জানেন কি

মানুষের রক্ত লাল। রক্ত চলাচল করে ধমনি আর শিরার ভেতর দিয়ে। শিরার ভেতর দিয়ে রক্ত চলাচল করলেও মানুষ ভেদে রক্তের শিরা নীল, সবুজ বা বেগুনি রঙের দেখায় কেন! এমন প্রশ্নে মনে আসতেই পারে। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জেনে নেওয়া যাক।

ইদানীং খুব অদ্ভুত আচরণ করছে বার্ড ফ্লু। যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে নয়টি রাজ্যে দুগ্ধজাত গরুতে উচ্চ প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (এইচ ৫ এন১) এর একটি ধরণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রামিত গাভীর দুধে খুব বেশি মাত্রায় ভাইরাসটি দেখা গেছে। আর এই ভাইরাসের ফলে মানুষের মধ্যে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ দেখা গিয়ে

সাধারণত আমরা যে কিবোর্ড ব্যবহার করি তার নাম হলো কোয়ার্টি। এই কিবোর্ডের বাম পাশে Q, W, E, R, T ও Y–এই ছয়টি ইংরেজি অক্ষর পাশাপাশি থাকে। এই ছয় অক্ষরবিন্যাস থেকে কিবোর্ডটির নামকরণ কোয়ার্টি। 

মানুষের চোখের গঠন খুবই জটিল। চোখের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে আলো ও অন্ধকারে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রবণতা। যেমন, মানুষ যেমন উজ্জ্বল সূর্যালোকে দেখতে পারে, তেমনি অল্প আলোতেও কিছুটা দেখতে পারে। তবে তীব্র আলো থেকে হুট করে অন্ধকার হলে চোখ এই নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কয়েক মিনিট সময় নেয়। 

নারীদের সাজসজ্জার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ ফেক আইল্যাশ বা কৃত্রিম পাপড়ি। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কৃত্রিম পাপড়ি ব্যবহারের চল অনেক আগে থেকেই আছে। বর্তমান যুগে চোখের জন্য তৈরি বিশেষায়িত আঠা দিয়ে পাপড়িগুলো লাগানো হয়। উন্নত আঠা যখন ছিল না তখন কৃত্রিম পাপড়ি সুঁই দিয়ে সেলাই করে চোখের পাতায় লাগানো হতো!

কিছু প্রাণী শীতকালের পুরোটা সময় প্রায় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। শীতকালে প্রকৃতি রুক্ষ হয়ে যায় ও খাবার সংগ্রহ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এই বৈরী পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকার জন্য মূলত প্রাণীরা শীতনিদ্রায় যায়। অনেক দেশে তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে প্রায় ছয় মাস ঘরের বাইরে বের হওয়া যায় না। এরপরও কেন মানুষ শীত

বর্ষণমুখর দিনে অতিরিক্ত ঘুম পাওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যখন মানুষের দেহে সূর্যের আলো পড়ে তখন দেহে মেলাটোনিন নামক হরমোন কম ক্ষরিত হয়।

চলে-ফিরে বেড়ানো কিংবা জটিল জটিল কাজ করে দিতে পারা রোবট তো আমরা অনেকে দেখেছি। সেগুলো মানুষের নির্দেশে চলতে পারে—তা আমরা জানি। কিন্তু জানেন কি, বাস্তব জগতের বাইরে ভার্চুয়াল জগতেও আছে রোবট? তারা আবার ভার্চুয়াল অনেক কাজ নিমেষেই করে দিতে পারে! জনপ্রিয় চ্যাটজিপিটি, গুগলের জেমিনি, মাইক্রোসফটের বার্ড সম্পর্

প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে আমরা পানি ব্যবহার করি। পানি কোনো পাত্রে রেখে ফ্রিজে রাখার কিছু সময় পর দেখা যায় ওপরের দিকে জমাট বেঁধেছে কিন্তু নিচের দিকে তরলই থেকে গেছে। পানি কেন নিচ থেকে ওপরের দিকে জমাট বাঁধে এই প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। অন্যান্য তরলের তুলনায় পানির এই বৈশিষ্ট্য অনন্য

অনেকেই পোষা বিড়ালের সঙ্গে আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বলেন। মনে হয় যেন, কোনো শিশুর সঙ্গে কথা বলছেন। পোষাপ্রেমীদের এই আচরণে অনেকেই বিরক্ত হলেও বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীরা ইতিবাচক তথ্য দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, বাচ্চাদের মতোই আহ্লাদী কথা শুনতে পছন্দ করে বিড়াল। 

প্রচণ্ড গরমে পিচঢালা সড়কে হাত-পা বা শরীরে অন্য অংশ লাগলেই ত্বক জ্বালাপোড়া করে। ত্বক যেন পুড়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়। এর বিপরীতে কংক্রিটের সড়ক অতটা গরম হয় না। তবে একই গরম পরিবেশে থাকলেও এ দুটির মধ্যে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণই বা কী!

পানিতে দীর্ঘসময় হাত চুবিয়ে রাখলে আঙুলের ত্বক কুঁচকে যেতে দেখা যায়। আবার দীর্ঘ সময় সাঁতার কাটলেও এমন হয়। পায়ের আঙুলের ত্বকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। কিন্তু পানিতে দীর্ঘসময় ডুবে থাকলেও শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বক কিন্তু কুঁচকে যায় না। তাহলে শুধু হাত ও পায়ের আঙুলের ত্বক এমন হয় কেন? এ বিষয়ে বিজ্ঞানই কী ব

নিজের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে তো আলাদা করে পরিচিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু নিজের কথা বা গান রেকর্ড করে শোনার পর নিজের কাছেই কেন অচেনা লাগে! এমনকি কেউ কেউ রেকর্ড করা নিজের কণ্ঠ শুনে অস্বস্তিবোধও করতে পারেন। তবে আপনার কণ্ঠ কিন্তু আসলেই অত খারাপ না! এই ঘটনার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। 

রাতের বেলা বাদুড়কে উড়ে উড়ে বিভিন্ন পোকামাকড় ও ছোট প্রাণীদের শিকার করতে দেখা যায়। আবার সকাল বেলা এদের গাছের ডালে বা গুহায় উল্টো ঝুলে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু এরা আর দশটা পাখি বা প্রাণীর মতো সোজা হয়ে ঘুমায় না কেন বা এভাবে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকার সুবিধাই বা কী? 

শীতের সময় গায়ের ওপর দিয়ে ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেলে রোম খাড়া হয়ে যায়, লোমকূপগুলো ফুলে ওঠে। শুধু ঠান্ডা লাগলে নয়, গায়ে কাঁটা দেওয়া বা রোম খাড়া হতে পারে ভয় পেলে বা উত্তেজনায়। শুধু মানুষ নয়, সব স্তন্যপায়ীর গায়েই এমন কাঁটা দেয়। কিন্তু এর কারণ কী? 

বাড়ি, গাড়ি, পোশাক, ওষুধের মতো অনেক কিছুতেই কর বসানোর কথা শোনা যায়। কিন্তু কখনো কি দাড়ির কর ধার্য করার কথা শুনেছেন? এমনই অদ্ভুত বিষয় ঘটেছিল রাশিয়ায়। ১৬৯৮ সালে রাশিয়ার রাজা প্রথম জার পিটার (পিটার দ্য গ্রেট) দাড়ির ওপর কর বসান।

বৈচিত্র্যময় প্রাণী জগতে এক বিস্ময় অক্টোপাস। পৃথিবী গ্রহের অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী এটি। আটটি বাহু ছাড়াও প্রাণীটির আরেকটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—এদের রক্তের রং নীল।