আল্লাহর দান করা অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে চোখ একটি অনন্য ও অতুলনীয় দান। চোখ মানুষের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গ এমন এক নিয়ামত, যার মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ, রঙের বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রিয়জনের মুখাবয়ব এবং আল্লাহর সৃষ্টির অপার বিস্ময় দেখতে পায়। চোখ ছাড়া জীবন কল্পনা করাও...
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম। নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব...
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী...
কখনো কখনো জালিমের শাস্তি একটু দেরিতে হয়। এর মধ্যেও আল্লাহর বিশেষ প্রজ্ঞা নিহিত আছে। আল্লাহ জালিমকে জুলুম থেকে ফিরে আসার সর্বাত্মক সুযোগ দেন। অতঃপর যখন ধরেন, আর ছাড়েন না।
আমরা প্রতিদিন খাবার খাই। বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাই। যদি এই খাবার গ্রহণ মহানবী (সা.)–এর দেখানো পথে হয়, তাহলে ক্ষুধা নিবারণের পাশাপাশি এর মাধ্যমে সওয়াব অর্জনেরও সুযোগ রয়েছে।
মা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ, নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আদর-সোহাগ মাখিয়ে মা যে স্বপ্নগুলো চোখে বুনে দেন, বাবা যে প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে যান, তা আমাদের জীবনের চিরন্তন আলো। তাদের স্নেহ-ভালোবাসায় নত হয় পৃথিবী। তাদের পরিশ্রমে গড়ে ওঠে আমাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই। তাদের দোয়ায় আমাদের জীবন..
কেউ দাওয়াত দিলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, তার কল্যাণের জন্য দোয়া করা উচিত। এটা মহানবী (সা.) এর শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে মেজবানের জন্য দোয়া না করে ফিরতেন না।
ঈদ এলেই ঘরে ঘরে উৎসব হয়। নানা পদের খাবার রান্না হয়। গায়ে আসে নতুন জামা। নতুন জামা পরিধানের চমৎকার একটি দোয়া বর্ণিত আছে। ঈদের দিনে নতুন পোশাক পরিধানের সময় দোয়াটি আমরা পড়তে পারি।
হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত।
শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। শুধু তা-ই নয়, পবিত্র কোরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। লাওহে মাহফুজ থেকে সমগ্র কোরআন দুনিয়ার আকাশে এ রাতেই নাজিল করা হয়। এরপর রাসুল (সা.)-এর নবুয়তি জীবনের ২৩ বছরে অল্প অল্প করে...
ইসলাম বলে, মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। কেউ কারও স্বাধীনতায় অবৈধ হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। রাজা-প্রজা, আমির-ফকির সবাই সমান। বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কালোর ওপর সাদার প্রাধান্য নেই, অনারবের ওপর আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৩৫৩৬)
রমজান জাহান্নাম থেকে মুক্তির অপার সুযোগ। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম দশক রহমতের, দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশক জাহান্নাম থেকে মুক্তির।’ (মুসনাদে আহমদ)
হজরত আইয়ুব (আ.)–এর নাম শুনলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে ধৈর্যশীল এক মহামানবের কথা। ধৈর্যের মাধ্যমে যে প্রকৃতভাবে জীবনের সাফল্য অর্জন কর যায়, তার অনন্য উদাহরণ তিনি। বছরের পর বছর শারীরিক ও আর্থিক নানা কষ্টের মুখোমুখি হয়ে তিনি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলেন।
শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভি (১৭০৩–৬২ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি চিন্তাবিদ, মুজাদ্দিদ, সমাজ সংস্কারক ও হাদিস বিশারদ। তিনি এমন এক যুগে জন্মগ্রহণ করেন, যখন মোগল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়েছিল এবং মুসলিম সমাজ বিভক্তির শিকার হচ্ছিল।
দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, দোয়া স্বতন্ত্র ইবাদত। দোয়াকে বলা হয়, মনের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের অন্যতম মাধ্যম। দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্যও পরিবর্তন করা সম্ভব।
আল্লাহ তাআলা সমগ্র পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা। তিনি বান্দাদের জানা-অজানা, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব বিষয় জানেন ও শোনেন। আল্লাহ তাআলা জানেন, বান্দারা পাপকাজে লিপ্ত হবে। তবে পাপ হয়ে যাওয়ার পর তারা কী করবে? এ জন্য তিনি ব্যবস্থা রেখেছেন। পাপ সংঘটিত হওয়ার পর অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে, অর্থাৎ ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তাআলা...