বাড়ি, গাড়ি, পোশাক, ওষুধের মতো অনেক কিছুতেই কর বসানোর কথা শোনা যায়। কিন্তু কখনো কি দাড়ির কর ধার্য করার কথা শুনেছেন? এমনই অদ্ভুত বিষয় ঘটেছিল রাশিয়ায়। ১৬৯৮ সালে রাশিয়ার রাজা প্রথম জার পিটার (পিটার দ্য গ্রেট) দাড়ির ওপর কর বসান।
পিটার সিংহাসনে আরোহণ করার আগে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের তেমন একটা যোগাযোগ ছিল না। রাশিয়া বড় দেশ হলেও ইউরোপের ব্রিটিশ ও ডাচদের মতো বড় বড় জাহাজ ছিল না। রাশিয়ার নৌবহর ছিল তুলনামূলক দুর্বল।
ইংলিশ ও ডাচরা সমুদ্রপথে পৃথিবী ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। এই সাফল্য থেকে শেখার জন্য পিটার ইউরোপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ১৬৯৭ থেকে ১৬৯৮ সাল পর্যন্ত ‘সার্জেন্ট পিতর মিখাইলভ’ নাম ধরে ছদ্মবেশে ২০০ জনের দল নিয়ে ইউরোপে ভ্রমণ করেন। তিনি ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শিপইয়ার্ডে চার মাস কাজ করেন। সেখান থেকে সেসময়ের জাহাজ উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন। এরপর তিনি ব্রিটেনে গিয়ে জাহাজ তৈরির শিক্ষা ও সেই দেশের রয়্যাল নেভি থেকেও জাহাজ তৈরি শেখেন। বিভিন্ন কারখানা, স্কুল, অস্ত্রাগার ও জাদুঘর এমনকি পার্লামেন্টের অধিবেশনও প্রত্যক্ষ করেন।
ভ্রমণ শেষে ইউরোপের মতো শক্তিশালী করার জন্য রাশিয়াকে আধুনিক করার পরিকল্পনা হাতে নেন পিটার।
সেন্ট মেরি ইউনিভার্সিটির এক প্রতিবেদনে মারিও সোসা বলেন, জার রাশিয়ার অর্থনীতি, সরকার, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিষয়ে পরিবর্তনের মাধ্যমে পশ্চিমাকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাশিয়া আরও সম্প্রসারণ করেন। রাশিয়াকে পূর্ব গোলার্ধের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
জার পিটার রাশিয়ার ক্যালেন্ডার সংশোধন করেন ও রুশ লেখার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনেন, সামরিক বাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজান। এসব সংস্কারের মধ্যে রুশদের দাড়িবিহীন করার চেষ্টাও করেছিলেন। কারণ তিনি ভ্রমণের সময় দেখেন ‘আধুনিক’ পশ্চিম ইউরোপীয়দের দাড়ি নেই।
মার্ক মানচিনি লেখেন, পিটার নাটকীয়ভাবে এই দাড়িশূন্য করার কার্যক্রম হাতে নেন। দেশে ফেরার পর নিজের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তিনি হুট করেই একটি ক্ষুর বের করেন ও অতিথিদের দাড়ি নিজেই কেটে দেন। এই অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর কমান্ডার, সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ফিওদর রোমোদানভস্কি ও বিভিন্ন কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন। রাশিয়ার সব পুরুষের দাড়ি কেটে ফেলতে হবে—এমন ঘোষণা দেন পিটার। অবশ্য রুশ অর্থোডক্স চার্চসহ অনেক পুরুষই এর ঘোর বিরোধিতা করেন।
কিছুদিন পর পিটার এ বিষয়ে একটু নরম হন। দাড়ির ওপর কর বসিয়ে নাগরিকদের কাছে আরও অর্থ আদায় করতে পারবেন—এমন বুদ্ধি মাথায় উদয় হয়। তিনি একটি নতুন আইন করেন। আইন অনুযায়ী রাশিয়ার পুরুষেরা দাড়ি রাখতে চাইলে তাদের কর দিতে হবে। ব্যবসায়ী ও অভিজাতদের জন্য বছরে ১০০ রুবল পর্যন্ত কর ধার্য করা হয়। সাধারণ মানুষদের জন্য ১ কোপেক নির্ধারণ করা হয়।
তবে শুধু রাশিয়াই নয়, ১৫৩৫ সালে দাড়ির ওপর কর বসিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম হেনরিও। যে ব্যক্তির সামাজিক অবস্থা যেরকম, সেই মতো কর ধার্য করা হতো। তবে এই আইন পরবর্তীতে বাতিল হয়ে যায়। তবে হেনরির পর সিংহাসনে বসা তাঁর মেয়ে রানি প্রথম এলিজাবেথও দাড়ির ওপর কর বসান। রানি এলিজাবেথ নিয়ম করেছিলেন, যে পুরুষ দু’সপ্তাহের বেশি দাড়ি কাটবেন না, তাঁকেই কর দিতে হবে।
বাড়ি, গাড়ি, পোশাক, ওষুধের মতো অনেক কিছুতেই কর বসানোর কথা শোনা যায়। কিন্তু কখনো কি দাড়ির কর ধার্য করার কথা শুনেছেন? এমনই অদ্ভুত বিষয় ঘটেছিল রাশিয়ায়। ১৬৯৮ সালে রাশিয়ার রাজা প্রথম জার পিটার (পিটার দ্য গ্রেট) দাড়ির ওপর কর বসান।
পিটার সিংহাসনে আরোহণ করার আগে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের তেমন একটা যোগাযোগ ছিল না। রাশিয়া বড় দেশ হলেও ইউরোপের ব্রিটিশ ও ডাচদের মতো বড় বড় জাহাজ ছিল না। রাশিয়ার নৌবহর ছিল তুলনামূলক দুর্বল।
ইংলিশ ও ডাচরা সমুদ্রপথে পৃথিবী ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। এই সাফল্য থেকে শেখার জন্য পিটার ইউরোপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ১৬৯৭ থেকে ১৬৯৮ সাল পর্যন্ত ‘সার্জেন্ট পিতর মিখাইলভ’ নাম ধরে ছদ্মবেশে ২০০ জনের দল নিয়ে ইউরোপে ভ্রমণ করেন। তিনি ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শিপইয়ার্ডে চার মাস কাজ করেন। সেখান থেকে সেসময়ের জাহাজ উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন। এরপর তিনি ব্রিটেনে গিয়ে জাহাজ তৈরির শিক্ষা ও সেই দেশের রয়্যাল নেভি থেকেও জাহাজ তৈরি শেখেন। বিভিন্ন কারখানা, স্কুল, অস্ত্রাগার ও জাদুঘর এমনকি পার্লামেন্টের অধিবেশনও প্রত্যক্ষ করেন।
ভ্রমণ শেষে ইউরোপের মতো শক্তিশালী করার জন্য রাশিয়াকে আধুনিক করার পরিকল্পনা হাতে নেন পিটার।
সেন্ট মেরি ইউনিভার্সিটির এক প্রতিবেদনে মারিও সোসা বলেন, জার রাশিয়ার অর্থনীতি, সরকার, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিষয়ে পরিবর্তনের মাধ্যমে পশ্চিমাকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাশিয়া আরও সম্প্রসারণ করেন। রাশিয়াকে পূর্ব গোলার্ধের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
জার পিটার রাশিয়ার ক্যালেন্ডার সংশোধন করেন ও রুশ লেখার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনেন, সামরিক বাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজান। এসব সংস্কারের মধ্যে রুশদের দাড়িবিহীন করার চেষ্টাও করেছিলেন। কারণ তিনি ভ্রমণের সময় দেখেন ‘আধুনিক’ পশ্চিম ইউরোপীয়দের দাড়ি নেই।
মার্ক মানচিনি লেখেন, পিটার নাটকীয়ভাবে এই দাড়িশূন্য করার কার্যক্রম হাতে নেন। দেশে ফেরার পর নিজের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তিনি হুট করেই একটি ক্ষুর বের করেন ও অতিথিদের দাড়ি নিজেই কেটে দেন। এই অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর কমান্ডার, সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ফিওদর রোমোদানভস্কি ও বিভিন্ন কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন। রাশিয়ার সব পুরুষের দাড়ি কেটে ফেলতে হবে—এমন ঘোষণা দেন পিটার। অবশ্য রুশ অর্থোডক্স চার্চসহ অনেক পুরুষই এর ঘোর বিরোধিতা করেন।
কিছুদিন পর পিটার এ বিষয়ে একটু নরম হন। দাড়ির ওপর কর বসিয়ে নাগরিকদের কাছে আরও অর্থ আদায় করতে পারবেন—এমন বুদ্ধি মাথায় উদয় হয়। তিনি একটি নতুন আইন করেন। আইন অনুযায়ী রাশিয়ার পুরুষেরা দাড়ি রাখতে চাইলে তাদের কর দিতে হবে। ব্যবসায়ী ও অভিজাতদের জন্য বছরে ১০০ রুবল পর্যন্ত কর ধার্য করা হয়। সাধারণ মানুষদের জন্য ১ কোপেক নির্ধারণ করা হয়।
তবে শুধু রাশিয়াই নয়, ১৫৩৫ সালে দাড়ির ওপর কর বসিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম হেনরিও। যে ব্যক্তির সামাজিক অবস্থা যেরকম, সেই মতো কর ধার্য করা হতো। তবে এই আইন পরবর্তীতে বাতিল হয়ে যায়। তবে হেনরির পর সিংহাসনে বসা তাঁর মেয়ে রানি প্রথম এলিজাবেথও দাড়ির ওপর কর বসান। রানি এলিজাবেথ নিয়ম করেছিলেন, যে পুরুষ দু’সপ্তাহের বেশি দাড়ি কাটবেন না, তাঁকেই কর দিতে হবে।
আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, শেফরা কেন এমন লম্বা টুপি পরেন? আর এই টুপিগুলো এত লম্বাই বা হয় কেন? এটি শুধু দেখানোর জন্য নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে শতাব্দী প্রাচীন এক ইতিহাস।
২৫ মিনিট আগেসময়টা বর্ষাকাল হলেও গরম পড়ে বেশ ভালোই। এই গরমে অনেকের মাথার ত্বক ঘামে। যাঁদের চুল লম্বা, তাঁদের চুলে ঘাম জমে যায়। এ কারণে দুর্গন্ধের সমস্যা হয়। এর সহজ সমাধান হিসেবে প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করে অনেকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, রোজ কি চুলে শ্যাম্পু করা উচিত? তা ছাড়া যে নিয়মে শ্যাম্পু করা হচ্ছে, সেটা কি সঠিক?
৬ ঘণ্টা আগেগাজরের রস গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। যেমন চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি, ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা এবং লিভারের সুরক্ষা।
৮ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত চিনি খাওয়া ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও দাঁতের সমস্যার মতো নানান রোগ তৈরি করতে পারে। তাই চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। মনে রাখা দরকার, সব ধরনের চিনি শরীরের জন্য সমান ক্ষতিকর নয়।
২০ ঘণ্টা আগে