মুফতি উবায়দুল হক খান

মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়, তখনই সৃষ্টি হয় অরাজকতা। ইসলামে অরাজকতা, অস্থিরতা, হানাহানি, ফিতনা ও অশান্তি সৃষ্টিকে ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসবের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে মানুষকে বারবার সতর্কও করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ফিতনা হত্যা অপেক্ষাও গুরুতর।’ (সুরা বাকারা: ১৯১)। এই আয়াতে ‘ফিতনা’ শব্দটি এমন একটি সামাজিক অবস্থা বোঝায়, যেখানে অন্যায়, জুলুম, বিশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি একটি জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়, আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা মায়েদা: ৬৪)। এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, যারা শান্ত সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে, তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে অপছন্দের। তারা অভিশপ্ত।
অরাজকতার প্রকারভেদ
ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে অরাজকতা কেবল রাজনৈতিক বা শারীরিক সংঘর্ষ নয়, বরং মনের মধ্যে ফিতনা, মতবিরোধ, মিথ্যা প্রচার, পরচর্চা, ঘৃণা ছড়ানো, সামাজিক বিভাজন ইত্যাদিও অরাজকতার অন্তর্ভুক্ত। যেমন, এক. রাজনৈতিক অরাজকতা: যা নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব, বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ ইত্যাদি রাজনৈতিক অরাজকতা সমাজকে বিভক্ত করে ফেলে। দুই. ধর্মীয় অরাজকতা: যা সঠিক ইসলামি শিক্ষা না জানার কারণে অনেক সময় ভ্রান্ত মতবাদ সমাজে ছড়ায়, যা বিভ্রান্তি ও হিংসার জন্ম দেয়। তিন. সামাজিক ও নৈতিক অরাজকতা: যা নৈতিক অবক্ষয়, মাদকাসক্ত, ব্যভিচার, চুরি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সমাজে ফিতনা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর গজবকে আমন্ত্রণ জানায়।
নবীজি (সা.)-এর সতর্কবার্তা
রাসুলুল্লাহ (সা.) ফিতনার সময় মুসলমানদের সতর্কতা ও ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ফিতনার সময় যে বসে থাকবে, সে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। যে দাঁড়িয়ে থাকবে, সে চলমান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। যে চলবে, সে দৌড়ানো ব্যক্তির চেয়ে উত্তম।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)। এই হাদিসে ফিতনার সময় তৎপর না হওয়ার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে; কারণ, এতে নিজের ও অন্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরেকটি হাদিসে এসেছে, ‘একটি সময় আসবে, যখন ফিতনা তোমাদের ঘরের দরজায় এমনভাবে উপস্থিত হবে, যেমন বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে।’ (সহিহ বুখারি)। এই ভবিষ্যদ্বাণী আজ আমাদের সমাজে বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ঘরে বসেই সোশ্যাল মিডিয়া, ভ্রান্ত মতবাদ ও গুজবের মাধ্যমে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।
সমাজে অরাজকতার পরিণতি
এক. নৈতিক পতন: সমাজে যখন অরাজকতা সৃষ্টি হয়, তখন সত্য-মিথ্যার পার্থক্য ঘুচে যায়। মানুষ নিজ স্বার্থে মিথ্যা প্রচারে লিপ্ত হয়। দুই. আল্লাহর গজব: ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যেসব জাতি সমাজে জুলুম, অন্যায় ও অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। যেমন, কওমে লুত, কওমে সামুদ, কওমে আদ। তিন. বিশ্বাসের অবক্ষয়: অরাজকতার সময় মানুষ পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। ফলে সামাজিক বন্ধন দুর্বল হয়। চার. নিরাপত্তাহীনতা: মানুষ জানমাল নিয়ে আতঙ্কে থাকে। শিশু, নারী, বৃদ্ধ—কেউই নিরাপদ থাকে না।
প্রতিকারে করণীয়
এক. সত্যিকারের তাওহিদ ও তাকওয়া অর্জন: আল্লাহভীতি মানুষকে অন্যায় ও ফিতনা থেকে বিরত রাখে। তাকওয়াবান ব্যক্তি নিজের স্বার্থের জন্য সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে না।
দুই. ইসলামি জ্ঞানের চর্চা: সঠিক ইসলামি জ্ঞান মানুষকে বিভ্রান্তি ও ভ্রান্ত মতবাদ থেকে রক্ষা করে। কোরআন-হাদিসের আলোকে সঠিক পথ অন্বেষণ করা জরুরি।
তিন. সামাজিক দায়িত্ব পালন: প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় কাজ দেখবে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিহত করে; যদি তা না পারে, তবে মুখ দিয়ে; তাও যদি না পারে, তবে অন্তরে ঘৃণা করুক—এটাই ইমানের সর্বনিম্ন স্তর।’ (সহিহ মুসলিম)
চার. নেতার প্রতি আনুগত্য ও সংযম: ইসলাম সরকার বা নেতার প্রতি আনুগত্যের নির্দেশ দিয়েছে, যদি না তারা প্রকাশ্যে কুফর করে। আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার (নিয়োগকৃত) নেতার অবাধ্য হলো, সে যেন আমার অবাধ্য হলো।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)
পাঁচ. দোয়া ও ধৈর্য: ফিতনার সময় মুসলমানদের উচিত আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং ধৈর্য ধারণ করা।
সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি করা শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। ইসলামে এমন ফিতনার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এবং সমাজে শান্তি, ইনসাফ, সহানুভূতি ও সংহতির প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আমাদের কর্তব্য হলো সত্যিকারের ইসলামি জীবনচর্চার মাধ্যমে সমাজকে ফিতনা ও অরাজকতা থেকে রক্ষা করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ অনুসরণ করা।
লেখক: মুহতামিম, জহিরুল উলুম মহিলা মাদরাসা, গাজীপুর

মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়, তখনই সৃষ্টি হয় অরাজকতা। ইসলামে অরাজকতা, অস্থিরতা, হানাহানি, ফিতনা ও অশান্তি সৃষ্টিকে ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসবের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে মানুষকে বারবার সতর্কও করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ফিতনা হত্যা অপেক্ষাও গুরুতর।’ (সুরা বাকারা: ১৯১)। এই আয়াতে ‘ফিতনা’ শব্দটি এমন একটি সামাজিক অবস্থা বোঝায়, যেখানে অন্যায়, জুলুম, বিশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি একটি জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়, আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা মায়েদা: ৬৪)। এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, যারা শান্ত সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে, তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে অপছন্দের। তারা অভিশপ্ত।
অরাজকতার প্রকারভেদ
ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে অরাজকতা কেবল রাজনৈতিক বা শারীরিক সংঘর্ষ নয়, বরং মনের মধ্যে ফিতনা, মতবিরোধ, মিথ্যা প্রচার, পরচর্চা, ঘৃণা ছড়ানো, সামাজিক বিভাজন ইত্যাদিও অরাজকতার অন্তর্ভুক্ত। যেমন, এক. রাজনৈতিক অরাজকতা: যা নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব, বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ ইত্যাদি রাজনৈতিক অরাজকতা সমাজকে বিভক্ত করে ফেলে। দুই. ধর্মীয় অরাজকতা: যা সঠিক ইসলামি শিক্ষা না জানার কারণে অনেক সময় ভ্রান্ত মতবাদ সমাজে ছড়ায়, যা বিভ্রান্তি ও হিংসার জন্ম দেয়। তিন. সামাজিক ও নৈতিক অরাজকতা: যা নৈতিক অবক্ষয়, মাদকাসক্ত, ব্যভিচার, চুরি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সমাজে ফিতনা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর গজবকে আমন্ত্রণ জানায়।
নবীজি (সা.)-এর সতর্কবার্তা
রাসুলুল্লাহ (সা.) ফিতনার সময় মুসলমানদের সতর্কতা ও ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ফিতনার সময় যে বসে থাকবে, সে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। যে দাঁড়িয়ে থাকবে, সে চলমান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। যে চলবে, সে দৌড়ানো ব্যক্তির চেয়ে উত্তম।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)। এই হাদিসে ফিতনার সময় তৎপর না হওয়ার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে; কারণ, এতে নিজের ও অন্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরেকটি হাদিসে এসেছে, ‘একটি সময় আসবে, যখন ফিতনা তোমাদের ঘরের দরজায় এমনভাবে উপস্থিত হবে, যেমন বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে।’ (সহিহ বুখারি)। এই ভবিষ্যদ্বাণী আজ আমাদের সমাজে বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ঘরে বসেই সোশ্যাল মিডিয়া, ভ্রান্ত মতবাদ ও গুজবের মাধ্যমে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।
সমাজে অরাজকতার পরিণতি
এক. নৈতিক পতন: সমাজে যখন অরাজকতা সৃষ্টি হয়, তখন সত্য-মিথ্যার পার্থক্য ঘুচে যায়। মানুষ নিজ স্বার্থে মিথ্যা প্রচারে লিপ্ত হয়। দুই. আল্লাহর গজব: ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যেসব জাতি সমাজে জুলুম, অন্যায় ও অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। যেমন, কওমে লুত, কওমে সামুদ, কওমে আদ। তিন. বিশ্বাসের অবক্ষয়: অরাজকতার সময় মানুষ পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। ফলে সামাজিক বন্ধন দুর্বল হয়। চার. নিরাপত্তাহীনতা: মানুষ জানমাল নিয়ে আতঙ্কে থাকে। শিশু, নারী, বৃদ্ধ—কেউই নিরাপদ থাকে না।
প্রতিকারে করণীয়
এক. সত্যিকারের তাওহিদ ও তাকওয়া অর্জন: আল্লাহভীতি মানুষকে অন্যায় ও ফিতনা থেকে বিরত রাখে। তাকওয়াবান ব্যক্তি নিজের স্বার্থের জন্য সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে না।
দুই. ইসলামি জ্ঞানের চর্চা: সঠিক ইসলামি জ্ঞান মানুষকে বিভ্রান্তি ও ভ্রান্ত মতবাদ থেকে রক্ষা করে। কোরআন-হাদিসের আলোকে সঠিক পথ অন্বেষণ করা জরুরি।
তিন. সামাজিক দায়িত্ব পালন: প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় কাজ দেখবে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিহত করে; যদি তা না পারে, তবে মুখ দিয়ে; তাও যদি না পারে, তবে অন্তরে ঘৃণা করুক—এটাই ইমানের সর্বনিম্ন স্তর।’ (সহিহ মুসলিম)
চার. নেতার প্রতি আনুগত্য ও সংযম: ইসলাম সরকার বা নেতার প্রতি আনুগত্যের নির্দেশ দিয়েছে, যদি না তারা প্রকাশ্যে কুফর করে। আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার (নিয়োগকৃত) নেতার অবাধ্য হলো, সে যেন আমার অবাধ্য হলো।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)
পাঁচ. দোয়া ও ধৈর্য: ফিতনার সময় মুসলমানদের উচিত আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং ধৈর্য ধারণ করা।
সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি করা শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। ইসলামে এমন ফিতনার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এবং সমাজে শান্তি, ইনসাফ, সহানুভূতি ও সংহতির প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আমাদের কর্তব্য হলো সত্যিকারের ইসলামি জীবনচর্চার মাধ্যমে সমাজকে ফিতনা ও অরাজকতা থেকে রক্ষা করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ অনুসরণ করা।
লেখক: মুহতামিম, জহিরুল উলুম মহিলা মাদরাসা, গাজীপুর
মুফতি উবায়দুল হক খান

মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়, তখনই সৃষ্টি হয় অরাজকতা। ইসলামে অরাজকতা, অস্থিরতা, হানাহানি, ফিতনা ও অশান্তি সৃষ্টিকে ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসবের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে মানুষকে বারবার সতর্কও করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ফিতনা হত্যা অপেক্ষাও গুরুতর।’ (সুরা বাকারা: ১৯১)। এই আয়াতে ‘ফিতনা’ শব্দটি এমন একটি সামাজিক অবস্থা বোঝায়, যেখানে অন্যায়, জুলুম, বিশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি একটি জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়, আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা মায়েদা: ৬৪)। এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, যারা শান্ত সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে, তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে অপছন্দের। তারা অভিশপ্ত।
অরাজকতার প্রকারভেদ
ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে অরাজকতা কেবল রাজনৈতিক বা শারীরিক সংঘর্ষ নয়, বরং মনের মধ্যে ফিতনা, মতবিরোধ, মিথ্যা প্রচার, পরচর্চা, ঘৃণা ছড়ানো, সামাজিক বিভাজন ইত্যাদিও অরাজকতার অন্তর্ভুক্ত। যেমন, এক. রাজনৈতিক অরাজকতা: যা নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব, বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ ইত্যাদি রাজনৈতিক অরাজকতা সমাজকে বিভক্ত করে ফেলে। দুই. ধর্মীয় অরাজকতা: যা সঠিক ইসলামি শিক্ষা না জানার কারণে অনেক সময় ভ্রান্ত মতবাদ সমাজে ছড়ায়, যা বিভ্রান্তি ও হিংসার জন্ম দেয়। তিন. সামাজিক ও নৈতিক অরাজকতা: যা নৈতিক অবক্ষয়, মাদকাসক্ত, ব্যভিচার, চুরি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সমাজে ফিতনা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর গজবকে আমন্ত্রণ জানায়।
নবীজি (সা.)-এর সতর্কবার্তা
রাসুলুল্লাহ (সা.) ফিতনার সময় মুসলমানদের সতর্কতা ও ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ফিতনার সময় যে বসে থাকবে, সে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। যে দাঁড়িয়ে থাকবে, সে চলমান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। যে চলবে, সে দৌড়ানো ব্যক্তির চেয়ে উত্তম।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)। এই হাদিসে ফিতনার সময় তৎপর না হওয়ার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে; কারণ, এতে নিজের ও অন্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরেকটি হাদিসে এসেছে, ‘একটি সময় আসবে, যখন ফিতনা তোমাদের ঘরের দরজায় এমনভাবে উপস্থিত হবে, যেমন বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে।’ (সহিহ বুখারি)। এই ভবিষ্যদ্বাণী আজ আমাদের সমাজে বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ঘরে বসেই সোশ্যাল মিডিয়া, ভ্রান্ত মতবাদ ও গুজবের মাধ্যমে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।
সমাজে অরাজকতার পরিণতি
এক. নৈতিক পতন: সমাজে যখন অরাজকতা সৃষ্টি হয়, তখন সত্য-মিথ্যার পার্থক্য ঘুচে যায়। মানুষ নিজ স্বার্থে মিথ্যা প্রচারে লিপ্ত হয়। দুই. আল্লাহর গজব: ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যেসব জাতি সমাজে জুলুম, অন্যায় ও অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। যেমন, কওমে লুত, কওমে সামুদ, কওমে আদ। তিন. বিশ্বাসের অবক্ষয়: অরাজকতার সময় মানুষ পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। ফলে সামাজিক বন্ধন দুর্বল হয়। চার. নিরাপত্তাহীনতা: মানুষ জানমাল নিয়ে আতঙ্কে থাকে। শিশু, নারী, বৃদ্ধ—কেউই নিরাপদ থাকে না।
প্রতিকারে করণীয়
এক. সত্যিকারের তাওহিদ ও তাকওয়া অর্জন: আল্লাহভীতি মানুষকে অন্যায় ও ফিতনা থেকে বিরত রাখে। তাকওয়াবান ব্যক্তি নিজের স্বার্থের জন্য সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে না।
দুই. ইসলামি জ্ঞানের চর্চা: সঠিক ইসলামি জ্ঞান মানুষকে বিভ্রান্তি ও ভ্রান্ত মতবাদ থেকে রক্ষা করে। কোরআন-হাদিসের আলোকে সঠিক পথ অন্বেষণ করা জরুরি।
তিন. সামাজিক দায়িত্ব পালন: প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় কাজ দেখবে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিহত করে; যদি তা না পারে, তবে মুখ দিয়ে; তাও যদি না পারে, তবে অন্তরে ঘৃণা করুক—এটাই ইমানের সর্বনিম্ন স্তর।’ (সহিহ মুসলিম)
চার. নেতার প্রতি আনুগত্য ও সংযম: ইসলাম সরকার বা নেতার প্রতি আনুগত্যের নির্দেশ দিয়েছে, যদি না তারা প্রকাশ্যে কুফর করে। আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার (নিয়োগকৃত) নেতার অবাধ্য হলো, সে যেন আমার অবাধ্য হলো।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)
পাঁচ. দোয়া ও ধৈর্য: ফিতনার সময় মুসলমানদের উচিত আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং ধৈর্য ধারণ করা।
সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি করা শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। ইসলামে এমন ফিতনার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এবং সমাজে শান্তি, ইনসাফ, সহানুভূতি ও সংহতির প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আমাদের কর্তব্য হলো সত্যিকারের ইসলামি জীবনচর্চার মাধ্যমে সমাজকে ফিতনা ও অরাজকতা থেকে রক্ষা করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ অনুসরণ করা।
লেখক: মুহতামিম, জহিরুল উলুম মহিলা মাদরাসা, গাজীপুর

মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়, তখনই সৃষ্টি হয় অরাজকতা। ইসলামে অরাজকতা, অস্থিরতা, হানাহানি, ফিতনা ও অশান্তি সৃষ্টিকে ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসবের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে মানুষকে বারবার সতর্কও করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ফিতনা হত্যা অপেক্ষাও গুরুতর।’ (সুরা বাকারা: ১৯১)। এই আয়াতে ‘ফিতনা’ শব্দটি এমন একটি সামাজিক অবস্থা বোঝায়, যেখানে অন্যায়, জুলুম, বিশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি একটি জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়, আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা মায়েদা: ৬৪)। এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, যারা শান্ত সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে, তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে অপছন্দের। তারা অভিশপ্ত।
অরাজকতার প্রকারভেদ
ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে অরাজকতা কেবল রাজনৈতিক বা শারীরিক সংঘর্ষ নয়, বরং মনের মধ্যে ফিতনা, মতবিরোধ, মিথ্যা প্রচার, পরচর্চা, ঘৃণা ছড়ানো, সামাজিক বিভাজন ইত্যাদিও অরাজকতার অন্তর্ভুক্ত। যেমন, এক. রাজনৈতিক অরাজকতা: যা নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব, বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ ইত্যাদি রাজনৈতিক অরাজকতা সমাজকে বিভক্ত করে ফেলে। দুই. ধর্মীয় অরাজকতা: যা সঠিক ইসলামি শিক্ষা না জানার কারণে অনেক সময় ভ্রান্ত মতবাদ সমাজে ছড়ায়, যা বিভ্রান্তি ও হিংসার জন্ম দেয়। তিন. সামাজিক ও নৈতিক অরাজকতা: যা নৈতিক অবক্ষয়, মাদকাসক্ত, ব্যভিচার, চুরি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সমাজে ফিতনা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর গজবকে আমন্ত্রণ জানায়।
নবীজি (সা.)-এর সতর্কবার্তা
রাসুলুল্লাহ (সা.) ফিতনার সময় মুসলমানদের সতর্কতা ও ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ফিতনার সময় যে বসে থাকবে, সে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। যে দাঁড়িয়ে থাকবে, সে চলমান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। যে চলবে, সে দৌড়ানো ব্যক্তির চেয়ে উত্তম।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)। এই হাদিসে ফিতনার সময় তৎপর না হওয়ার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে; কারণ, এতে নিজের ও অন্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরেকটি হাদিসে এসেছে, ‘একটি সময় আসবে, যখন ফিতনা তোমাদের ঘরের দরজায় এমনভাবে উপস্থিত হবে, যেমন বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে।’ (সহিহ বুখারি)। এই ভবিষ্যদ্বাণী আজ আমাদের সমাজে বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ঘরে বসেই সোশ্যাল মিডিয়া, ভ্রান্ত মতবাদ ও গুজবের মাধ্যমে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।
সমাজে অরাজকতার পরিণতি
এক. নৈতিক পতন: সমাজে যখন অরাজকতা সৃষ্টি হয়, তখন সত্য-মিথ্যার পার্থক্য ঘুচে যায়। মানুষ নিজ স্বার্থে মিথ্যা প্রচারে লিপ্ত হয়। দুই. আল্লাহর গজব: ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যেসব জাতি সমাজে জুলুম, অন্যায় ও অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। যেমন, কওমে লুত, কওমে সামুদ, কওমে আদ। তিন. বিশ্বাসের অবক্ষয়: অরাজকতার সময় মানুষ পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। ফলে সামাজিক বন্ধন দুর্বল হয়। চার. নিরাপত্তাহীনতা: মানুষ জানমাল নিয়ে আতঙ্কে থাকে। শিশু, নারী, বৃদ্ধ—কেউই নিরাপদ থাকে না।
প্রতিকারে করণীয়
এক. সত্যিকারের তাওহিদ ও তাকওয়া অর্জন: আল্লাহভীতি মানুষকে অন্যায় ও ফিতনা থেকে বিরত রাখে। তাকওয়াবান ব্যক্তি নিজের স্বার্থের জন্য সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে না।
দুই. ইসলামি জ্ঞানের চর্চা: সঠিক ইসলামি জ্ঞান মানুষকে বিভ্রান্তি ও ভ্রান্ত মতবাদ থেকে রক্ষা করে। কোরআন-হাদিসের আলোকে সঠিক পথ অন্বেষণ করা জরুরি।
তিন. সামাজিক দায়িত্ব পালন: প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় কাজ দেখবে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিহত করে; যদি তা না পারে, তবে মুখ দিয়ে; তাও যদি না পারে, তবে অন্তরে ঘৃণা করুক—এটাই ইমানের সর্বনিম্ন স্তর।’ (সহিহ মুসলিম)
চার. নেতার প্রতি আনুগত্য ও সংযম: ইসলাম সরকার বা নেতার প্রতি আনুগত্যের নির্দেশ দিয়েছে, যদি না তারা প্রকাশ্যে কুফর করে। আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার (নিয়োগকৃত) নেতার অবাধ্য হলো, সে যেন আমার অবাধ্য হলো।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)
পাঁচ. দোয়া ও ধৈর্য: ফিতনার সময় মুসলমানদের উচিত আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং ধৈর্য ধারণ করা।
সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি করা শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। ইসলামে এমন ফিতনার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এবং সমাজে শান্তি, ইনসাফ, সহানুভূতি ও সংহতির প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আমাদের কর্তব্য হলো সত্যিকারের ইসলামি জীবনচর্চার মাধ্যমে সমাজকে ফিতনা ও অরাজকতা থেকে রক্ষা করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ অনুসরণ করা।
লেখক: মুহতামিম, জহিরুল উলুম মহিলা মাদরাসা, গাজীপুর

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে ভালোভাবে জীবনযাপন করার জন্য, উন্নতির জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা অপরিহার্য। আর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পর তা বজায় রাখার জন্য আপস-নিষ্পত্তির মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা, বিচিত্র স্বভাবের মানুষ নিয়েই হয় সমাজ। সব মানুষ এক মেজাজের নয়। তুচ্ছ ও নগণ্য বিষয়েও অনেক সময় পরস্পরে মনোমালিন্য হয়, কথা-কাটাকাটি হয়। একসঙ্গে চলতে গেলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি এভাবেই ছেড়ে দিলে একপর্যায়ে তা ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। তাই এই বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের নিয়ে সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে আপস-নিষ্পত্তির অনন্য গুণ।
ইসলামপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন প্রিয় নবী (সা.) চাদরে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে নিয়ে নিজ হাতে তা প্রতিস্থাপন করেন এবং এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করেন।
আপস-নিষ্পত্তি দ্বারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বিবাদ দূর হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আপস-নিষ্পত্তিকে নামাজ, রোজা এবং জাকাত থেকেও উত্তম আমল বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৩৯)
স্বাভাবিক কথায় মীমাংসা করা সম্ভব না হলে, আগে বেড়ে কথা হেরফের করারও অনুমতি আছে। তা মিথ্যা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এমন করে হাদিসে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত না করে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি: ২৫১৩)

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে ভালোভাবে জীবনযাপন করার জন্য, উন্নতির জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা অপরিহার্য। আর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পর তা বজায় রাখার জন্য আপস-নিষ্পত্তির মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা, বিচিত্র স্বভাবের মানুষ নিয়েই হয় সমাজ। সব মানুষ এক মেজাজের নয়। তুচ্ছ ও নগণ্য বিষয়েও অনেক সময় পরস্পরে মনোমালিন্য হয়, কথা-কাটাকাটি হয়। একসঙ্গে চলতে গেলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি এভাবেই ছেড়ে দিলে একপর্যায়ে তা ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। তাই এই বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের নিয়ে সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে আপস-নিষ্পত্তির অনন্য গুণ।
ইসলামপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন প্রিয় নবী (সা.) চাদরে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে নিয়ে নিজ হাতে তা প্রতিস্থাপন করেন এবং এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করেন।
আপস-নিষ্পত্তি দ্বারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বিবাদ দূর হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আপস-নিষ্পত্তিকে নামাজ, রোজা এবং জাকাত থেকেও উত্তম আমল বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৩৯)
স্বাভাবিক কথায় মীমাংসা করা সম্ভব না হলে, আগে বেড়ে কথা হেরফের করারও অনুমতি আছে। তা মিথ্যা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এমন করে হাদিসে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত না করে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি: ২৫১৩)

মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়...
১৮ জুলাই ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়...
১৮ জুলাই ২০২৫
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়...
১৮ জুলাই ২০২৫
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়...
১৮ জুলাই ২০২৫
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে