Ajker Patrika

অন্যায় হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ পরিণাম

শাব্বির আহমদ
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মানবজীবনে জীবনই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। এই জীবনকে অন্যায়ভাবে কেড়ে নেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে এক ভয়াবহ ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ইসলাম শান্তির ধর্ম; মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্মান রক্ষাই এর অন্যতম লক্ষ্য। তাই কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে কেবল নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে এই অপরাধের ভয়াবহতা, এর পরিণতি এবং দণ্ড সম্পর্কে কঠোরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন—

‘যারা ব্যয় করে অপব্যয় করে না এবং কৃপণতাও করে না, তারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করে। তারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো উপাস্যকে ডাকে না এবং যথার্থ কারণ ছাড়া কোনো প্রাণ হত্যা করে না, যাকে হত্যা করা আল্লাহ হারাম করেছেন। আর যারা এই অপরাধগুলো করে, তারা শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং তারা চিরকাল লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে থাকবে।’ (সুরা ফুরকান: ৬৭-৬৯)

‘এ কারণে আমি বনি ইসরাইলের প্রতি এই বিধান দিয়েছিলাম, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করে—মানুষ হত্যার বদলা অথবা পৃথিবীতে ফিতনা-সন্ত্রাস সৃষ্টি ছাড়া—সে যেন পুরো মানবজাতিকেই হত্যা করল। আর যে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচায়, সে যেন পুরো মানবজাতিকেই রক্ষা করল। রাসুলগণ তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শনসহ আগমন করেছিল, এরপরও তাদের অধিকাংশই পৃথিবীতে সীমালঙ্ঘন করেছে।’ (সুরা মায়িদা: ৩২)

একটি নির্দোষ প্রাণের জীবন কেড়ে নেওয়া শুধু একটি ব্যক্তিগত অপরাধ নয়, বরং মানবজাতির বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ অপরাধ, যার দায় বহন করতে হবে দুনিয়াতে যেমন, তেমনি আখিরাতে আরও ভয়াবহ পরিণতির মধ্য দিয়ে। ইসলামের আলোকে এই অন্যায়ের পরিণতি যেমন ভয়াবহ, তেমনি অপরাধ থেকে ফিরে আসা এবং মানবপ্রেম, ন্যায়বিচার ও শান্তির পথে চলার তাগিদও ততটাই দৃঢ়। তাই প্রতিটি সচেতন মুমিনের দায়িত্ব হলো নিজে এই ভয়াবহ অন্যায় থেকে বাঁচা এবং সমাজকে এ বিষয়ে সচেতন করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত