ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকেই দিনটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যুগে যুগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও ঘটেছে এদিনে। যেমন—এদিনে হজরত মুসা (আ.)-এর ওপর আসমানি কিতাব তাওরাত অবতীর্ণ হয়। তিনি ও তাঁর উম্মত ফেরাউনের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। (সহিহ্ বুখারি: ২০০৪)। মহাপ্লাবনের পর হজরত নুহ (আ.)-এর কিসতি জুদি পাহাড়ে থেমেছিল আশুরার দিনেই। (মুসনাদে আহমদ: ৮৭১৭)।
মহররম মাস আল্লাহর নিকট সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য মহররমকে আল্লাহর মাস বলে ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মহররম হলো আল্লাহর মাস।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬৩)। এ মাসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো আশুরার দিন। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে এই দিনের রোজা ফরজ ছিল। পরবর্তীকালে তা নফলে পরিণত হয়। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘জাহেলি যুগে কুরাইশরা আশুরার দিন রোজা রাখত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-ও রোজা রাখতেন। তিনি যখন হিজরত করে মদিনায় এলেন, তখনো এই দিন নিজে রোজা রাখতেন এবং অন্যকে রোজা রাখতে আদেশ করতেন। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর আশুরার (রোজার) গুরুত্ব দেওয়া পরিত্যাগ করলেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২০০২)
আশুরার দিন রোজা রাখার বিভিন্ন ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো, এদিনের রোজা পূর্বের এক বছরের গুনাহ মিটিয়ে দেয়। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আশুরার রোজা সম্পর্কে আমি আল্লাহর নিকট আশাবাদী যে এর মাধ্যমে তিনি বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)।
এদিন রোজা রাখার নিয়ম হলো, পূর্বাপর কোনো একদিন মিলিয়ে মোট দুই দিন রোজা রাখা। অর্থাৎ আশুরার দিনের সঙ্গে মিলিয়ে ৯ অথবা ১১ তারিখও রোজা পালন করা। এটি মোস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আশুরার দিন রোজা রাখো এবং ইহুদিদের ব্যতিক্রম করো। তার আগের এক দিন কিংবা পরের এক দিন (মিলিয়ে দুই দিন) রোজা রাখো।’ (সহিহ্ ইবনে খুজাইমা: ২০৯৫)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকেই দিনটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যুগে যুগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও ঘটেছে এদিনে। যেমন—এদিনে হজরত মুসা (আ.)-এর ওপর আসমানি কিতাব তাওরাত অবতীর্ণ হয়। তিনি ও তাঁর উম্মত ফেরাউনের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। (সহিহ্ বুখারি: ২০০৪)। মহাপ্লাবনের পর হজরত নুহ (আ.)-এর কিসতি জুদি পাহাড়ে থেমেছিল আশুরার দিনেই। (মুসনাদে আহমদ: ৮৭১৭)।
মহররম মাস আল্লাহর নিকট সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য মহররমকে আল্লাহর মাস বলে ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মহররম হলো আল্লাহর মাস।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬৩)। এ মাসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো আশুরার দিন। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে এই দিনের রোজা ফরজ ছিল। পরবর্তীকালে তা নফলে পরিণত হয়। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘জাহেলি যুগে কুরাইশরা আশুরার দিন রোজা রাখত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-ও রোজা রাখতেন। তিনি যখন হিজরত করে মদিনায় এলেন, তখনো এই দিন নিজে রোজা রাখতেন এবং অন্যকে রোজা রাখতে আদেশ করতেন। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর আশুরার (রোজার) গুরুত্ব দেওয়া পরিত্যাগ করলেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২০০২)
আশুরার দিন রোজা রাখার বিভিন্ন ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো, এদিনের রোজা পূর্বের এক বছরের গুনাহ মিটিয়ে দেয়। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আশুরার রোজা সম্পর্কে আমি আল্লাহর নিকট আশাবাদী যে এর মাধ্যমে তিনি বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)।
এদিন রোজা রাখার নিয়ম হলো, পূর্বাপর কোনো একদিন মিলিয়ে মোট দুই দিন রোজা রাখা। অর্থাৎ আশুরার দিনের সঙ্গে মিলিয়ে ৯ অথবা ১১ তারিখও রোজা পালন করা। এটি মোস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আশুরার দিন রোজা রাখো এবং ইহুদিদের ব্যতিক্রম করো। তার আগের এক দিন কিংবা পরের এক দিন (মিলিয়ে দুই দিন) রোজা রাখো।’ (সহিহ্ ইবনে খুজাইমা: ২০৯৫)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
কন্যাসন্তান নিয়ে সমাজে যুগ যুগ ধরে নানা ভুল ধারণা ও কুসংস্কার প্রচলিত ছিল এবং এখনো অনেকাংশে আছে। ইসলামপূর্ব যুগে কন্যাসন্তান অভিশাপ মনে করে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়া হতো, শান্তির ধর্ম ইসলাম এই কুসংস্কার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেয়। কোরআন ও হাদিস কন্যাসন্তানকে আল্লাহর রহমত, সৌভাগ্য ও জান্নাতের মাধ্যম...
৩ ঘণ্টা আগেঢাকায় হজ ও ওমরাহ-সংক্রান্ত এজেন্সি ‘মাকারিম’-এর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আহমাদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, “নতুন ব্যবস্থায় সেবার মান অনেক বেড়েছে। বিমানবন্দরে নামার পরপরই নির্ধারিত গাড়ি হাজিকে হোটেলে পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু এতে করে যারা কম খরচে ছোট গ্রুপ করে ওমরাহ পালন করতে চাইতেন, তাঁদের জন্য সমস্যা হচ্ছে...
৪ ঘণ্টা আগেসন্তান প্রতিটি বাবা-মায়ের জীবনের পরম আশীর্বাদ। তবে শুধু সন্তান পেলেই দায়িত্ব শেষ হয় না, বরং সন্তান যেন হয় আদর্শ, চরিত্রবান ও আল্লাহভীরু; সেটাই প্রকৃত সফলতা। সন্তান ধর্মপরায়ণ হলে পরিবারে আসে শান্তি আর সন্তান অবাধ্য হলে মাটি হয়ে যায় বাবা-মায়ের স্বপ্ন। তাই ইসলাম শুরু থেকেই আদর্শ সন্তান লাভের জন্য...
৮ ঘণ্টা আগেপ্রকৃতির সৌন্দর্য ও কল্যাণের অন্যতম নিদর্শন হলো বৃষ্টি। এটি শুধু মাটিকে সিক্ত করে না, বরং মানবজীবনেও বহুমাত্রিক উপকার বয়ে আনে। গ্রামীণ জনজীবনে বৃষ্টির জল মানে—স্নিগ্ধতা, উর্বরতা এবং মাঝে মাঝে তা হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ গোসলের উৎস। অনেকেই বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে শরীর ধুয়ে নেন।
২১ ঘণ্টা আগে