আপনার জিজ্ঞাসা
ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার মেয়েসন্তান হলে আয়েশা আর ছেলেসন্তান হলে নাম রাখব মুহাম্মদ। বিষয়টি আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে বলার পর সে বলল, ‘নবী (সা.)-এর নামে সন্তানের নাম রাখলে এতে নবীজিকে অসম্মান করা হয়। এটি আদবের খেলাপ।’ আমার বান্ধবীর কথাটি কি সঠিক?
উওর: নাম নিছক একটি শব্দ নয়; এটি এক গভীর পরিচয়, এক মানবিক মর্যাদা, এক আত্মার স্বাক্ষর। আমরা পৃথিবীতে এসেই যেমন প্রথম শ্বাস নিই, তেমনি আমাদের একটি নামও ঠিক হয়, যা আমাদের সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। এই নাম দিয়েই আমরা সমাজে পরিচিতি পাই, জীবনভর আমাদের পরিচয় বহন করে চলে। নাম কেবল সামাজিক স্বীকৃতির উপাদান নয়; বরং এটি একজন ব্যক্তির মূল্যবোধ, পারিবারিক রুচি, ধর্মীয় সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয়ের প্রতিফলন।
ইসলামে নামের গুরুত্ব ব্যাপক। ইসলাম নামকে শুধু একজন ব্যক্তির পরিচয়ের বাহন হিসেবে দেখেনি, বরং তা একজন মানুষের ইমান ও আকিদার ছায়াচিত্র হিসেবেও বিবেচনা করেছে। তাই সন্তানের জন্য একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম নির্বাচন করা পিতামাতার প্রথম দায়িত্বগুলোর একটি। এ বিষয়ে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের নাম ও পিতার নামে ডাকা হবে। তাই তোমরা সুন্দর নাম রাখো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪৮)
মুহাম্মদ। এ নামে যেন অন্য রকম এক আবেগ মিশে আছে। মুমিনের হৃদয় এ নামে সিক্ত হয়। এ ছাড়া পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় নামগুলোর একটি ‘মুহাম্মদ’। এটি উত্তম ও বরকতময় নাম। এ নাম রাখায় কোনো সমস্যা নেই। বরকতময় এ নাম রাখার উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। একাধিক বিশুদ্ধ হাদিসে এ নাম রাখার বৈধতা প্রমাণিত। হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, আমাদের মধ্যে এক ব্যক্তির ছেলেসন্তান জন্মাল। সে তার নাম রাখল মুহাম্মদ। তার গোত্রের লোকেরা বলল, ‘আমরা তোমাকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নামে নাম রাখতে দেব না।’ তখন সেই ব্যক্তি তার ছেলেকে নিয়ে নবীজির দরবারে হাজির হলো। বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার একটি ছেলে হয়েছে। আমি তার নাম রেখেছি মুহাম্মদ। কিন্তু আমার গোত্রের লোকজন বলছে, আমরা রাসুলের নামে নামকরণ করতে দেব না।’ নবী করিম (সা.) তখন বললেন, ‘তোমরা আমার নামে নাম রাখো; কিন্তু আমার উপনাম গ্রহণ কোরো না। নিশ্চয়ই আমিই কাসেম বা বণ্টনকারী। আমি তোমাদের মধ্যে বণ্টন করি।’ (সহিহ মুসলিম: ২১৩৩)
তবে বিশ্বখ্যাত ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত এক ফতোয়ায় বলা হয়েছে, মুহাম্মদ নাম রাখার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে—ডাকার সময় যেন নামটি বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করা হয়। কোনোভাবেই যেন বরকতময় এই নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণ করা না হয়। সাবধান থাকতে হবে, বলার ভঙ্গিতেও যেন কখনো অবহেলা প্রকাশ না পায়।’
আমাদের সমাজে অনেক সময় সন্তান দুষ্টুমি করলে তাকে নাম বিকৃত করে ডাকা হয়। তাই ওই ফতোয়াটিতে বলা হয়েছে, ‘সন্তানের নাম মুহাম্মদ রাখলে সঙ্গে ডাকনাম হিসেবে আলাদা কোনো নাম রাখা উত্তম; যে নামে তাকে সব সময় ডাকা হবে।’ (দারুল উলুম দেওবন্দ ওয়েবসাইট, ফতোয়া নম্বর: ৬০৫৯১২)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার মেয়েসন্তান হলে আয়েশা আর ছেলেসন্তান হলে নাম রাখব মুহাম্মদ। বিষয়টি আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে বলার পর সে বলল, ‘নবী (সা.)-এর নামে সন্তানের নাম রাখলে এতে নবীজিকে অসম্মান করা হয়। এটি আদবের খেলাপ।’ আমার বান্ধবীর কথাটি কি সঠিক?
উওর: নাম নিছক একটি শব্দ নয়; এটি এক গভীর পরিচয়, এক মানবিক মর্যাদা, এক আত্মার স্বাক্ষর। আমরা পৃথিবীতে এসেই যেমন প্রথম শ্বাস নিই, তেমনি আমাদের একটি নামও ঠিক হয়, যা আমাদের সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। এই নাম দিয়েই আমরা সমাজে পরিচিতি পাই, জীবনভর আমাদের পরিচয় বহন করে চলে। নাম কেবল সামাজিক স্বীকৃতির উপাদান নয়; বরং এটি একজন ব্যক্তির মূল্যবোধ, পারিবারিক রুচি, ধর্মীয় সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয়ের প্রতিফলন।
ইসলামে নামের গুরুত্ব ব্যাপক। ইসলাম নামকে শুধু একজন ব্যক্তির পরিচয়ের বাহন হিসেবে দেখেনি, বরং তা একজন মানুষের ইমান ও আকিদার ছায়াচিত্র হিসেবেও বিবেচনা করেছে। তাই সন্তানের জন্য একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম নির্বাচন করা পিতামাতার প্রথম দায়িত্বগুলোর একটি। এ বিষয়ে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের নাম ও পিতার নামে ডাকা হবে। তাই তোমরা সুন্দর নাম রাখো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪৮)
মুহাম্মদ। এ নামে যেন অন্য রকম এক আবেগ মিশে আছে। মুমিনের হৃদয় এ নামে সিক্ত হয়। এ ছাড়া পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় নামগুলোর একটি ‘মুহাম্মদ’। এটি উত্তম ও বরকতময় নাম। এ নাম রাখায় কোনো সমস্যা নেই। বরকতময় এ নাম রাখার উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। একাধিক বিশুদ্ধ হাদিসে এ নাম রাখার বৈধতা প্রমাণিত। হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, আমাদের মধ্যে এক ব্যক্তির ছেলেসন্তান জন্মাল। সে তার নাম রাখল মুহাম্মদ। তার গোত্রের লোকেরা বলল, ‘আমরা তোমাকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নামে নাম রাখতে দেব না।’ তখন সেই ব্যক্তি তার ছেলেকে নিয়ে নবীজির দরবারে হাজির হলো। বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার একটি ছেলে হয়েছে। আমি তার নাম রেখেছি মুহাম্মদ। কিন্তু আমার গোত্রের লোকজন বলছে, আমরা রাসুলের নামে নামকরণ করতে দেব না।’ নবী করিম (সা.) তখন বললেন, ‘তোমরা আমার নামে নাম রাখো; কিন্তু আমার উপনাম গ্রহণ কোরো না। নিশ্চয়ই আমিই কাসেম বা বণ্টনকারী। আমি তোমাদের মধ্যে বণ্টন করি।’ (সহিহ মুসলিম: ২১৩৩)
তবে বিশ্বখ্যাত ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত এক ফতোয়ায় বলা হয়েছে, মুহাম্মদ নাম রাখার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে—ডাকার সময় যেন নামটি বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করা হয়। কোনোভাবেই যেন বরকতময় এই নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণ করা না হয়। সাবধান থাকতে হবে, বলার ভঙ্গিতেও যেন কখনো অবহেলা প্রকাশ না পায়।’
আমাদের সমাজে অনেক সময় সন্তান দুষ্টুমি করলে তাকে নাম বিকৃত করে ডাকা হয়। তাই ওই ফতোয়াটিতে বলা হয়েছে, ‘সন্তানের নাম মুহাম্মদ রাখলে সঙ্গে ডাকনাম হিসেবে আলাদা কোনো নাম রাখা উত্তম; যে নামে তাকে সব সময় ডাকা হবে।’ (দারুল উলুম দেওবন্দ ওয়েবসাইট, ফতোয়া নম্বর: ৬০৫৯১২)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়...
৪ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাষায় এ কথা বলেও দিয়েছেন। সুরা জারিয়াতের ৫৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আমি জিন ও মানুষ কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে।’ আর মানুষের মাধ্যমে ইবাদত তখনই বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব, যখন মানুষ থাকবে জীবন্ত।
৪ ঘণ্টা আগেইতিহাস কেবল কাগজ-কলমে লেখা থাকে না, অনেক সময় তা দাঁড়িয়ে থাকে পাথর আর কাঠের অবিনাশী কীর্তিতে। তেমনই এক নিদর্শন কাঠ-পাথরের এক বিস্ময়কর মসজিদ। নিখাদ হস্তশিল্পে নির্মিত এই মসজিদটি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্থাপত্যকলার জীবন্ত সাক্ষী।
৪ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ দিন জুমাবার। মুমিনের জীবনে দিনটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এ দিনের নামে স্বতন্ত্র সুরা অবতীর্ণ করেছেন। জুমার দিনের গুরুত্ব, তাৎপর্য নিয়ে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে