
অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
উত্তরটি বোঝার জন্য ত্বকের স্তর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। মানুষের ত্বকে প্রধান তিনটি স্তর রয়েছে। ত্বকের বাইরের স্তরকে বলে এপিডার্মিস। এটি সবচেয়ে পাতলা স্তর। এটি চ্যাপ্টা কোষের স্তরের সমন্বয়ে গঠিত, যাকে বলা হয় এপিথেলিয়াল কোষ। কোষগুলো সম্মিলিতভাবে বর্ম হিসেবে কাজ করে যা বাইরের আঘাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
এপিডার্মিসের নিচে থাকে ডার্মিস। এটি ত্বকের সবচেয়ে পুরু স্তর যেটিতে স্নায়ু, রক্তনালি, লোমের ফলিকল, ঘর্ম ও তেল গ্রন্থি থাকে। ডার্মিসের মধ্যে কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক প্রোটিনের বড় তন্তুযুক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে যা যথাক্রমে ত্বকের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করে।
সর্বশেষ হাইপোডার্মিস হলো ত্বকের গভীরতম স্তর। শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য এই স্তরে চর্বি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে এই স্তর।
পোড়ার মতো বিভিন্ন কারণে শুধু এপিডার্মিসের ক্ষতি হলে বাইরের স্তর উঠে যায়। তবে ত্বকের গভীর স্তরগুলো অক্ষত থাকে। কিন্তু যদি কোনো আঘাত ডার্মিসের গভীরে প্রবেশ করে, তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতের প্রয়োজন হয়।
ক্ষতস্থানকে আবৃত করার জন্য প্রথমেই ত্বক একটি আবরণ তৈরি করে ও এরপর ক্ষত নিরাময় শুরু করে। ত্বক সেই ক্ষতের মধ্যে টিস্যু পুনর্নির্মাণ করে। এটি এলোমেলোভাবে কাজ করার কারণে ত্বকে দাগ তৈরি হয়।
জনস হপকিন্স মেডিসিনের প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ড. ড্যামন কুনি বলেন, স্বাভাবিক ত্বকে একটি সুন্দর, মসৃণ প্যাটার্নে সাবধানে বোনা হয় ডার্মিসের কোলাজেন ফাইবারের নেটওয়ার্ক। অনেকটা কাপড়ের বোনার মতো। আঘাতের কারণে এই নেটওয়ার্ক ছিঁড়ে গেলে ফাঁক পূরণ করতে শরীর নতুন কোলাজেন ফাইবার তৈরি করে।
তবে ক্ষত জুড়ে নতুন ফাইবারগুলোকে সুন্দরভাবে একসঙ্গে বুননের পরিবর্তে শরীর সেগুলোকে একত্রে স্তূপাকারে জমা করে। এই অগোছালো কোলাজেনের স্তূপ বেশির ভাগ স্কার টিস্যু অর্থাৎ দাগ তৈরি করে। এই অংশ স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে আলাদা দেখায় ও কম নমনীয় হয়।
এই ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত টিস্যুগুলো স্বাভাবিক টিস্যু থেকে আলাদা। এতে লোমের ফলিকল বা ঘর্ম গ্রন্থি থাকে না। ফরসা ত্বকের অধিকারীদের ক্ষেত্রে এসব দাগ প্রায় লাল বা হালকা গোলাপি হয়। এই রং ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায় ও স্বাভাবিক ত্বকের রঙের চেয়ে কিছুটা হালকা বা গাঢ় হতে পারে। আর বাদামি বা কালো বর্ণের মানুষের ত্বকের দাগগুলো প্রায়শই কালো দাগের মতো দেখায়।
কখনো কখনো শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্কার টিস্যুর মধ্যে কোলাজেন রেখে দেয়, যার ফলে ‘কেলয়েড’ বা ‘হাইপারট্রফিক’ দাগ তৈরি হয়। এসব দাগ পুরু এবং কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। দাগগুলো লাল, গোলাপি ও বেগুনি বা একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ত্বকের রং থেকে কিছুটা গাঢ় হতে পারে। কেলয়েডের দাগগুলো মূল ক্ষতের চেয়ে বড় হয়। তবে হাইপারট্রফিক দাগগুলো ক্ষতের সমান হয়।
অন্যদের তুলনায় কিশোর–কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের হাইপারট্রফিক দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভবত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এটি হয়। কেলয়েডের দাগগুলো কালো ত্বকের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ড. ড্যামন কুনি বলেন, দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্ণ হতে পারে, কারণ এর মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলো চ্যাপ্টা ও মসৃণ হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি প্রায় ছয় থেকে ১৮ মাস ধরে হতে পারে। একটি দাগ কতটা বিবর্ণ হয় তা সেটির আকার, অবস্থান ও প্রকারের ওপর নির্ভর করে। তবে দাগ কখনই পুরোপুরি অদৃশ্য হয় না। কারণ এলোমেলো টিস্যু চারপাশের ত্বক থেকে আলাদা থাকে।
ক্ষতবিক্ষত ত্বককে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করতে পারে স্যালাম্যান্ডারের মতো কিছু প্রাণী। এদের ত্বকে দাগ পড়ে না। আশ্চর্যজনকভাবে মানুষও এটি করতে পারে। তবে সেটি গর্ভাবস্থার সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (গর্ভাবস্থার ১৩ সপ্তাহ থেকে ২৭ সপ্তাহ) থাকার সময় ভ্রূণ এটি করতে পারে। এরপর মানুষ ক্ষত টিস্যু পুনরুৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তবে এ কারণ বিজ্ঞানীরা জানেন না।
প্রাণীদের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কের ত্বক ভ্রূণে প্রতিস্থাপিত করলেও দাগ থাকে। এর থেকে বোঝা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক ত্বকের কোষগুলো আঘাতের পরে পুনরুৎপাদনের পরিবর্তে দাগ সৃষ্টি করে। ত্বকের মধ্যে স্টেম সেলের সংখ্যা ও অবস্থানের পার্থক্যের জন্য ভ্রূণের ক্ষত দাগহীনভাবে নিরাময় হতে পারে। তবে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এই গবেষণা।
তবে কিছু চিকিৎসায় ক্ষতের দাগ হালকা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লেজার থেরাপি দাগের রং ও উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে সিলিকন জেল শিট দিয়ে একটি দাগের ওপর ম্যাসেজ করার মাধ্যমে এটিকে মসৃণ ও সমান করতে পারে।
এ ছাড়া চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দাগ অপসারণ করতে পারেন। হাইপারট্রফিক এবং কেলোয়েড দাগের আকারও কমাতে পারে স্টেরয়েড ইনজেকশন। স্টেরয়েড এই দাগের মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলোর জট ছাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
উত্তরটি বোঝার জন্য ত্বকের স্তর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। মানুষের ত্বকে প্রধান তিনটি স্তর রয়েছে। ত্বকের বাইরের স্তরকে বলে এপিডার্মিস। এটি সবচেয়ে পাতলা স্তর। এটি চ্যাপ্টা কোষের স্তরের সমন্বয়ে গঠিত, যাকে বলা হয় এপিথেলিয়াল কোষ। কোষগুলো সম্মিলিতভাবে বর্ম হিসেবে কাজ করে যা বাইরের আঘাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
এপিডার্মিসের নিচে থাকে ডার্মিস। এটি ত্বকের সবচেয়ে পুরু স্তর যেটিতে স্নায়ু, রক্তনালি, লোমের ফলিকল, ঘর্ম ও তেল গ্রন্থি থাকে। ডার্মিসের মধ্যে কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক প্রোটিনের বড় তন্তুযুক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে যা যথাক্রমে ত্বকের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করে।
সর্বশেষ হাইপোডার্মিস হলো ত্বকের গভীরতম স্তর। শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য এই স্তরে চর্বি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে এই স্তর।
পোড়ার মতো বিভিন্ন কারণে শুধু এপিডার্মিসের ক্ষতি হলে বাইরের স্তর উঠে যায়। তবে ত্বকের গভীর স্তরগুলো অক্ষত থাকে। কিন্তু যদি কোনো আঘাত ডার্মিসের গভীরে প্রবেশ করে, তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতের প্রয়োজন হয়।
ক্ষতস্থানকে আবৃত করার জন্য প্রথমেই ত্বক একটি আবরণ তৈরি করে ও এরপর ক্ষত নিরাময় শুরু করে। ত্বক সেই ক্ষতের মধ্যে টিস্যু পুনর্নির্মাণ করে। এটি এলোমেলোভাবে কাজ করার কারণে ত্বকে দাগ তৈরি হয়।
জনস হপকিন্স মেডিসিনের প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ড. ড্যামন কুনি বলেন, স্বাভাবিক ত্বকে একটি সুন্দর, মসৃণ প্যাটার্নে সাবধানে বোনা হয় ডার্মিসের কোলাজেন ফাইবারের নেটওয়ার্ক। অনেকটা কাপড়ের বোনার মতো। আঘাতের কারণে এই নেটওয়ার্ক ছিঁড়ে গেলে ফাঁক পূরণ করতে শরীর নতুন কোলাজেন ফাইবার তৈরি করে।
তবে ক্ষত জুড়ে নতুন ফাইবারগুলোকে সুন্দরভাবে একসঙ্গে বুননের পরিবর্তে শরীর সেগুলোকে একত্রে স্তূপাকারে জমা করে। এই অগোছালো কোলাজেনের স্তূপ বেশির ভাগ স্কার টিস্যু অর্থাৎ দাগ তৈরি করে। এই অংশ স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে আলাদা দেখায় ও কম নমনীয় হয়।
এই ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত টিস্যুগুলো স্বাভাবিক টিস্যু থেকে আলাদা। এতে লোমের ফলিকল বা ঘর্ম গ্রন্থি থাকে না। ফরসা ত্বকের অধিকারীদের ক্ষেত্রে এসব দাগ প্রায় লাল বা হালকা গোলাপি হয়। এই রং ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায় ও স্বাভাবিক ত্বকের রঙের চেয়ে কিছুটা হালকা বা গাঢ় হতে পারে। আর বাদামি বা কালো বর্ণের মানুষের ত্বকের দাগগুলো প্রায়শই কালো দাগের মতো দেখায়।
কখনো কখনো শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্কার টিস্যুর মধ্যে কোলাজেন রেখে দেয়, যার ফলে ‘কেলয়েড’ বা ‘হাইপারট্রফিক’ দাগ তৈরি হয়। এসব দাগ পুরু এবং কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। দাগগুলো লাল, গোলাপি ও বেগুনি বা একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ত্বকের রং থেকে কিছুটা গাঢ় হতে পারে। কেলয়েডের দাগগুলো মূল ক্ষতের চেয়ে বড় হয়। তবে হাইপারট্রফিক দাগগুলো ক্ষতের সমান হয়।
অন্যদের তুলনায় কিশোর–কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের হাইপারট্রফিক দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভবত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এটি হয়। কেলয়েডের দাগগুলো কালো ত্বকের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ড. ড্যামন কুনি বলেন, দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্ণ হতে পারে, কারণ এর মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলো চ্যাপ্টা ও মসৃণ হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি প্রায় ছয় থেকে ১৮ মাস ধরে হতে পারে। একটি দাগ কতটা বিবর্ণ হয় তা সেটির আকার, অবস্থান ও প্রকারের ওপর নির্ভর করে। তবে দাগ কখনই পুরোপুরি অদৃশ্য হয় না। কারণ এলোমেলো টিস্যু চারপাশের ত্বক থেকে আলাদা থাকে।
ক্ষতবিক্ষত ত্বককে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করতে পারে স্যালাম্যান্ডারের মতো কিছু প্রাণী। এদের ত্বকে দাগ পড়ে না। আশ্চর্যজনকভাবে মানুষও এটি করতে পারে। তবে সেটি গর্ভাবস্থার সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (গর্ভাবস্থার ১৩ সপ্তাহ থেকে ২৭ সপ্তাহ) থাকার সময় ভ্রূণ এটি করতে পারে। এরপর মানুষ ক্ষত টিস্যু পুনরুৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তবে এ কারণ বিজ্ঞানীরা জানেন না।
প্রাণীদের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কের ত্বক ভ্রূণে প্রতিস্থাপিত করলেও দাগ থাকে। এর থেকে বোঝা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক ত্বকের কোষগুলো আঘাতের পরে পুনরুৎপাদনের পরিবর্তে দাগ সৃষ্টি করে। ত্বকের মধ্যে স্টেম সেলের সংখ্যা ও অবস্থানের পার্থক্যের জন্য ভ্রূণের ক্ষত দাগহীনভাবে নিরাময় হতে পারে। তবে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এই গবেষণা।
তবে কিছু চিকিৎসায় ক্ষতের দাগ হালকা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লেজার থেরাপি দাগের রং ও উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে সিলিকন জেল শিট দিয়ে একটি দাগের ওপর ম্যাসেজ করার মাধ্যমে এটিকে মসৃণ ও সমান করতে পারে।
এ ছাড়া চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দাগ অপসারণ করতে পারেন। হাইপারট্রফিক এবং কেলোয়েড দাগের আকারও কমাতে পারে স্টেরয়েড ইনজেকশন। স্টেরয়েড এই দাগের মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলোর জট ছাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
উত্তরটি বোঝার জন্য ত্বকের স্তর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। মানুষের ত্বকে প্রধান তিনটি স্তর রয়েছে। ত্বকের বাইরের স্তরকে বলে এপিডার্মিস। এটি সবচেয়ে পাতলা স্তর। এটি চ্যাপ্টা কোষের স্তরের সমন্বয়ে গঠিত, যাকে বলা হয় এপিথেলিয়াল কোষ। কোষগুলো সম্মিলিতভাবে বর্ম হিসেবে কাজ করে যা বাইরের আঘাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
এপিডার্মিসের নিচে থাকে ডার্মিস। এটি ত্বকের সবচেয়ে পুরু স্তর যেটিতে স্নায়ু, রক্তনালি, লোমের ফলিকল, ঘর্ম ও তেল গ্রন্থি থাকে। ডার্মিসের মধ্যে কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক প্রোটিনের বড় তন্তুযুক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে যা যথাক্রমে ত্বকের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করে।
সর্বশেষ হাইপোডার্মিস হলো ত্বকের গভীরতম স্তর। শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য এই স্তরে চর্বি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে এই স্তর।
পোড়ার মতো বিভিন্ন কারণে শুধু এপিডার্মিসের ক্ষতি হলে বাইরের স্তর উঠে যায়। তবে ত্বকের গভীর স্তরগুলো অক্ষত থাকে। কিন্তু যদি কোনো আঘাত ডার্মিসের গভীরে প্রবেশ করে, তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতের প্রয়োজন হয়।
ক্ষতস্থানকে আবৃত করার জন্য প্রথমেই ত্বক একটি আবরণ তৈরি করে ও এরপর ক্ষত নিরাময় শুরু করে। ত্বক সেই ক্ষতের মধ্যে টিস্যু পুনর্নির্মাণ করে। এটি এলোমেলোভাবে কাজ করার কারণে ত্বকে দাগ তৈরি হয়।
জনস হপকিন্স মেডিসিনের প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ড. ড্যামন কুনি বলেন, স্বাভাবিক ত্বকে একটি সুন্দর, মসৃণ প্যাটার্নে সাবধানে বোনা হয় ডার্মিসের কোলাজেন ফাইবারের নেটওয়ার্ক। অনেকটা কাপড়ের বোনার মতো। আঘাতের কারণে এই নেটওয়ার্ক ছিঁড়ে গেলে ফাঁক পূরণ করতে শরীর নতুন কোলাজেন ফাইবার তৈরি করে।
তবে ক্ষত জুড়ে নতুন ফাইবারগুলোকে সুন্দরভাবে একসঙ্গে বুননের পরিবর্তে শরীর সেগুলোকে একত্রে স্তূপাকারে জমা করে। এই অগোছালো কোলাজেনের স্তূপ বেশির ভাগ স্কার টিস্যু অর্থাৎ দাগ তৈরি করে। এই অংশ স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে আলাদা দেখায় ও কম নমনীয় হয়।
এই ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত টিস্যুগুলো স্বাভাবিক টিস্যু থেকে আলাদা। এতে লোমের ফলিকল বা ঘর্ম গ্রন্থি থাকে না। ফরসা ত্বকের অধিকারীদের ক্ষেত্রে এসব দাগ প্রায় লাল বা হালকা গোলাপি হয়। এই রং ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায় ও স্বাভাবিক ত্বকের রঙের চেয়ে কিছুটা হালকা বা গাঢ় হতে পারে। আর বাদামি বা কালো বর্ণের মানুষের ত্বকের দাগগুলো প্রায়শই কালো দাগের মতো দেখায়।
কখনো কখনো শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্কার টিস্যুর মধ্যে কোলাজেন রেখে দেয়, যার ফলে ‘কেলয়েড’ বা ‘হাইপারট্রফিক’ দাগ তৈরি হয়। এসব দাগ পুরু এবং কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। দাগগুলো লাল, গোলাপি ও বেগুনি বা একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ত্বকের রং থেকে কিছুটা গাঢ় হতে পারে। কেলয়েডের দাগগুলো মূল ক্ষতের চেয়ে বড় হয়। তবে হাইপারট্রফিক দাগগুলো ক্ষতের সমান হয়।
অন্যদের তুলনায় কিশোর–কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের হাইপারট্রফিক দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভবত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এটি হয়। কেলয়েডের দাগগুলো কালো ত্বকের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ড. ড্যামন কুনি বলেন, দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্ণ হতে পারে, কারণ এর মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলো চ্যাপ্টা ও মসৃণ হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি প্রায় ছয় থেকে ১৮ মাস ধরে হতে পারে। একটি দাগ কতটা বিবর্ণ হয় তা সেটির আকার, অবস্থান ও প্রকারের ওপর নির্ভর করে। তবে দাগ কখনই পুরোপুরি অদৃশ্য হয় না। কারণ এলোমেলো টিস্যু চারপাশের ত্বক থেকে আলাদা থাকে।
ক্ষতবিক্ষত ত্বককে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করতে পারে স্যালাম্যান্ডারের মতো কিছু প্রাণী। এদের ত্বকে দাগ পড়ে না। আশ্চর্যজনকভাবে মানুষও এটি করতে পারে। তবে সেটি গর্ভাবস্থার সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (গর্ভাবস্থার ১৩ সপ্তাহ থেকে ২৭ সপ্তাহ) থাকার সময় ভ্রূণ এটি করতে পারে। এরপর মানুষ ক্ষত টিস্যু পুনরুৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তবে এ কারণ বিজ্ঞানীরা জানেন না।
প্রাণীদের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কের ত্বক ভ্রূণে প্রতিস্থাপিত করলেও দাগ থাকে। এর থেকে বোঝা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক ত্বকের কোষগুলো আঘাতের পরে পুনরুৎপাদনের পরিবর্তে দাগ সৃষ্টি করে। ত্বকের মধ্যে স্টেম সেলের সংখ্যা ও অবস্থানের পার্থক্যের জন্য ভ্রূণের ক্ষত দাগহীনভাবে নিরাময় হতে পারে। তবে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এই গবেষণা।
তবে কিছু চিকিৎসায় ক্ষতের দাগ হালকা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লেজার থেরাপি দাগের রং ও উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে সিলিকন জেল শিট দিয়ে একটি দাগের ওপর ম্যাসেজ করার মাধ্যমে এটিকে মসৃণ ও সমান করতে পারে।
এ ছাড়া চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দাগ অপসারণ করতে পারেন। হাইপারট্রফিক এবং কেলোয়েড দাগের আকারও কমাতে পারে স্টেরয়েড ইনজেকশন। স্টেরয়েড এই দাগের মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলোর জট ছাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
উত্তরটি বোঝার জন্য ত্বকের স্তর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। মানুষের ত্বকে প্রধান তিনটি স্তর রয়েছে। ত্বকের বাইরের স্তরকে বলে এপিডার্মিস। এটি সবচেয়ে পাতলা স্তর। এটি চ্যাপ্টা কোষের স্তরের সমন্বয়ে গঠিত, যাকে বলা হয় এপিথেলিয়াল কোষ। কোষগুলো সম্মিলিতভাবে বর্ম হিসেবে কাজ করে যা বাইরের আঘাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
এপিডার্মিসের নিচে থাকে ডার্মিস। এটি ত্বকের সবচেয়ে পুরু স্তর যেটিতে স্নায়ু, রক্তনালি, লোমের ফলিকল, ঘর্ম ও তেল গ্রন্থি থাকে। ডার্মিসের মধ্যে কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক প্রোটিনের বড় তন্তুযুক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে যা যথাক্রমে ত্বকের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করে।
সর্বশেষ হাইপোডার্মিস হলো ত্বকের গভীরতম স্তর। শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য এই স্তরে চর্বি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে এই স্তর।
পোড়ার মতো বিভিন্ন কারণে শুধু এপিডার্মিসের ক্ষতি হলে বাইরের স্তর উঠে যায়। তবে ত্বকের গভীর স্তরগুলো অক্ষত থাকে। কিন্তু যদি কোনো আঘাত ডার্মিসের গভীরে প্রবেশ করে, তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতের প্রয়োজন হয়।
ক্ষতস্থানকে আবৃত করার জন্য প্রথমেই ত্বক একটি আবরণ তৈরি করে ও এরপর ক্ষত নিরাময় শুরু করে। ত্বক সেই ক্ষতের মধ্যে টিস্যু পুনর্নির্মাণ করে। এটি এলোমেলোভাবে কাজ করার কারণে ত্বকে দাগ তৈরি হয়।
জনস হপকিন্স মেডিসিনের প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ড. ড্যামন কুনি বলেন, স্বাভাবিক ত্বকে একটি সুন্দর, মসৃণ প্যাটার্নে সাবধানে বোনা হয় ডার্মিসের কোলাজেন ফাইবারের নেটওয়ার্ক। অনেকটা কাপড়ের বোনার মতো। আঘাতের কারণে এই নেটওয়ার্ক ছিঁড়ে গেলে ফাঁক পূরণ করতে শরীর নতুন কোলাজেন ফাইবার তৈরি করে।
তবে ক্ষত জুড়ে নতুন ফাইবারগুলোকে সুন্দরভাবে একসঙ্গে বুননের পরিবর্তে শরীর সেগুলোকে একত্রে স্তূপাকারে জমা করে। এই অগোছালো কোলাজেনের স্তূপ বেশির ভাগ স্কার টিস্যু অর্থাৎ দাগ তৈরি করে। এই অংশ স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে আলাদা দেখায় ও কম নমনীয় হয়।
এই ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত টিস্যুগুলো স্বাভাবিক টিস্যু থেকে আলাদা। এতে লোমের ফলিকল বা ঘর্ম গ্রন্থি থাকে না। ফরসা ত্বকের অধিকারীদের ক্ষেত্রে এসব দাগ প্রায় লাল বা হালকা গোলাপি হয়। এই রং ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায় ও স্বাভাবিক ত্বকের রঙের চেয়ে কিছুটা হালকা বা গাঢ় হতে পারে। আর বাদামি বা কালো বর্ণের মানুষের ত্বকের দাগগুলো প্রায়শই কালো দাগের মতো দেখায়।
কখনো কখনো শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্কার টিস্যুর মধ্যে কোলাজেন রেখে দেয়, যার ফলে ‘কেলয়েড’ বা ‘হাইপারট্রফিক’ দাগ তৈরি হয়। এসব দাগ পুরু এবং কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। দাগগুলো লাল, গোলাপি ও বেগুনি বা একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ত্বকের রং থেকে কিছুটা গাঢ় হতে পারে। কেলয়েডের দাগগুলো মূল ক্ষতের চেয়ে বড় হয়। তবে হাইপারট্রফিক দাগগুলো ক্ষতের সমান হয়।
অন্যদের তুলনায় কিশোর–কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের হাইপারট্রফিক দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভবত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এটি হয়। কেলয়েডের দাগগুলো কালো ত্বকের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ড. ড্যামন কুনি বলেন, দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্ণ হতে পারে, কারণ এর মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলো চ্যাপ্টা ও মসৃণ হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি প্রায় ছয় থেকে ১৮ মাস ধরে হতে পারে। একটি দাগ কতটা বিবর্ণ হয় তা সেটির আকার, অবস্থান ও প্রকারের ওপর নির্ভর করে। তবে দাগ কখনই পুরোপুরি অদৃশ্য হয় না। কারণ এলোমেলো টিস্যু চারপাশের ত্বক থেকে আলাদা থাকে।
ক্ষতবিক্ষত ত্বককে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করতে পারে স্যালাম্যান্ডারের মতো কিছু প্রাণী। এদের ত্বকে দাগ পড়ে না। আশ্চর্যজনকভাবে মানুষও এটি করতে পারে। তবে সেটি গর্ভাবস্থার সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (গর্ভাবস্থার ১৩ সপ্তাহ থেকে ২৭ সপ্তাহ) থাকার সময় ভ্রূণ এটি করতে পারে। এরপর মানুষ ক্ষত টিস্যু পুনরুৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তবে এ কারণ বিজ্ঞানীরা জানেন না।
প্রাণীদের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কের ত্বক ভ্রূণে প্রতিস্থাপিত করলেও দাগ থাকে। এর থেকে বোঝা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক ত্বকের কোষগুলো আঘাতের পরে পুনরুৎপাদনের পরিবর্তে দাগ সৃষ্টি করে। ত্বকের মধ্যে স্টেম সেলের সংখ্যা ও অবস্থানের পার্থক্যের জন্য ভ্রূণের ক্ষত দাগহীনভাবে নিরাময় হতে পারে। তবে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এই গবেষণা।
তবে কিছু চিকিৎসায় ক্ষতের দাগ হালকা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লেজার থেরাপি দাগের রং ও উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে সিলিকন জেল শিট দিয়ে একটি দাগের ওপর ম্যাসেজ করার মাধ্যমে এটিকে মসৃণ ও সমান করতে পারে।
এ ছাড়া চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দাগ অপসারণ করতে পারেন। হাইপারট্রফিক এবং কেলোয়েড দাগের আকারও কমাতে পারে স্টেরয়েড ইনজেকশন। স্টেরয়েড এই দাগের মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলোর জট ছাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
২৭ জুলাই ২০২৪
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
২৭ জুলাই ২০২৪
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
২৭ জুলাই ২০২৪
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৪ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
২৭ জুলাই ২০২৪
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে