জানেন কি

গাড়ির টায়ারকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন, এতে চুলের মতো ছোট ছোট রাবারের রোম রয়েছে। এসব রোম নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচলিত আছে। অনেকেই মনে করেন, টায়ারের নিরাপত্তার জন্য এগুলো জরুরি। তবে ব্যাপারটি মোটেও সেরকম নয়। 

ইংরেজি ভাষায় বেশ কটি শব্দ আছে, যেগুলোর বানানের সঙ্গে উচ্চারণের মিল পাওয়া যায় না। এ রকম একটি ইংরেজি শব্দ হলো ‘queue’। শব্দটির শুধু প্রথম বর্ণ উচ্চারিত হয়। বাকিগুলো ঊহ্য থাকে। এ ছাড়া একই বর্ণ দিয়ে তৈরি শব্দগুলোর মধ্যেও উচ্চারণে মিল পাওয়া যায় না। যেমন: ‘rough’, ‘cough’ ও ‘though’ এসব শব্দের মধ্যে ‘ough

শব্দ তো অদৃশ্য তরঙ্গ। কিন্তু চাইলে শব্দ দেখাও যায়! অদ্ভুত শোনালেও এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা রয়েছে। পানিভর্তি কাচের পাত্রে চামচ দিয়ে হালকা আঘাত করলে দেখা যায়, পাত্রের পানিও কম্পিত হয়। শব্দ তরঙ্গে ওপর নির্ভর করে পানি বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করে। এভাবে শব্দ তরঙ্গের গতিবিধি চোখে দেখা যায়।

বিচিত্র সব প্রাণী ও উদ্ভিদে পরিপূর্ণ আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহটি। এমন কিছু প্রাণী রয়েছে যাদের দেহের কোনো অঙ্গ কাটা পড়লে বা খসে গেলে সেগুলো আবার গজিয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা প্রকৃতিতে এমন সাতটি প্রাণী খুঁজে পেয়েছেন যাদের অঙ্গহানি হলে নতুন করে গজায়। 

পৃথিবীতে মুদ্রার ধারণা উদ্ভাবনের আগে প্রচলন ছিল বিনিময় প্রথার। এক পণ্য বা সেবার বিনিময়ে আরেকটি পণ্য বা সেবা পাওয়া যেত। পরবর্তীকালে লেনদেনের জন্য মুদ্রা হিসেবে খাদ্যপণ্য, হাড়, পাথর, ধাতু ইত্যাদির ব্যবহার শুরু হয়। রোমান সাম্রাজ্যে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো লবণ।

লেখার কাজে কলম ব্যবহার করা হয়। এই কলমের ঢাকনার শেষ প্রান্তে একটি ছোট ছিদ্র থাকে, সেটি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন। এটি কিন্তু কোনো নির্মাণ ত্রুটি নয়; কলমের ঢাকনায় এই ছিদ্র যোগ করার একটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। 

ফ্যাশন সচেতন নারীদের অন্যতম এক অনুষঙ্গ হলো হাই হিল। আরামদায়ক না হলেও নারীরা দুই ইঞ্চি থেকে শুরু করে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত উঁচু হিলও পরেন। তবে মজার বিষয় হলো—হাই হিল প্রথমে পুরুষদের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। অবশ্য সেগুলো এখনকার মতো এত সুচালো হিল ছিল না।

প্রাণিজগতের একটি আশ্চর্যজনক বিষয় হলো—পাখির কথা বলা। টিয়া, ময়না, তোতা ও শালিকের মতো পাখিরা মানুষের মতো কিছু শব্দ উচ্চারণ করতে পারে। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কথা বলতে পারে টিয়া। এই পোষা পাখিকে কোনো বাক্য শেখালে তা অনবরত বলতে থাকে।

দুগ্ধপোষ্য শিশুদের ঘন ঘন বমি করতে দেখা যায়। এটি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আলাদা কোনো সতর্কতা নেই। তবে বেশি বমি করলে শিশুর পানিশূন্যতায় ভোগার ঝুঁকি থাকে। ক্ষুধা তৃষ্ণাও বেড়ে যায়। কিন্তু শিশুরা কেন এত বমি করে?

দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে ঘুম। ঘুমের সময় মানুষের শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকে। সুস্থ মানুষের ঠিক কতক্ষণ ঘুমের দরকার—এ নিয়ে চিকিৎসকেরা একটা ধারণা দেন। তবে একেবারে না ঘুমিয়ে একটা মানুষ কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, সেটি বহুদিন ধরেই মানুষের আগ্রহের বিষয় হয়ে আছে। 

গ্রাম বা শহর দুই পরিবেশেই সাধারণত মৌমাছিরা নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারে। তবে গবেষকেরা মৌমাছির একটি প্রজাতি খুঁজে পেয়েছেন, যা পানিতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ডুবে থাকতে পারে

মানুষের ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে কেন? ঘুমের মধ্যে শ্বাস নেওয়ার সময় গলার কিছু অংশ কম্পিত হয়। এই কম্পনই নাক ডাকার শব্দ তৈরি করে। পাশের ব্যক্তির নাক ডাকার শব্দে অনেকে ঘুমাতে পারেন না। কিন্তু মানুষ কি নিজের নাক ডাকা শুনতে পায়? শুনতে পেলে তো ঘুমাতে পারার কথা নয়। তাহলে কি নিজের নাক ডাকার শব্দ আমলে না নেওয়ার ক

পানি স্বচ্ছ পদার্থ। তবে অদ্ভুত বিষয় হলো—কাপড়ে পানি লাগার পর এর রং কিছুটা গাঢ় দেখায়। ভেজা কাপড়কে কিছুটা গাঢ় দেখানোর কারণ প্রায় ৩০ বছর আগে বের করা হয়েছিল। 

সাধারণত পণ্য ও সেবার প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিজ্ঞাপনে চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তেমনি এলইডি বাল্ব কত টিকবে তা বিজ্ঞাপনে বলা হয়। একটি এলইডি বাল্বের আয়ু কীভাবে নির্ধারণ করা হয়, অর্থাৎ বাল্বটি থেকে কত দিন আলো পাওয়া যাবে—একজন ক্রেতা হিসেবে সেটি জানার আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক। 

মানুষের দুটি চোখ রয়েছে, কারণ তাদের মধ্যবর্তী কয়েক ইঞ্চির ব্যবধান বস্তুর গভীরতা বুঝতে ও ত্রিমাত্রিক জগৎকে দেখতে সাহায্য করে। আবার মানুষের কানও দুটি। এক কান থেকে আরেক কানে শব্দ পৌঁছাতে সময়ের যে কিঞ্চিৎ পার্থক্য থাকে তার মাধ্যমে শব্দ কোন দিক থেকে আসছে তা বোঝা যায়। তবে নাকে দুটি ছিদ্র বা নাসারন্ধ্র থাকা

গরমকাল শুরু হলেই মশার উৎপাত বেড়ে যায়। মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগের জীবাণু ছড়ায়। কিন্তু এসব রোগ না হলেও মশার কামড়ে ত্বক চুলকায়। 

মাথা ছাড়াই ১৮ মাস বেঁচে ছিল এক মুরগি! এমনকি এ অবস্থায় চলাফেরাও করতে পারত মুরগিটি। এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সাধারণ অভিজ্ঞতা বলে, মাথা ছাড়া কোনো মুরগি বেঁচে থাকার কথা না। তাহলে এই মুরগি কীভাবে এত দিন বেঁচে ছিল?