মুফতি আইয়ুব নাদীম
সৌভাগ্যবান হতে কে না চায়? কিন্তু কীভাবে, কী করলে, কোন গুণ অর্জন করলে সৌভাগ্যবান হওয়া যায়—তা অধিকাংশ মানুষই জানে না। সে কারণে সেই সৌভাগ্য জীবন অধিকাংশের কাছেই অধরা থেকে যায়। নানা বিষাদ জীবন বিষিয়ে তুলে।
ইসলাম মানুষের জীবনে সুখ ও সৌভাগ্যের পরশ মেলাতে বেশ কিছু গুণের কথা বলেছে। যারা যাপিত জীবনে সেই গুণ ধারণ করতে পারবে, তারাই সুখী ও সৌভাগ্যবান হবে।
এক. কৃতজ্ঞ অন্তর
কৃতজ্ঞ অন্তর মানে হলো যে হৃদয় আল্লাহ তাআলার দেওয়া নিয়ামত পেয়ে কৃতজ্ঞতা আদায় করে। সেই অন্তরের মানুষ সৌভাগ্যবান ও সুখী হয়ে থাকে। কৃতজ্ঞতা মুমিনের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। পরকালীন সমৃদ্ধির পাশাপাশি দুনিয়ার জীবনেও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আরও অধিক পরিমাণ নিয়ামত লাভের মাধ্যম এ কৃতজ্ঞতা। আর আখিরাতের অসীম পুরস্কারের ঘোষণা তো আছেই।
একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘খেয়ে যে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে, সে ধৈর্যশীল রোজাদার ব্যক্তির সমান পুরস্কার লাভ করবে।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ১৭৬৫)
দুই. আল্লাহর জিকিরে সজীব জবান
জিকির আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম। জিকিরে প্রশান্তি লাভ হয়। জিকিরে বান্দার আমলনামা ভারী হয়। তাই মুমিনের উচিত, জিকিরের মাধ্যমে জিহ্বাকে তাজা রাখা।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দনীয় কালাম চারটি—১. সুবহানাল্লাহ (আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি), ২. আলহামদুলিল্লাহ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর), ৩. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই), এবং ৪. আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)। এগুলোর যেকোনো শব্দ দ্বারা তুমি আরম্ভ করো, এতে তোমার কোনো ক্ষতি নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৫৪৯৪)
তিন. বিপদ-আপদে ধৈর্য ধরা:
একজন সফল ও সৌভাগ্যবান মানুষের অন্যতম গুণ হলো, নানা ধরনের বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা। কারণ প্রতিটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের বিপদ আসে। কখনো রোগ-শোক। কখনো অর্থ-কষ্টে জর্জরিত হয় জীবন। বিপদ যেমনই আসুক, যেভাবেই আসুক মুমিন ধৈর্য ধারণ করবে।
কারণ, মুমিন যদি বিপদে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ এর বিনিময় দান করেন এবং এর গুনাহ মাফ করেন। এমনকি শরীরে কাঁটা ফুটলেও এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা গুনাহ মাফ করেন।
হজরত সায়েব ইবনে খাল্লাদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন যে ধরনের বিপদেই আক্রান্ত হোক না কেন, এমনকি কাঁটা ফুটলেও এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা একটি নেকি লেখেন অথবা একটি গুনাহ মাফ করে দেন।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১৬৫৬০)
চার. ধর্মপরায়ণ স্ত্রী
সৌভাগ্য ও সুখী মানুষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো, দুনিয়ার জীবনে স্বামীর জন্য একজন সৎ ও ধর্মপরায়ণ স্ত্রী লাভ হওয়া। কারণ একজন নেককার স্ত্রী স্বামীর জন্য রহমত ও অনেক বড় নিয়ামত। একজন সৎ, ধার্মিক, বুদ্ধিমতী ও সহযোগী স্ত্রী হলো মানুষের পার্থিব জীবনে সবচেয়ে বড় ও মূল্যবান নিয়ামত বা সম্পদ।
এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পার্থিব জগৎটাই হলো ক্ষণিক উপভোগের বস্তু। আর পার্থিব জগতের সর্বোত্তম উপহার সৎ স্ত্রী। (সহিহ্ মুসলিম: ১৪৬৭)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
সৌভাগ্যবান হতে কে না চায়? কিন্তু কীভাবে, কী করলে, কোন গুণ অর্জন করলে সৌভাগ্যবান হওয়া যায়—তা অধিকাংশ মানুষই জানে না। সে কারণে সেই সৌভাগ্য জীবন অধিকাংশের কাছেই অধরা থেকে যায়। নানা বিষাদ জীবন বিষিয়ে তুলে।
ইসলাম মানুষের জীবনে সুখ ও সৌভাগ্যের পরশ মেলাতে বেশ কিছু গুণের কথা বলেছে। যারা যাপিত জীবনে সেই গুণ ধারণ করতে পারবে, তারাই সুখী ও সৌভাগ্যবান হবে।
এক. কৃতজ্ঞ অন্তর
কৃতজ্ঞ অন্তর মানে হলো যে হৃদয় আল্লাহ তাআলার দেওয়া নিয়ামত পেয়ে কৃতজ্ঞতা আদায় করে। সেই অন্তরের মানুষ সৌভাগ্যবান ও সুখী হয়ে থাকে। কৃতজ্ঞতা মুমিনের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। পরকালীন সমৃদ্ধির পাশাপাশি দুনিয়ার জীবনেও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আরও অধিক পরিমাণ নিয়ামত লাভের মাধ্যম এ কৃতজ্ঞতা। আর আখিরাতের অসীম পুরস্কারের ঘোষণা তো আছেই।
একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘খেয়ে যে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে, সে ধৈর্যশীল রোজাদার ব্যক্তির সমান পুরস্কার লাভ করবে।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ১৭৬৫)
দুই. আল্লাহর জিকিরে সজীব জবান
জিকির আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম। জিকিরে প্রশান্তি লাভ হয়। জিকিরে বান্দার আমলনামা ভারী হয়। তাই মুমিনের উচিত, জিকিরের মাধ্যমে জিহ্বাকে তাজা রাখা।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দনীয় কালাম চারটি—১. সুবহানাল্লাহ (আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি), ২. আলহামদুলিল্লাহ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর), ৩. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই), এবং ৪. আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)। এগুলোর যেকোনো শব্দ দ্বারা তুমি আরম্ভ করো, এতে তোমার কোনো ক্ষতি নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৫৪৯৪)
তিন. বিপদ-আপদে ধৈর্য ধরা:
একজন সফল ও সৌভাগ্যবান মানুষের অন্যতম গুণ হলো, নানা ধরনের বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা। কারণ প্রতিটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের বিপদ আসে। কখনো রোগ-শোক। কখনো অর্থ-কষ্টে জর্জরিত হয় জীবন। বিপদ যেমনই আসুক, যেভাবেই আসুক মুমিন ধৈর্য ধারণ করবে।
কারণ, মুমিন যদি বিপদে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ এর বিনিময় দান করেন এবং এর গুনাহ মাফ করেন। এমনকি শরীরে কাঁটা ফুটলেও এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা গুনাহ মাফ করেন।
হজরত সায়েব ইবনে খাল্লাদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন যে ধরনের বিপদেই আক্রান্ত হোক না কেন, এমনকি কাঁটা ফুটলেও এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা একটি নেকি লেখেন অথবা একটি গুনাহ মাফ করে দেন।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১৬৫৬০)
চার. ধর্মপরায়ণ স্ত্রী
সৌভাগ্য ও সুখী মানুষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো, দুনিয়ার জীবনে স্বামীর জন্য একজন সৎ ও ধর্মপরায়ণ স্ত্রী লাভ হওয়া। কারণ একজন নেককার স্ত্রী স্বামীর জন্য রহমত ও অনেক বড় নিয়ামত। একজন সৎ, ধার্মিক, বুদ্ধিমতী ও সহযোগী স্ত্রী হলো মানুষের পার্থিব জীবনে সবচেয়ে বড় ও মূল্যবান নিয়ামত বা সম্পদ।
এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পার্থিব জগৎটাই হলো ক্ষণিক উপভোগের বস্তু। আর পার্থিব জগতের সর্বোত্তম উপহার সৎ স্ত্রী। (সহিহ্ মুসলিম: ১৪৬৭)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
বিশুদ্ধ ও পবিত্র পানির মধ্য অন্যতম হলো আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি। বৃষ্টির পানি দিয়ে সব অবস্থায় অজু করা যায়। আল্লাহ তাআলা এই পানিকে পবিত্রতম ঘোষণা করে বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তাঁর অনুগ্রহের পূর্বাভাসস্বরূপ বায়ু প্রেরণ করেন, এবং আমি আকাশ থেকে শুদ্ধকারী পানি বর্ষণ করি। এর মাধ্যমে আমি...
১৫ ঘণ্টা আগেহাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে মন ভালো থাকে, আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং আয়ু বাড়ে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে—তার রিজিক (জীবিকায়) সচ্ছলতা দেওয়া হোক এবং তার অবদান আলোচিত হোক (দীর্ঘায়ু দেওয়া হোক) সে যেন তার...
১৫ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে জীবনই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। এই জীবনকে অন্যায়ভাবে কেড়ে নেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে এক ভয়াবহ ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ইসলাম শান্তির ধর্ম; মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্মান রক্ষাই এর অন্যতম লক্ষ্য। তাই কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে কেবল নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার...
১ দিন আগেইসলাম জীবনের মর্যাদা রক্ষায় কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা এবং নবী করিম (সা.) স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অন্যায়ভাবে কারও জীবন নেওয়া এক ভয়াবহ পাপ, যা শিরকের পরে সবচেয়ে বড় অপরাধ। এই কাজ শুধু ব্যক্তির ক্ষতি করে না, পুরো সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তাকে ভয়ংকরভাবে বিপন্ন করে।
২ দিন আগে