সাব্বির আহমেদ
মসজিদ ইবাদতের পবিত্র স্থান। মসজিদ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম স্থান, আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্থান হলো মসজিদসমূহ, আর সবচেয়ে অপছন্দের স্থান হলো বাজারসমূহ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৪১৪)
মসজিদ শুধু নামাজের স্থান নয়, এটি মুসলিম সমাজের মূলকেন্দ্র। মসজিদভিত্তিক সমাজব্যবস্থা—ইসলামের প্রাচীন ঐতিহ্য। ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই তা চলে আসছে। হিজরতের পর থেকে ইবাদতের পাশাপাশি শিক্ষা, বিচার, পরামর্শ ও নেতৃত্বের কেন্দ্রে পরিণত হয় মসজিদ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে মসজিদ ছিল সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের মূলভিত্তি। এ কারণে হিজরতের প্রথম দিনেই মসজিদ নির্মাণে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। হিজরতের সময় তিনি যাত্রাবিরতি করেন কুবায়। তখন সেখানে নির্মাণ করেন ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মসজিদ। পরে মদিনায় পৌঁছে তিনি স্থাপন করেন মসজিদে নববি—যাকে কেন্দ্র করে মদিনায় মুসলমানদের সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে। আর সেখান থেকেই ইসলামের আলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
মসজিদ মুসলমানদের ঐক্যের প্রতীক। এখানে ধনী-গরিব, সাদা-কালো সবার অধিকার সমান। সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে লুটিয়ে পড়ে। মসজিদ নির্মাণ এবং দেখভাল আল্লাহ তাআলার কাছে ভীষণ পছন্দের। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর মসজিদগুলো তো তারাই আবাদ করে—যারা আল্লাহ ও পরকাল বিশ্বাস করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারাই সঠিক পথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা তওবা: ১৮)। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৪৫০)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, মসজিদ বানাতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য। বংশীয় গৌরব, টাকার বড়াই ও অহংকারে মসজিদ নির্মাণ করলে এতে সামান্য নেকিও পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া হাদিসে একে কেয়ামতের আলামত হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। নবী করিম (সা.) বলেন, লোকেরা মসজিদ নিয়ে পরস্পর গৌরব ও অহংকারে মেতে না ওঠা পর্যন্ত কেয়ামত হবে না। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৪৯)
মসজিদ ইবাদতের পবিত্র স্থান। মসজিদ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম স্থান, আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্থান হলো মসজিদসমূহ, আর সবচেয়ে অপছন্দের স্থান হলো বাজারসমূহ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৪১৪)
মসজিদ শুধু নামাজের স্থান নয়, এটি মুসলিম সমাজের মূলকেন্দ্র। মসজিদভিত্তিক সমাজব্যবস্থা—ইসলামের প্রাচীন ঐতিহ্য। ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই তা চলে আসছে। হিজরতের পর থেকে ইবাদতের পাশাপাশি শিক্ষা, বিচার, পরামর্শ ও নেতৃত্বের কেন্দ্রে পরিণত হয় মসজিদ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে মসজিদ ছিল সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের মূলভিত্তি। এ কারণে হিজরতের প্রথম দিনেই মসজিদ নির্মাণে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। হিজরতের সময় তিনি যাত্রাবিরতি করেন কুবায়। তখন সেখানে নির্মাণ করেন ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মসজিদ। পরে মদিনায় পৌঁছে তিনি স্থাপন করেন মসজিদে নববি—যাকে কেন্দ্র করে মদিনায় মুসলমানদের সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে। আর সেখান থেকেই ইসলামের আলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
মসজিদ মুসলমানদের ঐক্যের প্রতীক। এখানে ধনী-গরিব, সাদা-কালো সবার অধিকার সমান। সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে লুটিয়ে পড়ে। মসজিদ নির্মাণ এবং দেখভাল আল্লাহ তাআলার কাছে ভীষণ পছন্দের। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর মসজিদগুলো তো তারাই আবাদ করে—যারা আল্লাহ ও পরকাল বিশ্বাস করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারাই সঠিক পথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা তওবা: ১৮)। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৪৫০)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, মসজিদ বানাতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য। বংশীয় গৌরব, টাকার বড়াই ও অহংকারে মসজিদ নির্মাণ করলে এতে সামান্য নেকিও পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া হাদিসে একে কেয়ামতের আলামত হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। নবী করিম (সা.) বলেন, লোকেরা মসজিদ নিয়ে পরস্পর গৌরব ও অহংকারে মেতে না ওঠা পর্যন্ত কেয়ামত হবে না। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৪৯)
শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে।
২৬ মিনিট আগেমানব সমাজে শান্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে ইসলাম দুটি মূল দায়িত্ব নির্ধারণ করেছে—১. হক্কুল্লাহ (আল্লাহর অধিকার), ২. হক্কুল ইবাদ (বান্দার অধিকার)। অনেকেই ভাবেন, আল্লাহর হক আদায় করলেই পরকালীন সফলতা মিলবে। অথচ ইসলামি শিক্ষায় বারবার উচ্চারিত হয়েছে—বান্দার হক নষ্টকারী প্রকৃত মুমিন নয়, বরং সে মিথ্যাবাদী...
১৬ ঘণ্টা আগেকুদৃষ্টি, খারাপ দৃষ্টি, অশুভ দৃষ্টিকে বলা হয় বদনজর। অবিশ্বাস্য হলেও—মানুষকে উঁচু স্থান থেকে নিচু স্থানে নামিয়ে দেয় বদনজর। রাসুল (সা.) বলেন, ‘বদনজর সত্য। এটি এমন এক প্রভাব—যা মানুষকে উঁচু স্থান থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৪৭৩)
১৮ ঘণ্টা আগে১০ মহররম কেন্দ্র করে যেসব কার্যকলাপ হয় ইসলামি শরিয়তে এর প্রায় সবগুলোই নিষেধ। বিশেষ করে আশুরার মাতম কোনো কোনোভাবেই শরিয়ত সম্মত নয়। শিয়াদের নিকটও এ কথা স্বীকৃত যে, মাতমের এই পদ্ধতি শিয়া ধর্মে বিদআত। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রাণাধিক দৌহিত্র হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতের পর থেকে তিন শত বছর...
১৯ ঘণ্টা আগে