আরবি কোরবানি শব্দটির অর্থ ত্যাগ ও নৈকট্য। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিশুদ্ধ নিয়তে স্বার্থত্যাগ, আত্মত্যাগ ও সম্পদত্যাগই হলো কোরবানি। কোরবানির ক্ষেত্রে নিয়তের বিশুদ্ধতা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(কোরবানির) এসব পশুর রক্ত, মাংস আল্লাহর কাছে কিছুই পৌঁছে না। বরং তোমাদের পক্ষ থেকে তাকওয়াই...
মানুষ তার ভালো কাজের যেমন প্রতিদান পায়, ঠিক তেমনি গুনাহ ও মন্দ কাজের জন্য শাস্তি পায়। কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় মানুষ যেসব গুনাহে জড়িয়ে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হলো রিয়া অর্থাৎ লোকদেখানো আমল। কোরআন-হাদিসে লোকদেখানো আমলকারীর ব্যাপারে চারটি শাস্তির কথা জানা যায়—
জীবিত সন্তানের জন্য আকিকা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবাই করা। আলেমদের অনেকেই আকিকা করাকে সুন্নতে মুআক্কাদাহ বলেছেন।
কোরবানির পশু হিসেবে মোটাতাজা, নাদুসনুদুস ও বিশালদেহী হওয়া ভালো। সে জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো পশু কেনার চেষ্টা করে থাকেন সবাই। আমাদের নবী করিম (সা.) এমনটিই করতেন। হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি মোটা ও শিংওয়ালা সাদা-কালো রঙের ভেড়া কোরবানি করেছেন।
একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তার আচার-আচরণে প্রকাশ পায়। মুসলমানের অন্যতম গুণ হচ্ছে—সে হবে শান্তিপ্রিয়, অপরের হিতকামী। কখনও তার হাত মুখ দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না। বরং নিরুপদ্রবে জীবনযাপন করবে।
কোরবানি ত্যাগ ও প্রেমময় এক ইবাদত। ইসলামের নিদর্শন। হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি করতে নির্দেশ দেন আল্লাহ তাআলা। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর কোরবানি করা আবশ্যক। কোরবানির অন্যতম শর্ত হালাল উপার্জন থেকে কোরবানি করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে এগুলোর...
পাপ হলো এমন এক কাজ, যা নৈতিক, ধর্মীয় বা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভুল বা নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত। এটি মানুষের বিবেক ভারাক্রান্ত করে এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। পাপের ফলে মানুষ আত্মগ্লানি, দুঃখ ও অনুশোচনায় ভোগে। তবে এমন কিছু পাপ রয়েছে, যেগুলো মানুষ সহজেই করে ফেলে।
কালো জাদু এক রহস্যময় ও বিতর্কিত বিদ্যা। এর মাধ্যমে মানুষ অপশক্তি ব্যবহার করে অন্যের ক্ষতি বা নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়। শয়তান মানুষকে যতভাবে পথভ্রষ্ট করে—এর মধ্যে অন্যতম জাদুবিদ্যা। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে একে হারাম ও পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ জন্য কালো জাদু সর্বদা হারাম।
শয়তান মানুষের চির শত্রু—এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। তার কাজই হলো বনি আদমকে বিপথগামী করে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করা। তাই মোমিনের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাকে শত্রুই ভাবতে হবে। এটাই মহান রবের নির্দেশ এবং সতর্কবার্তা।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের হৃদয়ের বাদশাহ। তাঁর চলন-বলন, হাঁটাচলা, কথাবার্তা আর চাহনি—মুগ্ধ করত সবাইকে। ইমান অবস্থায় যে তাঁকে একবার দেখে মৃত্যুবরণ করেছে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম। আমরা পৃথিবীতে এসেছি তাঁর বিদায়ের প্রায় দেড় হাজার বছর পর। কোরআন, হাদিস, ইতিহাসের গ্রন্থ আর নানা আলোচনায় তাঁর কথা শুনলেই...
কারও কাছে বৃষ্টি স্মৃতির জানালা, কারও কাছে কবিতার উপকরণ। বৃষ্টি শুধু জল নয়, এক অদ্ভুত আবেগ, এক অনির্বচনীয় ভালো লাগা। বৃষ্টি আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। বৃষ্টিতে ভেজা, বৃষ্টি একটু ছুঁয়ে দেখার অনুভূতি লিখে প্রকাশ করা যাবে না। মেঘ ভেঙে নেমে আসা এই রহমতের বারিধারা ছুঁয়ে দেখা আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর সুন্
মানুষ মানুষের জন্য। একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসা মানবতার পরিচয়। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে কখনো কারও রক্তের প্রয়োজন হয়। মানবতার জায়গা থেকে তখন এগিয়ে আসে অনেকে। একজনের সহযোগিতায় আরেকজনের বিপদ দূর হয়। এটিই সমাজের সৌন্দর্য।
দেখতে অনেকটা গুইসাপের মতো, মরুভূমিতে বসবাস করা প্রাণীটি দেশে সান্ডা নামে পরিচিতি পেয়েছে। আরবদের কাছে এই সরীসৃপের মাংস উপাদেয় খাবার হিসেবে সমাদৃত। আমাদের দেশে যেহেতু সান্ডা পাওয়া যায় না—তাই তা খাওয়ার প্রচলনও নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়—মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানরা সান্ডা...
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উচিত।
নবী করিম (সা.)-এর ভালোবাসায় প্রকৃত মুমিনের হৃদয় সব সময় সিক্ত থাকে। তাঁকে দেখার বাসনা জাগে মনের গহিনে। তাঁকে কীভাবে দেখব, তিনি তো দুনিয়া থেকে চলে গেছেন দেড় হাজার বছর আগে। কিন্তু কিছু আমলের মাধ্যমে নবীপ্রেমিক পাগলপ্রায় উম্মতের দিলের কামনা অল্প করে হলেও পূরণ হতে পারে। স্বপ্নে দেখা মিলতে পারে প্রিয়...
মা—ছোট্ট এ শব্দের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে ভালোবাসা, ত্যাগ ও স্নেহের প্রতিচ্ছবি। সন্তানের জন্য মা নিজের আরাম-আয়েশ, ঘুম, এমনকি জীবন পর্যন্ত ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকেন। মা শুধু সন্তান জন্মই দেন না; বরং তার মানসিক, নৈতিক ও আত্মিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সন্তানের প্রথম শিক্ষিকা...
অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করে না। বরং একে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধ ও পাপের একটি বিবেচনা করা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এই অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার সতর্ক করেছেন, বিভিন্ন শাস্তির কথা বলে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এখানে অন্যায় হত্যাকাণ্ডের পরকালীন শাস্তি সম্পর্কে কোরআনের..