প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে আমরা পানি ব্যবহার করি। পানি কোনো পাত্রে রেখে ফ্রিজে রাখার কিছু সময় পর দেখা যায় ওপরের দিকে জমাট বেঁধেছে কিন্তু নিচের দিকে তরলই থেকে গেছে। পানি কেন নিচ থেকে ওপরের দিকে জমাট বাঁধে এই প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। অন্যান্য তরলের তুলনায় পানির এই বৈশিষ্ট্য অনন্য।
এই বৈশিষ্ট্যের কারণে বরফ পানিতে ভাসতে পারে। তাপমাত্রার কারণে পানির ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। ঘনত্ব হলো একটি বস্তুর একক আয়তনের ভর। একটি পদার্থের পরমাণু ও অণুগুলো মূলত কতটা শক্তভাবে একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে এটি তারই পরিমাপ। বেশির ভাগ পদার্থের তাপমাত্রা কমার ফলে সেটির আয়তন কমে যায় এবং এর ঘনত্ব বেড়ে যায়। অর্থাৎ পরমাণু ও অণুগুলো আরও শক্ত বন্ধন তৈরি করে।
উদাহরণস্বরূপ, গরম বাতাসের ঘনত্ব ঠান্ডা বাতাসের চেয়ে কম হওয়ার কারণে গরম বাতাস প্রসারিত হয় ও ওপরের দিকে উঠে যায়। বিপরীতভাবে ঠান্ডা বাতাস সংকুচিত হয় ও নিচের দিকে চলে আসে। শুধু নির্দিষ্ট তাপমাত্রার নিচে পানিও একই আচরণ করে।
তাপমাত্রা কমে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এলে পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হয়। ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি তরলই থাকে। এরপর এই পানিকে আরও ঠান্ডা করলে কিন্তু আর ঘনত্ব বাড়ে না। উল্টো ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমতে থাকে। শূন্য (০) ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম তাপমাত্রায় পৌঁছালে পানি জমে বরফে পরিণত হয়। এর ঘনত্ব তরল পানির চেয়ে কম হয়। ফলে বরফ পানিতে ভাসে। আর আশপাশের ঠান্ডা পানির ঘনত্ব বেশি হওয়ায় এগুলো নিচের দিকে যায়। তাপমাত্রা কমতে থাকলে ওপর থেকে নিচের দিকে পানি ক্রমাগত বরফে পরিণত হয়।
কিন্তু অন্যান্য তরল পদার্থ জমাট বাঁধলে ঘনত্ব বেড়ে যায় ও তা নিচের দিকে চলে যায়। ফলে মনে হয় নিচ থেকেই এসব তরল জমাট বাঁধে।
পানির এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের কিছু সুফল প্রকৃতিতে দেখা যায়। পানি যদি নিচ থেকে ওপরের দিকে বরফ পরিণত হলে শীতপ্রধান দেশের নদী, নালা, পুকুর বা হ্রদের পানিতে মাছ, জলজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণী বেঁচে থাকতে পারত না। শীতের সময় এসব স্থানে ওপরের দিকে বরফ জমলেও নিচের দিকে পানি তরল অবস্থায় থাকে। তাই বরফের নিচে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী বাঁচতে পারে। এমনটি না হলে শীতপ্রধান দেশের জলজ প্রাণী বহু আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত!
তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা
প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে আমরা পানি ব্যবহার করি। পানি কোনো পাত্রে রেখে ফ্রিজে রাখার কিছু সময় পর দেখা যায় ওপরের দিকে জমাট বেঁধেছে কিন্তু নিচের দিকে তরলই থেকে গেছে। পানি কেন নিচ থেকে ওপরের দিকে জমাট বাঁধে এই প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। অন্যান্য তরলের তুলনায় পানির এই বৈশিষ্ট্য অনন্য।
এই বৈশিষ্ট্যের কারণে বরফ পানিতে ভাসতে পারে। তাপমাত্রার কারণে পানির ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। ঘনত্ব হলো একটি বস্তুর একক আয়তনের ভর। একটি পদার্থের পরমাণু ও অণুগুলো মূলত কতটা শক্তভাবে একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে এটি তারই পরিমাপ। বেশির ভাগ পদার্থের তাপমাত্রা কমার ফলে সেটির আয়তন কমে যায় এবং এর ঘনত্ব বেড়ে যায়। অর্থাৎ পরমাণু ও অণুগুলো আরও শক্ত বন্ধন তৈরি করে।
উদাহরণস্বরূপ, গরম বাতাসের ঘনত্ব ঠান্ডা বাতাসের চেয়ে কম হওয়ার কারণে গরম বাতাস প্রসারিত হয় ও ওপরের দিকে উঠে যায়। বিপরীতভাবে ঠান্ডা বাতাস সংকুচিত হয় ও নিচের দিকে চলে আসে। শুধু নির্দিষ্ট তাপমাত্রার নিচে পানিও একই আচরণ করে।
তাপমাত্রা কমে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এলে পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হয়। ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি তরলই থাকে। এরপর এই পানিকে আরও ঠান্ডা করলে কিন্তু আর ঘনত্ব বাড়ে না। উল্টো ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমতে থাকে। শূন্য (০) ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম তাপমাত্রায় পৌঁছালে পানি জমে বরফে পরিণত হয়। এর ঘনত্ব তরল পানির চেয়ে কম হয়। ফলে বরফ পানিতে ভাসে। আর আশপাশের ঠান্ডা পানির ঘনত্ব বেশি হওয়ায় এগুলো নিচের দিকে যায়। তাপমাত্রা কমতে থাকলে ওপর থেকে নিচের দিকে পানি ক্রমাগত বরফে পরিণত হয়।
কিন্তু অন্যান্য তরল পদার্থ জমাট বাঁধলে ঘনত্ব বেড়ে যায় ও তা নিচের দিকে চলে যায়। ফলে মনে হয় নিচ থেকেই এসব তরল জমাট বাঁধে।
পানির এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের কিছু সুফল প্রকৃতিতে দেখা যায়। পানি যদি নিচ থেকে ওপরের দিকে বরফ পরিণত হলে শীতপ্রধান দেশের নদী, নালা, পুকুর বা হ্রদের পানিতে মাছ, জলজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণী বেঁচে থাকতে পারত না। শীতের সময় এসব স্থানে ওপরের দিকে বরফ জমলেও নিচের দিকে পানি তরল অবস্থায় থাকে। তাই বরফের নিচে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী বাঁচতে পারে। এমনটি না হলে শীতপ্রধান দেশের জলজ প্রাণী বহু আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত!
তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা
প্রথমবারের মতো কোনো নক্ষত্রকে ঘিরে নতুন সৌরজগতের জন্ম হতে দেখেছেন বিশ্বের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি গ্রহ সৃষ্টি প্রক্রিয়ার এতটাই প্রাথমিক স্তর যে, আগে কখনো এমন দৃশ্যমান হয়নি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা এক যুগান্তকারী পদ্ধতি ব্যবহার করে আট সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে তিন ব্যক্তির ডিএনএ সমন্বয় করে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, যাতে শিশুরা দুরারোগ্য জিনগত ব্যাধি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
৫ দিন আগেপ্রাণীরা একে অপরের ডাকে সাড়া দেয়, এই তথ্য আমাদের অনেকের জানা। তবে সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বিস্ময়কর এক তথ্য। গাছও শব্দ করে, আর সেই শব্দ শুনেই সিদ্ধান্ত নেয় পোকামাকড়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে এক নতুন ধরনের যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৭ দিন আগেসবচেয়ে কাছ থেকে তোলা সূর্যের ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। এসব ছবি পাঠিয়েছে নাসার মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব। এই মহাকাশযান সূর্যের পৃষ্ঠের মাত্র ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মাইল (৬ দশমিক ১ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূর থেকে ছবি তোলে।
৮ দিন আগে