তানবিরুল হক আবিদ
আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি জিন ও মানুষ কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি—তারা আমার ইবাদত করবে।’ (সুরা জারিআত: ৫৬)
ইবাদতের মধ্যে অন্যতম হলো নামাজ। নামাজ পবিত্রতা ছাড়া কবুল হয় না। পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম অজু-গোসল। বিকল্প হিসেবে রয়েছে তায়াম্মুম।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। আর খিয়ানতের সম্পদ থেকে সদকা কবুল হয় না।’ (জামে তিরমিজি: ০১)
অন্য হাদিসে অজুর গুরুত্ব এভাবে বর্ণিত হয়েছে, হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জান্নাতের চাবি হলো নামাজ। আর নামাজের চাবি হলো অজু।’ (জামে তিরমিজি: ০৪)। অর্থাৎ চাবি ছাড়া যেমন তালা খোলে না, তেমনি পবিত্রতা ছাড়াও নামাজ শুদ্ধ হয় না।
বিশুদ্ধ ও পবিত্র পানির মধ্য অন্যতম হলো আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি। বৃষ্টির পানি দিয়ে সব অবস্থায় অজু করা যায়। আল্লাহ তাআলা এই পানিকে পবিত্রতম ঘোষণা করে বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তাঁর অনুগ্রহের পূর্বাভাসস্বরূপ বায়ু প্রেরণ করেন, এবং আমি আকাশ থেকে শুদ্ধকারী পানি বর্ষণ করি। এর মাধ্যমে আমি মৃতভূমিকে জীবিত করি এবং আমার সৃষ্টি করা বহু জীবজন্তু ও মানুষকে তা পান করাই। (সুরা ফুরকান: ৪৮-৪৯)
বৃষ্টির পানিতে যদি প্রকাশ্য কোনো নাপাক না থাকে অথবা পানির রং, স্বাদ, গন্ধের যে কোনো একটা পরিবর্তন না হয়ে যায়—তাহলে জমিয়ে রাখা বা জমে থাকা বৃষ্টির পানি দিয়েও অজু করা জায়েজ আছে।
তাই খাল-বিল, ডোবা, জলাশয় বা কোনো পবিত্র পাত্রে জমে থাকা পরিষ্কার বৃষ্টির পানি দিয়ে অজু করতে কোনো বাধা নেই।
তথ্যসূত্র: দুররুল মুখতার: ১ / ৩২৩, হাশিয়াতুত তাহতাবি: ১৯-২০, আল ফিকহুল হানাফি ফি সাওবিহিল জাদিদ: ১ / ২৬, মাজমাউল আনহুর: ১ / ৪৪, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া-৭ / ৩৭)
আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি জিন ও মানুষ কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি—তারা আমার ইবাদত করবে।’ (সুরা জারিআত: ৫৬)
ইবাদতের মধ্যে অন্যতম হলো নামাজ। নামাজ পবিত্রতা ছাড়া কবুল হয় না। পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম অজু-গোসল। বিকল্প হিসেবে রয়েছে তায়াম্মুম।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। আর খিয়ানতের সম্পদ থেকে সদকা কবুল হয় না।’ (জামে তিরমিজি: ০১)
অন্য হাদিসে অজুর গুরুত্ব এভাবে বর্ণিত হয়েছে, হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জান্নাতের চাবি হলো নামাজ। আর নামাজের চাবি হলো অজু।’ (জামে তিরমিজি: ০৪)। অর্থাৎ চাবি ছাড়া যেমন তালা খোলে না, তেমনি পবিত্রতা ছাড়াও নামাজ শুদ্ধ হয় না।
বিশুদ্ধ ও পবিত্র পানির মধ্য অন্যতম হলো আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি। বৃষ্টির পানি দিয়ে সব অবস্থায় অজু করা যায়। আল্লাহ তাআলা এই পানিকে পবিত্রতম ঘোষণা করে বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তাঁর অনুগ্রহের পূর্বাভাসস্বরূপ বায়ু প্রেরণ করেন, এবং আমি আকাশ থেকে শুদ্ধকারী পানি বর্ষণ করি। এর মাধ্যমে আমি মৃতভূমিকে জীবিত করি এবং আমার সৃষ্টি করা বহু জীবজন্তু ও মানুষকে তা পান করাই। (সুরা ফুরকান: ৪৮-৪৯)
বৃষ্টির পানিতে যদি প্রকাশ্য কোনো নাপাক না থাকে অথবা পানির রং, স্বাদ, গন্ধের যে কোনো একটা পরিবর্তন না হয়ে যায়—তাহলে জমিয়ে রাখা বা জমে থাকা বৃষ্টির পানি দিয়েও অজু করা জায়েজ আছে।
তাই খাল-বিল, ডোবা, জলাশয় বা কোনো পবিত্র পাত্রে জমে থাকা পরিষ্কার বৃষ্টির পানি দিয়ে অজু করতে কোনো বাধা নেই।
তথ্যসূত্র: দুররুল মুখতার: ১ / ৩২৩, হাশিয়াতুত তাহতাবি: ১৯-২০, আল ফিকহুল হানাফি ফি সাওবিহিল জাদিদ: ১ / ২৬, মাজমাউল আনহুর: ১ / ৪৪, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া-৭ / ৩৭)
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে মন ভালো থাকে, আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং আয়ু বাড়ে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে—তার রিজিক (জীবিকায়) সচ্ছলতা দেওয়া হোক এবং তার অবদান আলোচিত হোক (দীর্ঘায়ু দেওয়া হোক) সে যেন তার...
৫ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে জীবনই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। এই জীবনকে অন্যায়ভাবে কেড়ে নেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে এক ভয়াবহ ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ইসলাম শান্তির ধর্ম; মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্মান রক্ষাই এর অন্যতম লক্ষ্য। তাই কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে কেবল নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার...
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম জীবনের মর্যাদা রক্ষায় কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা এবং নবী করিম (সা.) স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অন্যায়ভাবে কারও জীবন নেওয়া এক ভয়াবহ পাপ, যা শিরকের পরে সবচেয়ে বড় অপরাধ। এই কাজ শুধু ব্যক্তির ক্ষতি করে না, পুরো সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তাকে ভয়ংকরভাবে বিপন্ন করে।
১ দিন আগেমানুষ সামাজিক জীব। সমাজবিহীন মানুষের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। আর বেঁচে থাকার সুবাদেই অনেক সময় ধার বা ঋণের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন এ ছাড়া ভিন্ন কোনো উপায় থাকে না। ফলে আমরা ঋণ গ্রহণ করে থাকি। নবী করিম (সা.) ঋণ করতে নিরুৎসাহিত করেছেন। হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)...
১ দিন আগে