মুফতি আইয়ুব নাদীম
বর্ষের হিসাবের জন্য পৃথিবীতে অনেকগুলো সন চালু আছে। আমাদের বাংলাদেশে সাধারণত তিনটি সন প্রচলিত—খ্রিষ্টাব্দ, বঙ্গাব্দ এবং হিজরি।
এর মধ্যে হিজরি সন মুসলমানদের নিজস্ব সন। এই সনের সঙ্গে মুসলমানদের জীবন-আচারের অনেক বিষয় গভীরভাবে সম্পৃক্ত। শরিয়তের নানা বিধি-বিধান এই হিসাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত হিজরতকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠা করা হয় আরবি সন তথা হিজরি সন। এই প্রবন্ধে হিজরি সনের প্রথম মাস মহরমের পাঁচ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করছি।
১. মহররম নাম রাখা: ইসলাম আসার পর সকল মাসের নাম বহাল থাকলেও, একমাত্র এই মাসের নাম পরিবর্তন করে ‘মহররম’ রাখা হয়েছে। ইসলাম আসার আগে এই মাসের নাম ছিল ’সাফারুল আউয়াল।’ (শরহুস সুয়ুতি আলা মুসলিম: ৩ / ২৫২)
২. মহররম আল্লাহর মাস: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মহররম মাস আল্লাহর মাস।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬৩)
৩. দশ তারিখের রোজা: এই মাসের দশ তারিখকে আশুরা বলা হয়। এই দিনে পৃথিবীর ইতিহাসে বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আশুরার রোজা রাখলে বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ্ বুখারি: ২০০৪)
৪. সম্মানিত মাস: ১২ মাসের মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এই চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত মাস মহররম। (সহিহ্ বুখারি: ৪৬৬২)
৫. শ্রেষ্ঠ মাস: এটি রমজানের পর শ্রেষ্ঠ মাস। হাদিসে এসেছে, এই মাসের নফল রোজা শ্রেষ্ঠ রোজা। (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
বর্ষের হিসাবের জন্য পৃথিবীতে অনেকগুলো সন চালু আছে। আমাদের বাংলাদেশে সাধারণত তিনটি সন প্রচলিত—খ্রিষ্টাব্দ, বঙ্গাব্দ এবং হিজরি।
এর মধ্যে হিজরি সন মুসলমানদের নিজস্ব সন। এই সনের সঙ্গে মুসলমানদের জীবন-আচারের অনেক বিষয় গভীরভাবে সম্পৃক্ত। শরিয়তের নানা বিধি-বিধান এই হিসাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত হিজরতকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠা করা হয় আরবি সন তথা হিজরি সন। এই প্রবন্ধে হিজরি সনের প্রথম মাস মহরমের পাঁচ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করছি।
১. মহররম নাম রাখা: ইসলাম আসার পর সকল মাসের নাম বহাল থাকলেও, একমাত্র এই মাসের নাম পরিবর্তন করে ‘মহররম’ রাখা হয়েছে। ইসলাম আসার আগে এই মাসের নাম ছিল ’সাফারুল আউয়াল।’ (শরহুস সুয়ুতি আলা মুসলিম: ৩ / ২৫২)
২. মহররম আল্লাহর মাস: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মহররম মাস আল্লাহর মাস।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬৩)
৩. দশ তারিখের রোজা: এই মাসের দশ তারিখকে আশুরা বলা হয়। এই দিনে পৃথিবীর ইতিহাসে বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আশুরার রোজা রাখলে বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ্ বুখারি: ২০০৪)
৪. সম্মানিত মাস: ১২ মাসের মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এই চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত মাস মহররম। (সহিহ্ বুখারি: ৪৬৬২)
৫. শ্রেষ্ঠ মাস: এটি রমজানের পর শ্রেষ্ঠ মাস। হাদিসে এসেছে, এই মাসের নফল রোজা শ্রেষ্ঠ রোজা। (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
কারবালার যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসের হাজারো করুণ ও হূদয়বিদারক ঘটনার একটি। ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার ময়দানে ইমাম হোসাইন (রা.) ও ইয়াজিদ বাহিনীর মধ্যে এক অসম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা কাজ করছে তারা ইতিহাসের পাতায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলামি ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে, যা মুসলিম উম্মাহর চিন্তা, চেতনা ও মূল্যবোধের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেদনাবিধুর, হৃদয়বিদারক ও চিরন্তন শিক্ষা বহনকারী ঘটনা হলো কারবালা ট্র্যাজেডি।
১৫ ঘণ্টা আগেআজ ১০ মহররম। বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মাহর জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ একটি দিন আজ। প্রতিবছর ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির- আজকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
১৯ ঘণ্টা আগেমহররম মাসের দশম দিনকে বলা হয় আশুরা। মহান আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই দিনে রোজা রাখা হয়। কারণ, মহান আল্লাহ তাআলা এই দিনে তাঁর নবী মুসা (আ.) এবং তাঁর সম্প্রদায়কে ফেরাউন ও তার দলবল থেকে রক্ষা করেছিলেন।
১৯ ঘণ্টা আগে