ইদানীং খুব অদ্ভুত আচরণ করছে বার্ড ফ্লু। যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে নয়টি রাজ্যে দুগ্ধজাত গরুতে উচ্চ প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (এইচ ৫ এন১) এর একটি ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমিত গাভির দুধে খুব বেশি মাত্রায় ভাইরাসটি দেখা গেছে। আর এই ভাইরাসের ফলে মানুষের মধ্যে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ দেখা গিয়েছে।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ভাইরাসটি দুধ দহনে সরঞ্জামের মাধ্যমে ছড়িয়ে যাচ্ছে। তবে অন্যভাবে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। সংক্রামিত গাভীর কাঁচা দুধ পান করেছে এমন বেশ কিছু বিড়ালের স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দেয় ও পরবর্তীতে বিড়ালগুলো মারা যায়। তবে পাস্তুরিত দুধে এইচ ৫ এন ১–এর ভাইরাস থাকে না বলে মনে করা হয়।
গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তিনজনই আক্রান্ত গরুর সংস্পর্শে এসেছিলেন।
চোখে সংক্রমণ কনজেক্টিভাইটিস হল চোখের একটি অবস্থা যা সংক্রমণ বা অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে। এই সপ্তাহে মেশিগানে আরেক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে সাধারণ শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলো দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে খামারিরা সম্ভবত দূষিত দুধের মাধ্যমে ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিল।
গরুগুলো হাত দিয়ে ধরার পর খামারিরা তাদের চোখ স্পর্শ করার ফলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া দুধের কণা (বা অ্যারোসল নামে পরিচিত মাইক্রোস্কোপিক কণার) মাধ্যমে ও দুধ দহন সরঞ্জামের মাধ্যমেও এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে।
নেদারল্যান্ডের ইরাসমাস ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার রটারডামের ভাইরোসায়েন্স বিভাগের ডেপুটি হেড রন ফুচিয়ার বলেছেন, ‘কয়েক মাসের মধ্যে ভাইরাসটি কতটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কীভাবে এটি দুধ দহনের যন্ত্রের মাধ্যমে এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে তা সত্যিই আশ্চর্যজনক। এটি আমাদের সকলের জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন পরিস্থিতি ও কাঁচা দুধে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাস থাকতে পারে যা কিছুটা উদ্বেগজনক।’
এভিয়ান ফ্লু এর মাধ্যমে মানুষের কনজেক্টিভাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা তেমন বিরল নয়।
২০০৪ সালের ফুচিয়া ও তার সহকর্মীদের পরিচালিত এক গবেষনায় বলা হয়, ২০০৩ সালে নেদারল্যান্ডসে হাঁস-মুরগিতে এইচ ৭ এন ৭ এভিয়ান ফ্লুর বড় প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। এ সময় ৮৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৭৮ জনের কনজেক্টিভাইটিস হয়। আবার পাঁচজনের মধ্যে কনজেক্টিভাইটিসসহ ঠান্ডা–জ্বরও দেখা যায়। আর এরমধ্যে একজন নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ফুচিয়ার বলেন, এর আগেও বার্ড ফ্লুর কারণে মানুষের মধ্যে কনজাংটিভাইটিস রোগ দেখা গিয়েছে। বার্ড ফ্লু জন্য দায়ী এইচ ৭ এন ৭ ভাইরাসের জন্য বেশি মানুষ ও এইচ ৫ ভাইরাসের কারণে কিছুটা কম মানুষ আক্রান্ত হয়।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমণ ওষুধ গবেষক প্যাট্রিক এলস্ট্রোম বলেছেন, ভাইরাসগুলো খামারের কর্মীদের চোখে প্রবেশ করে কনজাংকটিভা রিসেপ্টরগুলোর সঙ্গে আবদ্ধ হয়। কনজাংকটিভা চোখের পাতার ভিতরের অংশ যা চোখের সাদা অংশকে ঢেকে রেখে চোখকে রক্ষা করে। আর ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসগুলো সিয়ালিক অ্যাসিড রিসেপ্টরের সঙ্গে আবদ্ধ হয়। তবে এভিয়ান ফ্লু ভাইরাসগুলো বিশেষভাবে পাখিদের মধ্যে থাকা সিয়ালিক অ্যাসিড রিসেপ্টরের সঙ্গে আবদ্ধ হয়। অপরদিকে সাধারণ ফ্লু ভাইরাস মানুষের শ্বাসযন্ত্রের সিয়ালিক অ্যাসিড রিসেপ্টরের সঙ্গে আবদ্ধ হয়।
তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলা হয়, বিষয়টি এত সহজ নয়। উভয় ধরনের রিসেপ্টর মানুষ ও পাখির শ্বাসযন্ত্রে ট্র্যাক্টে পাওয়া গেছে। তাই এটা স্পষ্ট নয় যে, ভাইরাসটিকে সংক্রমণ ঘটানোর জন্য ‘মানুষ’ রিসেপ্টরের সাথে আবদ্ধ হতে হবে, এলস্ট্রোম বলেছেন। পাখির এ রিসেপ্টরটি মানুষের চোখে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। তাই গরুর ভাইরাস মানুষের চোখের সংক্রমণ বেশি ঘটাতে পারে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্টেফিক আমেরিকান
ইদানীং খুব অদ্ভুত আচরণ করছে বার্ড ফ্লু। যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে নয়টি রাজ্যে দুগ্ধজাত গরুতে উচ্চ প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (এইচ ৫ এন১) এর একটি ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমিত গাভির দুধে খুব বেশি মাত্রায় ভাইরাসটি দেখা গেছে। আর এই ভাইরাসের ফলে মানুষের মধ্যে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ দেখা গিয়েছে।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ভাইরাসটি দুধ দহনে সরঞ্জামের মাধ্যমে ছড়িয়ে যাচ্ছে। তবে অন্যভাবে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। সংক্রামিত গাভীর কাঁচা দুধ পান করেছে এমন বেশ কিছু বিড়ালের স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দেয় ও পরবর্তীতে বিড়ালগুলো মারা যায়। তবে পাস্তুরিত দুধে এইচ ৫ এন ১–এর ভাইরাস থাকে না বলে মনে করা হয়।
গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তিনজনই আক্রান্ত গরুর সংস্পর্শে এসেছিলেন।
চোখে সংক্রমণ কনজেক্টিভাইটিস হল চোখের একটি অবস্থা যা সংক্রমণ বা অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে। এই সপ্তাহে মেশিগানে আরেক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে সাধারণ শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলো দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে খামারিরা সম্ভবত দূষিত দুধের মাধ্যমে ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিল।
গরুগুলো হাত দিয়ে ধরার পর খামারিরা তাদের চোখ স্পর্শ করার ফলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া দুধের কণা (বা অ্যারোসল নামে পরিচিত মাইক্রোস্কোপিক কণার) মাধ্যমে ও দুধ দহন সরঞ্জামের মাধ্যমেও এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে।
নেদারল্যান্ডের ইরাসমাস ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার রটারডামের ভাইরোসায়েন্স বিভাগের ডেপুটি হেড রন ফুচিয়ার বলেছেন, ‘কয়েক মাসের মধ্যে ভাইরাসটি কতটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কীভাবে এটি দুধ দহনের যন্ত্রের মাধ্যমে এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে তা সত্যিই আশ্চর্যজনক। এটি আমাদের সকলের জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন পরিস্থিতি ও কাঁচা দুধে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাস থাকতে পারে যা কিছুটা উদ্বেগজনক।’
এভিয়ান ফ্লু এর মাধ্যমে মানুষের কনজেক্টিভাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা তেমন বিরল নয়।
২০০৪ সালের ফুচিয়া ও তার সহকর্মীদের পরিচালিত এক গবেষনায় বলা হয়, ২০০৩ সালে নেদারল্যান্ডসে হাঁস-মুরগিতে এইচ ৭ এন ৭ এভিয়ান ফ্লুর বড় প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। এ সময় ৮৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৭৮ জনের কনজেক্টিভাইটিস হয়। আবার পাঁচজনের মধ্যে কনজেক্টিভাইটিসসহ ঠান্ডা–জ্বরও দেখা যায়। আর এরমধ্যে একজন নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ফুচিয়ার বলেন, এর আগেও বার্ড ফ্লুর কারণে মানুষের মধ্যে কনজাংটিভাইটিস রোগ দেখা গিয়েছে। বার্ড ফ্লু জন্য দায়ী এইচ ৭ এন ৭ ভাইরাসের জন্য বেশি মানুষ ও এইচ ৫ ভাইরাসের কারণে কিছুটা কম মানুষ আক্রান্ত হয়।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমণ ওষুধ গবেষক প্যাট্রিক এলস্ট্রোম বলেছেন, ভাইরাসগুলো খামারের কর্মীদের চোখে প্রবেশ করে কনজাংকটিভা রিসেপ্টরগুলোর সঙ্গে আবদ্ধ হয়। কনজাংকটিভা চোখের পাতার ভিতরের অংশ যা চোখের সাদা অংশকে ঢেকে রেখে চোখকে রক্ষা করে। আর ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসগুলো সিয়ালিক অ্যাসিড রিসেপ্টরের সঙ্গে আবদ্ধ হয়। তবে এভিয়ান ফ্লু ভাইরাসগুলো বিশেষভাবে পাখিদের মধ্যে থাকা সিয়ালিক অ্যাসিড রিসেপ্টরের সঙ্গে আবদ্ধ হয়। অপরদিকে সাধারণ ফ্লু ভাইরাস মানুষের শ্বাসযন্ত্রের সিয়ালিক অ্যাসিড রিসেপ্টরের সঙ্গে আবদ্ধ হয়।
তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলা হয়, বিষয়টি এত সহজ নয়। উভয় ধরনের রিসেপ্টর মানুষ ও পাখির শ্বাসযন্ত্রে ট্র্যাক্টে পাওয়া গেছে। তাই এটা স্পষ্ট নয় যে, ভাইরাসটিকে সংক্রমণ ঘটানোর জন্য ‘মানুষ’ রিসেপ্টরের সাথে আবদ্ধ হতে হবে, এলস্ট্রোম বলেছেন। পাখির এ রিসেপ্টরটি মানুষের চোখে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। তাই গরুর ভাইরাস মানুষের চোখের সংক্রমণ বেশি ঘটাতে পারে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্টেফিক আমেরিকান
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১০ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১০ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
১১ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগে