মিয়ানমারে আবারও ভূমিকম্প হয়েছে। গত ২৮ মার্চ হয়ে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের দুই সপ্তাহের মধ্যে এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটল। এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে কি না—তা এখনো জানা যায়নি। থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট ও মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। এটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সম্প্রতি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য দেশটির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। আজ মঙ্গলবার ১২০ টন ত্রাণ, জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, সেনা কল্যাণ সংস্থা এবং রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় প্রাপ্ত ১২০ টন ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে—৭৭ মেট্রিক টন শুকনা খাবার, ৯ টনেরও অধিক তাঁবু এবং ব্যবহারযোগ্য বস্ত্র, ২৯ মেট্রিক টন বিশুদ্ধ খাবার পানি, ৪ মেট্রিক টন হাইজিন কিট এবং প্রায় ১ টন...
গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারে সংঘটিত ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিশেষ উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দল মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে পাঠানো হয়।
ভূমিকম্পের পর ত্রাণ কার্যক্রম সহজ করতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। গত ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পর থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারের বে
মিয়ানমারে সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্ধার, চিকিৎসা ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে পাঠানো এই বিশেষ দল উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রমে নিবেদিতভাবে অংশগ্রহণ করছে...
যুক্তরাষ্ট্র আর বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভার বহন করবে না। যেহেতু চীন ও ভারত ধনী দেশ, তারাও অংশগ্রহণ করুক। এমনটাই মন্তব্য করেছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। পাশাপাশি, তিনি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর অন্যান্য ধনী দেশগুলোকেও দেশটিতে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসার...
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাংলাদেশের উদ্ধারকারী ও মেডিকেল টিমের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে জুবু থিরি টাউনশিপ এবং নেপিদো এলাকার কয়েকটি বিল্ডিং এ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে...
স্থান মিয়ানমারের মান্দালয়ের থাহতায় কিয়াং বৌদ্ধবিহার। সেখানকার ধ্বংসস্তূপে এখনো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খুঁজছেন ভিক্ষুরা। তাঁদেরই একজন ওয়েয়ামা। বললেন, এখানকার কিছু ভবনের বয়স আমার বয়সের চেয়ে বেশি। এটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন যে এগুলো ভেঙে গেছে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। এমআরটিভির তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতি ২ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে
এই বছরের শুরুতে অর্থাৎ ২০২৫ সাল নিয়ে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘বছরের শুরুতে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হবে’। সম্প্রতি মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ২ হাজার ৭০০ মানুষ। এ ঘটনা আসলে কী প্রমাণ করে? বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী কি তবে সত্য হচ্ছে?
মিয়ানমারের সাগাইন অঞ্চলে গত শুক্রবার যখন জুম’আর নামাজের আজানের ধ্বনি ভেসে আসছিল, তখন শত শত মুসলমান মসজিদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন দ্রুত। তারা রমজানের শেষ শুক্রবারের নামাজ আদায় করতে উৎসুক ছিলেন। কারণ, পবিত্র মাসের সমাপ্তি শেষে ঈদ উৎসবের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি ছিল। কিন্তু তাদের আনন্দযাত্রা নিমেষেই...
২০০৫ সালে গোপনে তৈরি করা হয়েছিল এই শহরটি। পূর্ববর্তী সামরিক শাসকেরা তৈরি করেছিলেন বিশাল সড়ক, অতিকায় সরকারি ভবন আর প্রাসাদসম স্থাপত্য। কিন্তু ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, মন্ত্রণালয়ের ভবন, এমনকি রাষ্ট্রপতি ভবনের সোনালি সিঁড়িও। বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন। মন্ত্রীরা কাজ করছেন ধ্বংসস্তূ
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর দ্বিতীয় মিশন পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তিনটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে এসব ত্রাণ পাঠানো হয়। এছাড়াও ত্রাণের সঙ্গে রয়েছেন ৫৫ সদস্যের উদ্ধারকারী দল।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হয়। এর পর থেকেই যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশটিকে বিপর্যস্ত করে রেখেছে। গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর গৃহযুদ্ধের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম এখন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী অং সান
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠিয়েছে।