আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাড়ির টায়ার ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যায়। কয়েক বছর পরপর তাই আমাদের টায়ার বদলাতে হয়। কিন্তু যেটুকু অংশ ক্ষয়ে যায়, সেটা কোথায় যায় ভেবেছেন কখনো? এই ক্ষয় হওয়া অংশগুলো একেবারে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আকারে রাস্তায় পড়ে থাকে। এরপর বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে নালার মাধ্যমে পৌঁছে যায় নদী, হ্রদ, সাগর কিংবা সাগরের মাছের পেটে। এই ছোট ছোট কণাগুলোকে বলা হয় মাইক্রোপ্লাস্টিক। আর টায়ারের কৃত্রিম রাবার থেকেই এগুলো তৈরি হয় বেশি।
প্রতি বছর লাখ লাখ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথিবীর মহাসাগরে পৌঁছায়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্থল ও জলভাগে পাওয়া মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রায় ৪৫ শতাংশই আসে গাড়ির টায়ারের ক্ষয় থেকে।
এই মাইক্রোপ্লাস্টিকে থাকা রাসায়নিক পদার্থ জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক বিষ হয়ে দাঁড়ায়। এসব মাছ মানুষও খায়। ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ঢুকে যেতে পারে মানবদেহেও। গবেষণায় দেখা গেছে, টায়ার থেকে সৃষ্ট এসব কণার ভেতরে থাকা ‘৬ পিপিডি-কিউ’ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মাছের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে একধরনের স্যামন মাছ ডিম ছাড়ার আগেই মারা যাচ্ছে এই রাসায়নিকের কারণে।
শুধু জলজ প্রাণী নয়, বিশ্বজুড়ে প্রধান প্রধান সড়কগুলোর আশপাশে থাকা মানুষও এই কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করছে। চীনে শিশু ও বড়দের প্রস্রাবে ৬ পিপিডি-কিউ পাওয়া গেছে। এটি যকৃৎ, ফুসফুস ও কিডনির ক্ষতি করতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।
এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁরা স্থানীয় কৃষিজ বর্জ্য দিয়ে তৈরি করেছেন বিশেষ ধরনের ফিল্টার। মূলত পাইন কাঠের গুঁড়ো এবং ধানের তুষ পুড়িয়ে তৈরি বায়োচার দিয়ে তৈরি এই ফিল্টার, যা রাস্তার ড্রেনের মুখে বসানো হয়। এরপর বৃষ্টির পানির সঙ্গে আসা টায়ারের কণাগুলো ওই ফিল্টারে আটকে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ফিল্টার প্রায় ৯০ শতাংশ টায়ারের ক্ষয়জাত কণা আটকে রাখতে পারে।
বায়োচারে অনেক ছোট ছোট ছিদ্র থাকে, যেখানে কণাগুলো আটকে যায়। কাঠের গুঁড়োতেও রয়েছে প্রাকৃতিক যৌগ, যা দূষণকারীদের শোষণ করে নেয়। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলক সস্তা, সহজলভ্য এবং পরিবেশবান্ধব। তবে গবেষকেরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি কতটা কার্যকর হবে তা জানতে আরও গবেষণা দরকার। ফিল্টারগুলো নিয়মিত বদলানো লাগবে এবং ব্যবহৃত ফিল্টার সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করাও গুরুত্বপূর্ণ।
গাড়ির টায়ার যেমন আমাদের যাত্রা সহজ করে, তেমনি তা থেকে তৈরি হওয়া কণা পরিবেশের জন্য হয়ে উঠছে বড় হুমকি। তবে কাঠের গুঁড়ো আর ধানের তুষ থেকে তৈরি বায়োচার হয়তো হতে পারে এই সমস্যার সহজ ও বিজ্ঞানসম্মত সমাধান।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
লেখক: ইউনিভার্সিটি অব মিসিসিপির রসায়নের পিএইচডি প্রার্থী বোলুওয়াটিফে ওলুবুসোয়ে এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জেমস ভি সিজডজিয়েল।
গাড়ির টায়ার ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যায়। কয়েক বছর পরপর তাই আমাদের টায়ার বদলাতে হয়। কিন্তু যেটুকু অংশ ক্ষয়ে যায়, সেটা কোথায় যায় ভেবেছেন কখনো? এই ক্ষয় হওয়া অংশগুলো একেবারে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আকারে রাস্তায় পড়ে থাকে। এরপর বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে নালার মাধ্যমে পৌঁছে যায় নদী, হ্রদ, সাগর কিংবা সাগরের মাছের পেটে। এই ছোট ছোট কণাগুলোকে বলা হয় মাইক্রোপ্লাস্টিক। আর টায়ারের কৃত্রিম রাবার থেকেই এগুলো তৈরি হয় বেশি।
প্রতি বছর লাখ লাখ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথিবীর মহাসাগরে পৌঁছায়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্থল ও জলভাগে পাওয়া মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রায় ৪৫ শতাংশই আসে গাড়ির টায়ারের ক্ষয় থেকে।
এই মাইক্রোপ্লাস্টিকে থাকা রাসায়নিক পদার্থ জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক বিষ হয়ে দাঁড়ায়। এসব মাছ মানুষও খায়। ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ঢুকে যেতে পারে মানবদেহেও। গবেষণায় দেখা গেছে, টায়ার থেকে সৃষ্ট এসব কণার ভেতরে থাকা ‘৬ পিপিডি-কিউ’ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মাছের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে একধরনের স্যামন মাছ ডিম ছাড়ার আগেই মারা যাচ্ছে এই রাসায়নিকের কারণে।
শুধু জলজ প্রাণী নয়, বিশ্বজুড়ে প্রধান প্রধান সড়কগুলোর আশপাশে থাকা মানুষও এই কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করছে। চীনে শিশু ও বড়দের প্রস্রাবে ৬ পিপিডি-কিউ পাওয়া গেছে। এটি যকৃৎ, ফুসফুস ও কিডনির ক্ষতি করতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।
এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁরা স্থানীয় কৃষিজ বর্জ্য দিয়ে তৈরি করেছেন বিশেষ ধরনের ফিল্টার। মূলত পাইন কাঠের গুঁড়ো এবং ধানের তুষ পুড়িয়ে তৈরি বায়োচার দিয়ে তৈরি এই ফিল্টার, যা রাস্তার ড্রেনের মুখে বসানো হয়। এরপর বৃষ্টির পানির সঙ্গে আসা টায়ারের কণাগুলো ওই ফিল্টারে আটকে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ফিল্টার প্রায় ৯০ শতাংশ টায়ারের ক্ষয়জাত কণা আটকে রাখতে পারে।
বায়োচারে অনেক ছোট ছোট ছিদ্র থাকে, যেখানে কণাগুলো আটকে যায়। কাঠের গুঁড়োতেও রয়েছে প্রাকৃতিক যৌগ, যা দূষণকারীদের শোষণ করে নেয়। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলক সস্তা, সহজলভ্য এবং পরিবেশবান্ধব। তবে গবেষকেরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি কতটা কার্যকর হবে তা জানতে আরও গবেষণা দরকার। ফিল্টারগুলো নিয়মিত বদলানো লাগবে এবং ব্যবহৃত ফিল্টার সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করাও গুরুত্বপূর্ণ।
গাড়ির টায়ার যেমন আমাদের যাত্রা সহজ করে, তেমনি তা থেকে তৈরি হওয়া কণা পরিবেশের জন্য হয়ে উঠছে বড় হুমকি। তবে কাঠের গুঁড়ো আর ধানের তুষ থেকে তৈরি বায়োচার হয়তো হতে পারে এই সমস্যার সহজ ও বিজ্ঞানসম্মত সমাধান।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
লেখক: ইউনিভার্সিটি অব মিসিসিপির রসায়নের পিএইচডি প্রার্থী বোলুওয়াটিফে ওলুবুসোয়ে এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জেমস ভি সিজডজিয়েল।
‘ইভেন্টউড’ নামে একটি মার্কিন কোম্পানি এমন এক ধরনের কাঠ তৈরি করেছে, যার শক্তি ইস্পাতের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি এবং ওজন ছয় গুণ কম। এই কাঠের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারউড’। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই কাঠের উৎপাদন শুরু করেছে।
৪ দিন আগেআন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান রসায়নবিদ ড. ওমর ইয়াঘি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে রসায়নে নোবেল জয় করলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শুষ্ক অঞ্চল থেকে পানীয় জল সংগ্রহের প্রযুক্তিতে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
১০ দিন আগেচলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী—সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন ও ওমর এম ইয়াঘি। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ ঘটানোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
১০ দিন আগেপদার্থবিজ্ঞানের একটি অন্যতম প্রধান প্রশ্ন হলো—কত বড় ব্যবস্থার (system) মধ্যে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার প্রভাব দৃশ্যমান করা সম্ভব? এ বছরের নোবেল বিজয়ীরা একটি বৈদ্যুতিক সার্কিট ব্যবহার করে এমন একটি ব্যবস্থায় কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং ও কোয়ান্টাইজড শক্তির স্তর প্রমাণ করেছেন—যেটির আকার রীতিমতো...
১১ দিন আগে