প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
বৃষ্টির দিনে আশপাশের পরিবেশে কেমন একটা ঘুম ঘুম আবহ থাকে। কোনো কাজ করার জন্য মনোযোগ ধরে রাখা যায় না, দেহে ক্লান্তি অনুভূত হয়। বৃষ্টির সময় ক্লান্তি কাটাতে অনেকেই দিনের বেলাতেই ঘুমিয়ে পড়েন। তাহলে অন্য সময়ের তুলনায় বৃষ্টির সময় বেশি ঘুম পায় কেন?
বর্ষণমুখর দিনে অতিরিক্ত ঘুম পাওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যখন মানুষের দেহে সূর্যের আলো পড়ে তখন দেহে মেলাটোনিন নামক হরমোন কম ক্ষরিত হয়। এই হরমোন মানুষের স্লিপ সাইকেল বা ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। অপরদিকে বেশি সূর্যালোকে সেরোটোনিন ক্ষরণ হয় বেশি, যা মানুষকে আরও সতর্ক ও প্রফুল্ল রাখতে সহায়তা করে। বৃষ্টির সময় আকাশ মেঘলা থাকে। ফলে সূর্যালোক গায়ে লাগে না বললেই চলে। ফলে ক্লান্তি ভর করে ও ঘুম ঘুম লাগে।
বৃষ্টির দিনে বাতাসের অতিরিক্ত আর্দ্রতাও ঘুম ঘুম ভাবের একটি কারণ। বৃষ্টি হলে বাইরের বাতাস ভারী হয়। আর্দ্র অবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা (হোমিওস্ট্যাসিস) বজায় রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এমন পরিবেশ ঘাম এবং অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মতো প্রক্রিয়াগুলোতে আরও শক্তি ব্যয় করতে বাধ্য করে। এই অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করতে গিয়ে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া বৃষ্টির দিনে বাতাসে অক্সিজেন কিছুটা কমে যাওয়ায়ও ক্লান্তি অনুভূত হওয়ার কারণ।
আর বৃষ্টির শব্দও ঘুম ঘুম ভাবের জন্য দায়ী। বৃষ্টির শব্দকে পিংক নয়েজ বলে। অর্থাৎ এতে এমন কম্পাঙ্কগুচ্ছ থাকে যার প্রত্যেকটি মানুষ শুনতে পায়।
এর মানে বৃষ্টির শব্দে এমন সমস্ত কম্পাঙ্ক (ফ্রিকোয়েন্সি) রয়েছে যা মানুষ শুনতে পায়, সেগুলো অনেকটা হোয়াইট নয়েজের (অনেকটা হিস হিস শব্দের মতো বা টেলিভিশন ও রেডিওর নেটওয়ার্ক চলে গেলে যে শব্দ হয়) মতো।
হোয়াইট নয়েজের শব্দ তরঙ্গের শক্তি মানুষের শ্রবণযোগ্য কম্পাঙ্ক সীমা জুড়ে সমানভাবে থাকে। আর পিংক নয়েজের শব্দ তরঙ্গের শক্তি শ্রবণযোগ্য কম্পাঙ্ক সীমা জুড়ে অসমভাবে থাকে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে বৃষ্টি একটি শান্ত পরিবেশ তৈরি করে যা মানুষের ঘুমের জন্য সহায়ক।
বিজ্ঞানীদের মতে, বৃষ্টির শব্দ এমন ছন্দ বৃত্ত শব্দ তৈরি করে যা অন্য কর্কশ শব্দকে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। বৃষ্টির ছন্দে অন্য সব বিরক্তিকর শব্দ ঢাকা পড়ে যায়।
২০১২ সালে এক গবেষণা বলা হয়, পিংক নয়েজ মস্তিষ্কের তরঙ্গের কার্যক্রম কমিয়ে দেয়। গবেষণাটি ‘নিউরোসায়েন্স লেটার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।
বৃষ্টির শব্দ ছাড়াও পাতার মুড়মুড় শব্দ, বাতাসের শণ শণ শব্দ ও হৃৎপিণ্ডের শব্দকেও পিংক নয়েজ বলা হয়। এই ধরনের শব্দ মানুষের চোখে ঘুম নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
শুধু বৃষ্টির প্রভাবেই মানুষ আলস্য অনুভব করে তা নয়। শীতকালে কুয়াশা ভেদ করে সূর্যালোক মানুষের দেহে কম পৌঁছায়। সেসময়ও মানুষের মধ্যে ক্লান্তি ভাব কাজ করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আসে। অনেকেই এ সময় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। একে ‘সিজনাল অ্যাফেক্ট ডিসঅর্ডার’ বলে। শীতকালে মানুষের মধ্যে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতাও বেশি দেখা যায়।
অপরদিকে গ্রীষ্মকালে মানুষের মধ্যে নিম্ন রক্ত চাপ দেখা যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে সূর্যালোকের প্রভাবে দেহে সেরোটোনিন বেশি নিঃসৃত হয় ফলে মানুষ অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশ প্রফুল্ল ও সক্রিয় থাকে। সূর্যালোকের প্রভাবে মানুষের সৃজনশীল চিন্তাভাবনাও বাড়ে বলে অনেক গবেষকেরা মনে করেন।
তথ্যসূত্র: ওন্ডারপলিস
বৃষ্টির দিনে আশপাশের পরিবেশে কেমন একটা ঘুম ঘুম আবহ থাকে। কোনো কাজ করার জন্য মনোযোগ ধরে রাখা যায় না, দেহে ক্লান্তি অনুভূত হয়। বৃষ্টির সময় ক্লান্তি কাটাতে অনেকেই দিনের বেলাতেই ঘুমিয়ে পড়েন। তাহলে অন্য সময়ের তুলনায় বৃষ্টির সময় বেশি ঘুম পায় কেন?
বর্ষণমুখর দিনে অতিরিক্ত ঘুম পাওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যখন মানুষের দেহে সূর্যের আলো পড়ে তখন দেহে মেলাটোনিন নামক হরমোন কম ক্ষরিত হয়। এই হরমোন মানুষের স্লিপ সাইকেল বা ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। অপরদিকে বেশি সূর্যালোকে সেরোটোনিন ক্ষরণ হয় বেশি, যা মানুষকে আরও সতর্ক ও প্রফুল্ল রাখতে সহায়তা করে। বৃষ্টির সময় আকাশ মেঘলা থাকে। ফলে সূর্যালোক গায়ে লাগে না বললেই চলে। ফলে ক্লান্তি ভর করে ও ঘুম ঘুম লাগে।
বৃষ্টির দিনে বাতাসের অতিরিক্ত আর্দ্রতাও ঘুম ঘুম ভাবের একটি কারণ। বৃষ্টি হলে বাইরের বাতাস ভারী হয়। আর্দ্র অবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা (হোমিওস্ট্যাসিস) বজায় রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এমন পরিবেশ ঘাম এবং অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মতো প্রক্রিয়াগুলোতে আরও শক্তি ব্যয় করতে বাধ্য করে। এই অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করতে গিয়ে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া বৃষ্টির দিনে বাতাসে অক্সিজেন কিছুটা কমে যাওয়ায়ও ক্লান্তি অনুভূত হওয়ার কারণ।
আর বৃষ্টির শব্দও ঘুম ঘুম ভাবের জন্য দায়ী। বৃষ্টির শব্দকে পিংক নয়েজ বলে। অর্থাৎ এতে এমন কম্পাঙ্কগুচ্ছ থাকে যার প্রত্যেকটি মানুষ শুনতে পায়।
এর মানে বৃষ্টির শব্দে এমন সমস্ত কম্পাঙ্ক (ফ্রিকোয়েন্সি) রয়েছে যা মানুষ শুনতে পায়, সেগুলো অনেকটা হোয়াইট নয়েজের (অনেকটা হিস হিস শব্দের মতো বা টেলিভিশন ও রেডিওর নেটওয়ার্ক চলে গেলে যে শব্দ হয়) মতো।
হোয়াইট নয়েজের শব্দ তরঙ্গের শক্তি মানুষের শ্রবণযোগ্য কম্পাঙ্ক সীমা জুড়ে সমানভাবে থাকে। আর পিংক নয়েজের শব্দ তরঙ্গের শক্তি শ্রবণযোগ্য কম্পাঙ্ক সীমা জুড়ে অসমভাবে থাকে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে বৃষ্টি একটি শান্ত পরিবেশ তৈরি করে যা মানুষের ঘুমের জন্য সহায়ক।
বিজ্ঞানীদের মতে, বৃষ্টির শব্দ এমন ছন্দ বৃত্ত শব্দ তৈরি করে যা অন্য কর্কশ শব্দকে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। বৃষ্টির ছন্দে অন্য সব বিরক্তিকর শব্দ ঢাকা পড়ে যায়।
২০১২ সালে এক গবেষণা বলা হয়, পিংক নয়েজ মস্তিষ্কের তরঙ্গের কার্যক্রম কমিয়ে দেয়। গবেষণাটি ‘নিউরোসায়েন্স লেটার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।
বৃষ্টির শব্দ ছাড়াও পাতার মুড়মুড় শব্দ, বাতাসের শণ শণ শব্দ ও হৃৎপিণ্ডের শব্দকেও পিংক নয়েজ বলা হয়। এই ধরনের শব্দ মানুষের চোখে ঘুম নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
শুধু বৃষ্টির প্রভাবেই মানুষ আলস্য অনুভব করে তা নয়। শীতকালে কুয়াশা ভেদ করে সূর্যালোক মানুষের দেহে কম পৌঁছায়। সেসময়ও মানুষের মধ্যে ক্লান্তি ভাব কাজ করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আসে। অনেকেই এ সময় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। একে ‘সিজনাল অ্যাফেক্ট ডিসঅর্ডার’ বলে। শীতকালে মানুষের মধ্যে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতাও বেশি দেখা যায়।
অপরদিকে গ্রীষ্মকালে মানুষের মধ্যে নিম্ন রক্ত চাপ দেখা যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে সূর্যালোকের প্রভাবে দেহে সেরোটোনিন বেশি নিঃসৃত হয় ফলে মানুষ অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশ প্রফুল্ল ও সক্রিয় থাকে। সূর্যালোকের প্রভাবে মানুষের সৃজনশীল চিন্তাভাবনাও বাড়ে বলে অনেক গবেষকেরা মনে করেন।
তথ্যসূত্র: ওন্ডারপলিস
মাইক্রোপ্লাস্টিকে থাকা রাসায়নিক পদার্থ জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক বিষ হয়ে দাঁড়ায়। এসব মাছ মানুষও খায়। ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ঢুকে যেতে পারে মানবদেহেও। গবেষণায় দেখা গেছে, টায়ার থেকে সৃষ্ট এসব কণার ভেতরে থাকা ‘৬ পিপিডি-কিউ’ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মাছের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের
২৭ মিনিট আগেমহাকাশ গবেষণায় এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবং চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির মাধ্যমে তাঁরা একটি বিরল ধরণের ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন, যা হতে পারে বহুদিন খোঁজে থাকা ‘মধ্যম-ভরবিশিষ্ট ব্ল্যাক হোল’ (Intermediate-Mass Black Hole)। এই ব্ল্যাক হোলকে একটি নক
৬ ঘণ্টা আগেআকাশপ্রেমীদের জন্য দারুণ এক সন্ধ্যা অপেক্ষা করছে ২৮ জুলাই সোমবার। এদিন সূর্যাস্তের প্রায় ৪৫ মিনিট পর পশ্চিম আকাশে দেখা মিলবে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের অসাধারণ সংযোগের। একে বলা হচ্ছে গ্রীষ্মের সবচেয়ে সুন্দর রাত—কারণ একই রাতে আকাশে দেখা যাবে একাধিক উল্কাবৃষ্টি।
১ দিন আগেপ্রায় সাড়ে ৮ লাখ বছর আগে একটি ছোট শিশুকে কেটে হত্যা ও ভক্ষণ করা হয়েছিল। স্পেনের উত্তরে আতাপুয়েরকা অঞ্চলের গ্রান দোলিনা গুহায় পাওয়া শিশুর একটি গলার হাড়ে কাটা দাগের বিশ্লেষণ করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা।
১ দিন আগে