অনলাইন ডেস্ক
প্রথমবারের মতো কোনো নক্ষত্রকে ঘিরে নতুন সৌরজগতের জন্ম হতে দেখেছেন বিশ্বের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি গ্রহ সৃষ্টি প্রক্রিয়ার এতটাই প্রাথমিক স্তর যে, আগে কখনো এমন দৃশ্য দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
এই নবগঠিত সৌরজগৎ তৈরি হচ্ছে ‘এইচওপিএস-৩১৫’ নামের এক নবীন নক্ষত্রকে ঘিরে, যা পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে ওরিয়ন নেবুলায় অবস্থিত।
এইচওপিএস-৩১৫ একটি নতুন নক্ষত্র, যার আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য অনেকটাই আমাদের সূর্যের প্রাথমিক অবস্থার মতো। এক আন্তর্জাতিক গবেষক দল চিলির মরুভূমিতে অবস্থিত ‘এএলএমএ’ টেলিস্কোপ এবং মহাকাশে থাকা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দী করেন।
তাঁরা লক্ষ করেন, এইচওপিএস-৩১৫ ঘিরে গঠিত হতে শুরু করেছে গ্রহ তৈরির উপাদান—গরম খনিজ পদার্থ—যা ধীরে ধীরে কঠিন রূপ নিচ্ছে।
প্রথমে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই খনিজ পদার্থের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর গবেষকেরা ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির এএলএমএ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত হন। এই রাসায়নিক সংকেতগুলো আসছে ডিস্কের একটি নির্দিষ্ট অংশ থেকে, যা আমাদের সৌরজগতের অ্যাস্টেরয়েড বেল্টের সঙ্গে তুলনীয়।
উল্লেখ্য, অ্যাস্টেরয়েড বেল্ট হলো সৌরজগতের একটি অঞ্চল, যেখানে হাজার হাজার পাথুরে বস্তুর (যাদের অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু বলা হয়) ঘনত্ব অনেক বেশি। এই অঞ্চল মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথের মাঝখানে অবস্থিত।
আমাদের সৌরজগতের সূচনালগ্নে কী ঘটেছিল তা বুঝতে এই গবেষণা সহায়ক হবে বলে করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণায় যুক্ত আমেরিকার পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহগবেষক মেরেল ভ্যান’ট হফ বলেন, ‘আমরা এমন একটি ব্যবস্থা দেখছি, যা আমাদের সৌরজগতের একেবারে শুরুর সময়ের মতো দেখতে।’
নেদারল্যান্ডসের লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মেলিসা ম্যাকক্লুর বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি সেই মুহূর্তটি, যখন কোনো নক্ষত্রকে ঘিরে গ্রহ গঠন শুরু হয়, আমাদের সূর্য ছাড়া অন্য কোনো তারকায়।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
প্রথমবারের মতো কোনো নক্ষত্রকে ঘিরে নতুন সৌরজগতের জন্ম হতে দেখেছেন বিশ্বের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি গ্রহ সৃষ্টি প্রক্রিয়ার এতটাই প্রাথমিক স্তর যে, আগে কখনো এমন দৃশ্য দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
এই নবগঠিত সৌরজগৎ তৈরি হচ্ছে ‘এইচওপিএস-৩১৫’ নামের এক নবীন নক্ষত্রকে ঘিরে, যা পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে ওরিয়ন নেবুলায় অবস্থিত।
এইচওপিএস-৩১৫ একটি নতুন নক্ষত্র, যার আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য অনেকটাই আমাদের সূর্যের প্রাথমিক অবস্থার মতো। এক আন্তর্জাতিক গবেষক দল চিলির মরুভূমিতে অবস্থিত ‘এএলএমএ’ টেলিস্কোপ এবং মহাকাশে থাকা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দী করেন।
তাঁরা লক্ষ করেন, এইচওপিএস-৩১৫ ঘিরে গঠিত হতে শুরু করেছে গ্রহ তৈরির উপাদান—গরম খনিজ পদার্থ—যা ধীরে ধীরে কঠিন রূপ নিচ্ছে।
প্রথমে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই খনিজ পদার্থের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর গবেষকেরা ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির এএলএমএ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত হন। এই রাসায়নিক সংকেতগুলো আসছে ডিস্কের একটি নির্দিষ্ট অংশ থেকে, যা আমাদের সৌরজগতের অ্যাস্টেরয়েড বেল্টের সঙ্গে তুলনীয়।
উল্লেখ্য, অ্যাস্টেরয়েড বেল্ট হলো সৌরজগতের একটি অঞ্চল, যেখানে হাজার হাজার পাথুরে বস্তুর (যাদের অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু বলা হয়) ঘনত্ব অনেক বেশি। এই অঞ্চল মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথের মাঝখানে অবস্থিত।
আমাদের সৌরজগতের সূচনালগ্নে কী ঘটেছিল তা বুঝতে এই গবেষণা সহায়ক হবে বলে করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণায় যুক্ত আমেরিকার পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহগবেষক মেরেল ভ্যান’ট হফ বলেন, ‘আমরা এমন একটি ব্যবস্থা দেখছি, যা আমাদের সৌরজগতের একেবারে শুরুর সময়ের মতো দেখতে।’
নেদারল্যান্ডসের লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মেলিসা ম্যাকক্লুর বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি সেই মুহূর্তটি, যখন কোনো নক্ষত্রকে ঘিরে গ্রহ গঠন শুরু হয়, আমাদের সূর্য ছাড়া অন্য কোনো তারকায়।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা এক যুগান্তকারী পদ্ধতি ব্যবহার করে আট সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে তিন ব্যক্তির ডিএনএ সমন্বয় করে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, যাতে শিশুরা দুরারোগ্য জিনগত ব্যাধি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
৫ দিন আগেপ্রাণীরা একে অপরের ডাকে সাড়া দেয়, এই তথ্য আমাদের অনেকের জানা। তবে সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বিস্ময়কর এক তথ্য। গাছও শব্দ করে, আর সেই শব্দ শুনেই সিদ্ধান্ত নেয় পোকামাকড়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে এক নতুন ধরনের যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৭ দিন আগেসবচেয়ে কাছ থেকে তোলা সূর্যের ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। এসব ছবি পাঠিয়েছে নাসার মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব। এই মহাকাশযান সূর্যের পৃষ্ঠের মাত্র ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মাইল (৬ দশমিক ১ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূর থেকে ছবি তোলে।
৮ দিন আগেপ্রাইমেট শ্রেণির প্রাণিজগতে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের আধিপত্য নিয়ে যে ধারণা ছিল, তা ভেঙে দিয়েছে এক নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণা। ১০০টির বেশি প্রজাতির প্রাইমেটের মধ্যে পুরুষ ও স্ত্রীর মধ্যকার ক্ষমতার ভারসাম্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ প্রজাতিতেই কোনো একটি লিঙ্গ স্পষ্টভাবে অপর লিঙ্গের...
৯ দিন আগে