীবন একটি পরীক্ষা। এই পৃথিবী হলো পরীক্ষার কেন্দ্র। আর মৃত্যুর পর শুরু হবে চূড়ান্ত ফলাফলের অধ্যায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুনিয়া হলো মুমিনের কারাগার, আর কাফেরের জান্নাত।’ (সহিহ্ মুসলিম)
এই দুনিয়া তাই আনন্দভোগের জায়গা নয়; বরং প্রস্তুতির জায়গা। পাহাড়-নদী-আকাশ সবই আমাদের শিক্ষা দেয়—সবকিছুর যেমন সীমা আছে, তেমনি এই দুনিয়ারও এক শেষ আছে।
আমরা কোথা থেকে এসেছি, কেন এসেছি, এবং কোথায় যাচ্ছি—এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই আমাদের জীবনের প্রকৃত সাধনা। যেদিন আমরা বুঝে যাব, ‘আমি সৃষ্টি হয়েছি আল্লাহকে জানবার জন্য, তাঁর ইবাদতের জন্য’—সেদিন থেকেই শুরু হবে আমাদের অনন্ত যাত্রা, সে যাত্রা হবে প্রকৃত গন্তব্যের দিকে।
লেখক: শিক্ষার্থী, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম খিলগাঁও
প্রতিদিন সূর্য যেমন পূর্ব দিগন্তে উদিত হয়, ঠিক তেমনি প্রতিদিন আমরা নতুন করে প্রশ্ন করি—‘আল্লাহ কেন মানুষ সৃষ্টি করলেন?’
এই প্রশ্ন যেন আমাদের অস্তিত্বের অন্তস্তলে খোঁচা দিতে থাকে। হিমালয়ের তুষারাবৃত শৃঙ্গ থেকে শুরু করে মরুর বালুকণা, প্রতিটি প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই বিশাল সৃষ্টি হঠাৎ করে হয়নি, এবং আমরাও কোনো হঠাৎ এসে যাওয়া এক টুকরো ধুলো নই। আমাদের সৃষ্টির পেছনে রয়েছে গভীর উদ্দেশ্য।
কোরআন আমাদের বলে, ‘আমি জিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্য।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৬)
এই আয়াত আমাদের খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়—মানুষের মূল দায়িত্ব আল্লাহর ইবাদত, তাঁকে চেনা, তাঁকে ভালোবাসা। মানুষ কেবল খাওয়া-পরা আর বংশবৃদ্ধির জন্য সৃষ্টি হয়নি। মানুষের আছে আত্মা, আছে চিন্তা, আছে বিবেক। এই সবকিছু মিলে তাকে তৈরি করা হয়েছে এক মহান উদ্দেশ্যের জন্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের আত্মাকে চিনল, সে তার প্রভুকেও চিনল।’ (ইবনু আবি দুনিয়া)
এই হাদিস আমাদের বলে, আত্ম-অনুসন্ধানই আল্লাহকে জানার পথ। মানুষ নিজের মধ্যে ডুব দিলে, তার প্রশ্নগুলো গভীর থেকে গভীরে নিয়ে যায়—কে আমি? কোথা থেকে এলাম? কোথায় যাচ্ছি?
কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য; তোমাদের মধ্যে কে কর্মে উত্তম।’ (সুরা মুলক: ২)
এই আয়াতে জানা গেল—জীবন একটি পরীক্ষা। এই পৃথিবী হলো পরীক্ষার কেন্দ্র। আর মৃত্যুর পর শুরু হবে চূড়ান্ত ফলাফলের অধ্যায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুনিয়া হলো মুমিনের কারাগার, আর কাফেরের জান্নাত।’ (সহিহ্ মুসলিম)
এই দুনিয়া তাই আনন্দভোগের জায়গা নয়; বরং প্রস্তুতির জায়গা। পাহাড়-নদী-আকাশ সবই আমাদের শিক্ষা দেয়—সবকিছুর যেমন সীমা আছে, তেমনি এই দুনিয়ারও এক শেষ আছে।
আমরা কোথা থেকে এসেছি, কেন এসেছি, এবং কোথায় যাচ্ছি—এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই আমাদের জীবনের প্রকৃত সাধনা। যেদিন আমরা বুঝে যাব, ‘আমি সৃষ্টি হয়েছি আল্লাহকে জানবার জন্য, তাঁর ইবাদতের জন্য’—সেদিন থেকেই শুরু হবে আমাদের অনন্ত যাত্রা, সে যাত্রা হবে প্রকৃত গন্তব্যের দিকে।
লেখক: শিক্ষার্থী, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম খিলগাঁও
ইতিহাস কেবল কাগজ-কলমে লেখা থাকে না, অনেক সময় তা দাঁড়িয়ে থাকে পাথর আর কাঠের অবিনাশী কীর্তিতে। তেমনই এক নিদর্শন কাঠ-পাথরের এক বিস্ময়কর মসজিদ। নিখাদ হস্তশিল্পে নির্মিত এই মসজিদটি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্থাপত্যকলার জীবন্ত সাক্ষী।
৫ মিনিট আগেআমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার মেয়েসন্তান হলে আয়েশা আর ছেলেসন্তান হলে নাম রাখব মুহাম্মদ। বিষয়টি আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে বলার পর সে বলল, ‘নবী (সা.)-এর নামে সন্তানের নাম রাখলে এতে নবীজিকে অসম্মান করা হয়।
৯ মিনিট আগেসপ্তাহের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ দিন জুমাবার। মুমিনের জীবনে দিনটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এ দিনের নামে স্বতন্ত্র সুরা অবতীর্ণ করেছেন। জুমার দিনের গুরুত্ব, তাৎপর্য নিয়ে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেস্থানকাল পাত্র বেঁধে ক্ষেত্র বিশেষ রাগের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও, সার্বিক বিবেচনায় কোনো মুমিন-মুত্তাকির জন্য রাগ কাম্য নয়। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণকে আল্লাহ কোরআনে মুত্তাকিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করা, মানুষকে ক্ষমা করা মুমিনের অন্যতম গুণ।
১৩ ঘণ্টা আগে