আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানুষ থেকে শিম্পাঞ্জি, এমনকি মেরু ভালুক বা নেকড়ে পর্যন্ত—চুম্বন এক সর্বজনীন আচরণ। কিন্তু এই ঘনিষ্ঠ আচরণের জন্ম কবে? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। তাঁদের গবেষণা অনুযায়ী, মুখ দিয়ে মুখ স্পর্শ করার এই আচরণটি প্রায় ২১ মিলিয়ন (২ কোটি ১০ লাখ) বছর আগে বিবর্তিত হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মানুষ এবং অন্যান্য গ্রেট এপস বা বৃহৎ বানর প্রজাতির সাধারণ পূর্বপুরুষেরা সম্ভবত চুমুতে অভ্যস্ত ছিল।
গবেষকেরা মনে করছেন, এই গবেষণা প্রমাণ করে, চুম্বন মানব সমাজের নিজস্ব কোনো উদ্ভাবন নয়, বরং এটি সমগ্র প্রাণিজগতে বহু আগে থেকেই বিদ্যমান একটি বিবর্তনগত আচরণ।
চুম্বনের মতো একটি আবেগময় আচরণের উৎস বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রথমে এর একটি সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা তৈরি করেন। ‘ইভোলিউশন অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়র’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা চুম্বনকে একটি ‘অ-আক্রমণাত্মক, নির্দেশিত মৌখিক-মৌখিক যোগাযোগ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, যেখানে ঠোঁট বা মুখের পারস্পরিক স্পর্শ ও ঘষাঘষি থাকবে, কিন্তু কোনো খাদ্য আদান-প্রদান হবে না।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী এবং প্রধান গবেষক ড. মাটিল্ডা ব্রিন্ডল ব্যাখ্যা করেন, ‘মানুষ, শিম্পাঞ্জি এবং বোনোবো—সবাই চুম্বন করে। তাই এটি সম্ভবত তাদের সবচেয়ে সাম্প্রতিক সাধারণ পূর্বপুরুষের মধ্যেও বিদ্যমান ছিল। আমাদের ধারণা, চুম্বন প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ বছর আগে গ্রেট এপসদের মধ্যে বিবর্তিত হয়েছিল।’
গবেষকেরা মানুষের নিকটতম প্রাচীন আত্মীয়, নিয়ান্ডারথালদের মধ্যেও চুম্বনের প্রমাণ পেয়েছেন, যারা প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ড. ব্রিন্ডল জানান, নিয়ান্ডারথালদের ডিএনএ নিয়ে একটি পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথালরা মুখগহ্বরের একই ধরনের জীবাণু ভাগ করে নিত।
ড. ব্রিন্ডল বলেন, ‘এর অর্থ হলো, দুটি প্রজাতি বিভক্ত হওয়ার পরও কয়েক লাখ বছর ধরে তাদের মধ্যে লালা বিনিময় হয়েছিল।’ এর থেকেই স্পষ্ট হয়, মানব এবং নিয়ান্ডারথালদের মধ্যে সম্ভবত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বা ‘স্মুচিং’ ঘটেছিল।
বিবর্তনগত ফ্যামিলি ট্রি তৈরি করার জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে চুম্বনের অনুরূপ আচরণ খুঁজে বের করেছেন। গবেষণায় নেকড়ে, প্রেইরি ডগ, এমনকি পোলার বিয়ার (মেরু ভালুক) এবং অ্যালবাট্রস পাখির মধ্যেও চুম্বনের বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞার সঙ্গে মিলে যাওয়া আচরণের প্রমাণ মিলেছে।
যদিও এই গবেষণাটি চুম্বন কখন বিকশিত হয়েছে তা চিহ্নিত করে। তবে কেন এমন আচরণ বিকশিত হলো—এই বিবর্তনীয় ধাঁধার উত্তর দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে একাধিক তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, এটি এপসদের মধ্যে ‘গ্রুমিং’ বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার আচরণ থেকে এসেছে। আবার কারও মতে, এটি সঙ্গীর স্বাস্থ্য এবং উপযুক্ততা মূল্যায়ন করার একটি ঘনিষ্ঠ ও অন্তরঙ্গ উপায় হতে পারে।
ড. ব্রিন্ডল আশা করেন, এই গবেষণাটি ‘কেন’ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নতুন পথ খুলে দেবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোঝা উচিত যে এটি এমন একটি আচরণ, যা আমরা আমাদের অ-মানব আত্মীয়দের সঙ্গে ভাগ করে নিই। এটিকে কেবল মানুষের রোমান্টিক আচরণ বলে উড়িয়ে না দিয়ে, এর উৎস নিয়ে আমাদের আরও গবেষণা করা উচিত।’

মানুষ থেকে শিম্পাঞ্জি, এমনকি মেরু ভালুক বা নেকড়ে পর্যন্ত—চুম্বন এক সর্বজনীন আচরণ। কিন্তু এই ঘনিষ্ঠ আচরণের জন্ম কবে? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। তাঁদের গবেষণা অনুযায়ী, মুখ দিয়ে মুখ স্পর্শ করার এই আচরণটি প্রায় ২১ মিলিয়ন (২ কোটি ১০ লাখ) বছর আগে বিবর্তিত হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মানুষ এবং অন্যান্য গ্রেট এপস বা বৃহৎ বানর প্রজাতির সাধারণ পূর্বপুরুষেরা সম্ভবত চুমুতে অভ্যস্ত ছিল।
গবেষকেরা মনে করছেন, এই গবেষণা প্রমাণ করে, চুম্বন মানব সমাজের নিজস্ব কোনো উদ্ভাবন নয়, বরং এটি সমগ্র প্রাণিজগতে বহু আগে থেকেই বিদ্যমান একটি বিবর্তনগত আচরণ।
চুম্বনের মতো একটি আবেগময় আচরণের উৎস বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রথমে এর একটি সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা তৈরি করেন। ‘ইভোলিউশন অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়র’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা চুম্বনকে একটি ‘অ-আক্রমণাত্মক, নির্দেশিত মৌখিক-মৌখিক যোগাযোগ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, যেখানে ঠোঁট বা মুখের পারস্পরিক স্পর্শ ও ঘষাঘষি থাকবে, কিন্তু কোনো খাদ্য আদান-প্রদান হবে না।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী এবং প্রধান গবেষক ড. মাটিল্ডা ব্রিন্ডল ব্যাখ্যা করেন, ‘মানুষ, শিম্পাঞ্জি এবং বোনোবো—সবাই চুম্বন করে। তাই এটি সম্ভবত তাদের সবচেয়ে সাম্প্রতিক সাধারণ পূর্বপুরুষের মধ্যেও বিদ্যমান ছিল। আমাদের ধারণা, চুম্বন প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ বছর আগে গ্রেট এপসদের মধ্যে বিবর্তিত হয়েছিল।’
গবেষকেরা মানুষের নিকটতম প্রাচীন আত্মীয়, নিয়ান্ডারথালদের মধ্যেও চুম্বনের প্রমাণ পেয়েছেন, যারা প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ড. ব্রিন্ডল জানান, নিয়ান্ডারথালদের ডিএনএ নিয়ে একটি পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথালরা মুখগহ্বরের একই ধরনের জীবাণু ভাগ করে নিত।
ড. ব্রিন্ডল বলেন, ‘এর অর্থ হলো, দুটি প্রজাতি বিভক্ত হওয়ার পরও কয়েক লাখ বছর ধরে তাদের মধ্যে লালা বিনিময় হয়েছিল।’ এর থেকেই স্পষ্ট হয়, মানব এবং নিয়ান্ডারথালদের মধ্যে সম্ভবত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বা ‘স্মুচিং’ ঘটেছিল।
বিবর্তনগত ফ্যামিলি ট্রি তৈরি করার জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে চুম্বনের অনুরূপ আচরণ খুঁজে বের করেছেন। গবেষণায় নেকড়ে, প্রেইরি ডগ, এমনকি পোলার বিয়ার (মেরু ভালুক) এবং অ্যালবাট্রস পাখির মধ্যেও চুম্বনের বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞার সঙ্গে মিলে যাওয়া আচরণের প্রমাণ মিলেছে।
যদিও এই গবেষণাটি চুম্বন কখন বিকশিত হয়েছে তা চিহ্নিত করে। তবে কেন এমন আচরণ বিকশিত হলো—এই বিবর্তনীয় ধাঁধার উত্তর দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে একাধিক তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, এটি এপসদের মধ্যে ‘গ্রুমিং’ বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার আচরণ থেকে এসেছে। আবার কারও মতে, এটি সঙ্গীর স্বাস্থ্য এবং উপযুক্ততা মূল্যায়ন করার একটি ঘনিষ্ঠ ও অন্তরঙ্গ উপায় হতে পারে।
ড. ব্রিন্ডল আশা করেন, এই গবেষণাটি ‘কেন’ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নতুন পথ খুলে দেবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোঝা উচিত যে এটি এমন একটি আচরণ, যা আমরা আমাদের অ-মানব আত্মীয়দের সঙ্গে ভাগ করে নিই। এটিকে কেবল মানুষের রোমান্টিক আচরণ বলে উড়িয়ে না দিয়ে, এর উৎস নিয়ে আমাদের আরও গবেষণা করা উচিত।’

সব ভূমিকম্পের সঙ্গেই যে ফোরশক হবে, এমনটা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই কোনো ফোরশক ছাড়াই একটিমাত্র শক্তিশালী কম্পন (মেইনশক) দেখা যায়। এই কারণেই, ফোরশকগুলো মেইনশকের আগে ঘটলেও, বিজ্ঞানীরা এটিকে নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইসরায়েলের গালিলি সাগরের তীরবর্তী একটি প্রাগৈতিহাসিক গ্রাম থেকে প্রায় ১২ হাজার বছর পুরোনো একটি মাটির মূর্তি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বিশ্বজুড়ে আবিষ্কৃত পৌরাণিক দৃশ্যের অন্যতম প্রাচীন চিত্রায়ণ হতে পারে এটি।
৫ দিন আগে
বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ৪০ হাজার বছর আগে মারা যাওয়া একটি কিশোরী ম্যামথের দেহ থেকে প্রাচীন আরএনএ সংগ্রহ করেছেন। ‘ইউকা’ নাম দেওয়া ওই ম্যামথের দেহ সাইবেরিয়ার স্থায়ী তুষার স্তর বা পারমাফ্রস্টে জমে থাকা অবস্থায় মমি হয়ে গিয়েছিল।
৭ দিন আগে
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর ভূত্বকের অভ্যন্তরে হঠাৎ শক্তি নির্গমনের ফল, এটিই ভূপৃষ্ঠে কম্পন সৃষ্টি করে। সাধারণত একটি ভূমিকম্পের ঘটনাকে তিনটি পর্যায়ক্রমিক কম্পনের একটি সিরিজ হিসেবে দেখা হয়: ফোরশক, মেইনশক এবং আফটারশক। এই তিনটি পর্যায় একসঙ্গে একটি সম্পূর্ণ ভূমিকম্পের প্রক্রিয়াকে সংজ্ঞায়িত করে।
ফোরশক হলো এমন ভূমিকম্প যা একই স্থানে একটি বৃহত্তর ভূমিকম্পের আগে ঘটে থাকে। একটি ভূমিকম্পকে ফোরশক হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না যতক্ষণ না একই এলাকায় এর পরে একটি বৃহত্তর ভূমিকম্প আঘাত হানে।
আফটারশক হলো অপেক্ষাকৃত ছোট ভূমিকম্প, যা একটি বৃহত্তর ঘটনা বা ‘মেইনশক’-এর পরে একই অঞ্চলে কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকে। এগুলো সাধারণত ফাটলের (ফল্ট লাইন) ১-২টি দৈর্ঘ্যের মধ্যেই ঘটে। স্বাভাবিক পটভূমি স্তরে ফিরে আসার আগে পর্যন্ত এটি চলতে থাকে।
একটি সাধারণ নিয়ম হিসেবে, আফটারশকগুলো মেইনশকের সময় স্থানচ্যুত হওয়া ফাটলের অংশ বরাবর সামান্য পুনঃসামঞ্জস্যকে বোঝায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই আফটারশকগুলোর পুনঘটন কমতে থাকে।
ঐতিহাসিকভাবে, অগভীর ভূমিকম্পের তুলনায় গভীর ভূমিকম্পের (৩০ কিমির বেশি) পরে আফটারশক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। নিচে এই তিনটি পর্যায় সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো:

১. ফোরশক বা প্রাথমিক কম্পন
ভূমিকম্পের প্রধান কম্পন (মেইনশক) আঘাত হানার আগে যে ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয়, সেগুলোকে ফোরশক বলা হয়। এগুলো মেইনশকের আগে ভূ-ত্বকে চাপ তৈরি হওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়।
ফোরশকের বৈশিষ্ট্য:
কোনো একটি নির্দিষ্ট ফাটল অঞ্চলে শক্তি জমা হওয়ার ফলে মেইনশক শুরু হওয়ার আগে যে মৃদু কম্পনগুলো হয়ে থাকে, তা-ই হলো ফোরশক। এই কম্পনগুলো প্রধান প্লেট (টেকটোনিক) বরাবর চাপ মুক্ত করতে শুরু করে এবং মেইনশকের জন্য অঞ্চলটিকে প্রস্তুত করে তোলে।
ফোরশকগুলোর মাত্রা সাধারণত মেইনশকের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়। এই কম্পনগুলোর তীব্রতা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার কারণে অনেক সময় সাধারণ মানুষ তা অনুভবও করতে পারে না।
ফোরশকগুলো মেইনশকের কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত ঘটতে পারে।
ভূতত্ত্ববিদদের জন্য ফোরশকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হতে পারে, যদিও এগুলো নির্ভরযোগ্যভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য যথেষ্ট নয়। বিজ্ঞানীরা কেবল মেইনশক হওয়ার পরেই নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন যে, আগের কম্পনটি ফোরশক ছিল। যদি এই কম্পনগুলো শনাক্ত করা যায়, তবে এটি বড় ভূমিকম্পের সতর্কতা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
২. মেইনশক বা প্রধান কম্পন
ভূমিকম্পের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বা পর্যায় ক্রমে সবচেয়ে তীব্র এবং শক্তিশালী কম্পনটিকে মেইনশক বলা হয়। এই কম্পনটিই স্থিতিশক্তির চূড়ান্ত মুক্তি ঘটায় এবং সাধারণত সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে ও জনজীবনের ওপর প্রভাব ফেলে।
মেইনশকের বৈশিষ্ট্য:
এটি একটি নির্দিষ্ট ভূমিকম্পের ঘটনার সবচেয়ে বড় মাত্রার কম্পনের ঘটনা। এর মাত্রা অন্য ফোরশক বা আফটারশকগুলোর চেয়ে বেশি হয়। মেইনশকের সময় জমে থাকা অধিকাংশ স্থিতিশক্তি হঠাৎ গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে তরঙ্গাকারে নির্গত হয়।
যেহেতু এর মাত্রা এবং তীব্রতা সবচেয়ে বেশি, তাই ভবন, পরিকাঠামো এবং ভূ-প্রকৃতির ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হয়।
মেইনশকের উৎপত্তিস্থানকে হাইপোসেন্টার বা ফোকাস এবং তার ঠিক ওপরের ভূ-পৃষ্ঠের স্থানকে এপিসেন্টার বলা হয়।
৩. আফটারশক বা পরবর্তী কম্পন
মেইনশক আঘাত হানার পরে একই অঞ্চলে যে ক্ষুদ্র কম্পনগুলো বারবার অনুভূত হতে থাকে, সেগুলোকে আফটারশক বলা হয়। এই কম্পনগুলো মেইনশকের পরে প্রধান ফাটল অঞ্চলে চাপের পুনঃসামঞ্জস্যের কারণে সৃষ্টি হয়।
আফটারশকের বৈশিষ্ট্য:
মেইনশকের আঘাতের ফলে ভূ-ত্বকের যে অংশ স্থানচ্যুত হয়েছে, সেখানে চাপ পুনরায় সামঞ্জস্য করার কারণে এই কম্পনগুলো সৃষ্টি হয়। এই চাপ কমার প্রক্রিয়া যতদিন চলে, ততদিন আফটারশক অনুভূত হতে থাকে।
আফটারশকগুলোর মাত্রা সব সময় মেইনশকের চেয়ে কম হয়, তবে প্রথম দিকের আফটারশকগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী হতে পারে এবং মেইনশকের কারণে দুর্বল হয়ে যাওয়া কাঠামোর আরও ক্ষতি করতে পারে। মেইনশকে দুর্বল হয়ে যাওয়া বাড়ি বা পরিকাঠামোর চূড়ান্ত পতন সাধারণত আফটারশকের ফলেই ঘটে থাকে।
মেইনশকের পর থেকে আফটারশকগুলো কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ বা এমনকি কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। বড় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে আফটারশক এক বছর বা তারও বেশি সময় ধরেও চলতে পারে।
আফটারশকের পুনঘটন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে। এই নিয়মটি ওমোরি’স ল নামে পরিচিত। এর অর্থ হলো, মেইনশকের ঠিক পরের দিনগুলোতে আফটারশক যত ঘন ঘন হয়, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এর সংখ্যা কমতে থাকে।
মনে রাখা প্রয়োজন, সব ভূমিকম্পের সঙ্গেই যে ফোরশক হবে, এমনটা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই কোনো ফোরশক ছাড়াই একটিমাত্র শক্তিশালী কম্পন (মেইনশক) দেখা যায়। এই কারণেই, ফোরশকগুলো মেইনশকের আগে ঘটলেও, বিজ্ঞানীরা এটিকে নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না। এই পর্যায়গুলো ভূমিকম্পের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এবং ফাটল অঞ্চলের স্থিতিশীল হওয়ার প্রক্রিয়াকে বোঝাতে সাহায্য করে।

ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর ভূত্বকের অভ্যন্তরে হঠাৎ শক্তি নির্গমনের ফল, এটিই ভূপৃষ্ঠে কম্পন সৃষ্টি করে। সাধারণত একটি ভূমিকম্পের ঘটনাকে তিনটি পর্যায়ক্রমিক কম্পনের একটি সিরিজ হিসেবে দেখা হয়: ফোরশক, মেইনশক এবং আফটারশক। এই তিনটি পর্যায় একসঙ্গে একটি সম্পূর্ণ ভূমিকম্পের প্রক্রিয়াকে সংজ্ঞায়িত করে।
ফোরশক হলো এমন ভূমিকম্প যা একই স্থানে একটি বৃহত্তর ভূমিকম্পের আগে ঘটে থাকে। একটি ভূমিকম্পকে ফোরশক হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না যতক্ষণ না একই এলাকায় এর পরে একটি বৃহত্তর ভূমিকম্প আঘাত হানে।
আফটারশক হলো অপেক্ষাকৃত ছোট ভূমিকম্প, যা একটি বৃহত্তর ঘটনা বা ‘মেইনশক’-এর পরে একই অঞ্চলে কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকে। এগুলো সাধারণত ফাটলের (ফল্ট লাইন) ১-২টি দৈর্ঘ্যের মধ্যেই ঘটে। স্বাভাবিক পটভূমি স্তরে ফিরে আসার আগে পর্যন্ত এটি চলতে থাকে।
একটি সাধারণ নিয়ম হিসেবে, আফটারশকগুলো মেইনশকের সময় স্থানচ্যুত হওয়া ফাটলের অংশ বরাবর সামান্য পুনঃসামঞ্জস্যকে বোঝায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই আফটারশকগুলোর পুনঘটন কমতে থাকে।
ঐতিহাসিকভাবে, অগভীর ভূমিকম্পের তুলনায় গভীর ভূমিকম্পের (৩০ কিমির বেশি) পরে আফটারশক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। নিচে এই তিনটি পর্যায় সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো:

১. ফোরশক বা প্রাথমিক কম্পন
ভূমিকম্পের প্রধান কম্পন (মেইনশক) আঘাত হানার আগে যে ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয়, সেগুলোকে ফোরশক বলা হয়। এগুলো মেইনশকের আগে ভূ-ত্বকে চাপ তৈরি হওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়।
ফোরশকের বৈশিষ্ট্য:
কোনো একটি নির্দিষ্ট ফাটল অঞ্চলে শক্তি জমা হওয়ার ফলে মেইনশক শুরু হওয়ার আগে যে মৃদু কম্পনগুলো হয়ে থাকে, তা-ই হলো ফোরশক। এই কম্পনগুলো প্রধান প্লেট (টেকটোনিক) বরাবর চাপ মুক্ত করতে শুরু করে এবং মেইনশকের জন্য অঞ্চলটিকে প্রস্তুত করে তোলে।
ফোরশকগুলোর মাত্রা সাধারণত মেইনশকের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়। এই কম্পনগুলোর তীব্রতা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার কারণে অনেক সময় সাধারণ মানুষ তা অনুভবও করতে পারে না।
ফোরশকগুলো মেইনশকের কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত ঘটতে পারে।
ভূতত্ত্ববিদদের জন্য ফোরশকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হতে পারে, যদিও এগুলো নির্ভরযোগ্যভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য যথেষ্ট নয়। বিজ্ঞানীরা কেবল মেইনশক হওয়ার পরেই নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন যে, আগের কম্পনটি ফোরশক ছিল। যদি এই কম্পনগুলো শনাক্ত করা যায়, তবে এটি বড় ভূমিকম্পের সতর্কতা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
২. মেইনশক বা প্রধান কম্পন
ভূমিকম্পের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বা পর্যায় ক্রমে সবচেয়ে তীব্র এবং শক্তিশালী কম্পনটিকে মেইনশক বলা হয়। এই কম্পনটিই স্থিতিশক্তির চূড়ান্ত মুক্তি ঘটায় এবং সাধারণত সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে ও জনজীবনের ওপর প্রভাব ফেলে।
মেইনশকের বৈশিষ্ট্য:
এটি একটি নির্দিষ্ট ভূমিকম্পের ঘটনার সবচেয়ে বড় মাত্রার কম্পনের ঘটনা। এর মাত্রা অন্য ফোরশক বা আফটারশকগুলোর চেয়ে বেশি হয়। মেইনশকের সময় জমে থাকা অধিকাংশ স্থিতিশক্তি হঠাৎ গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে তরঙ্গাকারে নির্গত হয়।
যেহেতু এর মাত্রা এবং তীব্রতা সবচেয়ে বেশি, তাই ভবন, পরিকাঠামো এবং ভূ-প্রকৃতির ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হয়।
মেইনশকের উৎপত্তিস্থানকে হাইপোসেন্টার বা ফোকাস এবং তার ঠিক ওপরের ভূ-পৃষ্ঠের স্থানকে এপিসেন্টার বলা হয়।
৩. আফটারশক বা পরবর্তী কম্পন
মেইনশক আঘাত হানার পরে একই অঞ্চলে যে ক্ষুদ্র কম্পনগুলো বারবার অনুভূত হতে থাকে, সেগুলোকে আফটারশক বলা হয়। এই কম্পনগুলো মেইনশকের পরে প্রধান ফাটল অঞ্চলে চাপের পুনঃসামঞ্জস্যের কারণে সৃষ্টি হয়।
আফটারশকের বৈশিষ্ট্য:
মেইনশকের আঘাতের ফলে ভূ-ত্বকের যে অংশ স্থানচ্যুত হয়েছে, সেখানে চাপ পুনরায় সামঞ্জস্য করার কারণে এই কম্পনগুলো সৃষ্টি হয়। এই চাপ কমার প্রক্রিয়া যতদিন চলে, ততদিন আফটারশক অনুভূত হতে থাকে।
আফটারশকগুলোর মাত্রা সব সময় মেইনশকের চেয়ে কম হয়, তবে প্রথম দিকের আফটারশকগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী হতে পারে এবং মেইনশকের কারণে দুর্বল হয়ে যাওয়া কাঠামোর আরও ক্ষতি করতে পারে। মেইনশকে দুর্বল হয়ে যাওয়া বাড়ি বা পরিকাঠামোর চূড়ান্ত পতন সাধারণত আফটারশকের ফলেই ঘটে থাকে।
মেইনশকের পর থেকে আফটারশকগুলো কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ বা এমনকি কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। বড় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে আফটারশক এক বছর বা তারও বেশি সময় ধরেও চলতে পারে।
আফটারশকের পুনঘটন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে। এই নিয়মটি ওমোরি’স ল নামে পরিচিত। এর অর্থ হলো, মেইনশকের ঠিক পরের দিনগুলোতে আফটারশক যত ঘন ঘন হয়, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এর সংখ্যা কমতে থাকে।
মনে রাখা প্রয়োজন, সব ভূমিকম্পের সঙ্গেই যে ফোরশক হবে, এমনটা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই কোনো ফোরশক ছাড়াই একটিমাত্র শক্তিশালী কম্পন (মেইনশক) দেখা যায়। এই কারণেই, ফোরশকগুলো মেইনশকের আগে ঘটলেও, বিজ্ঞানীরা এটিকে নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না। এই পর্যায়গুলো ভূমিকম্পের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এবং ফাটল অঞ্চলের স্থিতিশীল হওয়ার প্রক্রিয়াকে বোঝাতে সাহায্য করে।

মানুষ থেকে শিম্পাঞ্জি, এমনকি মেরু ভালুক বা নেকড়ে পর্যন্ত—চুম্বন এক সর্বজনীন আচরণ। কিন্তু এই ঘনিষ্ঠ আচরণের জন্ম কবে? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।
৪ দিন আগে
উত্তর ইসরায়েলের গালিলি সাগরের তীরবর্তী একটি প্রাগৈতিহাসিক গ্রাম থেকে প্রায় ১২ হাজার বছর পুরোনো একটি মাটির মূর্তি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বিশ্বজুড়ে আবিষ্কৃত পৌরাণিক দৃশ্যের অন্যতম প্রাচীন চিত্রায়ণ হতে পারে এটি।
৫ দিন আগে
বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ৪০ হাজার বছর আগে মারা যাওয়া একটি কিশোরী ম্যামথের দেহ থেকে প্রাচীন আরএনএ সংগ্রহ করেছেন। ‘ইউকা’ নাম দেওয়া ওই ম্যামথের দেহ সাইবেরিয়ার স্থায়ী তুষার স্তর বা পারমাফ্রস্টে জমে থাকা অবস্থায় মমি হয়ে গিয়েছিল।
৭ দিন আগে
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইসরায়েলের গালিলি সাগরের তীরবর্তী একটি প্রাগৈতিহাসিক গ্রাম থেকে প্রায় ১২ হাজার বছর পুরোনো একটি মাটির মূর্তি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বিশ্বজুড়ে আবিষ্কৃত পৌরাণিক দৃশ্যের অন্যতম প্রাচীন চিত্রায়ণ হতে পারে এটি। এই মূর্তিটিতে বসা অবস্থার একজন নারী এবং একটি রাজহাঁসকে বিশেষ ভঙ্গিতে চিত্রিত করা হয়েছে।
‘নাহাল এইন গেভ টু’ নামক স্থানে ৫ মিটার ব্যাসের অর্ধবৃত্তাকার পাথরের কাঠামোর ভেতরে মূর্তিটি পাওয়া যায়। মাত্র দেড় ইঞ্চি উচ্চতার এই ক্ষুদ্রাকৃতির শিল্পকর্মটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার নাতুফিয়ান সংস্কৃতির অংশ। এই সংস্কৃতিটি ছিল সেই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের, যখন শিকারি-সংগ্রাহক যাযাবর সম্প্রদায়গুলো ধীরে ধীরে কৃষিনির্ভর স্থায়ী সমাজে রূপান্তরিত হচ্ছিল।
হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব গবেষক ও এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক লরেন্ট ডেভিন জানিয়েছেন, এটিই সম্ভবত বিশ্বে এ যাবৎ আবিষ্কৃত প্রাচীনতম মূর্তি, যেখানে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে, এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার শিল্পকর্মে নারীর প্রাচীনতম স্বাভাবিক এবং শৈলীবিহীন চিত্রায়ণ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গবেষণাটি প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
মূর্তিটিতে রাজহাঁসটিকে এমনভাবে নারীর পিঠের ওপর রাখা হয়েছে, যা হাঁসের স্বাভাবিক মিলনকালীন ভঙ্গিমার নির্দেশ করে। গবেষকদের মতে, এই দৃশ্যটি প্রাগৈতিহাসিক এই সমাজের বিশ্বাস ব্যবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি অন্তর্দৃষ্টি দেয়।
গবেষণার সহ-লেখক, হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ লিওরি গ্রসম্যান এই মিথস্ক্রিয়াকে ‘একটি প্রাণী আত্মার সঙ্গে মানুষের কল্পিত মিলনের চিত্রায়ণ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন, শামানিক দর্শন বা পৌরাণিক কাহিনির মতো নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সর্বপ্রাণবাদী সমাজগুলোতে এই থিমটি খুবই সাধারণ।’

কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ নাটালি মুনরো বলেন, ‘মানুষ ও পশুর মধ্যে যৌনতা-সম্পর্কিত মিথস্ক্রিয়া চিত্রিত করার এই দৃশ্যটি পৌরাণিক কাহিনির দীর্ঘ ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের চিত্রণ খুব কমই আক্ষরিক অর্থ বহন করে। এর পরিবর্তে, এটি প্রায়শই নারীর উর্বরতা, আধ্যাত্মিক বিশ্বাস বা জীবনের পবিত্রতা প্রতীকী অর্থে প্রকাশ করে।’
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলছেন, মূর্তিটি কাদামাটি দিয়ে তৈরি করার পর শুকিয়ে এরপর টেকসই করার জন্য পোড়ানো হয়েছিল। পরে এতে লাল রঞ্জক পদার্থ দিয়ে রং করা হয়। গবেষকেরা মূর্তিটিতে এর নির্মাতার আঙুলের ছাপও খুঁজে পেয়েছেন।
ডেভিন ব্যাখ্যা করেন, ভাস্কর এই মূর্তির বাম অংশের ওপর জোর দিয়ে আলো ও ছায়ার ব্যবহার করে গভীরতা ও বিশেষ দৃষ্টিকোণ তৈরি করেছেন। এটি সেই সময়ের জন্য এক নতুন শৈল্পিক উদ্ভাবন ছিল, যা অনেক পরে পূর্ণতা পায়। এই কৌশল থেকে অনুমান করা যায়, মূর্তিটি সম্ভবত এমন একটি স্থানে স্থাপন করা হয়েছিল যেখানে সূর্য বা আগুনের আলো পড়লে নারী ও রাজহাঁসের মধ্যে মিথস্ক্রিয়াটি জীবন্ত হয়ে উঠত।
এই ধরনের মূর্তিগুলো অলংকার, সুরক্ষামূলক মাদুলি বা গল্প বলার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মনে করেন, এই বিশেষ মূর্তিটি সম্ভবত একটি মঞ্চ প্রদর্শনীর অংশ ছিল, যা গ্রামের অধিবাসীরা দল বেঁধে দেখতে আসত। মূর্তির সঙ্গে একই স্থানে মানুষের দাঁত এবং একটি শিশুর দেহাবশেষও পাওয়া গেছে, যা স্থানটির ধর্মীয় বা আচারগত তাৎপর্য নির্দেশ করে।
গবেষকেরা বলেন, এই আবিষ্কার প্রমাণ করে, স্থায়ী জীবনযাপন কীভাবে সামাজিক কাঠামো এবং ফলস্বরূপ গল্প বলা, প্রতীকী অভিব্যক্তি এবং শৈল্পিক কৌশলগুলোর রূপান্তরে সহায়তা করেছিল।

উত্তর ইসরায়েলের গালিলি সাগরের তীরবর্তী একটি প্রাগৈতিহাসিক গ্রাম থেকে প্রায় ১২ হাজার বছর পুরোনো একটি মাটির মূর্তি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বিশ্বজুড়ে আবিষ্কৃত পৌরাণিক দৃশ্যের অন্যতম প্রাচীন চিত্রায়ণ হতে পারে এটি। এই মূর্তিটিতে বসা অবস্থার একজন নারী এবং একটি রাজহাঁসকে বিশেষ ভঙ্গিতে চিত্রিত করা হয়েছে।
‘নাহাল এইন গেভ টু’ নামক স্থানে ৫ মিটার ব্যাসের অর্ধবৃত্তাকার পাথরের কাঠামোর ভেতরে মূর্তিটি পাওয়া যায়। মাত্র দেড় ইঞ্চি উচ্চতার এই ক্ষুদ্রাকৃতির শিল্পকর্মটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার নাতুফিয়ান সংস্কৃতির অংশ। এই সংস্কৃতিটি ছিল সেই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের, যখন শিকারি-সংগ্রাহক যাযাবর সম্প্রদায়গুলো ধীরে ধীরে কৃষিনির্ভর স্থায়ী সমাজে রূপান্তরিত হচ্ছিল।
হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব গবেষক ও এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক লরেন্ট ডেভিন জানিয়েছেন, এটিই সম্ভবত বিশ্বে এ যাবৎ আবিষ্কৃত প্রাচীনতম মূর্তি, যেখানে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে, এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার শিল্পকর্মে নারীর প্রাচীনতম স্বাভাবিক এবং শৈলীবিহীন চিত্রায়ণ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। গবেষণাটি প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
মূর্তিটিতে রাজহাঁসটিকে এমনভাবে নারীর পিঠের ওপর রাখা হয়েছে, যা হাঁসের স্বাভাবিক মিলনকালীন ভঙ্গিমার নির্দেশ করে। গবেষকদের মতে, এই দৃশ্যটি প্রাগৈতিহাসিক এই সমাজের বিশ্বাস ব্যবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি অন্তর্দৃষ্টি দেয়।
গবেষণার সহ-লেখক, হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ লিওরি গ্রসম্যান এই মিথস্ক্রিয়াকে ‘একটি প্রাণী আত্মার সঙ্গে মানুষের কল্পিত মিলনের চিত্রায়ণ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন, শামানিক দর্শন বা পৌরাণিক কাহিনির মতো নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সর্বপ্রাণবাদী সমাজগুলোতে এই থিমটি খুবই সাধারণ।’

কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ নাটালি মুনরো বলেন, ‘মানুষ ও পশুর মধ্যে যৌনতা-সম্পর্কিত মিথস্ক্রিয়া চিত্রিত করার এই দৃশ্যটি পৌরাণিক কাহিনির দীর্ঘ ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের চিত্রণ খুব কমই আক্ষরিক অর্থ বহন করে। এর পরিবর্তে, এটি প্রায়শই নারীর উর্বরতা, আধ্যাত্মিক বিশ্বাস বা জীবনের পবিত্রতা প্রতীকী অর্থে প্রকাশ করে।’
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলছেন, মূর্তিটি কাদামাটি দিয়ে তৈরি করার পর শুকিয়ে এরপর টেকসই করার জন্য পোড়ানো হয়েছিল। পরে এতে লাল রঞ্জক পদার্থ দিয়ে রং করা হয়। গবেষকেরা মূর্তিটিতে এর নির্মাতার আঙুলের ছাপও খুঁজে পেয়েছেন।
ডেভিন ব্যাখ্যা করেন, ভাস্কর এই মূর্তির বাম অংশের ওপর জোর দিয়ে আলো ও ছায়ার ব্যবহার করে গভীরতা ও বিশেষ দৃষ্টিকোণ তৈরি করেছেন। এটি সেই সময়ের জন্য এক নতুন শৈল্পিক উদ্ভাবন ছিল, যা অনেক পরে পূর্ণতা পায়। এই কৌশল থেকে অনুমান করা যায়, মূর্তিটি সম্ভবত এমন একটি স্থানে স্থাপন করা হয়েছিল যেখানে সূর্য বা আগুনের আলো পড়লে নারী ও রাজহাঁসের মধ্যে মিথস্ক্রিয়াটি জীবন্ত হয়ে উঠত।
এই ধরনের মূর্তিগুলো অলংকার, সুরক্ষামূলক মাদুলি বা গল্প বলার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মনে করেন, এই বিশেষ মূর্তিটি সম্ভবত একটি মঞ্চ প্রদর্শনীর অংশ ছিল, যা গ্রামের অধিবাসীরা দল বেঁধে দেখতে আসত। মূর্তির সঙ্গে একই স্থানে মানুষের দাঁত এবং একটি শিশুর দেহাবশেষও পাওয়া গেছে, যা স্থানটির ধর্মীয় বা আচারগত তাৎপর্য নির্দেশ করে।
গবেষকেরা বলেন, এই আবিষ্কার প্রমাণ করে, স্থায়ী জীবনযাপন কীভাবে সামাজিক কাঠামো এবং ফলস্বরূপ গল্প বলা, প্রতীকী অভিব্যক্তি এবং শৈল্পিক কৌশলগুলোর রূপান্তরে সহায়তা করেছিল।

মানুষ থেকে শিম্পাঞ্জি, এমনকি মেরু ভালুক বা নেকড়ে পর্যন্ত—চুম্বন এক সর্বজনীন আচরণ। কিন্তু এই ঘনিষ্ঠ আচরণের জন্ম কবে? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।
৪ দিন আগে
সব ভূমিকম্পের সঙ্গেই যে ফোরশক হবে, এমনটা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই কোনো ফোরশক ছাড়াই একটিমাত্র শক্তিশালী কম্পন (মেইনশক) দেখা যায়। এই কারণেই, ফোরশকগুলো মেইনশকের আগে ঘটলেও, বিজ্ঞানীরা এটিকে নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না।
৮ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ৪০ হাজার বছর আগে মারা যাওয়া একটি কিশোরী ম্যামথের দেহ থেকে প্রাচীন আরএনএ সংগ্রহ করেছেন। ‘ইউকা’ নাম দেওয়া ওই ম্যামথের দেহ সাইবেরিয়ার স্থায়ী তুষার স্তর বা পারমাফ্রস্টে জমে থাকা অবস্থায় মমি হয়ে গিয়েছিল।
৭ দিন আগে
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ৪০ হাজার বছর আগে মারা যাওয়া একটি কিশোরী ম্যামথের দেহ থেকে প্রাচীন আরএনএ সংগ্রহ করেছেন। ‘ইউকা’ নাম দেওয়া ওই ম্যামথের দেহ সাইবেরিয়ার স্থায়ী তুষারস্তর বা পারমাফ্রস্টে জমে থাকা অবস্থায় মমি হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে ৪০ হাজার বছর পরও এর টিস্যুগুলো সংরক্ষিত অবস্থায় থেকে গেছে। এত প্রাচীন আরএনএ সিকোয়েন্স করার ঘটনা এবারই প্রথম এবং এই বিশ্লেষণ মৃত্যুর আগের মুহূর্তে প্রাণীটির কোষে কী ঘটছিল সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইডেনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের গবেষক লাভ ডালেন জানিয়েছেন—ডিএনএ সব কোষে একই থাকে, কিন্তু কোষের ধরনে পার্থক্য তৈরি করে আরএনএ। কোন জিন চালু বা বন্ধ আছে, কোন প্রোটিন তৈরি হচ্ছে, এসব তথ্য দেয় এই অস্থায়ী অণু। এত দিন বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, আরএনএ খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং প্রাগৈতিহাসিক নমুনা থেকে এটি উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব।
সিএনএন জানিয়েছে, গবেষণা দলটি ১০টি হিমায়িত ম্যামথ টিস্যু পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে তিনটি থেকে আরএনএ পাওয়া গেলেও কেবল ইউকার পায়ের টিস্যু থেকেই বিস্তারিত জিনগত তথ্য পাওয়া গেছে। ওই নমুনায় পাওয়া গেছে মেসেঞ্জার-আরএনএ, যা কোষে প্রোটিন তৈরির নির্দেশ বহন করে এবং পাওয়া গেছে মাইক্রোআরএনএ, যা জিন নিয়ন্ত্রণ করে।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এমিলিও মারমোল সানচেজ জানিয়েছেন, আরএনএ-এর ধরন দেখেই বোঝা গেছে ইউকা মৃত্যুর খুব কাছাকাছি ছিল। আরএনএ সিকোয়েন্সে তার মাংসপেশির ক্রিয়াকলাপ দেখা গেছে, যা মৃত্যুর মুহূর্তে বাঁচার জন্য শেষ শক্তি ব্যবহার ও সংকোচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। সক্রিয় ছিল ‘টাইটিন’ ও ‘নেবুলিন’ নামের প্রোটিন—যেগুলো পেশির স্থিতিস্থাপকতা ও সংকোচনে ভূমিকা রাখে।
স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মার্ক ফ্রিডল্যান্ডার জানিয়েছেন, ম্যামথটির টিস্যুতে পাওয়া মাইক্রোআরএনএ প্রমাণ করেছে প্রাচীন এই প্রাণীটির দেহে মৃত্যুর ঠিক আগেও জিন নিয়ন্ত্রণ সক্রিয় ছিল। এ ধরনের তথ্য আগে কখনো পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গবেষণা ভবিষ্যতে অতীতের ভাইরাস—বিশেষ করে, আরএনএ-ভিত্তিক ভাইরাস বিশ্লেষণের নতুন পথ খুলে দিতে পারে। করোনাভাইরাসও এমন এক আরএনএ ভাইরাস। এ ছাড়া এটি বিলুপ্ত প্রাণী ফিরিয়ে আনার প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন ডালেন। টেক্সাসভিত্তিক কোম্পানি ‘কোলসাল বায়োসায়েন্সস’ ইতিমধ্যেই ম্যামথ, ডোডো ও তাসমানিয়ান টাইগারকে ‘জিন-এডিটিং’ এর মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
এর আগেও কিছু প্রাচীন নমুনা থেকে আরএনএ উদ্ধার হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ১৪ হাজার ৩০০ বছরের পুরোনো নেকড়ের চামড়া থেকে এবং ২০২৩ সালে তাসমানিয়ান টাইগারের ১৩০ বছর পুরোনো নমুনা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে ইউকার আরএনএ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সিকোয়েন্স করা আরএনএ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই অর্জন অতীতের জীবজগৎকে বোঝার ক্ষেত্রে নতুন এক যুগের সূচনা করতে পারে।

বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ৪০ হাজার বছর আগে মারা যাওয়া একটি কিশোরী ম্যামথের দেহ থেকে প্রাচীন আরএনএ সংগ্রহ করেছেন। ‘ইউকা’ নাম দেওয়া ওই ম্যামথের দেহ সাইবেরিয়ার স্থায়ী তুষারস্তর বা পারমাফ্রস্টে জমে থাকা অবস্থায় মমি হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে ৪০ হাজার বছর পরও এর টিস্যুগুলো সংরক্ষিত অবস্থায় থেকে গেছে। এত প্রাচীন আরএনএ সিকোয়েন্স করার ঘটনা এবারই প্রথম এবং এই বিশ্লেষণ মৃত্যুর আগের মুহূর্তে প্রাণীটির কোষে কী ঘটছিল সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইডেনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের গবেষক লাভ ডালেন জানিয়েছেন—ডিএনএ সব কোষে একই থাকে, কিন্তু কোষের ধরনে পার্থক্য তৈরি করে আরএনএ। কোন জিন চালু বা বন্ধ আছে, কোন প্রোটিন তৈরি হচ্ছে, এসব তথ্য দেয় এই অস্থায়ী অণু। এত দিন বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, আরএনএ খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং প্রাগৈতিহাসিক নমুনা থেকে এটি উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব।
সিএনএন জানিয়েছে, গবেষণা দলটি ১০টি হিমায়িত ম্যামথ টিস্যু পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে তিনটি থেকে আরএনএ পাওয়া গেলেও কেবল ইউকার পায়ের টিস্যু থেকেই বিস্তারিত জিনগত তথ্য পাওয়া গেছে। ওই নমুনায় পাওয়া গেছে মেসেঞ্জার-আরএনএ, যা কোষে প্রোটিন তৈরির নির্দেশ বহন করে এবং পাওয়া গেছে মাইক্রোআরএনএ, যা জিন নিয়ন্ত্রণ করে।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এমিলিও মারমোল সানচেজ জানিয়েছেন, আরএনএ-এর ধরন দেখেই বোঝা গেছে ইউকা মৃত্যুর খুব কাছাকাছি ছিল। আরএনএ সিকোয়েন্সে তার মাংসপেশির ক্রিয়াকলাপ দেখা গেছে, যা মৃত্যুর মুহূর্তে বাঁচার জন্য শেষ শক্তি ব্যবহার ও সংকোচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। সক্রিয় ছিল ‘টাইটিন’ ও ‘নেবুলিন’ নামের প্রোটিন—যেগুলো পেশির স্থিতিস্থাপকতা ও সংকোচনে ভূমিকা রাখে।
স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মার্ক ফ্রিডল্যান্ডার জানিয়েছেন, ম্যামথটির টিস্যুতে পাওয়া মাইক্রোআরএনএ প্রমাণ করেছে প্রাচীন এই প্রাণীটির দেহে মৃত্যুর ঠিক আগেও জিন নিয়ন্ত্রণ সক্রিয় ছিল। এ ধরনের তথ্য আগে কখনো পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গবেষণা ভবিষ্যতে অতীতের ভাইরাস—বিশেষ করে, আরএনএ-ভিত্তিক ভাইরাস বিশ্লেষণের নতুন পথ খুলে দিতে পারে। করোনাভাইরাসও এমন এক আরএনএ ভাইরাস। এ ছাড়া এটি বিলুপ্ত প্রাণী ফিরিয়ে আনার প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন ডালেন। টেক্সাসভিত্তিক কোম্পানি ‘কোলসাল বায়োসায়েন্সস’ ইতিমধ্যেই ম্যামথ, ডোডো ও তাসমানিয়ান টাইগারকে ‘জিন-এডিটিং’ এর মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
এর আগেও কিছু প্রাচীন নমুনা থেকে আরএনএ উদ্ধার হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ১৪ হাজার ৩০০ বছরের পুরোনো নেকড়ের চামড়া থেকে এবং ২০২৩ সালে তাসমানিয়ান টাইগারের ১৩০ বছর পুরোনো নমুনা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে ইউকার আরএনএ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সিকোয়েন্স করা আরএনএ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই অর্জন অতীতের জীবজগৎকে বোঝার ক্ষেত্রে নতুন এক যুগের সূচনা করতে পারে।

মানুষ থেকে শিম্পাঞ্জি, এমনকি মেরু ভালুক বা নেকড়ে পর্যন্ত—চুম্বন এক সর্বজনীন আচরণ। কিন্তু এই ঘনিষ্ঠ আচরণের জন্ম কবে? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।
৪ দিন আগে
সব ভূমিকম্পের সঙ্গেই যে ফোরশক হবে, এমনটা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই কোনো ফোরশক ছাড়াই একটিমাত্র শক্তিশালী কম্পন (মেইনশক) দেখা যায়। এই কারণেই, ফোরশকগুলো মেইনশকের আগে ঘটলেও, বিজ্ঞানীরা এটিকে নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইসরায়েলের গালিলি সাগরের তীরবর্তী একটি প্রাগৈতিহাসিক গ্রাম থেকে প্রায় ১২ হাজার বছর পুরোনো একটি মাটির মূর্তি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বিশ্বজুড়ে আবিষ্কৃত পৌরাণিক দৃশ্যের অন্যতম প্রাচীন চিত্রায়ণ হতে পারে এটি।
৫ দিন আগে
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাধ্যাকর্ষণের কারণে আমরা বসে-দাঁড়িয়ে প্লেটে বা হাতে নিয়ে খাবার খেতে পারি; কিন্তু মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই, তাই সেখানকার খাবার ও খাওয়ার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। সাধারণত নভোচারীরা হিমায়িত বা শুকনো খাবার খান। আর এসব খাবার পৃথিবী থেকে মহাকাশে নিয়ে যেতে হয়।
তবে এবার মহাকাশেই বাতাস (thin air) ও নভোচারীদের প্রস্রাব থেকে খাদ্য তৈরি সম্ভব বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ‘সোলেইন’ (Solein) নামে একটি প্রোটিন পাউডার খেয়ে ভবিষ্যতে চাঁদ বা মঙ্গলে দীর্ঘমেয়াদি মিশনে যাওয়া নভোচারীরা বেঁচে থাকতে পারবেন।
ইএসএ জানিয়েছে, একটি নতুন পাইলট প্রকল্পের আওতায় তারা সোলেইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটি তৈরি করতে প্রয়োজন কেবল মাইক্রোব (অণুজীব), বাতাস ও বিদ্যুৎ।
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের প্রস্রাবেই পাওয়া যায়।
ইএসএ ঘোষণা দিয়েছে, এই খাবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) তৈরির জন্য তারা একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। তাদের মতে, এই পরীক্ষা সফল হলে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের খাদ্যব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে।
সোলার ফুডসের স্পেস ও ডিফেন্স বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরত্তু লুকানেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল শুরু। আমাদের লক্ষ্য হলো, মহাকাশে সোলেইন উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করা। আমরা আশা করছি, ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশচারীদের প্রধান প্রোটিন উৎস হয়ে উঠবে সোলেইন।’
প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হোবি-ওয়ান’ (HOBI-WAN), এর পূর্ণরূপ Hydrogen Oxidizing Bacteria In Weightlessness As a source of Nutrition। প্রথম ধাপে এই প্রযুক্তি পৃথিবীতে উন্নয়ন করা হবে, এরপর তা মাইক্রোগ্র্যাভিটি (অল্প মহাকর্ষ) পরিবেশে পরীক্ষা করা হবে।
ইএসএর প্রধান অনুসন্ধান বিজ্ঞানী অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান ওমবারজেন বলেন, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো এমন একটি খাদ্য উপাদান তৈরি করা, যা মহাকাশ অভিযানে নভোচারীদের জন্য সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনবে।
অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান আরও বলেন, মানবজাতি যদি একদিন দীর্ঘ সময়ের জন্য চাঁদে বা মঙ্গলে অবস্থান করতে চায়, তাহলে সীমিত সরবরাহের মধ্যেও টিকে থাকার মতো উদ্ভাবনী ও টেকসই সমাধান প্রয়োজন হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইএসএ ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা তৈরি করছে।
সূত্র: স্পেস ডটকম

মাধ্যাকর্ষণের কারণে আমরা বসে-দাঁড়িয়ে প্লেটে বা হাতে নিয়ে খাবার খেতে পারি; কিন্তু মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই, তাই সেখানকার খাবার ও খাওয়ার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। সাধারণত নভোচারীরা হিমায়িত বা শুকনো খাবার খান। আর এসব খাবার পৃথিবী থেকে মহাকাশে নিয়ে যেতে হয়।
তবে এবার মহাকাশেই বাতাস (thin air) ও নভোচারীদের প্রস্রাব থেকে খাদ্য তৈরি সম্ভব বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ‘সোলেইন’ (Solein) নামে একটি প্রোটিন পাউডার খেয়ে ভবিষ্যতে চাঁদ বা মঙ্গলে দীর্ঘমেয়াদি মিশনে যাওয়া নভোচারীরা বেঁচে থাকতে পারবেন।
ইএসএ জানিয়েছে, একটি নতুন পাইলট প্রকল্পের আওতায় তারা সোলেইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটি তৈরি করতে প্রয়োজন কেবল মাইক্রোব (অণুজীব), বাতাস ও বিদ্যুৎ।
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের প্রস্রাবেই পাওয়া যায়।
ইএসএ ঘোষণা দিয়েছে, এই খাবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) তৈরির জন্য তারা একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। তাদের মতে, এই পরীক্ষা সফল হলে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের খাদ্যব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে।
সোলার ফুডসের স্পেস ও ডিফেন্স বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরত্তু লুকানেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল শুরু। আমাদের লক্ষ্য হলো, মহাকাশে সোলেইন উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করা। আমরা আশা করছি, ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশচারীদের প্রধান প্রোটিন উৎস হয়ে উঠবে সোলেইন।’
প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হোবি-ওয়ান’ (HOBI-WAN), এর পূর্ণরূপ Hydrogen Oxidizing Bacteria In Weightlessness As a source of Nutrition। প্রথম ধাপে এই প্রযুক্তি পৃথিবীতে উন্নয়ন করা হবে, এরপর তা মাইক্রোগ্র্যাভিটি (অল্প মহাকর্ষ) পরিবেশে পরীক্ষা করা হবে।
ইএসএর প্রধান অনুসন্ধান বিজ্ঞানী অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান ওমবারজেন বলেন, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো এমন একটি খাদ্য উপাদান তৈরি করা, যা মহাকাশ অভিযানে নভোচারীদের জন্য সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনবে।
অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান আরও বলেন, মানবজাতি যদি একদিন দীর্ঘ সময়ের জন্য চাঁদে বা মঙ্গলে অবস্থান করতে চায়, তাহলে সীমিত সরবরাহের মধ্যেও টিকে থাকার মতো উদ্ভাবনী ও টেকসই সমাধান প্রয়োজন হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইএসএ ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা তৈরি করছে।
সূত্র: স্পেস ডটকম

মানুষ থেকে শিম্পাঞ্জি, এমনকি মেরু ভালুক বা নেকড়ে পর্যন্ত—চুম্বন এক সর্বজনীন আচরণ। কিন্তু এই ঘনিষ্ঠ আচরণের জন্ম কবে? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।
৪ দিন আগে
সব ভূমিকম্পের সঙ্গেই যে ফোরশক হবে, এমনটা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই কোনো ফোরশক ছাড়াই একটিমাত্র শক্তিশালী কম্পন (মেইনশক) দেখা যায়। এই কারণেই, ফোরশকগুলো মেইনশকের আগে ঘটলেও, বিজ্ঞানীরা এটিকে নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইসরায়েলের গালিলি সাগরের তীরবর্তী একটি প্রাগৈতিহাসিক গ্রাম থেকে প্রায় ১২ হাজার বছর পুরোনো একটি মাটির মূর্তি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বিশ্বজুড়ে আবিষ্কৃত পৌরাণিক দৃশ্যের অন্যতম প্রাচীন চিত্রায়ণ হতে পারে এটি।
৫ দিন আগে
বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ৪০ হাজার বছর আগে মারা যাওয়া একটি কিশোরী ম্যামথের দেহ থেকে প্রাচীন আরএনএ সংগ্রহ করেছেন। ‘ইউকা’ নাম দেওয়া ওই ম্যামথের দেহ সাইবেরিয়ার স্থায়ী তুষার স্তর বা পারমাফ্রস্টে জমে থাকা অবস্থায় মমি হয়ে গিয়েছিল।
৭ দিন আগে