রাতের বেলা বাদুড়কে উড়ে উড়ে বিভিন্ন পোকামাকড় ও ছোট প্রাণীদের শিকার করতে দেখা যায়। আবার সকাল বেলা এদের গাছের ডালে বা গুহায় উল্টো ঝুলে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু এরা আর দশটা পাখি বা প্রাণীর মতো সোজা হয়ে ঘুমায় না কেন বা এভাবে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকার সুবিধাই বা কী?
বাদুড় এইভাবে ঝুলে থাকার কয়েকটি ভিন্ন কারণ রয়েছে। প্রথমত, এটি এদের ওড়ার জন্য একটি আদর্শ অবস্থান।
অন্যান্য পাখির মতো বাদুড় মাটি থেকে উড়তে পারে না। প্রাণীটির পাখা থেকে এতটা শক্তিশালী নয় যে, মাটি থেকে ওড়ার জন্য পর্যাপ্ত জোর পায়। এদের পেছনের পাগুলো এত ছোট ও অবিকশিত যে এরা জোরে দৌড়াতে পারে না। ফলে ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় গতি তৈরি করতে পারে না। এর পরিবর্তে বাদুড় সামনের বাহু ব্যবহার করে উচ্চ কোনো স্থানে উঠে যায়। এরপরে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে। যখন ওড়ার দরকার হয়, তখন পেছনের পা দুটো ডাল থেকে ছেড়ে দেয় ও গাছ থেকে মাটির দিকে পড়তে থাকে। আর মাটি স্পর্শ করার আগেই ডানা ঝাপটে উড়তে থাকে। নিচের থেকে পড়ার মাধ্যমে বাদুড় ওড়ার জন্য ডানায় প্রয়োজনীয় বল পায়।
এই দুর্বলতার কারণে হুট করে অন্য কোনো প্রাণীর আক্রমণ করলে যেন দ্রুত উড়ে গিয়ে বাঁচতে পারার সে জন্যও বাদুড় উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে।
বিপদ থেকে লুকানোর একটি দুর্দান্ত উপায় হলো—উল্টো হয়ে ঝুলে থাকা। যখন বেশির ভাগ শিকারি সক্রিয় থাকে তখন বাদুড়েরা এমন জায়গায় জড়ো হয় যেখানে শিকারিরা বাদুড়কে খুঁজে পায় না বা সেখানে পৌঁছাতে পারে না। এর মাধ্যমে শিকারি থেকে নিরাপদ থাকতে পারে। এসব জায়গায় থাকার জন্য বাদুড়দের মধ্যে প্রতিযোগিতায় রয়েছে। এ ছাড়া ঝুলে থাকার ক্ষমতার কারণে দুর্গম জায়গায় থাকতে পারে বাদুড়েরা।
বাদুড়ের একটি অনন্য শারীরবৃত্তীয় অভিযোজন ক্ষমতাও রয়েছে। ফলে এরা প্রায় কোনো শক্তি খরচ না করেই ঝুলে থাকতে পারে।
এই কৌশলটি যেভাবে কাজ করে
যদি কোনো বস্তু হাতে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই বাহুর বেশ কয়েকটি পেশি সংকুচিত করতে হবে। পেশিগুলো টেন্ডনের (ঘন, শক্ত এবং তন্তুময় যোজক কলা, যা পেশিকে হাড়ের সঙ্গে সংযুক্ত করে) মাধ্যমে আঙুলের সঙ্গে যুক্ত থাকে। একটি পেশি সংকুচিত হলে একটি টেন্ডনে টান লাগে।
বাদুড়ের আঙুলও একইভাবে বন্ধ হয়। তবে এদের টেন্ডনগুলো শুধু দেহের উপরি অংশের সঙ্গে যুক্ত থাকে, পেশির সঙ্গে নয়। বাদুড় উল্টো ঝুলে থাকার জন্য পছন্দের জায়গা পর্যন্ত উড়ে যায়। এরপর আঙুলগুলো খুলে দেয় ও পৃষ্ঠটি আঁকড়ে ধরে। এরপর দেহকে শিথিল করে দেয়। শরীরের উপরিভাগের ওজন আঙুলের সঙ্গে যুক্ত ট্যান্ডনগুলোকে নিচের দিকে টেনে নেয়। ফলে সেগুলো কোনো পৃষ্ঠকে (যেমন, গাছের ডাল) দৃঢ়ভাবে চেপে ধরতে পারে। এভাবে আঙুলের জয়েন্টগুলো কোনো পৃষ্ঠকে আঁকড়ে ধরে ও বাদুড়ের শরীরের ওজন আঙুলের ওপর ভর করে থাকে।
বাদুড়কে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকতে অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করতে হয় না। শুধু পৃষ্ঠ ছেড়ে দেওয়ার জন্য পেশিগুলোকে শিথিল করতে শক্তি ব্যয় করতে হয়। ফলে আঙুলগুলো খুলে যায়। বাদুড়ের শরীরের পেশি শিথিল অবস্থায় থাকলে আঙুলগুলো বন্ধ থাকে, তাই এরা মারা যাওয়ার পরও উল্টোভাবে ঝুলতে থাকে, যতক্ষণ না বাহ্যিক প্রভাবে আঙুলগুলো আলগা হয়।
তথ্যসূত্র: হাও স্টাফ ওয়ার্কস
রাতের বেলা বাদুড়কে উড়ে উড়ে বিভিন্ন পোকামাকড় ও ছোট প্রাণীদের শিকার করতে দেখা যায়। আবার সকাল বেলা এদের গাছের ডালে বা গুহায় উল্টো ঝুলে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু এরা আর দশটা পাখি বা প্রাণীর মতো সোজা হয়ে ঘুমায় না কেন বা এভাবে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকার সুবিধাই বা কী?
বাদুড় এইভাবে ঝুলে থাকার কয়েকটি ভিন্ন কারণ রয়েছে। প্রথমত, এটি এদের ওড়ার জন্য একটি আদর্শ অবস্থান।
অন্যান্য পাখির মতো বাদুড় মাটি থেকে উড়তে পারে না। প্রাণীটির পাখা থেকে এতটা শক্তিশালী নয় যে, মাটি থেকে ওড়ার জন্য পর্যাপ্ত জোর পায়। এদের পেছনের পাগুলো এত ছোট ও অবিকশিত যে এরা জোরে দৌড়াতে পারে না। ফলে ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় গতি তৈরি করতে পারে না। এর পরিবর্তে বাদুড় সামনের বাহু ব্যবহার করে উচ্চ কোনো স্থানে উঠে যায়। এরপরে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে। যখন ওড়ার দরকার হয়, তখন পেছনের পা দুটো ডাল থেকে ছেড়ে দেয় ও গাছ থেকে মাটির দিকে পড়তে থাকে। আর মাটি স্পর্শ করার আগেই ডানা ঝাপটে উড়তে থাকে। নিচের থেকে পড়ার মাধ্যমে বাদুড় ওড়ার জন্য ডানায় প্রয়োজনীয় বল পায়।
এই দুর্বলতার কারণে হুট করে অন্য কোনো প্রাণীর আক্রমণ করলে যেন দ্রুত উড়ে গিয়ে বাঁচতে পারার সে জন্যও বাদুড় উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে।
বিপদ থেকে লুকানোর একটি দুর্দান্ত উপায় হলো—উল্টো হয়ে ঝুলে থাকা। যখন বেশির ভাগ শিকারি সক্রিয় থাকে তখন বাদুড়েরা এমন জায়গায় জড়ো হয় যেখানে শিকারিরা বাদুড়কে খুঁজে পায় না বা সেখানে পৌঁছাতে পারে না। এর মাধ্যমে শিকারি থেকে নিরাপদ থাকতে পারে। এসব জায়গায় থাকার জন্য বাদুড়দের মধ্যে প্রতিযোগিতায় রয়েছে। এ ছাড়া ঝুলে থাকার ক্ষমতার কারণে দুর্গম জায়গায় থাকতে পারে বাদুড়েরা।
বাদুড়ের একটি অনন্য শারীরবৃত্তীয় অভিযোজন ক্ষমতাও রয়েছে। ফলে এরা প্রায় কোনো শক্তি খরচ না করেই ঝুলে থাকতে পারে।
এই কৌশলটি যেভাবে কাজ করে
যদি কোনো বস্তু হাতে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই বাহুর বেশ কয়েকটি পেশি সংকুচিত করতে হবে। পেশিগুলো টেন্ডনের (ঘন, শক্ত এবং তন্তুময় যোজক কলা, যা পেশিকে হাড়ের সঙ্গে সংযুক্ত করে) মাধ্যমে আঙুলের সঙ্গে যুক্ত থাকে। একটি পেশি সংকুচিত হলে একটি টেন্ডনে টান লাগে।
বাদুড়ের আঙুলও একইভাবে বন্ধ হয়। তবে এদের টেন্ডনগুলো শুধু দেহের উপরি অংশের সঙ্গে যুক্ত থাকে, পেশির সঙ্গে নয়। বাদুড় উল্টো ঝুলে থাকার জন্য পছন্দের জায়গা পর্যন্ত উড়ে যায়। এরপর আঙুলগুলো খুলে দেয় ও পৃষ্ঠটি আঁকড়ে ধরে। এরপর দেহকে শিথিল করে দেয়। শরীরের উপরিভাগের ওজন আঙুলের সঙ্গে যুক্ত ট্যান্ডনগুলোকে নিচের দিকে টেনে নেয়। ফলে সেগুলো কোনো পৃষ্ঠকে (যেমন, গাছের ডাল) দৃঢ়ভাবে চেপে ধরতে পারে। এভাবে আঙুলের জয়েন্টগুলো কোনো পৃষ্ঠকে আঁকড়ে ধরে ও বাদুড়ের শরীরের ওজন আঙুলের ওপর ভর করে থাকে।
বাদুড়কে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকতে অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করতে হয় না। শুধু পৃষ্ঠ ছেড়ে দেওয়ার জন্য পেশিগুলোকে শিথিল করতে শক্তি ব্যয় করতে হয়। ফলে আঙুলগুলো খুলে যায়। বাদুড়ের শরীরের পেশি শিথিল অবস্থায় থাকলে আঙুলগুলো বন্ধ থাকে, তাই এরা মারা যাওয়ার পরও উল্টোভাবে ঝুলতে থাকে, যতক্ষণ না বাহ্যিক প্রভাবে আঙুলগুলো আলগা হয়।
তথ্যসূত্র: হাও স্টাফ ওয়ার্কস
প্রথমবারের মতো কোনো নক্ষত্রকে ঘিরে নতুন সৌরজগতের জন্ম হতে দেখেছেন বিশ্বের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি গ্রহ সৃষ্টি প্রক্রিয়ার এতটাই প্রাথমিক স্তর যে, আগে কখনো এমন দৃশ্যমান হয়নি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
১৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা এক যুগান্তকারী পদ্ধতি ব্যবহার করে আট সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে তিন ব্যক্তির ডিএনএ সমন্বয় করে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, যাতে শিশুরা দুরারোগ্য জিনগত ব্যাধি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
৬ দিন আগেপ্রাণীরা একে অপরের ডাকে সাড়া দেয়, এই তথ্য আমাদের অনেকের জানা। তবে সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বিস্ময়কর এক তথ্য। গাছও শব্দ করে, আর সেই শব্দ শুনেই সিদ্ধান্ত নেয় পোকামাকড়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে এক নতুন ধরনের যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৮ দিন আগেসবচেয়ে কাছ থেকে তোলা সূর্যের ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। এসব ছবি পাঠিয়েছে নাসার মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব। এই মহাকাশযান সূর্যের পৃষ্ঠের মাত্র ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মাইল (৬ দশমিক ১ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূর থেকে ছবি তোলে।
৯ দিন আগে