অনলাইন ডেস্ক
ইয়েমেনে এক ভারতীয় নার্সের হাতে নিহত ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আবদো মাহদির পরিবার জানিয়েছে, তারা কোনো অবস্থাতেই হত্যাকারী নিমিশা প্রিয়াকে ক্ষমা করবে না। এতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে একটি সমঝোতার আশায় থাকা তাঁর পরিবারের আশা ভঙ্গ হলো।
তালাল মাহদির ভাই আবদেলফাত্তাহ মাহদি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমরা কোনো রকমের সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করছি। ন্যায়বিচারের অর্থই হলো মৃত্যুদণ্ড। রক্ত কেনা যায় না।’
তিনি জানান, মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হলেও তাঁরা ‘আল্লাহর সাহায্যে’ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।
৩৮ বছর বয়সী নিমিশা প্রিয়া ভারতের কেরালার বাসিন্দা। ২০০৮ সালে তিনি নার্স হিসেবে কাজ করতে ইয়েমেন যান এবং স্থানীয় আইনের অধীনে ইয়েমেনি নাগরিক মাহদির সঙ্গে যৌথভাবে একটি ক্লিনিক চালু করেন। ২০১৭ সালে মাহদির মরদেহ কেটে টুকরো করে পানির ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিমিশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগ ওঠে, মাহদি নিমিশাকে হয়রানি করছিলেন, অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন এবং তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করে দেশে ফেরার পথ বন্ধ করে দেন। পালানোর পথ খুঁজতে গিয়ে নিমিশা তাঁকে চেতনানাশক ইনজেকশন দেন। এই ইনজেকশন পরে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
এই অপরাধে ইয়েমেনের স্থানীয় আদালত ২০২০ সালে নিমিশাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে নিমিশার পরিবার সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করলেও তা ২০২৩ সালে খারিজ হয়ে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হুতি বিদ্রোহী সরকারের প্রেসিডেন্ট মাহদি আল-মাশাত তাঁর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেন।
এদিকে ইয়েমেনের ইসলামি আইন অনুযায়ী—খুনের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে ‘দিয়াত’ (রক্তমূল্য) পরিশোধ করে ক্ষমা পেতে পারেন। তবে মাহদির পরিবার জানিয়েছে, তারা কোনো রকম অর্থের বিনিময়ে নিমিশাকে ক্ষমা করতে রাজি নয়।
মাহদির ভাই বলেন, ‘আমরা জানি, আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু এসবে আমাদের অবস্থান বদলাবে না। আমরা কিসাস চাই—বদলার বিচার এবং অন্য কিছুই না।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রশাদ আল-আলিমি নিমিশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এক দিন আগে তা স্থগিত করেন। এর লক্ষ্য হলো—শেষ পর্যন্ত দিয়াত চুক্তির মাধ্যমে নিমিশার দণ্ড মওকুফ করতে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে রাজি করানো যায় কি না। তবে সেটি সাময়িক স্বস্তি ছাড়া কিছু নয়। পরিবারের ক্ষমা ছাড়া এই মৃত্যুদণ্ড রোধ সম্ভব নয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, নিমিশার পরিবার নিহত মাহদির পরিবারকে ‘রক্তমূল্য’ হিসেবে ১০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। নিমিশার মা গত এক বছর ধরে তিনি ইয়েমেনে অবস্থান করছেন মেয়েকে বাঁচানোর প্রচেষ্টায়। কিন্তু মাহদির পরিবার তাঁর সব প্রচেষ্টাকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমানে নিমিশা প্রিয়া ইয়েমেনের রাজধানী সানায় কারাবন্দী। এই অঞ্চল হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।
ইয়েমেনে এক ভারতীয় নার্সের হাতে নিহত ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আবদো মাহদির পরিবার জানিয়েছে, তারা কোনো অবস্থাতেই হত্যাকারী নিমিশা প্রিয়াকে ক্ষমা করবে না। এতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে একটি সমঝোতার আশায় থাকা তাঁর পরিবারের আশা ভঙ্গ হলো।
তালাল মাহদির ভাই আবদেলফাত্তাহ মাহদি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমরা কোনো রকমের সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করছি। ন্যায়বিচারের অর্থই হলো মৃত্যুদণ্ড। রক্ত কেনা যায় না।’
তিনি জানান, মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হলেও তাঁরা ‘আল্লাহর সাহায্যে’ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।
৩৮ বছর বয়সী নিমিশা প্রিয়া ভারতের কেরালার বাসিন্দা। ২০০৮ সালে তিনি নার্স হিসেবে কাজ করতে ইয়েমেন যান এবং স্থানীয় আইনের অধীনে ইয়েমেনি নাগরিক মাহদির সঙ্গে যৌথভাবে একটি ক্লিনিক চালু করেন। ২০১৭ সালে মাহদির মরদেহ কেটে টুকরো করে পানির ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিমিশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগ ওঠে, মাহদি নিমিশাকে হয়রানি করছিলেন, অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন এবং তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করে দেশে ফেরার পথ বন্ধ করে দেন। পালানোর পথ খুঁজতে গিয়ে নিমিশা তাঁকে চেতনানাশক ইনজেকশন দেন। এই ইনজেকশন পরে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
এই অপরাধে ইয়েমেনের স্থানীয় আদালত ২০২০ সালে নিমিশাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে নিমিশার পরিবার সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করলেও তা ২০২৩ সালে খারিজ হয়ে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হুতি বিদ্রোহী সরকারের প্রেসিডেন্ট মাহদি আল-মাশাত তাঁর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেন।
এদিকে ইয়েমেনের ইসলামি আইন অনুযায়ী—খুনের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে ‘দিয়াত’ (রক্তমূল্য) পরিশোধ করে ক্ষমা পেতে পারেন। তবে মাহদির পরিবার জানিয়েছে, তারা কোনো রকম অর্থের বিনিময়ে নিমিশাকে ক্ষমা করতে রাজি নয়।
মাহদির ভাই বলেন, ‘আমরা জানি, আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু এসবে আমাদের অবস্থান বদলাবে না। আমরা কিসাস চাই—বদলার বিচার এবং অন্য কিছুই না।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রশাদ আল-আলিমি নিমিশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এক দিন আগে তা স্থগিত করেন। এর লক্ষ্য হলো—শেষ পর্যন্ত দিয়াত চুক্তির মাধ্যমে নিমিশার দণ্ড মওকুফ করতে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে রাজি করানো যায় কি না। তবে সেটি সাময়িক স্বস্তি ছাড়া কিছু নয়। পরিবারের ক্ষমা ছাড়া এই মৃত্যুদণ্ড রোধ সম্ভব নয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, নিমিশার পরিবার নিহত মাহদির পরিবারকে ‘রক্তমূল্য’ হিসেবে ১০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। নিমিশার মা গত এক বছর ধরে তিনি ইয়েমেনে অবস্থান করছেন মেয়েকে বাঁচানোর প্রচেষ্টায়। কিন্তু মাহদির পরিবার তাঁর সব প্রচেষ্টাকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমানে নিমিশা প্রিয়া ইয়েমেনের রাজধানী সানায় কারাবন্দী। এই অঞ্চল হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।
তিনি ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো যুগের পর যুগ ধরে রাশিয়ার প্রতি অবিশ্বাস ও শত্রুতার মনোভাব পোষণ করে এসেছে। পিটার দা গ্রেটের আমল থেকেই তারা রাশিয়াকে ইউরোপীয় পরিবারে উপযুক্তভাবে স্থান দিতে চায়নি। বরং একে দুর্বল করে রাখার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছে।’
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার তরুণ উদ্যোক্তা ও আইসক্রিম দোকানের মালিক ছিলেন ২০ বছর বয়সী সাইফোল্লাহ মুসাল্লেত। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। তাঁর শোকবিহ্বল পরিবারের আশা—এই তরুণ যেন ‘শুধু আরেকটি সংখ্যা’ হয়ে হারিয়ে না যান।
২ ঘণ্টা আগেসাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে আরআইসিকে পুনরুজ্জীবিত করার আগ্রহ বেড়েছে, বিশেষত ভারতের কোয়াড সদস্য হওয়ার পর। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার এই জোটকে বেইজিং মনে করে নিজেদের উত্থান ঠেকানোর জন্য গঠিত একটি জোট। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা...
৩ ঘণ্টা আগেসিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলাকে কেন্দ্র করে তুরস্ক তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে তুরস্ক তাদের এই অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, আঙ্কারা আঞ্চলিক শক্তি...
৪ ঘণ্টা আগে