প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবনের জানালা সাধারণত ত্রিভুজাকার বা আয়তাকার হয়। এসব ভবনে গোলাকার কোণের জানালাও দেখা যায়, তবে বিরল। গোলাকার জানালাকে স্থাপত্যবিদ্যার ভাষায় বলে ‘অকুলাস’। এটি বাড়ির নকশায় একটি অনন্য মাত্রা যোগ করে।
এবার উড়োজাহাজের কথা ভাবুন। উড়োজাহাজের জানালা সব সময় গোলাকার কোণের হয়ে থাকে। এগুলো কখনই জ্যামিতিক আয়তাকার হয় না।
উড়োজাহাজ শিল্পের প্রথম দিকে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজে বর্গাকার জানালা ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে উড়োজাহাজের জানালার আকৃতি এমনই ছিল। তবে এখন কেন বর্গাকার জানালা দেখা যায় না?
মূলত কিছু দুর্ঘটনার পরই উড়োজাহাজের জানালার নকশা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন প্রকৌশলীরা। ১৯৫০–এর দশকে, বাণিজ্যিক এয়ারলাইনগুলো ব্যবসা বাড়াতে শুরু করে, আকাশে তাদের বেশ দাপট বাড়তে থাকে। এর মধ্যে দুটি ‘ডি হ্যাভিল্যান্ড কমেট’ উড়োজাহাজ ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ সালে আলাদাভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আর এই দুর্ঘটনার কারণ আপনি যা ভাবছেন তা–ই—বর্গাকার জানালা। উড়োজাহাজ দুটি মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ে, এতে ৫৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বিশেষ করে, বর্গাকার জানালার চোখা কোণগুলো অত্যধিক চাপ সহ্য করতে পারে না, ফলে জানালাগুলো ফেটে যাচ্ছিল এবং উড়োজাহাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। বর্গাকার জানালার চারটি চোখা কোনায় প্রায় ৭০ শতাংশ চাপ পড়ে, এতে একটি উড়োজাহাজ বারবার ব্যবহারের করলে এগুলো ভেঙে যায়।
প্রকৌশলীরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেন, উড়োজাহাজের বর্গাকার জানালার প্রান্তগুলো চোখা হওয়ার কারণে কোণগুলোতে চাপ কেন্দ্রীভূত হতে থাকে। এভাবে চাপ কেন্দ্রীভূত হতে হতে প্রান্তগুলোতে ধীরে ধীরে ছোট ফাটল বা ত্রুটি দেখা দেয়।
বারবার চাপের সম্মুখীন হয়ে জানালার ধাতব অংশের চাপ সহ্য ক্ষমতা কমতে থাকে। একে বলে ‘মেটাল ফ্যাটিগ’ বা ধাতব ক্লান্তি।
উড়োজাহাজ আকাশে যে উচ্চতায় ওড়ে, সেখানে বায়ুচাপ অনেক কম থাকে। বর্গাকার জানালা ঘন ঘন চাপের পার্থক্য সহ্য করতে না পেরে প্রান্তগুলো ভেঙে পড়তে থাকে।
১৯৫০–এর দশকে, ডি হ্যাভিল্যান্ড কমেটের উড়োজাহাজগুলো আগের উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় আরও দ্রুত ও বেশি উচ্চতায় উড়ত। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ হওয়ার কারণে ঘন ঘন উড়তে হতো। এর ফলে বারবার চাপের কারণে বর্গাকার জানালা ভেঙে পড়ছিল।
অন্যদিকে গোলাকার জানালায় চাপকে সমানভাবে সবখানে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ গোলাকার জানালার কোনো কর্নার বা কোনা নেই যা চাপকে কেন্দ্রীভূত করতে পারে। ফলে এটিতে ফাটল বা ভাঙনের আশঙ্কা কমায়। উপবৃত্তাকার আকারের চাপ সহ্য ক্ষমতা বেশি ও বিকৃতি প্রতিরোধী। ফলে এটি উড়োজাহাজের ভেতরের এবং বাইরের চাপের পার্থক্য বেশি সহ্য করতে পারে।
উড়োজাহাজের জানালার মধ্যে একাধিক স্তরের অ্যাক্রিলিক (কাচ নয়) থাকে। স্তরগুলো বৃষ্টি, বাতাস এবং কুয়াশার মতো আবহাওয়াজনিত ঘটনা থেকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়। এসব জানালার নিচে আবার ছোট্ট গর্ত থাকে। এগুলো ‘ব্লিড হোলস’ নামে পরিচিত। এগুলো আরও একটি সুরক্ষার স্তর যোগ করে।
জানালার গর্তটি বায়ু চলাচল করার সুযোগ দেয়। বায়ুর প্রবাহের মাধ্যমে উড়োজাহাজের ভেতরের এবং বাইরের চাপের মধ্যে ভারসাম্য রাখে এসব ছিদ্র।
তথ্যসূত্র: হাও স্টাফ ওয়ার্কস ও সিম্পল ফ্লাইয়িং
আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবনের জানালা সাধারণত ত্রিভুজাকার বা আয়তাকার হয়। এসব ভবনে গোলাকার কোণের জানালাও দেখা যায়, তবে বিরল। গোলাকার জানালাকে স্থাপত্যবিদ্যার ভাষায় বলে ‘অকুলাস’। এটি বাড়ির নকশায় একটি অনন্য মাত্রা যোগ করে।
এবার উড়োজাহাজের কথা ভাবুন। উড়োজাহাজের জানালা সব সময় গোলাকার কোণের হয়ে থাকে। এগুলো কখনই জ্যামিতিক আয়তাকার হয় না।
উড়োজাহাজ শিল্পের প্রথম দিকে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজে বর্গাকার জানালা ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে উড়োজাহাজের জানালার আকৃতি এমনই ছিল। তবে এখন কেন বর্গাকার জানালা দেখা যায় না?
মূলত কিছু দুর্ঘটনার পরই উড়োজাহাজের জানালার নকশা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন প্রকৌশলীরা। ১৯৫০–এর দশকে, বাণিজ্যিক এয়ারলাইনগুলো ব্যবসা বাড়াতে শুরু করে, আকাশে তাদের বেশ দাপট বাড়তে থাকে। এর মধ্যে দুটি ‘ডি হ্যাভিল্যান্ড কমেট’ উড়োজাহাজ ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ সালে আলাদাভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আর এই দুর্ঘটনার কারণ আপনি যা ভাবছেন তা–ই—বর্গাকার জানালা। উড়োজাহাজ দুটি মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ে, এতে ৫৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বিশেষ করে, বর্গাকার জানালার চোখা কোণগুলো অত্যধিক চাপ সহ্য করতে পারে না, ফলে জানালাগুলো ফেটে যাচ্ছিল এবং উড়োজাহাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। বর্গাকার জানালার চারটি চোখা কোনায় প্রায় ৭০ শতাংশ চাপ পড়ে, এতে একটি উড়োজাহাজ বারবার ব্যবহারের করলে এগুলো ভেঙে যায়।
প্রকৌশলীরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেন, উড়োজাহাজের বর্গাকার জানালার প্রান্তগুলো চোখা হওয়ার কারণে কোণগুলোতে চাপ কেন্দ্রীভূত হতে থাকে। এভাবে চাপ কেন্দ্রীভূত হতে হতে প্রান্তগুলোতে ধীরে ধীরে ছোট ফাটল বা ত্রুটি দেখা দেয়।
বারবার চাপের সম্মুখীন হয়ে জানালার ধাতব অংশের চাপ সহ্য ক্ষমতা কমতে থাকে। একে বলে ‘মেটাল ফ্যাটিগ’ বা ধাতব ক্লান্তি।
উড়োজাহাজ আকাশে যে উচ্চতায় ওড়ে, সেখানে বায়ুচাপ অনেক কম থাকে। বর্গাকার জানালা ঘন ঘন চাপের পার্থক্য সহ্য করতে না পেরে প্রান্তগুলো ভেঙে পড়তে থাকে।
১৯৫০–এর দশকে, ডি হ্যাভিল্যান্ড কমেটের উড়োজাহাজগুলো আগের উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় আরও দ্রুত ও বেশি উচ্চতায় উড়ত। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ হওয়ার কারণে ঘন ঘন উড়তে হতো। এর ফলে বারবার চাপের কারণে বর্গাকার জানালা ভেঙে পড়ছিল।
অন্যদিকে গোলাকার জানালায় চাপকে সমানভাবে সবখানে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ গোলাকার জানালার কোনো কর্নার বা কোনা নেই যা চাপকে কেন্দ্রীভূত করতে পারে। ফলে এটিতে ফাটল বা ভাঙনের আশঙ্কা কমায়। উপবৃত্তাকার আকারের চাপ সহ্য ক্ষমতা বেশি ও বিকৃতি প্রতিরোধী। ফলে এটি উড়োজাহাজের ভেতরের এবং বাইরের চাপের পার্থক্য বেশি সহ্য করতে পারে।
উড়োজাহাজের জানালার মধ্যে একাধিক স্তরের অ্যাক্রিলিক (কাচ নয়) থাকে। স্তরগুলো বৃষ্টি, বাতাস এবং কুয়াশার মতো আবহাওয়াজনিত ঘটনা থেকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়। এসব জানালার নিচে আবার ছোট্ট গর্ত থাকে। এগুলো ‘ব্লিড হোলস’ নামে পরিচিত। এগুলো আরও একটি সুরক্ষার স্তর যোগ করে।
জানালার গর্তটি বায়ু চলাচল করার সুযোগ দেয়। বায়ুর প্রবাহের মাধ্যমে উড়োজাহাজের ভেতরের এবং বাইরের চাপের মধ্যে ভারসাম্য রাখে এসব ছিদ্র।
তথ্যসূত্র: হাও স্টাফ ওয়ার্কস ও সিম্পল ফ্লাইয়িং
মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
৩ দিন আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
৪ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
৪ দিন আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৬ দিন আগে