প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
মানুষের রক্ত লাল। রক্ত চলাচল করে ধমনি আর শিরার ভেতর দিয়ে। শিরার ভেতর দিয়ে রক্ত চলাচল করলেও মানুষ ভেদে রক্তের শিরা নীল, সবুজ বা বেগুনি রঙের দেখায় কেন! এমন প্রশ্নে মনে আসতেই পারে। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জেনে নেওয়া যাক।
হিমোগ্লোবিনের জন্য রক্ত লাল হয়। প্রতিটি হিমোগ্লোবিন কণায় চারটি আয়রন অণু থাকে। অক্সিজেন পরিবহনের সময় এসব অণু লাল বর্ণ ধারণ করে। অক্সিজেনের মাত্রার ওপর নির্ভর করে লাল রংটি হালকা বা গাঢ় হয়। হিমোগ্লোবিন যখন ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে তখন রক্ত লাল হয়।
সিয়াটলের ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. ক্লেবার ফেরট্রিন বলেন, দেহের কোষগুলোতে রক্ত পৌঁছে দেওয়া পর রক্ত আরও কালচে লাল বর্ণ ধারণ করে। সুতরাং গাঢ় বা কালচে লাল হলেও রক্ত সব সময় লালই থাকে।
তাহলে রক্ত পরিবাহক শিরা নীল, সবুজ বা অন্য রঙের দেখায় কেন? এ প্রশ্নে ফেরট্রিন বলেন, ত্বকের স্তরের কারণে আমাদের চোখ বিভ্রান্ত হয়। মানুষ যে রং দেখে তা বস্তু থেকে প্রতিফলিত আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে। যে তরঙ্গদৈর্ঘ্য চোখের রেটিনায় পৌঁছায় তার ভিত্তিতেই রং দেখা যায়।
ত্বকের স্তর তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে বিভিন্ন দিকে বিক্ষিপ্ত করে। কারণ সবুজ, নীল ও বেগুনি রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে ছোট। এ জন্য সবুজ, নীল ও বেগুনি আলোর তুলনায় লাল আলো আমাদের ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই লাল আলো দেহে প্রবেশ করে আর সবুজ ও নীল আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে প্রবেশ করে।
আর ত্বক পাতলা নাকি মোটা সেটির ওপরও শিরার রং নির্ভর করে। ত্বকের পৃষ্ঠের কাছাকাছি শিরাগুলো যেভাবে আলোর সঙ্গে বেশি মিথস্ক্রিয়া করে তার কারণে শিরা নীল দেখায়। আর যখন ত্বকের শিরাগুলো গভীরে থাকে তখন এগুলো বেগুনি বা সবুজ দেখাতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ও লাইভ সায়েন্স
মানুষের রক্ত লাল। রক্ত চলাচল করে ধমনি আর শিরার ভেতর দিয়ে। শিরার ভেতর দিয়ে রক্ত চলাচল করলেও মানুষ ভেদে রক্তের শিরা নীল, সবুজ বা বেগুনি রঙের দেখায় কেন! এমন প্রশ্নে মনে আসতেই পারে। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জেনে নেওয়া যাক।
হিমোগ্লোবিনের জন্য রক্ত লাল হয়। প্রতিটি হিমোগ্লোবিন কণায় চারটি আয়রন অণু থাকে। অক্সিজেন পরিবহনের সময় এসব অণু লাল বর্ণ ধারণ করে। অক্সিজেনের মাত্রার ওপর নির্ভর করে লাল রংটি হালকা বা গাঢ় হয়। হিমোগ্লোবিন যখন ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে তখন রক্ত লাল হয়।
সিয়াটলের ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. ক্লেবার ফেরট্রিন বলেন, দেহের কোষগুলোতে রক্ত পৌঁছে দেওয়া পর রক্ত আরও কালচে লাল বর্ণ ধারণ করে। সুতরাং গাঢ় বা কালচে লাল হলেও রক্ত সব সময় লালই থাকে।
তাহলে রক্ত পরিবাহক শিরা নীল, সবুজ বা অন্য রঙের দেখায় কেন? এ প্রশ্নে ফেরট্রিন বলেন, ত্বকের স্তরের কারণে আমাদের চোখ বিভ্রান্ত হয়। মানুষ যে রং দেখে তা বস্তু থেকে প্রতিফলিত আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে। যে তরঙ্গদৈর্ঘ্য চোখের রেটিনায় পৌঁছায় তার ভিত্তিতেই রং দেখা যায়।
ত্বকের স্তর তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে বিভিন্ন দিকে বিক্ষিপ্ত করে। কারণ সবুজ, নীল ও বেগুনি রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে ছোট। এ জন্য সবুজ, নীল ও বেগুনি আলোর তুলনায় লাল আলো আমাদের ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই লাল আলো দেহে প্রবেশ করে আর সবুজ ও নীল আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে প্রবেশ করে।
আর ত্বক পাতলা নাকি মোটা সেটির ওপরও শিরার রং নির্ভর করে। ত্বকের পৃষ্ঠের কাছাকাছি শিরাগুলো যেভাবে আলোর সঙ্গে বেশি মিথস্ক্রিয়া করে তার কারণে শিরা নীল দেখায়। আর যখন ত্বকের শিরাগুলো গভীরে থাকে তখন এগুলো বেগুনি বা সবুজ দেখাতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ও লাইভ সায়েন্স
আধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
১ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
২ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৩ দিন আগেবসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
৪ দিন আগে