প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
নিজের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে তো আলাদা করে পরিচিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু নিজের কথা বা গান রেকর্ড করে শোনার পর নিজের কাছেই কেন অচেনা লাগে! এমনকি কেউ কেউ রেকর্ড করা নিজের কণ্ঠ শুনে অস্বস্তিবোধও করতে পারেন। তবে আপনার কণ্ঠ কিন্তু আসলেই অত খারাপ না! এই ঘটনার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে।
আমরা যখন কথা বলি তখন শব্দের তরঙ্গ বাতাসের মধ্যে দিয়ে নিজের ও আশপাশে থাকা ব্যক্তিদের কানে প্রবেশ করে। একে ‘এয়ার কনডাকশন’ বা বায়ু সঞ্চালন বলে। রেকর্ডারের মাইক্রোফোনেও কণ্ঠস্বর এভাবেই পৌঁছে। কিন্তু আমরা নিজেদের কথা শুধু কানের বাইরের অংশ দিয়ে শুনি না, ভেতরের অংশ দিয়েও শুনি। ভোকাল কর্ডের কম্পনের মাধ্যমে তৈরি শব্দগুলোর কিছু কম্পন মাথার খুলির হাড়ের মধ্য দিয়ে কানের পর্দায় গিয়ে আঘাত করে। এই প্রক্রিয়াকে ‘বোন কনডাকশন’ বা হাড়ের মধ্য দিয়ে শব্দ তরঙ্গ সঞ্চালন বলে।
বাতাসের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয় বেশি কম্পাঙ্কের শব্দ। আর হাড়ের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয় কম কম্পাঙ্কের শব্দ। কারণ হাড় বা কঠিন বস্তু শব্দ তরঙ্গের ভালো পরিবাহক। অর্থাৎ নিম্ন কম্পাঙ্কের তরঙ্গও বেশ ভালো সঞ্চালিত হয়। এ কারণে মাধ্যম ভেদে (কঠিন, তরল বা বায়বীয়) শব্দের গতিও কমবেশি হয়। কথা বলার সময় নিজের কণ্ঠস্বর বাতাস ও হাড় উভয় মাধ্যমে কানে পৌঁছায়। তাই নিজের কণ্ঠস্বর ভারী শোনায়। অপরদিকে রেকর্ডারে শুধু বাতাসের মধ্য দিয়ে শব্দতরঙ্গ পৌঁছায়। তাই নিজের কণ্ঠস্বর রেকর্ডারে উচ্চ স্বরের ও তীক্ষ্ণ লাগে।
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ও এখানে প্রভাব ফেলে। নিজের কণ্ঠ কেমন হবে তা নিয়ে আমরা একটা ‘মানসিক চিত্র’ তৈরি করি। সারা জীবন হাড় ও বাতাসের মাধ্যমে শব্দ শুনতে আমরা অভ্যস্ত। তাই প্রথমবারের মতো রেকর্ডকৃত কণ্ঠস্বর শুনলে অচেনা লাগে, অবাক হই অথবা অস্তিত্ববোধ করি।
রেকর্ড করা নিজের কণ্ঠ অপরিচিত ও শ্রুতিমধুর লাগে না বলে শোনার পর অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন। ২০১৩ সালে এক গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন রেকর্ড করা কণ্ঠস্বরকে তাঁদের শ্রুতিমধুরতা ও আকর্ষণের ভিত্তিতে নম্বর দিতে বলা হয়। এসব রেকর্ডিংয়ের মধ্যে অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠও ছিল। দেখা গেছে, না চিনতে পারলেও তাঁরা নিজের কণ্ঠস্বরকে তুলনামূলক ভালো নম্বর দিয়েছেন।
মূলত কানের ভেতরের গঠনের কারণেই রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর অন্যরকম লাগে। কানের ভেতরের অংশ ২ থেকে ৫ হাজার হার্টজ পরিসরের কম্পাঙ্কের ওপর গুরুত্ব দেয়। তবে কাকতালীয়ভাবে বেশির ভাগ মানুষের কথাও এই সীমার মধ্যে থাকে। এই ঘটনাটি ‘কানের অনুরণন’ হিসেবে পরিচিত। এ জন্য রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর নিজের কাছে অন্যরকম বলে মনে হয়।
নিজের গলার স্বর শুনতে অন্যরকম লাগলেও অন্যদের কাছে কিন্তু ভিন্ন লাগে না। তাই এটি নিয়ে বিব্রত বা অস্বস্তিবোধ করার কোনো কারণ নেই!
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, দা গার্ডিয়ান, মিরাজ নিউজ
নিজের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে তো আলাদা করে পরিচিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু নিজের কথা বা গান রেকর্ড করে শোনার পর নিজের কাছেই কেন অচেনা লাগে! এমনকি কেউ কেউ রেকর্ড করা নিজের কণ্ঠ শুনে অস্বস্তিবোধও করতে পারেন। তবে আপনার কণ্ঠ কিন্তু আসলেই অত খারাপ না! এই ঘটনার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে।
আমরা যখন কথা বলি তখন শব্দের তরঙ্গ বাতাসের মধ্যে দিয়ে নিজের ও আশপাশে থাকা ব্যক্তিদের কানে প্রবেশ করে। একে ‘এয়ার কনডাকশন’ বা বায়ু সঞ্চালন বলে। রেকর্ডারের মাইক্রোফোনেও কণ্ঠস্বর এভাবেই পৌঁছে। কিন্তু আমরা নিজেদের কথা শুধু কানের বাইরের অংশ দিয়ে শুনি না, ভেতরের অংশ দিয়েও শুনি। ভোকাল কর্ডের কম্পনের মাধ্যমে তৈরি শব্দগুলোর কিছু কম্পন মাথার খুলির হাড়ের মধ্য দিয়ে কানের পর্দায় গিয়ে আঘাত করে। এই প্রক্রিয়াকে ‘বোন কনডাকশন’ বা হাড়ের মধ্য দিয়ে শব্দ তরঙ্গ সঞ্চালন বলে।
বাতাসের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয় বেশি কম্পাঙ্কের শব্দ। আর হাড়ের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয় কম কম্পাঙ্কের শব্দ। কারণ হাড় বা কঠিন বস্তু শব্দ তরঙ্গের ভালো পরিবাহক। অর্থাৎ নিম্ন কম্পাঙ্কের তরঙ্গও বেশ ভালো সঞ্চালিত হয়। এ কারণে মাধ্যম ভেদে (কঠিন, তরল বা বায়বীয়) শব্দের গতিও কমবেশি হয়। কথা বলার সময় নিজের কণ্ঠস্বর বাতাস ও হাড় উভয় মাধ্যমে কানে পৌঁছায়। তাই নিজের কণ্ঠস্বর ভারী শোনায়। অপরদিকে রেকর্ডারে শুধু বাতাসের মধ্য দিয়ে শব্দতরঙ্গ পৌঁছায়। তাই নিজের কণ্ঠস্বর রেকর্ডারে উচ্চ স্বরের ও তীক্ষ্ণ লাগে।
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ও এখানে প্রভাব ফেলে। নিজের কণ্ঠ কেমন হবে তা নিয়ে আমরা একটা ‘মানসিক চিত্র’ তৈরি করি। সারা জীবন হাড় ও বাতাসের মাধ্যমে শব্দ শুনতে আমরা অভ্যস্ত। তাই প্রথমবারের মতো রেকর্ডকৃত কণ্ঠস্বর শুনলে অচেনা লাগে, অবাক হই অথবা অস্তিত্ববোধ করি।
রেকর্ড করা নিজের কণ্ঠ অপরিচিত ও শ্রুতিমধুর লাগে না বলে শোনার পর অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন। ২০১৩ সালে এক গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন রেকর্ড করা কণ্ঠস্বরকে তাঁদের শ্রুতিমধুরতা ও আকর্ষণের ভিত্তিতে নম্বর দিতে বলা হয়। এসব রেকর্ডিংয়ের মধ্যে অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠও ছিল। দেখা গেছে, না চিনতে পারলেও তাঁরা নিজের কণ্ঠস্বরকে তুলনামূলক ভালো নম্বর দিয়েছেন।
মূলত কানের ভেতরের গঠনের কারণেই রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর অন্যরকম লাগে। কানের ভেতরের অংশ ২ থেকে ৫ হাজার হার্টজ পরিসরের কম্পাঙ্কের ওপর গুরুত্ব দেয়। তবে কাকতালীয়ভাবে বেশির ভাগ মানুষের কথাও এই সীমার মধ্যে থাকে। এই ঘটনাটি ‘কানের অনুরণন’ হিসেবে পরিচিত। এ জন্য রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর নিজের কাছে অন্যরকম বলে মনে হয়।
নিজের গলার স্বর শুনতে অন্যরকম লাগলেও অন্যদের কাছে কিন্তু ভিন্ন লাগে না। তাই এটি নিয়ে বিব্রত বা অস্বস্তিবোধ করার কোনো কারণ নেই!
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, দা গার্ডিয়ান, মিরাজ নিউজ
রঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
৬ ঘণ্টা আগেআইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
১ দিন আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
২ দিন আগে