মাহমুদ হাসান ফাহিম
১০ মহররম কেন্দ্র করে যেসব কার্যকলাপ হয় ইসলামি শরিয়তে এর প্রায় সবগুলোই নিষেধ। বিশেষ করে আশুরার মাতম কোনো কোনোভাবেই শরিয়ত সম্মত নয়। শিয়াদের নিকটও এ কথা স্বীকৃত যে, মাতমের এই পদ্ধতি শিয়া ধর্মে বিদআত।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রাণাধিক দৌহিত্র হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতের পর থেকে তিন শত বছর পর্যন্ত ১০ মহররমে কান্নাকাটি, আহাজারি, চিৎকার ও বুক চাপড়ানোর প্রথার কোনো অস্তিত্ব ছিল না। হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতের সময় অনেক সাহাবিও জীবিত ছিলেন। তাদের কাছ থেকেও প্রচলিত এই মাতম পালন দেখা যায়নি।
৩৫২ হিজরিতে মুইজ্জুদ দাওলা দাইলামি নামক জনৈক শিয়া ১০ মহররমে বাগদাদে এই মাতমের প্রচলন শুরু করে। এরপর হিজরি ৩৬৩ সনে আল-মুইজ্জু লিদিনিল্লাহি ফাতিমি নামক শিয়া মিশরেও এর হুকুম জারি করে। সত্যান্বেষী ইতিহাসবিদদের থেকে এসবের বিবরণ পাওয়া যায়।
মুসলিম ঐতিহাসিক ইমাম ইবনুল আসির (রহ.) রচিত আল-কামিল ফিত্ তারিখ: ৭ / ২৭৯, ইমাম ইবনে কাসির (রহ.) রচিত আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১৫ / ২৬১-এ ৩৫২ হিজরির বর্ণিত ঘটনাবলি ও নিকট অতীতের লেখক মাওলানা হাবিবুর রহমান আজমি (রহ.) রচিত ইবতালে আজাদারি কিতাবেও এর সুস্পষ্ট বিবরণ পাওয়া যায়।
শিয়া লেখক আমির আলী শিয়া তার ‘স্পিরিট অব ইসলাম’ বইয়ে সুস্পষ্টভাবে লিখেছেন, ‘Muiz ud-dowla also instituted the yeum-i-aashura, the day of mourning, in commemoration of the martyr-dom of Hussain and his family on the plains of kerbela. ’ (মুইজ-উদ-দৌলা কারবালার সমতল ভূমিতে হুসাইন ও তার পরিবারের শহিদদের স্মরণে মহররমের ১০ম দিনকে শোকের দিন হিসেবে ও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।)
তিনি তার দ্বিতীয় বই ‘হিস্ট্রি অব দ্য সারাসেনস’-এ লিখেছেন, ‘He was a shiah; and it was he who established the 10 th day of the moharram as a day of mourning in commemoration of the massacre of kerbala. ’ (তিনি শিয়া ছিলেন, তিনিই কারবালার গণহত্যার স্মরণে মহররমের ১০ম (আশুরার দিনকে) দিনটিকে শোকের দিন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।)
শিয়া ঐতিহাসিক শাকির হুসাইন নাকভির গ্রন্থেও এসবের প্রমাণ পাওয়া যায়। (মুজাহিদে আজম: ৩৩২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
১০ মহররম কেন্দ্র করে যেসব কার্যকলাপ হয় ইসলামি শরিয়তে এর প্রায় সবগুলোই নিষেধ। বিশেষ করে আশুরার মাতম কোনো কোনোভাবেই শরিয়ত সম্মত নয়। শিয়াদের নিকটও এ কথা স্বীকৃত যে, মাতমের এই পদ্ধতি শিয়া ধর্মে বিদআত।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রাণাধিক দৌহিত্র হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতের পর থেকে তিন শত বছর পর্যন্ত ১০ মহররমে কান্নাকাটি, আহাজারি, চিৎকার ও বুক চাপড়ানোর প্রথার কোনো অস্তিত্ব ছিল না। হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতের সময় অনেক সাহাবিও জীবিত ছিলেন। তাদের কাছ থেকেও প্রচলিত এই মাতম পালন দেখা যায়নি।
৩৫২ হিজরিতে মুইজ্জুদ দাওলা দাইলামি নামক জনৈক শিয়া ১০ মহররমে বাগদাদে এই মাতমের প্রচলন শুরু করে। এরপর হিজরি ৩৬৩ সনে আল-মুইজ্জু লিদিনিল্লাহি ফাতিমি নামক শিয়া মিশরেও এর হুকুম জারি করে। সত্যান্বেষী ইতিহাসবিদদের থেকে এসবের বিবরণ পাওয়া যায়।
মুসলিম ঐতিহাসিক ইমাম ইবনুল আসির (রহ.) রচিত আল-কামিল ফিত্ তারিখ: ৭ / ২৭৯, ইমাম ইবনে কাসির (রহ.) রচিত আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১৫ / ২৬১-এ ৩৫২ হিজরির বর্ণিত ঘটনাবলি ও নিকট অতীতের লেখক মাওলানা হাবিবুর রহমান আজমি (রহ.) রচিত ইবতালে আজাদারি কিতাবেও এর সুস্পষ্ট বিবরণ পাওয়া যায়।
শিয়া লেখক আমির আলী শিয়া তার ‘স্পিরিট অব ইসলাম’ বইয়ে সুস্পষ্টভাবে লিখেছেন, ‘Muiz ud-dowla also instituted the yeum-i-aashura, the day of mourning, in commemoration of the martyr-dom of Hussain and his family on the plains of kerbela. ’ (মুইজ-উদ-দৌলা কারবালার সমতল ভূমিতে হুসাইন ও তার পরিবারের শহিদদের স্মরণে মহররমের ১০ম দিনকে শোকের দিন হিসেবে ও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।)
তিনি তার দ্বিতীয় বই ‘হিস্ট্রি অব দ্য সারাসেনস’-এ লিখেছেন, ‘He was a shiah; and it was he who established the 10 th day of the moharram as a day of mourning in commemoration of the massacre of kerbala. ’ (তিনি শিয়া ছিলেন, তিনিই কারবালার গণহত্যার স্মরণে মহররমের ১০ম (আশুরার দিনকে) দিনটিকে শোকের দিন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।)
শিয়া ঐতিহাসিক শাকির হুসাইন নাকভির গ্রন্থেও এসবের প্রমাণ পাওয়া যায়। (মুজাহিদে আজম: ৩৩২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে।
৩৯ মিনিট আগেমানব সমাজে শান্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে ইসলাম দুটি মূল দায়িত্ব নির্ধারণ করেছে—১. হক্কুল্লাহ (আল্লাহর অধিকার), ২. হক্কুল ইবাদ (বান্দার অধিকার)। অনেকেই ভাবেন, আল্লাহর হক আদায় করলেই পরকালীন সফলতা মিলবে। অথচ ইসলামি শিক্ষায় বারবার উচ্চারিত হয়েছে—বান্দার হক নষ্টকারী প্রকৃত মুমিন নয়, বরং সে মিথ্যাবাদী...
১৭ ঘণ্টা আগেকুদৃষ্টি, খারাপ দৃষ্টি, অশুভ দৃষ্টিকে বলা হয় বদনজর। অবিশ্বাস্য হলেও—মানুষকে উঁচু স্থান থেকে নিচু স্থানে নামিয়ে দেয় বদনজর। রাসুল (সা.) বলেন, ‘বদনজর সত্য। এটি এমন এক প্রভাব—যা মানুষকে উঁচু স্থান থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৪৭৩)
১৮ ঘণ্টা আগেমসজিদ ইবাদতের পবিত্র স্থান। মসজিদ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম স্থান, আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্থান হলো মসজিদসমূহ, আর সবচেয়ে অপছন্দের স্থান হলো বাজারসমূহ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৪১৪)
১ দিন আগে